hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

ইসলামী বিধান ও আধুনিক বিজ্ঞান (প্রথম খন্ড)

লেখকঃ মুহাম্মাদ ওসমান গনি

২৪
ছেলেরা মেয়েদের দ্বিগুন অংশ পাওয়ার কারণ হলোঃ
* মেয়েদের ভরণ পোষণ ইত্যাদি খরচের দায়িত্ব অর্পিত হয়েছে তাদের স্বামী, ছেলেদের উপর অথবা তাদের পিতার উপর অথবা তাদের ভাইয়ের উপর অথবা তাদের অন্য কোন আত্মীয়ের উপর।

* মেয়েদের উপর অন্য কারো ভরণ পোষণের দায়িত্ব অর্পিত হয়নি। অথচ ছেলেদের উপর তার আত্মীয় স্বজন ও পরিবার পরিজনের খরচের দায়িত্ব অর্পিত হয়েছে।

* ছেলেদের খরচের দায়িত্ব সর্বাধিক। অতএব মেয়েদের প্রয়োজনের তুলনায় ছেলেদের প্রয়োজন সবচেয়ে বেশী।

* ছেলেদের স্ত্রীকে মহর দিতে হয়। স্ত্রী ও সন্তানের বাসস্থান, খাদ্য ও পোষাকের খরচের দায়িত্ব পুরুষের উপরই নাস্ত।

* সন্তানের লেখা পড়ার খরচ এবং স্বীয় স্ত্রী ও সন্তানের চিকিৎসার ব্যয় ভার পুরুষদেরকেই বহন করতে হয়।

মহান করুণাময় আল্লাহ আদেশ করছেনঃ

لِيُنْفِقْ ذُو سَعَةٍ مِنْ سَعَتِهِ وَمَنْ قُدِرَ عَلَيْهِ رِزْقُهُ فَلْيُنْفِقْ مِمَّا آَتَاهُ اللَّهُ لَا يُكَلِّفُ اللَّهُ نَفْسًا إِلَّا مَا آَتَاهَا ( سورة الطلاق 7)

অর্থঃ বিত্তশালী ব্যক্তি তার বিত্ত অনুযায়ী ব্যয় করবে। যে ব্যক্তি সীমিত পরিমানে রিযক প্রাপ্ত সে আল্লাহ যা দিয়েছেন তদপেক্ষা বেশী ব্যয় করার আদেশ কাউকে করেন না। (সূরা তালাক, ৬৫ঃ ৭ আয়াত)।

অথচ নারীরা যতই মাল ও সম্পদের অধিকারিনী হোক না কেন, তার পরও তাদের মাল থেকে খরচ করা ওয়াজিব করা হয়নি; না তাদের নিজেদের উপর, আর না তাদের সস্তানের উপর যতক্ষন পর্যন্ত তার স্বামী বেঁচে থাকবে। কেননা তার স্বামীর উপরই তার ও তার সকল সন্তানের যাবতীয় খরচের দায় দায়িত্ব অর্পিত হয়েছে। আল্লাহ ইরশাদ করেনঃ

وَعَلَى الْمَوْلُودِ لَهُ رِزْقُهُنَّ وَكِسْوَتُهُنَّ بِالْمَعْرُوفِ لَا تُكَلَّفُ نَفْسٌ إِلَّا وُسْعَهَا ( سورة البقرة 233)

অর্থঃ নিয়মানুযায়ী মাতার খাওয়া পরা ইত্যাদির ব্যবস্থা করা সন্তানের পিতার দায়িত্ব। কাউকেও সামর্থের উর্ধ্বে কোন দায়িত্ব দেয়া হয় না। (সূরা বাকারা, ২ঃ ২৩৩ আয়াত)।

এমন কি মেয়েদের ছোট থেকে বিবাহ পর্যন্ত তাদের ব্যয়ভার তাদের পিতার। তাদের যখন বিবাহ হয় তখন থেকে তাদের দায়িত্ব স্বামীর উপর অর্পিত হয় এবং যখন বার্ধক্যে উপনিত হয় তখন তাদের সন্তানদের উপর তা ন্যস্ত হয়। এমনি ভাবে জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত ইসলাম তাদের জন্য সার্বিক ব্যয়ের ব্যবস্থা করেছেন। অপর দিকে উত্তরাধিকার সূত্রে বিভিন্ন দিক থেকে তাদের অংশ নির্ধারণ করেছে।

রমনী তার পিতা মাতা থেকে পেয়ে থাকে। যেমনঃ

وَإِنْ كَانَتْ وَاحِدَةً فَلَهَا النِّصْفُ ( سورة النساء 11)

অর্থঃ যদি একা হয় তাহলে অর্ধেক সে পাবে। (সূরা নিসা, ৪ঃ ১১ আয়াত)।

রমনী তার স্বামী থেকে পেয়ে থাকে। যেমনঃ

وَلَهُنَّ الرُّبُعُ مِمَّا تَرَكْتُمْ إِنْ لَمْ يَكُنْ لَكُمْ وَلَدٌ ( سورة النساء 12)

অর্থঃ তোমাদের (স্বামীর) যদি সন্তান না থাকে তাহলে তোমরা যা রেখে গেছে তার এক চতুর্থাংশ পাবে তারা (স্ত্রীরা)। (সূরা নিসা, ৪ঃ ১২ আয়াত)।

রমনী তার সন্তান থেকে পেয়ে থাকে। যেমনঃ

فَإِنْ لَمْ يَكُنْ لَهُ وَلَدٌ وَوَرِثَهُ أَبَوَاهُ فَلِأُمِّهِ الثُّلُثُ فَإِنْ كَانَ لَهُ إِخْوَةٌ فَلِأُمِّهِ السُّدُسُ ( سورة النساء 11)

অর্থঃ যদি তার সন্তান না থাকে তাহলে পিতা মাতা তার ওয়ারিস হবে। মাতা পাবে এক তৃতীয়ংশ, আর যদি তার ভাই থাকে তাহলে মাতা পাবে ছয় ভাগের এক ভাগ। ( সূরা নিসা, ৪ঃ ১১ আয়াত)।

রমণী তার ভাই থেকে পেয়ে থাকে। যেমনঃ

وَلَهُ أُخْتٌ فَلَهَا نِصْفُ مَا تَرَكَ ( سورة النساء 176)

অর্থঃ মৃত ব্যক্তির যদি কোন বোন থাকে তাহলে সে পাবে পরিত্যক্ত সম্পদের অর্ধেক। (সূরা নিসা, ৪ঃ ১৭৬ আয়াত)।

বিবাহের সময় নারীরা মোহর পেয়ে থাকে। যেমনঃ

وَآَتُوا النِّسَاءَ صَدُقَاتِهِنَّ ( سورة النساء 4)

অর্থঃ তোমরা স্ত্রীদেরকে তাদের মোহর দিয়ে দাও। (সূরা নিসা, ৪ঃ ৪ আয়াত)।

ইসলাম মেয়েদেরকে তাদের কল্পনার উর্ধ্বে নিয়ামত, ফযিলাত ও সম্মান দিয়েছে। সে সম্পদ গ্রহণ করবে, কিন্তু খরচের ব্যাপারে তাকে বাধ্য করা হয়নি, কোন দায়িত্ব দেয়া হয়নি। তার লাভ আছে, ক্ষতি নেই। আয় আছে, ব্যয় নেই। জমা আছে, খরচ নেই। অতএব আদল ও ইনসাফের কষ্টি পাথরে যদি যাচাই করা হয় তাহলে সবার কাছে দিবালোকের ন্যায় সুস্পষ্ট হবে যে, পুরুষদের সাথে নারীদের অংশ পার্থক্য করা হয়েছে সার্বিক যুক্তিসংগত, ন্যায়ানুগ ও বিজ্ঞান ভিত্তিক।

একটি উদাহরণের মাধ্যমে ব্যাপারটি আরও স্পষ্ট করা যায়। মনে করি, এক ব্যক্তির দুই সন্তান। এক ছেলে ও এক মেয়ে রেখে সে মৃত্যু বরণ করেছে। সে তাদের জন্য রেখে গেছে ৩০,০০০/= ত্রিশ হাজার টাকা। শরীয়াতের আলোকে মেয়েটি পাবে ১০,০০০/= দশ হাজার টাকা এবং ছেলেটি পাবে ২০, ০০০/= বিশ হাজার টাকা। বিয়ের সময় এসেছে, যুবকটি বিয়ে করতে ইচ্ছুক। তার স্ত্রীকে মহর দিতে হবে। মনে করি তার বিয়ের মহর ২০,০০০/= বিশ হাজার টাকা মাত্র। এবার সে তার পিতার উত্তরাধিকার সূত্রে যা পেয়েছিল তা তার স্ত্রীকে মহর হিসাবে সম্পূর্ণ প্রদান করলো। অতঃপর তার কাছে কিছুই অবশিষ্ট থাকলো না। বিয়ের পর বাসস্থান ও খাওয়া থাকার সার্বিক ব্যয়ের দায়িত্ব তারই। আর মেয়েটি যখন বিয়ে করার ইচ্ছা করবে তখন তার স্বামীর কাছ থেকে মোহর পাবে। মনে করি তার মোহর ২০,০০০/= বিশ হাজার টাকা। সে তার পিতার সম্পদ থেকে পেয়েছে ১০,০০০/= দশ হাজার টাকা এবং স্বামীর কাছ থেকে মোহর বাবদ পেয়েছে বিশ হাজার টাকা। তার কাছে মোট জমা হয়েছে ৩০,০০০/= ত্রিশ হাজার টাকা। সে মালদার হওয়ার পরও তার মাল থেকে খরচ করার জন্য ইসলাম তাকে কোন দায়িত্ব দেয়নি। এমন কি তার নিজের খরচের জন্যও না। কেননা তার নফছের খরচ যোগাবে তার স্বামী। বেঁচে থাকা অবস্থায় যতদিন তার দায়িত্বে থাকবে ততদিন তার উক্ত মাল বৃদ্ধি পেতেই থাকবে। আর ছেলেটির মাল কমতেই থাকবে। মেয়েটি যা তার পিতার কাছ থেকে পেয়েছে তা চলে গেছে এবং ব্যয় হয়েছে।

এখন দেখুন, অর্থের দিক দিয়ে কে বেশী সৌভাগ্যের অধিকারী? ছেলেটি, না মেয়েটি? সম্পদের দিক দিয়ে কে বেশী সৌভাগ্যের অধকারী? ছেলেটি, না মেয়েটি? সম্পদের দিক দিয়ে কে বেশী মালের অধিকারী? যুবকটি, না যুবতীটি? অথচ একবিংশ শতাব্দীতে এসে নারী অধিকার আদায়ের জন্য বিশ্ব নারী দিবস, নারী স্বাধীনতা আন্দোলন, বিশ্ব নারী সম্মেলন ইত্যাদি সেমিনার সিম্পোজিয়াম করে মাঠে নামা সম্পূর্ণ অবান্তর মাত্র। এসব করে নারী জাতি তাদের প্রাপ্য অধিকার থেকে বঞ্চিত, নির্যাতিত, লাঞ্ছিত, অবহেলিত ও ধর্ষিত হওয়া ব্যতীত আর কিছুই পাচ্ছে না।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন