hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

ইসলামী বিধান ও আধুনিক বিজ্ঞান (প্রথম খন্ড)

লেখকঃ মুহাম্মাদ ওসমান গনি

২৬
চোরের হাত কাটার আইন কেন?
ইসলাম মুসলিমদের সম্পদের নিরাপত্তা দিয়েছে। প্রত্যেকেই তার জীবনের প্রয়োজন নিটানোর উদ্দেশ্যে বৈধ পন্থায় প্রচেষ্টা চালিয়ে যাবে। আল কুরআনের ভাষায়ঃ

وَابْتَغِ فِيمَا آَتَاكَ اللَّهُ الدَّارَ الْآَخِرَةَ وَلَا تَنْسَ نَصِيبَكَ مِنَ الدُّنْيَا وَأَحْسِنْ كَمَا أَحْسَنَ اللَّهُ إِلَيْكَ وَلَا تَبْغِ الْفَسَادَ فِي الْأَرْضِ إِنَّ اللَّهَ لَا يُحِبُّ الْمُفْسِدِينَ ﴿القصص 77﴾

অর্থঃ আল্লাহ তোমাকে যা দান করেছেন তার মাধ্যমে পরকালের গৃহ অনুসন্ধান কর। দুনিয়াতে তোমার অংশ ভুলে যেও না। আল্লাহ যেমন তোমার প্রতি অনুগ্রহ করেছেন তেমনি তুমি অনুগ্রহ কর। পৃথিবীতে ফাছাদ সৃষ্টি করতে প্রয়সী হয়ো না। নিশ্চয়ই আল্লাহ ফাছাদ সৃষ্টিকারীকে পছন্দ করেন না। (সূরা কাছাছ, ২৮ঃ ৭৭ আয়াত)

আল্লাহ রাববুল আলামীন আরও বলেনঃ

هُوَ الَّذِي جَعَلَ لَكُمُ الْأَرْضَ ذَلُولًا فَامْشُوا فِي مَنَاكِبِهَا وَكُلُوا مِنْ رِزْقِهِ وَإِلَيْهِ النُّشُورُ ﴿الملك 15﴾

অর্থঃ তিনি তোমাদের জন্য পৃথিবীকে সুগম করেছেন। অতএব তোমরা তাতে বিচরণ কর এবং তাঁর দেয়া রিযক আহার কর এবং তাঁরই কাছে পুনরুজ্জীবিত হবে। (সূরা মুলক, ৬৭ঃ ১৫ আয়াত)।

অতএব প্রত্যেক মুসলিমের উচিত এমন পন্থা অবলম্বন করা যা দুনিয়া ও আখিরাতে তাকে ফায়দা দিবে। যদি কারো আর্থিক ক্ষমতা হারিয়ে যায়, তার কোন সাহায্যকারী না থাকে এবং পরিবার পরিজন আত্মীয় স্বজনের মধ্যে এমন কেউ না থাকে যে, তার খরচের ভার বহন করবে, এমতাবস্থায় তার প্রয়োজন মিটানোর জন্য আল্লাহ রাববুল আলামীন ধনীদের মালের জাকাত থেকে গ্রহণ করা ফরয করে দিয়েছেন। অর্থাৎ ধনীরা তাদের ফরয দায়িত্ব পালন করতে এসব অভাবগ্রস্থকে দান করবে।

ইসলাম ব্যক্তি মালিকানাকে যথার্থ মূল্যায়ন করে। তাই প্রত্যেক ব্যক্তিকে যে কোন কাজের প্রতি ও বৈধ উপার্জনে উৎসাহ প্রদান করে যাতে মানুষের জিন্দেগী সুন্দর হয়, শান্তিময় হয়, প্রত্যেক মানুষ স্বসম্মানে জীবন যাপন করতে পারে, অন্যায় ভাবে একে অপরের সম্পদ ভোগ করতে না পারে। অন্যের সম্পদ সার্বিক সংরক্ষণের জন্যই আল্লাহ চোরের হাত কাটার নির্দেশ দিয়েছেন।

প্রকৃত পক্ষে চোর কষ্ট ছাড়াই ধন সম্পদের মালিক হতে চেষ্টা করে। বৈধ পন্থা বাদ দিয়ে অবৈধ পন্থায় অন্যের কষ্টে অর্জিত সম্পদ চুরি করে বলে ইসলামী বিধানে এই পাপিষ্ঠদের হাত কেটে ফেলার আইন প্রণীত হয়েছে, যাতে চোর এই গর্হিত কাজ থেকে বিরত থাকে এবং মানুষ তাদের সম্পদের ব্যাপারে নিরাপদ থাকতে পারে। মানব রচিত বিধানে জেলখানায় আবদ্ধ রাখার যে আইন রয়েছে তাতে পরিস্ফুটিত হয় যে, সে জেল থেকে বেরিয়ে এসে আবার পূর্বের ন্যায় চুরির কাজে লিপ্ত হয়। কথিত আছে যে, চোর জেল থেকে ডাকাত হয়ে বেরিয়ে আসে। কারণ সেখানে সে বড় বড় ডাকাতের সাক্ষাৎ পায় এবং তাদের থেকে ট্রেনিং পায়। এই আইনে ব্যক্তির প্রতি নজর দেয়া হয়, কিন্তু দেশ ও সমাজের স্বার্থের দিক চিন্তা না করে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দেয়া হচ্ছে। অথচ সমাজের মধ্যেই ব্যক্তির উপস্থিতি রয়েছে।

ইসলামের শত্রুরা বলে থাকে, শরীয়তী আইনে দিনারের এক চতুর্থাংশ চুরি করার জন্য চোরের হাত কাটা হয়, অথচ হাত কতই না মুল্যবান সম্পদ! মুসলিমদের জ্ঞানবান ব্যক্তিগণ এর উত্তর এভাবেই দিয়েছেনঃ

* আমানতের গৌরব সব চেয়ে দামী, খিয়ানতের অপমান সবচেয়ে মূল্যহীন। আল্লাহর বিধানে এটাই পরিস্ফুটিত।

وَمَنْ يُهِنِ اللَّهُ فَمَا لَهُ مِنْ مُكْرِمٍ إِنَّ اللَّهَ يَفْعَلُ مَا يَشَاءُ ۩﴿الحج 18﴾

অর্থঃ আল্লাহ যাকে লাঞ্ছিত করেন তাকে কেউ সম্মান দিতে পারে না। আল্লাহ যা ইচ্ছা তাই করেন। (সূরা আল হাজ্জ, ২২ঃ ১৮ আয়াত)।

لَمَّا كَانتْ آمِنَةً كَنَتْ ثَمِيْنَةً وَلَمَّا خَانَتْ هَانَتْ

হাত যখন আমানত রক্ষাকারী ছিল তখন তা ছিল দামী, আর যখন তা খিয়ানত করেছে তখন তা অপমানিত হয়েছে।

* মানুষ যাতে অন্যের সম্পদ চুরি করতে দ্রুত ধাবিত না হয় সে জন্যই চুরির সর্ব নিম্ন পরিমাণ নির্ধারণ করা হয়েছে দিনারের এক চতুর্থাংশ।

* চোরের স্বভাব নম্রতা ও ক্ষমা দিয়ে ঠিক করা যায় না, বরং প্রয়োজন হয় উপযুক্ত শাস্তির। আল্লাহ তা’আলা বলেনঃ

وَالسَّارِقُ وَالسَّارِقَةُ فَاقْطَعُوا أَيْدِيَهُمَا جَزَاءً بِمَا كَسَبَا نَكَالًا مِنَ اللَّهِ وَاللَّهُ عَزِيزٌ حَكِيمٌ ﴿المائدة 38﴾

অর্থঃ যে নর-নারী চুরি করে তাদের কৃতকর্মের সাজা হিসাবে তাদের হাত কেটে দাও। আল্লাহর পক্ষ থেকে হুশিয়ারী! আল্লাহ পরাক্রান্ত, জ্ঞানময়। (সূরা মায়েদা, ৫ঃ ৩৮ আয়াত )।

আল্লাহর আইন কারও জন্য খাস নয়, বরং সবার জন্য প্রযোজ্য। রাজা হোক, প্রজা হোক; ধনী হোক কিংবা গরীব হোক, এ ব্যাপারে কারও জন্য ভিন্ন কোন সুপারিশ নেই। কেউ জবাবদিহিতার উর্ধ্বে নয়। নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ

لَوْ أنَّ فَطِمَةَ بِنْتَ مُحَمَّدٍ سَرَقَتْ لَقَطَعْتُ يَدَهَا

অর্থঃ যদি মুহাম্মাদের মেয়ে ফাতিমাও চুরি করতো তাহলে অবশ্যই আমি তার হাতও কেটে দিতাম।

কোন অঙ্গে ক্যান্সার হলে ডাক্তারগণ অপারেশনের মাধ্যমে তা কেটে ফেলে দেন। আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞান বলে, শরীর থেকে ক্যান্সারযুক্ত অঙ্গটি সম্পূর্ণ আলাদা করতে হয়। অন্যথায়, তা ভবিষ্যতে অন্যান্য অঙ্গ প্রতঙ্গে বিস্তার লাভ করে পরিশেষে জীবন নাশের কারণ হতে পারে। অথচ এই অপারেশনের কারণে কাউকে ডাক্তারগণের সমালোচনা করতে দেখা যায় না। মানুষের কি হলো? সর্বজ্ঞানী আল্লাহ রাববুল আলামীনের হুকুমের সমালোচনা করছে! আসলেই হত্যাকারী, অপরাধী, চোর, ডাকাত, হাইজাকার ও সন্ত্রাসী সমাজের ক্যানসার। এদেরকে আল্লাহর আইনের মাধ্যমে যেখানে যে অপারেশন প্রয়োজন তা যথাযথ প্রয়োগের মাধ্যমে সমাজে শান্তি ও নিরাপত্তা আনয়ন করাই হবে প্রকৃত বুদ্ধিমানের কাজ। আর যদি এই ক্যান্সারযুক্ত অঙ্গ অপারেশন না করে সমাজে রেখে দেয়া হয় তাহলে সেই সমাজ অশান্তি ও নিরাপত্তাহীনতায় ভুগতেই থাকবে। পরিশেষে সেই সমাজ ধ্বংস হয়ে যাবে তাতে কোন সন্দেহ নেই।

وَمَا رَبُّكَ بِظَلَّامٍ لِلْعَبِيدِ ﴿فصلت 46﴾

অর্থঃ আপনার পালনকর্তা বান্দাদের প্রতি কখনই যুলুম করেন না। (সূরা ফুসসিলাত, ৪১ঃ ৪৬ আয়াত)।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন