মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
আসসালামু আলাইকুম, Hadith.one বন্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে! আমাদের সার্ভারের মেয়াদ ১১ অক্টোবর ২০২৫ এ শেষ হবে, এবং এবং ওয়েবসাইট টি চালানোর জন্য আমাদের কোনো ফান্ড নেই।
🌟 আপনার দান এই প্ল্যাটফর্মকে বাঁচাতে পারে এবং প্রতিটি হাদিস পড়ার মাধ্যমে সদকাহ জারিয়ার অংশীদার হতে পারেন!
🔗 অনুগ্রহ করে আপনার দানের মাধ্যমে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি চালিয়ে নিতে সাহায্য করুন!
জাযাকাল্লাহু খাইরান!
আল্লাহর মনোনীত ধর্ম ইসলাম। সর্ব যুগের শ্রেষ্ঠতম এবং সর্বাধুনিক বিজ্ঞান সম্মত ধর্ম ইসলাম। ইসলাম শান্তি চায়, ইসলাম অগ্রগতি চায়, ইসলাম চায় মানব জাতির জন্য সমুজ্জল ভবিষ্যৎ। ইসলামের আইন কানুন, আদেশ, নির্দেশ, অনুসরণ, অনুকরণ মানব জীবনের ব্যক্তিগত, সমষ্টিগত, পারিবারিক, রাষ্ট্রীয় এবং জাতীয়, সর্বদিক থেকে শান্তি এবং শৃঙ্খলা বয়ে আনে যা আধুনিক যুগের বৈজ্ঞানিক যুক্তি তর্ক বিচার বিশ্লেষণসহ একটি পরীক্ষিত সত্য হিসাবে সুপ্রমাণিত হয়েছে।
বর্তমান দুনিয়ায় পারিবারিক, সামাজিক, জাতীয় এমন কি আন্তর্জাতিক পর্যায়ে যে অশান্তি বিরাজমান রয়েছে তার মূল কারণ হলো পবিত্র কুরআনের শিক্ষা মেনে না চলা ও রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের মহান আদর্শ অনুসরণ না করা।
আল্লাহ রাববুল আলামীন এই কুরআন জ্ঞান ভান্ডার হিসাবে অবতীর্ণ করেন এবং কিয়ামত পর্যন্ত এই জ্ঞান মানুষের জন্য চ্যালেঞ্জ হিসাবে রয়েছে। আল্লাহ আমাদেরকে একথা জানিয়ে দিয়েছেন যে, এই কুরআনে এমন কিছু জ্ঞান রয়েছে যা কিছুদিন পর প্রকাশ পাবে।
অর্থঃ বরং যা তাঁরা বুঝতে অক্ষম তা তারা মিথ্যা প্রতিপন্ন করতে আরম্ভ করেছে। অথচ এখনও তাদের কাছে এর বিশ্লেষণ আসেনি। (সূরা ইউনুস, ১০ঃ ৩৯ আয়াত)।আল্লাহ রাববুল আলামীন বলেনঃ
অর্থঃ তোমরা যা দেখ এবং যা দেখ না আমি তার শপথ করে বলছি। (সূরা হাক্কাহ, ৬৯ঃ ৩৮ও ৩৯ আয়াত)।
আল্লাহ রাববুল আলামীন এ আয়াতে শপথ দিয়ে শুরু করেছেন, যা তোমরা দেখতে পাচ্ছ না। এই সব জিনিসের বিশেষ গুরুত্ব বুঝানোর জন্য তার কসম করা হচ্ছে। এখানে এমন এক জগতের প্রতি ইঙ্গিত করা হচ্ছে, যা খালি চোখে দেখা যায় না। এই সূক্ষ্ম জগতের মধ্যে ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস ইত্যাদি রয়েছে। এগুলো এত ক্ষুদ্র ও সূক্ষ্ম জীবানু যা খালি চোখে দেখা যায় না। কিন্তু এগুলোর সাথে মানুষের স্বাস্থের বিরাট সম্পর্ক রয়েছে। প্লেগ রোগ লক্ষ লক্ষ মানুষ ধ্বংস করে দেয়। এমন ধরনের ধ্বংসাত্মক অনেক রোগ রয়েছে যার কারণ হচ্ছে এই ব্যাকটেরিয়া অথবা ভাইরাস।
এই সমস্ত ক্ষুদ্র জীবানু আমরা খালি চোখে দেখতে পাই না। এদের পরিচয় আগে কেউ জানত না। আমরা জানি না কখন আমাদের শরীরে ওরা প্রবেশ করে এবং কখন আমাদের শরীর থেকে বের হয়। মানুষ এগুলোর পরিচয় লাভ করেছে আঠারো শতাব্দীতে।
এখন প্রশ্ন হলো, মুহাম্মাদ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এ জগত এবং তার বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে কি কোন অভিজ্ঞ ছিলেন? যে জগতের সাথে মানুষের জীবন ও স্বাস্থ্যের নিবিড় সম্পর্ক, হাদীস ও কুরআনের যে আয়াতগুলির সাথে এই জগতের যোগাযোগ রয়েছে, আমরা যদি ঐগুলি একত্রিত করি তাহলে আমাদের কাছে সুস্পষ্ট হবে ঃ যেহেতু সেই হাদীস ও আয়াতে নির্দেশাবলী পালনের মাধ্যমে এই সমস্ত জীবানু সংক্রাস্ত রোগ থেকে মানুষ সম্পুর্ণ মুক্ত থাকতে পারে সেহেতু নিঃসন্দেহে এটাই প্রমাণ করে যে, মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাঁর নিজের পক্ষ থেকে এ কথা বা দ্বীন বর্ণনা করেননি, বরং তিনি সৃষ্টিকর্তার পক্ষ থেকে প্রেরিত রাসূল।
আমাদের এ কথা ভাল ভাবে স্মরণ রাখা প্রয়োজন যে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের অগমণ ঘটেছিল মানুষদেরকে আল্লাহর দাসে পরিণত করার জন্য, জড় জগতের রহস্য উদঘাটনের জন্য নয়। প্রাকৃতিক জগতের ভাঙ্গা গড়া কি ভাবে হয় তার বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা দেয়া রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের দায়িত্ব ছিল না, বরং কেন হয়, এ অবস্থায় মানুষের কি কর্তব্য তা বর্ণনা করাই ছিল রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের কাজ।
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের নবুয়ত ও রিসালাত সম্পর্কীয় বিষয়ে বর্ণিত হাদীসের উৎস অহী। এ সম্পর্কে আল্লাহর নির্দেশ হচ্ছেঃ
অর্থঃ তিনি প্রবৃত্তির তাড়নায় কথা বলেন না, কুরআন হচ্ছে অহী যা তার প্রতি প্রত্যাদেশ হয়। (সূরা নজম, ৫৩ঃ ৩ ও ৪ আয়াত)।
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের গোটা জীবন পরিচালিত হয়েছে মুলতঃ নির্ভুল জ্ঞান অহীর মাধ্যমে। তাই এই নির্ভুল জ্ঞানে বেড়ে উঠা প্রজ্ঞা ও মেধার মাধ্যমে বৈষয়িক জীবন সম্পর্কিত বিষয়ের ব্যাপারে হাদীস নির্ভুল বুদ্ধি ও যুক্তির দাবী রাখে। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের অসংখ হাদীসে যে সব বৈষয়িক বিষয় বর্ণিত হয়েছে তা সেই সময়ের মানুষের জন্য যতটা না বোধগম্য ছিল, আজ বিজ্ঞানের নব নব আবিস্কারের ফলে কুরআন ও হাদীসের যথার্থতা ও সত্যতা শুধু স্বীকারই নয় বরং আজ তা বৈজ্ঞানিক জ্ঞান ও তথ্যের উৎস হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। আজকের বিজ্ঞানীগণ পবিত্র বুরআন ও হাদীসের সত্যতা ও গভীরতায় শুধু অবাকই হচ্ছেন না, বরং নব আবিস্কারের উৎস হিসাবে গ্রহণ করছেন।
মানুষ নতুন উদ্যমে ভাবতে শুরু করেছে আল্লাহর কিতাব ও রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের হাদীস। চলছে সাধনা ও গবেষণার জগতে এক বিস্ময়কর জাগরণ। তবে আজ বড় প্রয়োজন কুরআনকে গভীরভাবে উপলদ্ধি করা ও রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের পবিত্র বাণীকে বুদ্ধি ও বিজ্ঞানের নিরপেক্ষ উজ্জল আলোকে বিশেষণ করা।
তবে স্মরণ রাখা দরকার যে, ইসলামী বিধান কোন বৈজ্ঞানিক লাভ ক্ষতির উপর আদৌ নির্ভশীল নয়। আল্লাহর বিধান কোন বৈজ্ঞানিক গবেষণার মুখাপেক্ষী নয়। আল্লাহর বিধাণ চিরন্তন।
আল্লাহ রাববুল আলামীন স্বীয় সৃষ্টি জগতের মধ্যে নির্দেশ, হুকুম ও ইবাদতের মাধ্যমে যা কিছু অত্যাবশ্যক করেছেন তাতে রয়েছে হিকমত, গোপন তত্ব ও সার্বিক কল্যাণ যা স্বীয় বান্দাদের জন্য দুনিয়া ও আখিরাতের সকল সফলতা বয়ে নিয়ে আসে। আলেমগণ উল্লেখ করেছেন যে, ইবাদত সমূহের মাধ্যমে আল্লাহর ইবাদত করাই হলো মূল বা আসল, যদিও সেই ইবাদতগুলির হিকমত ও মূল রহস্য উদঘাটন না হোক। অতএব মুসলিমদের উচিৎ হবে আল্লাহর ইবাদতের উদ্দেশ্যে তাঁর আদেশগুলি পালন করা, আর তিনি যা নিষেধ করেছেন তা থেকে বিরত থাকা। যদি ইবাদত সমূহের হিকমত ও মূল রহস্য বান্দার কাছে প্রকাশিত হয় তাহলে তার ইয়াকীন বৃদ্ধি পাবে এবং ঈমান মযবুত হবে এ জন্য যে, আল্লাহর প্রতিটি নির্দেশে রয়েছে বান্দার সার্বিক সফলতা, সৌভাগ্য, কামিয়াবী ও মঙ্গল।
এ পুস্তকে কিছু ইসলামী বিধান যা উম্মুল কুরা বিশ্ববিদ্যালয়, মক্কা মুকাররামা, সৌদী আরবে অধ্যায়নরত অবস্থায় আমার হৃদয়ে আকর্ষন সৃষ্টি করেছিল সেগুলি বিভিন্ন কিতাব, পত্র পত্রিকার তত্ত্ব ও বন্ধু বান্ধবের সহযোগিতা নিয়ে বিজ্ঞানের দৃষ্টিতে বিশেষণ করে ‘‘ইসলামী বিধান ও আধুনিক বিজ্ঞান’’ নামে এর প্রথম খন্ড পাঠকবৃন্দের হাতে তুলে দিচ্ছি।
অন্যান্য আহকাম গবেষণাধীন রয়েছে। মানুষ হিসাবে ভুল ত্রুটি হওয়াই স্বাভাবিক। তাই সম্মানিত পাঠকগণের নিকট আমার আকুল আবেদন, কোথাও কোন ভুল ত্রুটি পরিলক্ষিত হলে অথবা সংযোজন বিয়োজনের প্রয়োজন মনে করলে দয়া করে আমাকে জানাবেন। আপনাদের সুপরামর্শ সাদরে গ্রহণ করা হবে ইনশাআল্লাহ।
পরিশেষে ঐ সব সহযোগী ও শুভাকাংখীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই যারা আমাকে সর্ব কাজে সাহায্য করেছেন। তারা অনেকেই আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্যই করেছেন বিধায় নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক। আল্লাহ তাদেরকে সর্বোত্তম প্রতিদান দিন। আমীন।
মুহাম্মাদ ওসমান গনি
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/484/2
রিডিং সেটিংস
Bangla
English
Bangla
Indonesian
Urdu
System
System
Dark
Green
Teal
Purple
Brown
Sepia
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
Kfgq Hafs
Qalam
Scheherazade
Kaleel
Madani
Khayma
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
Kalpurush
Rajdip
Bensen
Ekushe
Alinur Nakkhatra
Dhakaiya
Saboj Charulota
Niladri Nur
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।