hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

ইসলামী বিধান ও আধুনিক বিজ্ঞান (প্রথম খন্ড)

লেখকঃ মুহাম্মাদ ওসমান গনি

মৃত প্রাণীর গোশ্ত হারাম কেন?
আল্লাহ তা’আলা সমগ্র মানুষের সৃষ্টিকর্তা। তিনি মানুষকে এত অমুল্য নিয়ামত দান করেছেন যার কোন হিসাব নিকাশ করা সম্ভব নয়। তাই স্বভাবতই তার অধিকার রয়েছে, মানুষের জন্য কোন কিছুকে হারাম বা হালাল ঘোষণা করার। এ ব্যাপারে কারো কোন প্রশ্ন করার বা আপত্তি জানাবার কোন অধিকার থাকতে পারে না। তিনি রব, এ হিসাবেই তাঁর এ অধিকার। মানুষ তাঁরই বান্দা। বান্দা হিসাবেই মানুষ তাঁর এ অধিকার মেনে চলতে বাধ্য। ঠিক যেমন রব হিসাবেই তিনি মানুষকে নিজের বান্দা বানিয়েছেন এবং পালন করে চলার জন্য দিয়েছেন জিবন বিধান ও নিয়ম নীতি। তবে আল্লাহ যেহেতু তাঁর বান্দাদের প্রতি অপরিসীম দয়াবান এ কারণে তিনি এ ব্যাপারে কোন জবরদস্তিও যেমন করেননি তেমনি অযৌক্তিক বা বিবেকবুদ্ধি পরিপন্থী কোন বিধানও দেননি। তিনি অত্যন্ত যুক্তি সঙ্গত ভাবেই এক বিরাট জিনিসকে হালাল বা হারাম ঘোষণা করেছেন। সার্বিক ভাবে সমগ্র মানবতার মৌলিক কল্যাণ সাধনই এর মূল লক্ষ্য। এ কারণেই তিনি মানুষের জন্য কেবল পাক-পবিত্র, উত্তম-উৎকৃষ্ট জিনিসই হালাল করেছেন এবং হারাম করেছেন যাবতীয় নিকৃষ্ট,খারাপ, ক্ষতিকর দ্রব্যাদি। [ইসলামে হালাল হারামের বিধান।]

জাহিলিয়াত যুগে আরবরা মৃত প্রাণী আহার করত এবং জবাইকৃত প্রাণীর চেয়ে মৃত প্রাণীর আহার করতে প্রাধান্য দিত। মৃত প্রাণীর এ ভাবেই প্রশংসা করত যে, আমরা যা মেরে ফেলেছি অর্থাৎ জবাই করেছি তার চেয়ে উত্তম আল্লাহ যা নিজ হাতে মেরেছেন। অথচ আল্লাহ রাববুল আলামীন বলেনঃ

حُرِّمَتْ عَلَيْكُمُ الْمَيْتَةُ وَالدَّمُ وَلَحْمُ الْخِنْزِيرِ ( سورة المائدة 3)

অর্থঃ তোমাদের উপর হারাম করা হয়েছে মৃত প্রাণী, রক্ত ও শুকরের মাংস। (সূরা মায়েদা, ৫ঃ ৩ আয়াত)।

এ হচ্ছে কুরআনের হুকুম ও আয়াত। জ্ঞান বিজ্ঞানের যত অগ্রগতি হচ্ছে, ইসলামের মান তত বাড়ছে। অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতির আবিস্কার হচ্ছে আর সৃষ্টি জগত সম্পর্কে সুক্ষ্ম তথ্য প্রকাশ পাচ্ছে।

প্রশ্ন হচ্ছে, কেন আল্লাহ মৃত প্রাণী আহার করতে নিষেধ বা হারাম করলেন? বিজ্ঞানীরা বলেছেন যে, প্রাণীর শরীর হলো একটা দুর্গ। যতক্ষণ জীবন থাকে ততক্ষণ জীবনী শক্তি ক্ষুদ্র জীবানুর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে থাকে এবং জীবানুর প্রতিরোধ শক্তি বৃদ্ধি পেতে থাকে। তারা এ ধরনের যে কোন শত্রুকে প্রতিহত করে পরাজিত করতে থাকে। তাই ভিতরে তার গোস্ত ভাল, তার রক্ত ভাল, সে ভাল অবস্থায় থাকে। কিন্তু যদি মারা যায়, শুধুমাত্র এ জীবন শেষ হওয়ার কারণে পাঁচ ছয় ঘন্টা পরই এই মৃত প্রাণীটির শরীর ক্ষুদ্র জীবানুর একটা গুদামে পরিণত হয়। কেন এমন হয়? কারণ হলো শরীরে প্রাচীর রয়েছে, যা দেহকে সংরক্ষণ করে। একটা প্রাচীর নয়, বরং অনেক প্রাচীর পাকস্থলীতে ক্ষুদ্র জীবানুর হামলা থেকে শরীরকে হিফাযত করতে থাকে। সেখানে কিভাবে এই সব ক্ষুদ্র জীবানু থেকে শরীরকে রক্ষা করে?

প্রাণীর শরীরে বিভিন্ন স্থানে বেশ কিছু জীবানু রয়েছে। বৃহৎ অস্ত্রনালী, এমন কি প্রাণী থেকে যে মল বের হয়ে আসে সেগুলোও এই ব্যাকটেরিয়া বা ক্ষুদ্র জীবানুর বড় গুদাম। প্রাণী হতে যে মল বের হয় তা যদি পরীক্ষা করা হয় তাহলে আমরা দেখতে পাই যে, এই মলগুলো ক্ষুদ্র জীবানু দিয়ে ভরপুর, যেন এগুলো ক্ষুদ্র জীবানুর এক একটা বড় গুদাম। অতএব এটা প্রতীয়মান হয়, এই মল যে স্থান হতে বের হয়ে এসেছে সেই স্থানেও এই সব ক্ষুদ্র জীবানু বিদ্যমান। কিস্ত্ত এই সব জীবানু সেখানে থাকা সত্ত্বেও তারা এই পাকস্থলীর পর্দা ছেদ করে অতিক্রম করতে সক্ষম নয়।

এর কারণ হচ্ছে, সেখানে এই প্রাচীর এমন শক্তিশালী যা ক্ষুদ্র জীবানুকে শরীরে প্রবেশ করতে বাধা প্রদান করছে। এর প্রতিরোধ শক্তি প্রবল। তাই তারা অতিক্রম করতে সক্ষম হচ্ছে না। এই প্রতিরোধ শক্তি প্রাণীর মধ্যে সৃষ্টি করল কে? অবশ্যই বলতে হবে, সেই মহান করুণাময় আল্লাহ। যখন কোন প্রাণী মারা যায়, তার আর জীবন থাকে না, তখন তার এই প্রাচীরের প্রতিরোধ শক্তি হারিয়ে যায়। ফলে এই ধংসাত্মক ক্ষুদ্র জীবানু শরীরের অভ্যন্তর থেকে সেই সব পর্দা ও প্রাচীর ভেদ করে শরীরের সর্বস্থলে প্রবেশ করে। রক্তের স্থানে মিলিত হয়, সব শরীর দখল করে। অসংখ্য জীবানুর জন্ম দেয় যা মানুষের স্বাস্থ্যের বড় ধরণের ক্ষতি করতে পারে। রগ ও রক্তের অপর একটি প্রাচীর রয়েছে যা রক্তের মধ্যে এক ধরণের জীবানু রয়েছে তা গোস্তে প্রবেশ করতে বাধার সৃষ্টি করে। প্রতিটি মাংশপেশীতে প্রবেশ করতে প্রতিরোধ করছে। প্রাণী যখন মারা যায়, এই প্রাচীর ও দুর্গ ভেঙ্গে পড়ে এবং জীবানু সর্ব শরীর দখল করে ফেলে। এমনকি শরীরের যে ত্বক জীবানু প্রবেশে বাধা প্রদান করত, কিন্তু প্রাণী মারা যাওয়ার সাথে সাথে সেই পথ জীবানুর জন্য উন্মুক্ত হয়ে যায়। এমনি ভাবে নাক, কান ও মুখ দিয়ে প্রবেশ করে মরা প্রাণী জীবানুর গুদামে পরিণত হয়ে মানুয়ের স্বাস্থের ক্ষতির কারণ হয়ে যায়।

জনৈক ইউরোপীয় ডাক্তার জন হানফার লারছোন বলেনঃ বর্তমানে আমাদের ইউরোপীয় আইনে সর্ব প্রকার মরা প্রাণীর গোস্ত খাওয়া নিষেধ, তাই কেউ খায় না। কখন তারা এটা জানতে পেরেছে? হ্যাঁ তারা জানতে পেরেছে তখনই, যখন এই জীবানুর পরিচয় লাভ করেছে।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন