hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

প্রশ্নোত্তরে তাওহীদ

লেখকঃ ড. ইবরাহীম ইবন সালেহ আল-খুদ্বায়রী

১৭৯
{প্রশ্ন: ১৭৭} শয়তান মুমিনদের অন্তরে যে অসঅসা (কুমন্ত্রণা) দেয় তা থেকে মুক্তি পাওয়ার উপায় কি?
উত্তর: শান্ত চিত্তে ধৈর্য অবলম্বন করে শয়তানের অসঅসা থেকে আল্লাহর আশ্রয় প্রার্থনা করতে হবে। সহীহাইনে (বুখারী ও মুসলিম) বর্ণিত আছে; নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন:

" يَأْتِي الشَّيْطَانُ أَحَدَكُمْ فَيَقُولُ : مَنْ خَلَقَ كَذَا، مَنْ خَلَقَ كَذَا، حَتَّى يَقُولَ : مَنْ خَلَقَ رَبَّكَ؟ فَإِذَا بَلَغَهُ فَلْيَسْتَعِذْ بِاللَّهِ وَلْيَنْتَهِ "

‘‘শয়তান তোমাদের কাছে এসে বলবে; ‘এটা কে সৃষ্টি করেছে? ওটা কে সৃষ্টি করেছে? আর অবশেষে বলবে তোমাদের প্রতিপালকের স্রষ্টা কে? শয়তান যখন এ অবস্থায় পৌঁছবে তখন তোমরা আল্লাহর আশ্রয় চেয়ে থেমে যাবে’’। (বুখারী, ৩২৭৬; মুসলিম, ১৩৪)

অন্য এক বর্ণনায় আছে যে;

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ : جَاءَ نَاسٌ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَسَأَلُوهُ : إِنَّا نَجِدُ فِي أَنْفُسِنَا مَا يَتَعَاظَمُ أَحَدُنَا أَنْ يَتَكَلَّمَ بِهِ، قَالَ : «وَقَدْ وَجَدْتُمُوهُ؟» قَالُوا : نَعَمْ، قَالَ : «ذَاكَ صَرِيحُ الْإِيمَانِ»

‘‘আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, একদা রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কয়েকজন সাহাবী নবী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে অবহিত করেন যে, আমাদের মনের মধ্যে বড় ধরনের এমন কিছুর উদ্ভব ঘটে যা বলার সাহস আমরা পাই না। অতঃপর নবী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন যে, তোমাদের মধ্যে হয়ত ওগুলোর উদ্ভব হয়েছে? তারা বললেন, হ্যাঁ। নবী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন; ওরকম হওয়াটাই (ব্যক্ত না করাটাই [অর্থাৎ ব্যক্ত না করে তা চেপে যাওয়া এবং ঈমান ঠিক রাখতে পারাটাই সুস্পষ্ট ঈমানের পরিচায়ক। মনে এ ধরনের সন্দেহের সুযোগ দেওয়াকে ঈমান বলা হয় নি। [সম্পাদক]]) সুস্পষ্ট ঈমানের লক্ষণ’’। (মুসলিম, ১৩২)

আব্দুল্লাহ ইবনে আববাস রাদিয়াল্লাহ আনহুমা বলেন: তিনি বলেন:

جَاءَ رَجُلٌ إِلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَالَ : يَا رَسُولَ اللَّهِ، إِنَّ أَحَدَنَا يَجِدُ فِي نَفْسِهِ، يُعَرِّضُ بِالشَّيْءِ، لَأَنْ يَكُونَ حُمَمَةً أَحَبُّ إِلَيْهِ مِنْ أَنْ يَتَكَلَّمَ بِهِ، فَقَالَ : «[ص:330] اللَّهُ أَكْبَرُ، اللَّهُ أَكْبَرُ، اللَّهُ أَكْبَرُ، الْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي رَدَّ كَيْدَهُ إِلَى الْوَسْوَسَةِ»

‘এক লোক নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাছে এসে বললেন, হে আল্লাহর রাসূল, আমাদের মনের মধ্যে কিছু বিষয়ে কথোপকথন হয় ফলে আমাদের মধ্যে অস্বস্তিকর অবস্থার সৃষ্টি হয়। তবে অস্বস্তিকর এ অবস্থার কথা ব্যক্ত করার চেয়েও পুড়ে অঙ্গার হওয়া তার কাছে বেশি পছন্দ। তখন নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার, আল্লাহর প্রশংসা যে, তিনি শয়তানের ষড়যন্ত্রকে অসঅসার মধ্যেই সীমাবদ্ধ করে দিয়েছেন।’ (আবু দাউদ, হাদীস নং ৫১১২; মুসনাদে আহমাদ ১/৩৪০ হাদীস: ৩১৬১)

শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া বলেন: অসঅসাকে জোরালোভাবে অপছন্দ করে এড়িয়ে থাকতে চাওয়া সত্বেও অসঅসায় আক্রান্ত হওয়া, অতঃপর অন্তর থেকে তা প্রতিরোধ করা সুস্পষ্ট ঈমানের লক্ষণ। যেমন: একজন মুজাহিদের কাছে শত্রু আসলে তাকে সে প্রতিরোধ করে, আর এটাই জিহাদের ‘‘মহত্ব’’। অতএব প্রত্যেক মুসলিমের কর্তব্য হচ্ছে এধরনের অসঅসা প্রতিরোধ করা এবং মানসিক যন্ত্রনা-মুক্ত থাকা। আরও জ্ঞাতব্য যে, অসঅসায় তাকে ক্ষতি করতে পারবে না। নবী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন:

«إِنَّ اللَّهَ تَجَاوَزَ عَنْ أُمَّتِي مَا حَدَّثَتْ بِهِ أَنْفُسَهَا، مَا لَمْ تَعْمَلْ أَوْ تَتَكَلَّمْ»

‘‘অবশ্যই আল্লাহ আমার উম্মতের মধ্যে তাদেরকে পাকড়াও করবেন না যাদের অন্তরে অসঅসার উদ্ভব হয় যতক্ষণ সে তা অনুযায়ী কোনো কাজ না করবে কিংবা অসঅসার কথা কারো কাছে বলে বেড়াবে’’। (মুত্তাফিকুন আলাইহ, বুখারী, ৫২৬৯; মুসলিম, ১২৭)

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন