hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

তাক্বওয়া অর্জনের উপায়

লেখকঃ মোহাম্মদ ইমাম হোসাইন কামরুল

১০
তাক্বওয়ার দাবি
১. আল্লাহর ইবাদাত করা :

﴿وَلَقَدْ اَرْسَلْنَا نُوْحًا اِلٰى قَوْمِهٖ فَقَالَ يَا قَوْمِ اعْبُدُوا اللهَ مَا لَكُمْ مِّنْ اِلٰهٍ غَيْرُهٗؕ اَفَلَا تَتَّقُوْنَ﴾

আমি নূহকে তার সম্প্রদায়ের নিকট প্রেরণ করেছিলাম। সে বলেছিল, হে আমার সম্প্রদায়! আল্লাহর ইবাদাত করো, তিনি ব্যতীত তোমাদের অন্য কোন ইলাহ্ নেই; তবুও কি তোমরা সাবধান হবে না? (সূরা মু’মিনূন- ২৩)

২. আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করা :

﴿وَاِبْرَاهِيْمَ اِذْ قَالَ لِقَوْمِهِ اعْبُدُوا اللهَ وَاتَّقُوْهُ ذٰلِكُمْ خَيْرٌ لَّكُمْ اِنْ كُنْتُمْ تَعْلَمُوْنَ﴾

স্মরণ করো, যখন ইবরাহীম তার সম্প্রদায়কে বলেছিল, তোমরা আল্লাহর ইবাদাত করো এবং তাঁকে ভয় করো, এটাই তোমাদের জন্য উত্তম যদি তোমরা জানতে! (সূরা আনকাবূত- ১৬)

৩. সালাত প্রতিষ্ঠা করা :

﴿مُنِيْبِيْنَ اِلَيْهِ وَاتَّقُوْهُ وَاَقِيْمُوا الصَّلَاةَ وَلَا تَكُوْنُوْا مِنَ الْمُشْرِكِيْنَ﴾

অতএব তোমরা তাঁর অভিমুখী হও এবং তাঁকে ভয় করো, সালাত কায়েম করো এবং তোমরা মুশরিকদের অন্তর্ভুক্ত হয়ো না। (সূরা রূম- ৩০)

﴿وَاْمُرْ اَهْلَكَ بِالصَّلَاةِ وَاصْطَبِرْ عَلَيْهَا لَا نَسْاَلُكَ رِزْقًاؕ نَحْنُ نَرْزُقُكَؕ وَالْعَاقِبَةُ لِلتَّقْوٰى﴾

তোমরা তোমাদের পরিবারবর্গকে সালাতের আদেশ দাও ও তাতে অটল থাকো। আমি তোমার নিকট কোন রিযিক চাই না, কেননা আমিই তো তোমাকে রিযিক দেই। আর শুভ পরিণাম মুত্তাক্বীদের জন্য। (সূরা ত্বা-হা- ১৩২)

৪. আল্লাহ ছাড়া অন্য কাউকে ভয় না করা :

﴿يَاۤ اَيُّهَا النَّبِيُّ اتَّقِ اللهَ وَلَا تُطِعِ الْكَافِرِيْنَ وَالْمُنَافِقِيْنَؕ اِنَّ اللهَ كَانَ عَلِيْمًا حَكِيْمًا﴾

হে নবী! আল্লাহকে ভয় করো এবং কাফির ও মুনাফিকদের অনুসরণ করো না। নিশ্চয় আল্লাহ মহাজ্ঞানী ও প্রজ্ঞাময়। (সূরা আহযাব- ১)

৫. সত্য কথা বলা :

﴿يَاۤ اَيُّهَا الَّذِيْنَ اٰمَنُوا اتَّقُوا اللهَ وَقُوْلُوْا قَوْلًا سَدِيْدًا﴾

হে ঈমানদারগণ! তোমরা আল্লাহকে ভয় করো এবং সঠিক কথা বলো।

(সূরা আহযাব- ৭০)

৬. সৎ লোকের সঙ্গী হওয়া :

﴿يَاۤ اَيُّهَا الَّذِيْنَ اٰمَنُوا اتَّقُوا اللهَ وَكُوْنُوْا مَعَ الصَّادِقِيْنَ﴾

হে মুমিনগণ! তোমরা আল্লাহকে ভয় করো এবং সত্যবাদীদের অন্তর্ভুক্ত হও। (সূরা তাওবা- ১১৯)

৭. পারস্পরিক সুসম্পর্ক অটুট রাখা :

﴿اِنَّمَا الْمُؤْمِنُوْنَ اِخْوَةٌ فَاَصْلِحُوْا بَيْنَ اَخَوَيْكُمْ وَاتَّقُوا اللهَ لَعَلَّكُمْ تُرْحَمُوْنَ﴾

নিশ্চয় মুমিনরা একে অপরের ভাইস্বরূপ। তাই তোমাদের ভাইদের মধ্যে সুসম্পর্ক স্থাপন করে দাও। আর তোমরা আল্লাহকে ভয় করো; আশা করা যায় তোমাদের ওপর দয়া করা হবে। (সূরা হুজুরাত- ১০)

৮. অঙ্গীকার ভঙ্গ না করা :

﴿اِنَّ شَرَّ الدَّوَآبِّ عِنْدَ اللهِ الَّذِيْنَ كَفَرُوْا فَهُمْ لَا يُؤْمِنُوْنَ اَلَّذِيْنَ عَاهَدْتَّ مِنْهُمْ ثُمَّ يَنْقُضُوْنَ عَهْدَهُمْ فِي كُلِّ مَرَّةٍ وَّهُمْ لَا يَتَّقُوْنَ﴾

আল্লাহর নিকট নিকৃষ্ট জীব তারাই, যারা কুফরী করে এবং ঈমান আনয়ন করে না। তাদের মধ্যে তুমি যাদের সাথে চুক্তিতে আবদ্ধ, তারা প্রত্যেকবার তাদের চুক্তি ভঙ্গ করে এবং তারা সাবধান হয় না। (সূরা আনফাল- ৫৫, ৫৬)

﴿اِلَّا الَّذِيْنَ عَاهَدْتُّمْ مِّنَ الْمُشْرِكِيْنَ ثُمَّ لَمْ يَنْقُصُوْكُمْ شَيْئًا وَّلَمْ يُظَاهِرُوْا عَلَيْكُمْ اَحَدًا فَاَتِمُّوْاۤ اِلَيْهِمْ عَهْدَهُمْ اِلٰى مُدَّتِهِمْؕ اِنَّ اللهَ يُحِبُّ الْمُتَّقِيْنَ﴾

তবে মুশরিকদের মধ্যে যাদের সাথে তোমরা চুক্তিতে আবদ্ধ হয়েছ, তারপর যারা তোমাদের চুক্তি রক্ষায় কোন ত্রুটি করেনি এবং তোমাদের বিরুদ্ধে কাউকে সাহায্যও করেনি, তোমরা তাদের সাথে নির্দিষ্ট মেয়াদ পর্যন্ত চুক্তি পূর্ণ করবে। নিশ্চয় আল্লাহ মুত্তাক্বীদেরকে পছন্দ করেন। (সূরা তাওবা- ৪)

৯. যুদ্ধের ময়দানে অটল থাকা :

﴿يَاۤ اَيُّهَا الَّذِيْنَ اٰمَنُوْا قَاتِلُوا الَّذِيْنَ يَلُوْنَكُمْ مِّنَ الْكُفَّارِ وَلْيَجِدُوْا فِيْكُمْ غِلْظَةً وَّاعْلَمُوْاۤ اَنَّ اللّٰهَ مَعَ الْمُتَّقِيْنَ﴾

হে ঈমানদারগণ! কাফিরদের মধ্যে যারা তোমাদের সীমান্তের কাছাকাছি রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে এমনভাবে জিহাদ করো, যেন তারা তোমাদের মধ্যে কঠোরতা দেখতে পায়। জেনে রেখো! নিশ্চয় আল্লাহ মুত্তাক্বীদের সাথেই রয়েছেন। (সূরা তাওবা- ১২৩)

১০. ঈমানের দৃঢ়তা অর্জন করা :

﴿وَلَأَجْرُ الْاٰخِرَةِ خَيْرٌ لِّلَّذِيْنَ اٰمَنُوْا وَكَانُوْا يَتَّقُوْنَ﴾

আর পরকালের কর্মফল তাদের জন্য অধিক কল্যাণময় এবং উত্তম, যারা ঈমান এনেছে এবং তাক্বওয়া অর্থাৎ পরহেযগারিতা অবলম্বন করে। (সূরা ইউসুফ- ৫৭)

১১. আল্লাহর নিদর্শনসমূহের প্রতি সম্মান করা :

﴿وَمَنْ يُّعَظِّمْ شَعَآئِرَ اللهِ فَاِنَّهَا مِنْ تَقْوَى الْقُلُوْبِ﴾

যদি কেউ আল্লাহর নিদর্শনাবলিকে সম্মান করে, তবে এটা তো তার অন্তরের তাক্বওয়া মাত্র। (সূরা হাজ্জ- ৩২)

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন