মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
আসসালামু আলাইকুম, Hadith.one বন্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে! আমাদের সার্ভারের মেয়াদ ১১ অক্টোবর ২০২৫ এ শেষ হবে, এবং এবং ওয়েবসাইট টি চালানোর জন্য আমাদের কোনো ফান্ড নেই।
🌟 আপনার দান এই প্ল্যাটফর্মকে বাঁচাতে পারে এবং প্রতিটি হাদিস পড়ার মাধ্যমে সদকাহ জারিয়ার অংশীদার হতে পারেন!
🔗 অনুগ্রহ করে আপনার দানের মাধ্যমে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি চালিয়ে নিতে সাহায্য করুন!
জাযাকাল্লাহু খাইরান!
আল্লাহর কসম! আমি তোমাদের চেয়ে আল্লাহকে অধিক ভয় করি এবং তাঁর নির্ধারিত সীমার অধিক সংরক্ষক। [মুসনাদে আহমাদ, হা/২৫৮৯৩; ইরওয়ালুল গালীল হা/২০১৫ এর আলোচনা দ্রষ্টব্য; সিলসিলা সহীহাহ হা/১৭৮২ এর আলোচনা দ্রষ্টব্য।]
রাসূলুল্লাহ ﷺ এর আগের এবং পরের সকল গোনাহ আল্লাহ ক্ষমা করে দিয়েছিলেন। তবুও তিনি রাত্রি জেগে ইবাদাত করতেন। সালাতে দাঁড়িয়ে আল্লাহর ভয়ে ক্রন্দন করতেন। এ সম্পর্কে বহু হাদীস বর্ণিত হয়েছে। তন্মধ্যে কয়েকটি নিম্নরূপ :
আয়েশা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ সাহাবীদেরকে যখন কোন কাজের নির্দেশ দিতেন, তাদের সামর্থ্য অনুযায়ী নির্দেশ দিতেন। একবার তাঁরা বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! আমরা তো আপনার মতো নই। আল্লাহ তা‘আলা আপনার পূর্ববর্তী ও পরবর্তী সকল গুনাহ ক্ষমা করে দিয়েছেন। এ কথা শুনে তিনি রাগ করলেন, এমনকি তাঁর মুখমন্ডলে রাগের চিহ্ন ফুটে উটল। অতঃপর তিনি বললেন, তোমাদের চেয়ে আমিই আল্লাহকে অধিক ভয় করি ও আল্লাহ সম্পর্কে বেশি জানি। [সহীহ বুখারী, হা/২০।]
উমর ইবনে আবু সালামা (রাঃ) হতে বর্ণিত। একদা তিনি রাসূলুল্লাহ ﷺ-কে জিজ্ঞেস করলেন, সাওম পালনকারী ব্যক্তি চুম্বন করতে পারে কী? তখন রাসূলুল্লাহ ﷺ তাকে বললেন, কথাটি উম্মে সালামাকে জিজ্ঞেস করো। তিনি বললেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ এরূপ করেন। এরপর তিনি বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! আল্লাহ তো আপনার পূর্বাপর সমুদয় গোনাহ ক্ষমা করে দিয়েছেন। তখন রাসূলুল্লাহ ﷺ তাকে বললেন, শোনো! আল্লাহর কসম! আমি আল্লাহকে তোমাদের সকলের চেয়ে বেশি ভয় করি। [সহীহ মুসলিম, হা/১১০৮।]
এসব হাদীসে আল্লাহভীতি সম্পর্কে স্বীকৃতির বিষয়টি প্রকাশ পেয়েছে। তবে তার আমল থেকেও তাঁর সর্বাধিক তাক্বওয়াবান হওয়ার বিষয়টি প্রমাণিত হয়। যেমন-
আয়েশা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে রাতের সালাত আদায় করতেন, এমনকি তাঁর দু‘পা ফুলে যেত। আয়েশা (রাঃ) বলেন, হে আল্লাহর রাসূল! আপনি এত (ইবাদাত) করেন? অথচ আল্লাহ আপনার পূর্বাপর গোনাহ মাফ করে দিয়েছেন। তিনি বললেন, হে আয়েশা! আমি কি আল্লাহর কৃতজ্ঞ বান্দা হব না। [সহীহ মুসলিম, হা/২৮২০।]
অন্য বর্ণনায় এসেছে তিনি বলেন,
أَفَلَا أُحِبُّ أَنْ أَكُونَ عَبْدًا شَكُورًا
আমি কি আল্লাহর কৃতজ্ঞ বান্দা হতে পছন্দ করব না? [সহীহ বুখারী, হা/৪৮৩৭।]
সাবিত মুতাররফ হতে এবং তিনি স্বীয় পিতা হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ-কে সালাতরত অবস্থায় দেখেছি। কান্নার কারণে তাঁর বুকের মধ্য হতে যাঁতা পেষার আওয়াজের মতো আওয়াজ বের হতো। [আবু দাউদ, হা/৯০৪।]
আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আবু বকর (রাঃ) এর একটা গোলাম ছিল, যে তাঁকে কিছু কর প্রদান করত। আর আবু বকর (রাঃ) তার কর হতে খাবার গ্রহণ করতেন। একদা এ গোলাম কিছু জিনিস নিয়ে এল এবং আবু বকর (রাঃ) তা থেকে কিছু আহার করলেন। তখন গোলামটি তাঁকে বলল, আপনি কি জানেন এটা কী (যা আপনি খেলেন)? আবু বকর (রাঃ) বললেন, সেটা কী ছিল? সেই গোলাম বলল, জাহেলী যুগে আমি এক লোকের ভবিষ্যৎ গণনা করেছিলাম। মূলত আমি ভাগ্য গুণতে জানতাম না। বরং তাকে আমি প্রতারিত করেছিলাম মাত্র। আজ সে লোকটি আমার সঙ্গে দেখা করে আমাকে ঐ কাজের মূল্য প্রদান করল। এটাই সে বস্তু যা থেকে আপনি খেলেন। এ কথা শুনে আবু বকর (রাঃ) নিজের হাতখানা মুখে প্রবেশ করিয়ে বমি করে পেটের সব কিছু বের করে দিলেন। [সহীহ বুখারী, হা/৩৮৪২।]
ইবনে উমর (রাঃ) একদা সূরা মুত্বাফফিফীন পড়তে শুরু করলেন। যখন তিনি এ আয়াতে পৌঁছলেন يَوْمَ يَقُوْمُ النَّاسُ لِرَبِّ الْعَالَمِيْنَ যেদিন সমস্ত মানুষ জগতসমূহের প্রতিপালকের সম্মুখে দাঁড়াবে- (সূরা মুত্বাফফিফীন- ৬)। তখন কাঁদতে শুরু করলেন। এমনকি তিনি পড়ে গেলেন এবং এর পরে আর পড়তে পারলেন না। [আবদুল্লাহ ইবনে ইবরাহীম আল-লাহীদান, আল-বুকাউ ইনদা ক্বিরাআতিল কুরআন ১/৭।]
নাফে‘ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, যখন ইবনে উমর (রাঃ) এ আয়াত পড়তেন-
যারা ঈমান আনে তাদের হৃদয় ভক্তি-বিগলিত হওয়ার সময় কি আসেনি, আল্লাহর স্মরণে এবং যে সত্য অবতীর্ণ হয়েছে তাতে? আর পূর্বে যাদেরকে কিতাব দেয়া হয়েছিল তাদের মত যেন তারা না হয়- বহুকাল অতিক্রান্ত হয়ে গেলে যাদের অন্তর কঠিন হয়ে পড়েছিল - (সূরা হাদীদ- ১৬)
তখন তিনি কাঁদতে শুরু করতেন, এমনকি ব্যাকুল হয়ে পড়তেন। [আবদুল্লাহ ইবনে ইবরাহীম আল-লাহীদান, আল-বুকাউ ইনদা ক্বিরাআতিল কুরআন ১/৭।]
তামীম আদ-দারী (রাঃ) এক রাতে সূরা জাসিয়া তিলাওয়াত করতে শুরু করলেন। যখন তিনি এ আয়াতে পৌঁছলেন-
দুষ্কৃতিকারীরা কি মনে করে যে, আমি জীবন ও মৃত্যুর দিক দিয়ে তাদেরকে তাদের সমান গণ্য করব, যারা ঈমান আনে ও সৎকর্ম করে? তাদের সিদ্ধান্ত কত মন্দ? (সূরা জাসিয়া- ২১)
তখন তিনি এ আয়াত পুনরাবৃত্তি করতে লাগলেন এবং কাঁদতে লাগলেন। এমনকি সকাল হয়ে গেল। [শাইখ নাবীল আল-আওযী, খুত্বাব ওয়া মুহাযরাত, ৪৪/২।]
একদা উমর ইবনে আবদুল আযীয (রহ.) সূরা তূর তিলাওয়াত করছিলেন। তিনি যখন এ আয়াতে পৌঁছলেন,
তখন অঝোরে কাঁদতে লাগলেন। এমনকি তিনি অসুস্থ হয়ে কয়েকদিন বিছানায় শয্যাশয়ী থাকলেন। [আল-বুকাউ ইনদা ক্বিরাআতিল কুরআন- ১/১০।]
সুফিয়ান (রহ.) বলেন, সাঈদ ইবনে সায়েব আত-তায়েফীর অশ্রু শুকাত না। সারাক্ষণ যেন তার অশ্রু প্রবাহিত হতে থাকত। সালাত আদায়কালে, বায়তুল্লাহর তাওয়াফের সময় এবং কুরআন তিলাওয়াতের সময়ও কাঁদতেন। রাস্তায় তার সাথে সাক্ষাৎ হলেও আমি তাকে কাঁদতে দেখতাম। [মাওসূ‘আল খুতাবিল মুনীর ১/১৮৭৬; ইবনু হাজার আসক্বালানী, তাহযীবুত তাহযীব ৪/৩২, ১৪/৯৪, শামসুদ্দীন আয-যাহাবী ১৫/৪৫৯।]
হাফছ ইবনে উমর বলেন, হাসান বসরী কাঁদলেন। তাকে বলা হলো, কোন্ জিনিস আপনাকে কাঁদাল? তিনি বললেন, আমি আশংকা করছি যে, আমাকে জাহান্নামে নিক্ষেপ করা হবে; অথচ আমার কোন উপায় থাকবে না। [ফারীক আমল, দাওয়াত আলা মানহাজিন নবুওয়াত ২/৫২; মুহাম্মাদ খালফ সালামাহ, মাওরিদুল আযবুল মুঈন মিন আছারি আ‘আলামিত তাবেঈন, ১/৪৬।]
কাসেম ইবনে মুহাম্মাদ ইবনে আবী বকর হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি প্রত্যহ সকালে আয়েশা (রাঃ) এর বাড়িতে যেতাম এবং তাঁকে সালাম দিতাম। একদা সকালে তাঁর নিকট গিয়ে দেখলাম যে, তিনি সালাতে দাঁড়িয়ে এ আয়াত তিলাওয়াত করছেন-
অতঃপর আমাদের প্রতি আল্লাহ অনুগ্রহ করেছেন এবং আমাদেরকে অগ্নিশাস্তি হতে রক্ষা করেছেন- (সূরা তূর- ২৭) এবং দু‘আ করছেন, কাঁদছেন এবং আয়াতটি পুনরাবৃত্তি করছেন। তখন আমি দাঁড়িয়ে থাকলাম, এমনকি দাঁড়িয়ে থাকতে কষ্ট বোধ করলাম। অতঃপর আমার কোন প্রয়োজনে আমি বাজারে গেলাম। আমি ফিরে এসেও দেখলাম তিনি দাঁড়িয়ে আছেন, যেভাবে সালাত আদায় করছিলেন এবং কাঁদছেন। এরূপ একটি বর্ণনা উরওয়া ইবনে জুবায়ের থেকেও রয়েছে। [আল-বুকাউ ইনদা ক্বিরাআতিল কুরআন, ১/৭; ড. ত্বলা‘আত মুহাম্মাদ আফীফী সালেম, হায়াতুছ সাহাবিয়াত, ১/২০, ৩২।]
আল্লাহভীরুদের অন্তর আল্লাহর ভয়ে ক্ষত হয়, চোখ ক্রন্দন করে। তারা বলেন, আমরা কিভাবে আনন্দিত হতে পারি অথচ মৃত্যু আমাদের পিছনে, কবর আমাদের সম্মুখে, ক্বিয়ামত আমাদের ঠিকানা, জাহান্নামের উপর আমাদের রাস্তা এবং আল্লাহর সম্মুখে আমাদের অবস্থানস্থল।
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/575/20
রিডিং সেটিংস
Bangla
English
Bangla
Indonesian
Urdu
System
System
Dark
Green
Teal
Purple
Brown
Sepia
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
Kfgq Hafs
Qalam
Scheherazade
Kaleel
Madani
Khayma
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
Kalpurush
Rajdip
Bensen
Ekushe
Alinur Nakkhatra
Dhakaiya
Saboj Charulota
Niladri Nur
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।