hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

তাক্বওয়া অর্জনের উপায়

লেখকঃ মোহাম্মদ ইমাম হোসাইন কামরুল

১৫
তাক্বওয়ার স্তরসমূহ
তাক্বওয়ার স্তর সম্পর্কে আলেমগণ ভিন্ন ভিন্ন মত ব্যক্ত করেছেন। যেমন-

আল্লামা নু‘মান ইবনে মুহাম্মাদ আল-আলূসী ‘তুহফাতুল ইখওয়ান’ গ্রন্থে বলেন, তাক্বওয়া হচ্ছে আল্লাহর নির্দেশ প্রতিপালন ও তাঁর নিষিদ্ধ বিষয়কে পরিহার করা। এর তিনটি স্তর রয়েছে। যথা-

১. শিরক থেকে বেঁচে থাকার মাধ্যমে আল্লাহর চিরস্থায়ী আযাব থেকে পরিত্রাণ লাভ করা। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

﴿وَاَلْزَمَهُمْ كَلِمَةَ التَّقْوٰى﴾

তাদেরকে তাক্বওয়ার নীতি মেনে চলতে বাধ্য করলেন। (সূরা ফাতহ- ২৬)

২. এমন সব কাজ ত্যাগ করা, যা পাপে নিপতিত করে কিংবা ছগীরা (ছোট) গোনাহ পরিত্যাগ করা। পারিভাষিক অর্থে এটাই তাক্বওয়া হিসেবে জনগণের মাঝে পরিচিত। এ প্রসঙ্গে আল্লাহ বলেন,

﴿وَلَوْ اَنَّ اَهْلَ الْقُرٰۤى اٰمَنُوْا وَاتَّقَوْا لَفَتَحْنَا عَلَيْهِمْ بَرَكَاتٍ مِّنَ السَّمَآءِ وَالْاَرْضِ﴾

যদি জনপদের অধিবাসীরা ঈমান আনত ও তাক্বওয়া অবলম্বন করত, তবে আমি তাদের জন্য আকাশমন্ডলী ও পৃথিবীর কল্যাণ উন্মুক্ত করে দিতাম।

(সূরা আ‘রাফ- ৯৬)

এ মর্মে ইবনে আব্দুল আযীয (রহ.) বলেন,

اَلتَّقْوٰى تَرْكُ مَا حَرَّمَ اللهُ وَأَدَاءُ مَا افْتَرَضَ اللهُ ، فَمَا رَزَقَ اللهُ بَعْدَ ذٰلِكَ فَهُوَ خَيْرٌ اِلٰى خَيْر

তাক্বওয়া হচ্ছে আল্লাহ যা হারাম করেছেন, তা ত্যাগ করা এবং যা ফরয করেছেন তা আদায় করা। এরপর যা তিনি দান করেন তা ভালোর চেয়ে ভালো।

৩. আল্লাহর সন্তোষপূর্ণ কাজ থেকে বিরত রাখে এমন বিষয় থেকে মুক্ত থাকা। এটাই উদ্দিষ্ট প্রকৃত তাক্বওয়া। এ সম্পর্কে আল্লাহ বলেন,

﴿يَاۤ اَيُّهَا الَّذِيْنَ اٰمَنُوا اتَّقُوا اللهَ حَقَّ تُقَاتِه وَلَا تَمُوْتُنَّ اِلَّا وَاَنْتُمْ مُّسْلِمُوْنَ﴾

হে ঈমানদারগণ! তোমরা যথাযথভাবে আল্লাহকে ভয় করো এবং মুসলিম না হয়ে মৃত্যুবরণ করো না। (সূরা আলে ইমরান- ১০২)

আলেমগণের নিকট তাক্বওয়ার আরো তিনটি স্তর রয়েছে। যথা-

১. শিরক থেকে বেঁচে থাকা :

আল্লাহর একত্বের প্রতি পূর্ণ আস্থা স্থাপন করে সকল প্রকার শিরক থেকে বিরত থাকা। শিরক অতি বড় গোনাহ। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

﴿ اِنَّ الشِّرْكَ لَظُلْمٌ عَظِيْمٌ﴾

নিশ্চয় শিরক হচ্ছে সবচেয়ে বড় যুলুম। (সূরা লুক্বমান- ১৩)

শিরকের ভয়াবহ পরিণতি সম্পর্কে আল্লাহ তা‘আলা আরো বলেন,

﴿اِنَّهٗ مَنْ يُّشْرِكْ بِاللهِ فَقَدْ حَرَّمَ اللهُ عَلَيْهِ الْجَنَّةَ وَمَاْوَاهُ النَّارُؕ وَمَا لِلظَّالِمِيْنَ مِنْ اَنْصَارٍ﴾

যে আল্লাহর সাথে শরীক করে আল্লাহ অবশ্যই তার জন্য জান্নাত হারাম করে দেবেন। (ফলে) তার আবাস হবে জাহান্নাম। আর যালিমদের জন্য কোন সাহায্যকারী নেই। (সূরা মায়েদা- ৭২)

২. বিদআত থেকে বেঁচে থাকা :

আল্লাহর নৈকট্য লাভের আশায় বা সওয়াবের আশায় ইসলামে এমন কোন কাজ করা, যা রাসূলুল্লাহ ﷺ ও সাহাবায়ে কেরামের যুগে ছিল না এবং যে ব্যাপারে রাসূলুল্লাহ ﷺ এর কোন অনুমোদন বা সমর্থন নেই, সেটা হচ্ছে বিদআত।

বিদআতের অশুভ পরিণতি সম্পর্কে হাদীসে সবিস্তার বর্ণনা উপস্থাপিত হয়েছে। তন্মধ্যে উল্লেখযোগ্য একটি হলো, বিদআতীর আমল কবুল হয় না। যেমন- রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেন,

عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا قَالَتْ قَالَ رَسُولُ اللّٰهِ مَنْ أَحْدَثَ فِي أَمْرِنَا هٰذَا مَا لَيْسَ فِيهِ فَهُوَ رَدٌّ

আয়েশা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, যে ব্যক্তি আমার এই দ্বীনে নতুন কিছু উদ্ভাবন করবে, যা তার অন্তর্ভুক্ত নয়, তা প্রত্যাখ্যাত। [সহীহ বুখারী, হা/২৬৯৭]

৩. ছোট গোনাহ থেকে বেঁচে থাকা :

গোনাহ ছোট হোক বা বড় হোক তা থেকে বেঁচে থাকা মুমিনের কর্তব্য। আল্লাহ বলেন,

﴿لَيْسَ عَلَى الَّذِيْنَ اٰمَنُوْا وَعَمِلُوا الصَّالِحَاتِ جُنَاحٌ فِيْمَا طَعِمُوْاۤ اِذَا مَا اتَّقَوْا وَّاٰمَنُوْا وَعَمِلُوا الصَّالِحَاتِ ثُمَّ اتَّقَوْا وَّاٰمَنُوْا ثُمَّ اتَّقَوْا وَّاَحْسَنُوْاؕ وَاللهُ يُحِبُّ الْمُحْسِنِيْنَ﴾

যারা ঈমান আনে ও সৎকর্ম করে তারা পূর্বে যা খেয়েছে তার জন্য তাদের কোন গোনাহ নেই। যদি তারা সাবধান হয় এবং ঈমান আনয়ন করে ও সৎকর্ম করে, পুনরায় সাবধান হয় ও বিশ্বাস স্থাপন করে, পুনরায় সাবধান হয় ও সৎকর্ম করে; তবে তো আল্লাহ সৎকর্মপরায়ণদেরকে ভালোবাসেন।

(সূরা মায়েদা- ৯৩)

অপর আয়াতে আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

﴿اِنْ تَجْتَنِبُوْا كَبَآئِرَ مَا تُنْهَوْنَ عَنْهُ نُكَفِّرْ عَنْكُمْ سَيِّئَاتِكُمْ وَنُدْخِلْكُمْ مُّدْخَلًا كَرِيْمًا﴾

যদি তোমরা কবীরা গোনাহসমূহ থেকে দূরে থাক, যা থেকে তোমাদেরকে নিষেধ করা হয়েছে, তবে আমি তোমাদের সগীরা গোনাহগুলো ক্ষমা করে দেব এবং তোমাদেরকে সম্মানজনক স্থানে প্রবেশ করাব। (সূরা নিসা- ৩১)

হাদীসে এসেছে,

عَنْ أَنَسٍ قَالَ إِنَّكُمْ لَتَعْمَلُونَ أَعْمَالًا هِيَ أَدَقُّ فِي أَعْيُنِكُمْ مِنَ الشَّعَرِ إِنْ كُنَّا لَنَعُدُّهَا عَلٰى عَهْدِ النَّبِيِّ مِنَ الْمُوبِقَاتِ

আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, তোমরা এমন আমল করে থাক, যা তোমাদের দৃষ্টিতে চুলের চেয়েও সূক্ষ্ম। অথচ রাসূলুল্লাহ ﷺ এর যুগে আমরা সেগুলোকে ধ্বংসাত্মক মনে করতাম। [সহীহ বুখারী, হা/৬৪৯২; মিশকাত, হা/৫৩৫৫]

হাসান বসরী (রহ.) বলেন, মুত্তাক্বীর তাক্বওয়া ততক্ষণ থাকে, যতক্ষণ হারামে পতিত হওয়ার আশংকায় বহু হালাল বিষয় ত্যাগ করে। মূসা ইবনে আ‘য়ূনও অনুরূপ বলেছেন। সুফিয়ান সাওরী (রহ.) বলেন, মুত্তাক্বী নামকরণ করার কারণ হচ্ছে সে ঐসব বিষয় ছেড়ে দেয়, যা তাক্বওয়া বিরোধী। [ছালেহ আল-মুনাজ্জিদ, আত-তাক্বওয়া, পৃঃ ২৬; ড. আহমাদ ফরীদ, আত-তাক্বওয়া, পৃঃ ৯।]

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন