মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
আসসালামু আলাইকুম, Hadith.one বন্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে! আমাদের সার্ভারের মেয়াদ ১১ অক্টোবর ২০২৫ এ শেষ হবে, এবং এবং ওয়েবসাইট টি চালানোর জন্য আমাদের কোনো ফান্ড নেই।
🌟 আপনার দান এই প্ল্যাটফর্মকে বাঁচাতে পারে এবং প্রতিটি হাদিস পড়ার মাধ্যমে সদকাহ জারিয়ার অংশীদার হতে পারেন!
🔗 অনুগ্রহ করে আপনার দানের মাধ্যমে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি চালিয়ে নিতে সাহায্য করুন!
জাযাকাল্লাহু খাইরান!
আবু যর গিফারী (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ আমাকে বলেছেন, তুমি যেখানে থাকবে আল্লাহকে ভয় করবে বা তাক্বওয়া অবলম্বন করবে। কোন কারণবশত পাপ কাজ হয়ে গেলে তারপর ভালো কাজ করবে। তা তোমার পাপকে মিটিয়ে দেবে। [তিরমিযী, হা/১৯৮৭; মুসনাদে আহমাদ, হা/২১৩৫৪; সুনানে দারেমী, হা/২৮৪৭; মিশকাত, হা/৫০৮৩।]
অতএব তাক্বওয়া প্রদর্শনের ক্ষেত্রসমূহ অত্যন্ত ব্যাপক। নিম্নে সংক্ষিপ্ত আলোচনা সহকারে তাক্বওয়া প্রদর্শনের বিভিন্ন ক্ষেত্রসমূহ উল্লেখ করা হলো :
১. প্রকাশ্য ও গোপনে :
যেসব ক্ষেত্রে আল্লাহকে ভয় করতে হয়, তার প্রতিটিই প্রকাশ্য ও গোপন এ দুটি ভাগে সীমাবদ্ধ। তবে উভয় ক্ষেত্রে সমান গুরুত্ব দেয়া অতীব জরুরি। হাদীসে এসেছে,
আবু যর (রাঃ) হতে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ ﷺ তাকে বলেছেন, আমি তোমাকে গোপন ও প্রকাশ্য কাজে আল্লাহকে ভয় করার অসিয়ত করছি। (আরো অসিয়ত করছি যে) যখন তুমি কোন পাপ কাজ করে ফেলবে, তখন সাথে সাথেই ভাল কাজ করে নেবে। আর তুমি কারো কাছে কোন কিছু চাইবে না; এমনকি (উটের পিঠে আরোহণরত অবস্থায়) তোমার চাবুক পড়ে গেলেও (উঠিয়ে দিতে বলবে না), আমানতের খেয়ানত করবে না। [মুসনাদে আহমাদ, হা/২১৬১৩; সহীহুল জামে‘ হা/২৫৪৪; কানযুল উম্মাল, হা/৪৩৫০৩; মিশকাত, হা/৩৭১৩; ।]
মু‘আয (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! আমাকে কিছু উপদেশ দিন। নবী করীম ﷺ বললেন, তোমার জন্য যথাসম্ভব তাক্বওয়া অবলম্বন করা জরুরি। আল্লাহকে স্মরণ করো প্রত্যেক পাথর ও গাছের নিকটে। আর কোন পাপ কাজ করলে তার জন্য তওবা করো। পাপ প্রকাশ্যে হলে তওবা প্রকাশ্যে করো; পাপ গোপনে হলে তওবা গোপনে করো। [সহীহ তারগীব ওয়াত তারহীব, হা/৩১৪৪; মু‘জামুল কাবীর লিত তাবারানী, হা/৩৩১।]
২. স্বীয় অবস্থান স্থলে ও সফরে :
আমরা যখন যে অবস্থাতেই থাকি না কেন- মুক্বীম অবস্থায় হোক অথবা মুসাফির অবস্থায় সর্বদা আল্লাহকে স্মরণ রাখতে হবে এবং তাকে ভয় করতে হবে। এ মর্মে হাদীসে এসেছে,
আবু হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা এক ব্যক্তি এসে বলল, হে আল্লাহর রাসূল! আমি সফরে যাওয়ার মনঃস্থ করেছি; অতএব আমাকে উপদেশ দিন। তিনি বলেন, তুমি অবশ্যই আল্লাহভীতি (তাক্বওয়া) অবলম্বন করবে এবং প্রতিটি উচ্চ স্থানে আরোহণকালে তাকবীর ধ্বনি দিবে। তারপর লোকটি যখন চলে যাচ্ছিল তখন রাসূলুল্লাহ ﷺ বললেন, হে আল্লাহ! তার পথের দূরত্ব সংকুচিত করে দাও এবং সফর তার জন্য সহজসাধ্য করে দাও। [তিরমিযী হা/৩৪৪৫; কানযুল উম্মাল, হা/৫৬৩৬; মিশকাত, হা/২৪৩৮।]
উপরোক্ত আলোচনা থেকে প্রতীয়মান হয় যে, জীবনের প্রতিটি ধাপে তাক্বওয়া বা আল্লাহভীতি অবলম্বন করতে হবে। কেননা তাক্বওয়াহীন আমল আল্লাহর কাছে গ্রহণীয় নয়; অথচ আমাদের জীবনের প্রতিটি সৎকর্মই ইবাদাত এবং প্রতিটি অসৎকর্মই কোন না কোন গোনাহের কারণ। অতএব জীবনের সকল ক্ষেত্রে আল্লাহ তা‘আলা আমাদের সবাইকে মুত্তাক্বী হওয়ার তাওফীক দান করুন।
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/575/17
রিডিং সেটিংস
Bangla
English
Bangla
Indonesian
Urdu
System
System
Dark
Green
Teal
Purple
Brown
Sepia
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
Kfgq Hafs
Qalam
Scheherazade
Kaleel
Madani
Khayma
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
Kalpurush
Rajdip
Bensen
Ekushe
Alinur Nakkhatra
Dhakaiya
Saboj Charulota
Niladri Nur
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।