hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

তাক্বওয়া অর্জনের উপায়

লেখকঃ মোহাম্মদ ইমাম হোসাইন কামরুল

তাক্বওয়ার তাৎপর্য
তাক্বওয়ার তাৎপর্য হচ্ছে, এটি হচ্ছে মানবজাতির জন্য একটি মানদন্ড, যা মানুষকে আল্লাহর দিকে পরিচালিত করে। অপরদিকে এটি হচ্ছে মানুষের হৃদয়ের একটি অবস্থা, যেখানে সর্বদা আল্লাহর স্মরণ উপস্থিত থাকে। ফলে তা মানুষকে সৎকর্মের দিকে উৎসাহিত করে এবং অসৎকর্ম থেকে নিষেধ করে। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

﴿يَاۤ اَيُّهَا الَّذِيْنَ اٰمَنُوا اتَّقُوا اللهَ حَقَّ تُقَاتِه وَلَا تَمُوْتُنَّ اِلَّا وَاَنْتُمْ مُّسْلِمُوْنَ﴾

হে ঈমানদারগণ! তোমরা যথাযথভাবে আল্লাহকে ভয় করো এবং মুসলিম না হয়ে মৃত্যুবরণ করো না। (সূরা আলে ইমরান- ১০২)

অত্র আয়াতের ব্যাখ্যায় আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রাঃ) বলেন, এ নির্দেশের অর্থ হল-

أَنْ يُّطَاعَ فَلَا يُعْصٰى، وَأَنْ يُّذْكَرَ فَلَا يُنْسٰى، وَأَنْ يُّشْكَرَ فَلَا يُكْفَر

আল্লাহর আনুগত্য করবে, অতঃপর তার অবাধ্য হবে না; আল্লাহকে স্মরণ করবে, অতঃপর তাকে ভুলে যাবে না; তাঁর শুকরিয়া আদায় করবে, অতঃপর অকৃতজ্ঞতা প্রকাশ করবে না। [তাফসীর ইবনে কাসীর ২/৮৬-৮৭; সূরা আলে ইমরান ১০২ নং আয়াতের তাফসীর দ্রঃ।]

অপর আয়াতে আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

﴿يَاۤ اَيُّهَا النَّاسُ اِنَّا خَلَقْنَاكُمْ مِّنْ ذَكَرٍ وَّاُنْثٰى وَجَعَلْنَاكُمْ شُعُوْبًا وَّقَبَآئِلَ لِتَعَارَفُوْاؕ اِنَّ اَكْرَمَكُمْ عِنْدَ اللهِ اَتْقَاكُمْؕ اِنَّ اللهَ عَلِيْمٌ خَبِيْرٌ﴾

হে মানবজাতি! আমি তোমাদেরকে একজন পুরুষ ও একজন নারী থেকে সৃষ্টি করেছি। তারপর আমি তোমাদের জন্য জাতি ও গোত্র বানিয়েছি, যাতে করে (এর মাধ্যমে) তোমরা একে অপরের সাথে পরিচিত হতে পার। কিন্তু আল্লাহর কাছে সর্বাধিক মর্যাদাসম্পন্ন ব্যক্তি হচ্ছে সে, যে (আল্লাহকে) বেশি ভয় করে। নিশ্চয় আল্লাহ সবকিছু জানেন এবং সবকিছুর খবর রাখেন।

(সূরা হুজুরাত- ১৩)

অত্র আয়াতে আল্লাহ তা‘আলা মানবজাতির মধ্যে অবস্থিত জাতিগত, বর্ণগত, শ্রেণিগত সকল প্রকার ভেদাভেদ দূর করে কেবলমাত্র তাক্বওয়াকেই প্রকৃত মর্যাদার মানদন্ড হিসেবে দাঁড় করিয়েছেন। সুতরাং যার মধ্যে তাক্বওয়ার গুণটি যতবেশি পরিলক্ষিত হবে, সে মহান আল্লাহর কাছে ততবেশি মর্যাদার অধিকারী হতে পারবে এবং তিনি তাঁকে ততবেশি পুরস্কৃত করবেন। এ ক্ষেত্রে দুনিয়ার সকল জাতিগত, বর্ণগত, শ্রেণিগত ইত্যাদি সকল ধরনের ভেদাভেদ একেবারেই মূল্যহীন।

অপর দিকে তাক্বওয়া হচ্ছে দুর্ভেদ্য বর্ম, যা বান্দাকে গুমরাহীর শত ধরনের আক্রমণ ও কুপ্রভাব থেকে আত্মরক্ষার ক্ষমতা প্রদান করে। সুতরাং তাক্বওয়াধারী ব্যক্তি কখনো গুমরাহ হতে পারে না এবং তার কোন ভ্রান্তি তাকে স্পর্শও করতে পারে না। ফলে তার কাজে কর্মে ও চলাফেরায় সর্বদা কল্যাণকামিতা বজায় থাকে। এ কারণেই রাসূলুল্লাহ ﷺ মানুষকে সর্বদা তাক্বওয়ার দিকেই আহবান করতেন; এমনকি তার পূর্ববর্তী সকল নবী-রাসূলও তাই করতেন। বিশেষ করে রাসূলুল্লাহ ﷺ যখন কোন সামরিক অভিযানের উদ্দেশ্যে বাহিনী প্রেরণ করতেন, তখন তিনি তাদেরকে সকল অবস্থায় তাক্বওয়া অবলম্বন করার নির্দেশ দিতেন।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন