hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

মুমিন নারীদের বিশেষ বিধান

লেখকঃ ড. সালেহ ইবন ফাওযান আল-ফাওযান

১১
৩. হায়েযের বিধান:
ক. হায়েয অবস্থায় সামনের রাস্তা দিয়ে স্ত্রীগমন করা হারাম:

আল্লাহ তা‘আলা বলেন:

﴿ وَيَسۡ‍َٔلُونَكَ عَنِ ٱلۡمَحِيضِۖ قُلۡ هُوَ أَذٗى فَٱعۡتَزِلُواْ ٱلنِّسَآءَ فِي ٱلۡمَحِيضِ وَلَا تَقۡرَبُوهُنَّ حَتَّىٰ يَطۡهُرۡنَۖ فَإِذَا تَطَهَّرۡنَ فَأۡتُوهُنَّ مِنۡ حَيۡثُ أَمَرَكُمُ ٱللَّهُۚ إِنَّ ٱللَّهَ يُحِبُّ ٱلتَّوَّٰبِينَ وَيُحِبُّ ٱلۡمُتَطَهِّرِينَ ٢٢٢ ﴾ [ البقرة : ٢٢٢ ]

“আর তারা তোমাকে হায়েয সম্পর্কে প্রশ্ন করে। বল, তা অপরিচ্ছন্নতা। সুতরাং তোমরা হায়েয কালে স্ত্রীদের থেকে দূরে থাক এবং তারা পবিত্র না হওয়া পর্যন্ত তাদের নিকটবর্তী হয়ো না। অতঃপর যখন তারা পবিত্র হবে তখন তাদের নিকট আস, যেভাবে আল্লাহ তোমাদেরকে নির্দেশ দিয়েছেন। নিশ্চয় আল্লাহ তওবাকারীদের ভালোবাসেন এবং ভালোবাসেন অধিক পবিত্রতা অর্জনকারীদের”। [সূরা আল-বাকারা, আয়াত: ২২২]

নারীর রক্ত বন্ধ হওয়া ও তার গোসল করার আগ পর্যন্ত স্ত্রীগমনের নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকে। কারণ, আল্লাহ বলেছেন:

﴿وَلَا تَقۡرَبُوهُنَّ حَتَّىٰ يَطۡهُرۡنَۖ فَإِذَا تَطَهَّرۡنَ فَأۡتُوهُنَّ مِنۡ حَيۡثُ أَمَرَكُمُ ٱللَّهُۚ ﴾ [ البقرة : ٢٢٢ ]

“তারা পবিত্র না হওয়া পর্যন্ত তাদের নিকটবর্তী হয়ো না। অতঃপর যখন তারা পবিত্র হবে তখন তাদের নিকট আস, যেভাবে আল্লাহ তোমাদেরকে নির্দেশ দিয়েছেন”। [সূরা আল-বাকারা, আয়াত: ২২২]

ঋতুমতীর স্বামী সামনের রাস্তা ব্যতীত যেভাবে ইচ্ছা তার থেকে উপকৃত হবে। কারণ, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন:

» اصنعوا كل شيء إلا النكاح «

“স্ত্রীগমন ব্যতীত সব কিছু কর”। [সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ৩০২; তিরমিযী, হাদীস নং ২৯৭৭; নাসাঈ, হাদীস নং ৩৬৯; আবু দাউদ, হাদীস নং ২১৬৫; ইবন মাজাহ, হাদীস নং ৬৪৪; আহমদ: (৩/১৩৩); দারেমী, হাদীস নং ১০৫৩]

খ. ঋতুমতী ঋতুকালীন সময় সালাত ও সিয়াম ত্যাগ করবে:

ঋতুমতীর পক্ষে সালাত পড়া ও সিয়াম রাখা হারাম, তাদের সালাত ও সিয়াম শুদ্ধ নয়। কারণ, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন:

» أليس إذا حاضت المرأة لم تصل ولم تصم؟ «

“এমন কি নয় যে, ঋতুকালীন সময়ে নারী সালাত পড়ে না ও সিয়াম রাখে না”? [সহীহ বুখারী, হাদীস নং ২৯৮; সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ৮০]

ঋতুমতী নারী পাক হলে শুধু সিয়াম কাযা করবে, সালাত কাযা করবে না। কারণ, আয়েশা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহা বলেন:

» كنا نحيض على عهد رسول الله   صلى الله عليه وسلم فكنا نؤمر بقضاء الصوم، ولا نؤمر بقضاء الصلاة «

“আমরা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের যুগে ঋতুমতী হতাম, আমাদেরকে তখন সিয়াম কাযা করার নির্দেশ প্রদান করা হত; কিন্তু সালাত কাযা করার নির্দেশ প্রদান করা হত না”। [সহীহ বুখারী, হাদীস নং ৩১৫; সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ৩৩৫; তিরমিযী, হাদীস নং ১৩০); নাসাঈ, হাদীস নং ২৩১৮; আবু দাউদ, হাদীস নং ২৬২; ইবন মাজাহ, হাদীস নং ৬৩১; আহমদ: (৬/২৩২); দারেমী, হাদীস নং ৯৮৬]

কী কারণে সিয়াম কাযা করবে, সালাত কাযা করবে না -তা আল্লাহ ভালো জানেন, তবে আমাদের মনে হয় সালাত কাযা করা নারীর জন্য কষ্টকর। কারণ, প্রতিদিন তা বারবার আসে, যে কষ্ট সিয়ামে নেই, তাই সিয়াম কাযা করার নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে, সালাত কাযা করার নির্দেশ প্রদান করা হয় নি।

গ. ঋতুমতী নারীর পক্ষে পর্দা ব্যতীত মুসহাফ/কুরআন স্পর্শ করা হারাম:

আল্লাহ তা‘আলা বলেন:

﴿لَّايَمَسُّهُۥٓإِلَّاٱلۡمُطَهَّرُونَ٧٩﴾ [ الواقعة : ٧٩ ]

“পবিত্রগণ ব্যতীত কেউ তা স্পর্শ করবে না”। [সূরা আল-ওয়াকি‘আহ, আয়াত: ৭৯]

দ্বিতীয়ত: নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমর ইবন হাযমকে যে পত্র লিখেছেন, তাতে ছিল:

» لا يمس المصحف إلا طاهر «

“পবিত্র ব্যতীত কেউ মুসহাফ স্পর্শ করবে না”। [ইমাম মালিক, হাদীস নং ৪৬৮] হাদীসটি মুতাওয়াতির মর্তবার, কারণ সবাই তা মেনে নিয়েছে। শাইখুল ইসলাম ইবন তাইমিয়্যাহ রহ. বলেন: চার ইমামের মাযহাব হচ্ছে পবিত্রতা অর্জন করা ব্যতীত কেউ মুসহাফ স্পর্শ করবে না।

ঋতুমতী নারী কুরআনুল কারীম তিলাওয়াত করবে কি-না আহলে ইলমদের মাঝে মতবিরোধ রয়েছে। প্রয়োজন ব্যতীত তিলাওয়াত না করাই সতর্কতা। যেমন, ভুলে যাওয়ার আশঙ্কা একটি প্রয়োজন। আল্লাহ তা‘আলা ভালো জানেন।

ঘ. ঋতুমতী নারীর বায়তুল্লাহ তাওয়াফ করা হারাম:

কারণ, আয়েশা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহা যখন ঋতুমতী হন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে বলেন:

» افعلي ما يفعل الحاج، غير ألا تطوفي بالبيت حتى تطهري «

“হাজীগণ যা করে তুমি তাই কর, তবে পবিত্র হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত বায়তুল্লাহ তাওয়াফ করো না”। [সহীহ বুখারী, হাদীস নং ২৯৯; সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ১২১১; নাসাঈ, হাদীস নং ২৭৬৩; আবু দাউদ, হাদীস নং ১৭৭৮; ইবন মাজাহ, হাদীস নং ৩০০০; আহমদ: (৬/২৭৩); মালিক, হাদীস নং ৯৪১; দারেমী, হাদীস নং ১৮৪৬]

ঙ. ঋতুমতী নারীর মসজিদে অবস্থান করা হারাম:

ঋতুমতীর মসজিদে অবস্থান করা হারাম, কারণ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন:

» إني لا أحل المسجد لحائض ولا لجنب « 

“আমি ঋতুমতী নারী ও জুনুব তথা গোসল ফরয হওয়া ব্যক্তির জন্য মসজিদ হালাল করি না”। [আবু দাউদ, হাদীস নং ২৩২]

অপর বর্ণনায় তিনি বলেন:

» إن المسجد لا يحل لحائض ولا جنب « 

“ঋতুমতী ও জুনুবি ব্যক্তির জন্য মসজিদ হালাল নয়”। [ইবনে মাজাহ, হাদীস নং ৬৪৫]

তবে অবস্থান করা ব্যতীত মসজিদ দিয়ে অতিক্রম করা ঋতুমতীর জন্য বৈধ। কারণ, আয়েশা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন: রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, মসজিদ থেকে আমাকে বিছানাটি দাও, আমি বললাম: আমি ঋতুমতী, তিনি বললেন: তোমার হাতে তোমার ঋতু নয়”। [সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ২৯৮; তিরমিযী, হাদীস নং ১৩৪, নাসাঈ, হাদীস নং ৩৮৪; আবু দাউদ, হাদীস নং ৩৬১; ইবন মাজাহ, হাদীস নং ৬৩২; আহমদ: (৬/১০৬); দারেমী, হাদীস নং ১০৬৫]

ঋতুমতী নারী শর‘ঈ যিকিরগুলো সম্পাদন করবে। যেমন, লা-ইলা-হা ইল্লাল্লাহ, আল্লাহু আকবার, সুবহানাল্লাহ ও অন্যান্য দো‘আ। অনুরূপ সকাল-সন্ধ্যা এবং ঘুমানো ও ঘুম থেকে উঠার মাসনুন দো‘আগুলো পড়া কোনো সমস্যা নয়। অনুরূপ তাফসীর, হাদীস ও ফিকহের কিতাব পড়াতে দোষ নেই।

হলুদ ও মেটে বর্ণের রক্তের হুকুম:

‘সুফরাহ’ বা হলুদ বর্ণ: সুফরাহ হচ্ছে নারীর রেহেম থেকে নির্গত পুঁজের ন্যায় তরল পদার্থ, যার উপর হলুদ বর্ণ অধিক প্রতিভাত হয়। আর ‘কুদরাহ’ হচ্ছে নারীর রেহেম থেকে নির্গত মেটে বর্ণের ন্যায় তরল পদার্থ। ঋতুকালীন সময় নারীর রেহেম থেকে সুফরাহ অথবা কুদরাহ বের হলে হায়েয গণ্য হবে এবং তার জন্য হায়েযের হুকুম প্রযোজ্য হবে। এ জাতীয় পদার্থ ঋতুকালীন সময় ব্যতীত অন্য সময় বের হলে হায়েয গণ্য হবে না, বরং তখন নারী নিজেকে পবিত্র জ্ঞান করবে। কারণ, উম্মে ‘আতিয়্যাহ রাদিয়াল্লাহু ‘আনহা বলেন: “আমরা পবিত্র হওয়ার পর ‘সুফরাহ’ ও ‘কুদরাহ’কে কিছুই গণ্য করতাম না”। হাদীসটি আবু দাউদ বর্ণনা করেছেন। ইমাম বুখারীও বর্ণনা করেছেন, তবে তিনি (পবিত্র হওয়ার পর) বাক্যটি বর্ণনা করেন নি। এ জাতীয় হাদীসকে মারফু‘ হাদীস বলা হয়। কারণ, এতে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সমর্থন বুঝা যায়। উম্মে ‘আতিয়্যার কথার অর্থ হায়েয অবস্থায় বা হায়েযের নির্দিষ্ট সময় যদি সুফরাহ বা কুদরাহ নির্গত হয় হায়েয হিসেবে গণ্য হবে এবং তার বিধানও হবে হায়েযের বিধান।

প্রশ্ন: নারী কীভাবে জানবে তার হায়েয শেষ?

উত্তর: রক্ত বন্ধ হলেই বুঝবে হায়েয শেষ। এর দু’টি আলামত:

প্রথম আলামত: হায়েযের পর সাদা পানি বের হওয়া, যা সাধারণত হায়েযের পরই বের হয়, অনেকটা চুনের পানির মত। কখনো তার রঙ হয় না, আবার নারীদের স্বভাব অনুসারে তার রঙ বিভিন্ন হয়।

দ্বিতীয় আলামত: শুষ্ক পদ্ধতি, অর্থাৎ নারী তার যোনি পথে কাপড়ের টুকরো অথবা তুলা দাখিল করবে, অতঃপর বের করলে যদি শুষ্ক বের হয়, তার উপর রক্ত, কুদরাহ ও সুফরার আলামত না থাকে, বুঝবে হায়েয শেষ।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন