hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

মুমিন নারীদের বিশেষ বিধান

লেখকঃ ড. সালেহ ইবন ফাওযান আল-ফাওযান

১৫
তৃতীয়ত: নিফাস ১. নিফাসের সংজ্ঞা ও সময়:
বাচ্চা প্রসবের সময় ও তার পরবর্তীতে রেহেম থেকে যে রক্ত বের হয় তাই নিফাস। এগুলো মূলত গর্ভকালীন সময় গর্ভাশয়ে স্তূপ হওয়া রক্ত, বাচ্চা প্রসব হলে অল্পঅল্প তা বের হয়। প্রসবের আলামত শুরু হওয়ার পর যে রক্ত বের হয় তাও নিফাস, যদিও প্রসব বিলম্বে হয়। ফকিহগণ বলেন, প্রসবের দুই দিন বা তিন দিন পূর্বে হলে নিফাস অন্যথায় নিফাস নয়। নিফাসের রক্ত সাধারণত প্রসবের সাথে আরম্ভ হয়। প্রসবের জন্য পরিপূর্ণ বাচ্চা ভূমিষ্ঠ হওয়া জরুরি, তার পরবর্তী রক্ত নিফাস হিসেবে গণ্য হবে। মায়ের পেটে সর্বনিম্ন একাশি দিন সম্পন্ন হলে বাচ্চার শরীরের গঠন আকৃতি পূর্ণ হয়, যদি তার পূর্বে রেহেম থেকে জমাট বাঁধা কিছু বের হয় এবং সাথে রক্তও আসে, তাহলে তা নিফাস হিসেবে গণ্য হবে না, সালাত ও সিয়াম যথারীতি আদায় করবে, কারণ তা দূষিত রক্ত ও রক্তক্ষরণ হিসেবে নির্গত, তার বিধান মুস্তাহাযা নারীর বিধান।

নিফাসের সর্বাধিক সময় চল্লিশ দিন, যার সূচনা হয় প্রসব থেকে অথবা তার দুই বা তিনদিন পূর্ব থেকে, যা পূর্বে বর্ণিত হয়ে‍ছে। উম্মে সালামা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহার হাদীসে এসেছে:

» كانت النفساء تجلس على عهد رسول الله   صلى الله عليه وسلم أربعين يوما « 

“নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের যুগে নিফাসের নারীরা চল্লিশ দিন বিরতি নিত”। [তিরমিযী, হাদীস নং ১৩৯; আবু দাউদ, হাদীস নং ৩১২; ইবন মাজাহ, হাদীস নং ৬৪৮; আহমদ: (৬/৩০০), দারেমী, হাদীস নং ৯৫৫]

নিফাসের সর্বোচ্চ মেয়াদ চল্লিশ দিন। এ বিষয়ে সকল আহলে ইলম একমত। ইমাম তিরমিযী প্রমুখগণ আলেমদের এরূপ ঐকমত্য নকল করেছেন। আর যে চল্লিশ দিনের পূর্বে পবিত্র হলো, যেমন তার রক্ত বন্ধ হলো, সে গোসল করবে ও সালাত আদায় করবে। নিফাসের সর্বনিম্ন কোনো মেয়াদ নেই। কারণ তার নির্দিষ্ট মেয়াদ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণিত হয় নি। যদি চল্লিশ দিন পূর্ণ হওয়ার পরও রক্ত বন্ধ না হয়, তাহলে সেটা যদি হায়েযের সময় হয় হায়েয গণ্য হবে, যদি হায়েযের সময় না হয় ইস্তেহাযাহ গণ্য হবে, তাই চল্লিশ দিন পার হলে ইবাদত ত্যাগ করবে না। যদি রক্ত আসার সময়কাল চল্লিশ দিনের বেশি হয়, কিন্তু বিরতি দিয়ে দিয়ে রক্ত আসে, যার সাথে হায়েযের অভ্যাসের মিল নেই, এটিই ইখতিলাফের বিষয়।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন