hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

মুমিন নারীদের বিশেষ বিধান

লেখকঃ ড. সালেহ ইবন ফাওযান আল-ফাওযান

৩৭
কয়েকটি জ্ঞাতব্য:
১. মুস্তাহাযাহ নারী: যে নারীর হায়েয ব্যতীত কোনো কারণে রক্ত নির্গত হয়, যার আলোচনা আমরা পূর্বে করেছি, তার উপর সিয়াম রাখা জরুরি। ইস্তেহাযার কারণে পানাহার করা তার পক্ষে বৈধ নয়।

শাইখুল ইসলাম ইবন তাইমিয়্যাহ রহ. ঋতুমতী নারীর পানাহার করার আলোচনা শেষে বলেন: ইস্তেহাযা এর বিপরীত, কারণ ইস্তেহাযা দীর্ঘ সময়কে ঘিরে থাকে, তার এমন কোনো সময় নেই যেখানে তাকে সিয়ামের নির্দেশ দেওয়া হবে। আবার ইস্তেহাযাহ থেকে তার বাচারও উপায় নেই। ইস্তেহাযার রক্ত হচ্ছে সামান্য বমি, আঘাতের কারণে বা পায়খানার রাস্তা দিয়ে রক্ত বের হওয়া ও স্বপ্ন দোষ ইত্যাদির মত, যার কোনো নির্দিষ্ট সময় নেই, যার থেকে নিরাপদ থাকা অসম্ভব। অতএব, এগুলো হায়েযের রক্তের ন্যায় সিয়ামের পথে বাঁধা নয়”। [মাজমুউল ফাতোয়া: (২৫/২৫১)] সমাপ্ত।

২. ঋতুমতী, গর্ভবতী ও দুগ্ধদানকারী নারী যদি পানাহার করে, তাহলে তাদের ওপর ফরয হচ্ছে, যে রমযানে পানাহার করেছে তার পর থেকে আগামী রমযানের আগে কাযা করা, তবে দ্রুত কাযা করা মুস্তাহাব। যদি যে পরিমাণ তার ওপর কাযা ফরয, পরবর্তী রমযান আসার সে ক’টি দিন বাকি থাকে, তাহলে এ দিনগুলোতে তার কাযা করা ফরয, যেন পিছনের রমযানের কাযা থাকাবস্থায় তার ওপর নতুন রমযান আগমন না করে। যদি পেছনের রমযানের কাযা না করে, এভাবেই পরবর্তী রমযান এসে যায়, বিলম্ব করার কোনো কারণও নেই, তাহলে তার ওপর কাযা করা ও প্রত্যেক দিনের বিনিময়ে মিসকীনকে খাবার দেওয়া ফরয, আর যদি তার পশ্চাতে সঙ্গত কারণ থাকে তাহলে শুধু কাযা করা ওয়াজিব। অনুরূপভাবে যার ওপর কাযা ছিল রোগ অথবা সফরের কারণে, তার হুকুমও ঋতুমতী নারীর মতো উপরোক্ত ব্যাখ্যাসহ।

৩. স্বামীর উপস্থিত থাকাবস্থায় নারীর নফল সিয়াম রাখা জায়েয নয়। কারণ, ইমাম বুখারী ও মুসলিম প্রমুখগণ আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণনা করেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন:

» لا يحل لامرأة أن تصوم وزوجها شاهد إلا بإذنه «

“কোনো নারীর পক্ষে জায়েয নয় স্বামীর উপস্থিতিতে সিয়াম রাখা তার অনুমতি ব্যতীত”। [সহীহ বুখারী, হাদীস নং ৪৮৯৯; সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ১০২৬; আহমদ (২/৩১৬)] আহমদ ও আবু দাউদের কতক বর্ণনায় আছে, তবে রমযান ব্যতীত।

অবশ্য যদি স্বামী নফল সিয়াম রাখার অনুমতি দেয় অথবা তার স্বামী উপস্থিত না থাকে অথবা তার স্বামীই নেই, তার পক্ষে নফল সিয়াম রাখা মুস্তাহাব। বিশেষভাবে যে দিনগুলোকে সিয়াম রাখা মুস্তাহাব, যেমন সোমবার, বৃহস্পতিবার ও প্রত্যেক মাসে তিনটি সিয়াম, শাওয়াল মাসের ছয় সিয়াম, জিল হজ মাসের দশ দিনের সিয়াম, আরাফার সিয়াম এবং আশুরার দিন সিয়াম রাখা আগে বা পরে একদিন মিলিয়ে। হ্যাঁ, রমযানের কাযা যিম্মাদারিতে থাকাবস্থায় যতক্ষণ না ফরয সাওম পালন শেষ করছে ততক্ষণ নফল সিয়াম রাখা যথাযথ নয়। আল্লাহ ভালো জানেন।

৪. ঋতুমতী নারী যদি রমযান মাসে দিনের মধ্যবর্তী সময় পাক হয়, তাহলে সে অবশিষ্ট দিন বিরত থাকবে এবং পরবর্তীতে কাযা করবে। সময়ের প্রতি সম্মান জানিয়ে অবশিষ্ট দিন তার বিরত থাকা আবশ্যক।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন