hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

মুমিন নারীদের বিশেষ বিধান

লেখকঃ ড. সালেহ ইবন ফাওযান আল-ফাওযান

৩৬
বিশেষ কিছু অপারগতার কারণে রমযানে নারীর পানাহার করা বৈধ:
নারীর কিছু অপারগতা রয়েছে, যে কারণে রমযানে পানাহার করা তার পক্ষে বৈধ, তবে ছেড়ে দেওয়া সিয়ামগুলো পরে কাযা করবে অবশ্যই।

নারীর অপারগতাগুলো নিম্নরূপ:

১. হায়েয ও নিফাস: হায়েয ও নিফাসের সময় সিয়াম রাখা হারাম, পরে তা কাযা করা ওয়াজিব। কারণ, আয়েশা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহা থেকে বুখারী ও মুসলিম বর্ণনা করেন:

» كنا نؤمر بقضاء الصوم، ولا نؤمر بقضاء الصلاة « 

“আমাদেরকে সিয়ামের কাযা করার নির্দেশ দেওয়া হত, কিন্তু সালাতের কাযা করার নির্দেশ দেওয়া হত না”। [সহীহ বুখারী, হাদীস নং ৩১৫; সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ৩৩৫; তিরমিযী, হাদীস নং ১৩০; নাসাঈ, হাদীস নং ২৩১৮; আবু দাউদ, হাদীস নং ২৬২; ইবন মাজাহ, হাদীস নং ৬৩১; আহমদ (৬/২৩২); দারেমী, হাদীস নং ৯৮৬]

এর কারণ, একদা জনৈক নারী আয়েশাকে প্রশ্ন করেন: ঋতুমতী নারীরা সিয়াম কাযা করবে, কিন্তু সালাত কাযা করবে না কারণ কী? উত্তরে তিনি বলেন: এসব বিষয় অহী নির্ভর, এতে অহীর অনুসরণ করাই মূল কথা।

ঋতু অবস্থায় সিয়াম ত্যাগ করার হিকমত:

শাইখুল ইসলাম ইবন তাইমিয়্যাহ রহ. ‘মাজমুউল ফতোয়ায়’: (২৫/২৫১) বলেন: “ঋতুতে যে রক্ত নির্গত হয় সেটা এক প্রকার রক্তক্ষরণ, যা তার স্বাভাবিক সুস্থতার বিপরীত। ঋতুমতী নারী স্বাভাবিক অবস্থায় সিয়াম রাখতে সক্ষম যখন তার রক্ত নির্গত হয় না। অতএব, ঋতুমতী নারী যদি স্বাভাবিক অবস্থায় সিয়াম রাখে যখন তার শরীর থেকে শক্তিশালী উপাদান (রক্ত) বের হওয়া বন্ধ থাকে তার সিয়ামটা স্বাভাবিক হয়। পক্ষান্তরে যদি ঋতু অবস্থায় সিয়াম রাখে যখন তার থেকে শরীরের নির্যাস রক্ত বের হয়, যা শরীরকে ক্ষয় ও দুর্বল করে, তখন তার সিয়ামও হবে অস্বাভাবিক (দুর্বল)। এ জন্য নারীদের ঋতু শেষে সিয়াম কাযা করার নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে। সমাপ্ত।

২. গর্ভ ও দুগ্ধপান: গর্ভ ও দুগ্ধপান করানো অবস্থায় সিয়াম দ্বারা যদি নারী অথবা সন্তান অথবা তারা উভয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়, তাহলে গর্ভ ও দুগ্ধপান করানো অবস্থায় পানাহার করবে। অতঃপর যে ক্ষতির আশঙ্কায় পানাহার করেছে সেটা যদি বাচ্চা সংশ্লিষ্ট হয়, মায়ের সাথে সম্পৃক্ত না হয়, তাহলে পানাহার করা দিনের কাযা করবে এবং প্রত্যেক দিনের মোকাবিলায় একজন মিসকিনকে খাবার দিবে। আর যদি ক্ষতি নারীর সাথে সংশ্লিষ্ট হয়, তাহলে শুধু তার কাযা করলে যথেষ্ট হবে। কারণ, গর্ভবতী ও দুগ্ধদানকারী উভয় আল্লাহর বাণীর অন্তর্ভুক্ত। আল্লাহ তা‘আলা বলেন:

﴿وَعَلَى ٱلَّذِينَ يُطِيقُونَهُۥ فِدۡيَةٞ طَعَامُ مِسۡكِينٖۖ﴾ [ البقرة : ١٨٤ ]

“আর যাদের জন্য তা কষ্টকর হবে, তাদের কর্তব্য ফিদিয়া -একজন দরিদ্রকে খাবার প্রদান করা”। [সূরা আল-বাকারা, আয়াত: ১৮৪]

হাফেয ইবন কাসির রহ. স্বীয় তাফসীর: (১/৩৭৯) গ্রন্থে বলেন: “আয়াতের অর্থে গর্ভবতী ও দুগ্ধদানকারী অন্তর্ভুক্ত হয়, যদি তারা তাদের নিজের নফসের অথবা সন্তানের ওপর আশঙ্কা করে”। সমাপ্ত।

শাইখুল ইসলাম ইবন তাইমিয়্যাহ রহ. বলেন: যদি গর্ভবতী তার বাচ্চার ওপর আশঙ্কা করে, তাহলে পানাহার করবে ও প্রত্যেক দিনের কাযা করবে এবং প্রত্যেক দিনের মোকাবেলায় মিসকীনকে এক রতল [এখানে রতল বলে সম্ভবত: অর্ধ সা বুঝানো হয়েছে। যা পূর্বে বর্ণিত হয়েছে। [সম্পাদক]] রুটি দিবে”। [আল-মাজমু: (২৫/৩১৮)] সমাপ্ত।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন