মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
আসসালামু আলাইকুম, Hadith.one বন্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে! আমাদের সার্ভারের মেয়াদ ১১ অক্টোবর ২০২৫ এ শেষ হবে, এবং এবং ওয়েবসাইট টি চালানোর জন্য আমাদের কোনো ফান্ড নেই।
🌟 আপনার দান এই প্ল্যাটফর্মকে বাঁচাতে পারে এবং প্রতিটি হাদিস পড়ার মাধ্যমে সদকাহ জারিয়ার অংশীদার হতে পারেন!
🔗 অনুগ্রহ করে আপনার দানের মাধ্যমে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি চালিয়ে নিতে সাহায্য করুন!
জাযাকাল্লাহু খাইরান!
“হে যুবক সম্প্রদায় তোমাদের মধ্যে যাদের ক্ষমতা আছে তারা যেন বিবাহ করে। কারণ, তোমাদের চোখের জন্য অধিক হেফাজতকারী এবং তোমাদের লজ্জাস্থানের সংরক্ষক” [মুসলিম ১৪০০]।
উল্লেখিত হাদিসে الباءة শব্দের অর্থ স্ত্রী মিলনে সক্ষম ও বিবাহের খরচ। যখন কোন ব্যক্তি বিবাহের ক্ষমতা রাখে এবং তার নফস বিবাহের প্রতি আগ্রহ প্রকাশ করে, তাহলে তাকে অবশ্যই বিবাহ করতে হবে।
বিবাহ হল, হালাল উপায়ে মানুষ তার মানবিক ও জৈবিক চাহিদা মেটানোর একটি পথ; যা মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীন মানুষের জন্য বৈধ বিধান হিসেবে চালু করেছেন। বিবাহ হল নবী ও রাসুলগণের সুন্নাত। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যারা তাদের নিজেদের উপর বিবাহকে হারাম করেছিল তাদের বিষয়ে বলেন,
“কিন্তু আমি সালাত আদায় করি, ঘুমাই, রোজা রাখি ইফতার করি এবং নারীদের বিবাহ করি। সুতরাং এ গুলো সবই হল আমার আদর্শ। আর যে ব্যক্তি আমার আদর্শ থেকে দূরে সরে সে আমার উম্মতের অন্তর্ভুক্ত নয়” [মুসলিম ১৪০১]।
আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা হতে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
“বিবাহ আমার সুন্নাত। যে আমার সুন্নাত অনুযায়ী আমল করে না, সে আমার উম্মতের অন্তর্ভুক্ত নয়। তোমরা বিবাহ কর, কারণ আমি আমার উম্মতের আধিক্য নিয়ে আল্লাহর দরবারে গর্ব করব। যার সামর্থ্য আছে সে অবশ্যই বিবাহ করবে আর যার সামর্থ্য নাই তার উপর কর্তব্য হল রোজা রাখা। কারণ, রোজা তার জন্য প্রতিষেধক” [ইবনে মাজা ১৮৪৬। আল্লামা আলবানী রহ. হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন।]।
বিবাহের মাধ্যমে মানুষের দ্বীন ও ঈমানের সংরক্ষণ হয়। আর যিনা ব্যভিচার দ্বারা মানুষ যে নুরের দ্বারা আলোকিত, তা ছিনিয়ে নেয়া হয়।
আব্দুল্লাহ ইবন আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহুর কতক গোলাম ছিল, তিনি তাদের জ্ঞান শিক্ষা দেয়ার জন্য নির্বাচন করেছিলেন। তিনি তাদের বলতেন, “যদি তোমরা বিবাহ করতে চাও তবে আমি তোমাদের বিবাহ দিয়ে দেব। কারণ, বান্দা যখন ব্যভিচার করে তার অন্তর থেকে ঈমানকে ছিনিয়ে নেয়া হয়”। [ইহইয়াউ উলুমিদ্দীন ২/২৩]
তিনি তাদের আরও বলেন, “তোমরা বিবাহ কর! কারণ, বান্দা যখন কোন ব্যভিচার করে তখন তার ঈমানের নুর ছিনিয়ে নেয়া হয়”। [তারিখু দিমাশক ৫০/১২৩; যাম্মুল হাওয়া ১৯৩।]
ইবন আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু আরও বলেন, “বিবাহ ছাড়া কোন ইবাদাতকারীর ইবাদত প্রকৃতভাবে কবুল হয় না।” [ইহইয়াউ উলুমিদ্দীন ২/২৩] অর্থাৎ কোন ইবাদত-কারী বান্দার ইবাদত বা দ্বীন বিবাহ করা ছাড়া পরিপূর্ণ হয় না। অবিবাহিত ব্যক্তির দ্বীন ও ইবাদত সর্বদা অপূর্ণ থেকে যায়। কারণ, তার জন্য এ সম্ভাবনা রয়েছে, সে বিবাহ না করাতে কোন হারাম বা যিনা ব্যভিচারে লিপ্ত হতে পারে”।
যে ব্যক্তি তার নিজের ব্যাপারে হারাম কাজে লিপ্ত হওয়ার আশঙ্কা করে, তার জন্য বিবাহ করা হজের চেয়েও অধিক গুরুত্বপূর্ণ ফরয। অথচ হজ হল ইসলামের রোকনসমূহের একটি রোকন। তা স্বত্বেও যে ব্যক্তি হজ ও বিবাহ দুটিকে এক সাথে আদায় করতে সক্ষম নয় তাকে অবশ্যই হজের উপর বিবাহকে প্রাধান্য দিতে হবে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/714/19
রিডিং সেটিংস
Bangla
English
Bangla
Indonesian
Urdu
System
System
Dark
Green
Teal
Purple
Brown
Sepia
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
Kfgq Hafs
Qalam
Scheherazade
Kaleel
Madani
Khayma
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
Kalpurush
Rajdip
Bensen
Ekushe
Alinur Nakkhatra
Dhakaiya
Saboj Charulota
Niladri Nur
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।