hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

অন্তর বিধ্বংসী বিষয় আসক্তি

লেখকঃ মুহাম্মাদ সালেহ আল-মুনাজ্জেদ

২৯
আট. দো‘আ করা:
দো‘আ হল মুমিনের সত্যিকার ও মজবুত হাতিয়ার। দো‘আ কখনোই বেকার যায় না। মুমিনের দায়িত্ব হল, সে সবসময় দো‘আর হাতিয়ারকে ব্যবহার করবে। মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীন বলেন,

﴿وَإِذَا سَأَلَكَ عِبَادِي عَنِّي فَإِنِّي قَرِيبٌۖ أُجِيبُ دَعۡوَةَ ٱلدَّاعِ إِذَا دَعَانِۖ فَلۡيَسۡتَجِيبُواْ لِي وَلۡيُؤۡمِنُواْ بِي لَعَلَّهُمۡ يَرۡشُدُونَ ١٨٦ ﴾ [ سورة البقرة : 186[.

আর যখন আমার বান্দাগণ তোমাকে আমার সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করবে, আমি তো নিশ্চয় নিকটবর্তী। আমি আহ্বানকারীর ডাকে সাড়া দেই, যখন সে আমাকে ডাকে। সুতরাং তারা যেন আমার ডাকে সাড়া দেয় এবং আমার প্রতি ঈমান আনে। আশা করা যায় তারা সঠিক পথে চলবে। [সূরা বাকারাহ, আয়াত: ১৮৬]

ওবাদাহ ইবন সামেত রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,

«مَا عَلَى الأرَْضِ مُسْلمِ يَدْعُو الله بدَِعْوَة إلَّا آتَاهُ الله إيَاهَا، أَوْ صَرَفَ عَنْهُ مِنَ السُّوءِ مِثْلَهَا؛ مَا لمَ يَدْعُ بإِثْمٍ أَوْ قَطيِعَةِ رَحِمٍ فقال رجل من القوم : إذاً نكثر . قال الله أَكْثَر»

“জমিনের বুকে কোন মুসলিম ব্যক্তি যখন আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের নিকট কোন কিছু চায় আল্লাহ রাব্বুল আলামীন তাকে তা দান করবেই। আল্লাহ রাব্বুল আলামীন তার থেকে সমপরিমাণ অকল্যাণ দূর করবে। তবে শর্ত তার দো‘আ যেন কোন অন্যায় অথবা আত্মীয়তার সম্পর্ক কর্তন করার জন্য না হয়। এ কথা শোনে একজন লোক বলল, তাহলে আমরা আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের দরবারে অধিক হারে দো‘আ করব। তখন বলল, আল্লাহ তোমাদের চেয়ে অধিক দো‘আ কবুলকারী” [তিরমিযি ৩৫৭৩ আল্লামা আলবানী রহ. হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন।]।

আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের নবী ইউসুফ আ. সম্পর্কে চিন্তা করে দেখ, যখন আসক্তি চাহিদার মুহূর্তে তাকে নিষিদ্ধ ও হারাম কাজের দিকে আহ্বান করা হয়, তখন সে কি বলেছিল। আল্লাহ রাব্বুল আলামীন তার কাহিনীর বর্ণনা দিতে গিয়ে ইরশাদ করেন,

﴿قَالَ رَبِّ ٱلسِّجۡنُ أَحَبُّ إِلَيَّ مِمَّا يَدۡعُونَنِيٓ إِلَيۡهِۖ وَإِلَّا تَصۡرِفۡ عَنِّي كَيۡدَهُنَّ أَصۡبُ إِلَيۡهِنَّ وَأَكُن مِّنَ ٱلۡجَٰهِلِينَ ٣٣ فَٱسۡتَجَابَ لَهُۥ رَبُّهُۥ فَصَرَفَ عَنۡهُ كَيۡدَهُنَّۚ إِنَّهُۥ هُوَ ٱلسَّمِيعُ ٱلۡعَلِيمُ ٣٤ ﴾ [ سورة يوسف : 33-34[.

সে (ইউসুফ) বলল, ‘হে আমার রব, তারা আমাকে যে কাজের প্রতি আহ্বান করছে তা থেকে কারাগারই আমার নিকট অধিক প্রিয়। আর যদি আপনি আমার থেকে তাদের চক্রান্ত প্রতিহত না করেন তবে আমি তাদের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে পড়ব এবং আমি মূর্খদের অন্তর্ভুক্ত হব’। অতঃপর তার রব তার আহ্বানে সাড়া দিলেন এবং তার থেকে তাদের চক্রান্ত প্রতিহত করলেন। নিশ্চয় তিনি সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞ। [সূরা ইউসূফ, আয়াত: ৩৩-৩৪]

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর আদর্শ হল তিনি আসক্তির ফিতনা হতে বাঁচা ও তা প্রতিহত করার জন্য তার সাহাবীদের দো‘আ শেখাতেন।

শাকাল ইবন হামিদ রা. হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, একদিন আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! আপনি আমাদের একটি দো‘আ শিখিয়ে দিন। উত্তরে তিনি বলেন, তুমি বল,

« اللَّهُمَّ إنِّي أَعُوذُ بكَ مِنْ شَرِّ سَمْعِي، وَمِنْ شَرِّ بَصَرِي، وَمِنْ شَرِّ لسَانِي، وَمِنْ شَرِّ قَلْبيِ، وَمِنْ شَرِّ مَنيِيِِّ »

“হে আল্লাহ! আমি তোমার নিকট আমার কর্ণের অনিষ্টতা থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করি, আমার চোখের অনিষ্টতা থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করি, আমার মুখের অনিষ্টতা থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করি, আমার অন্তরের অনিষ্টতা থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করি এবং আমার বীর্যের অনিষ্টতা থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করি” [আবু দাউদ ১৫৫১ তিরমিযি ৩৪৯২ নাসায়ী ৫৪৫৬ হাকেম হাদীসটি সহীহ বলে মন্তব্য করেছেন।]।

এখানে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বীর্যের অকল্যাণ থেকে আশ্রয় চেয়েছেন। আর বীর্যের অকল্যাণ বলে আসক্তি ও অসৎ প্রেরণা থেকে আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের নিকট আশ্রয় চাওয়াই উদ্দেশ্য।

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরও বলতেন,

« اللَّهُمَّ إنِّي أَسْألَكَُ الهُدَى، وَالتقَّى، وَالعَفَافَ، وَالغِنَى »

“হে আল্লাহ! আমি তোমার নিকট হিদায়াত, তাকওয়া, পবিত্রতা ও অমুখাপেক্ষিতা চাই” [মুসলিম ২৭২১] এখানে তিনি পবিত্রতা চেয়েছেন, যা কু- আসক্তিকে দমিয়ে রাখা ও তার চিকিৎসার জন্য একান্ত প্রয়োজন।

সুতরাং তুমি অবশ্যই সতর্ক থাকবে, যাতে তোমার নিজের নফস তোমাকে ধোঁকায় না ফেলতে পারে এবং তোমাকে দো‘আ করা হতে বিরত রাখতে না পারে। কারণ, ইবরাহীম আ. ও মূর্তিপূজা বর্জনের জন্য তার নিজের [তাকওয়া ও ঈমানি দৃঢ়তার] ওপর নির্ভর করেন নি বরং আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের দরবারে দো‘আ ও প্রার্থনা করেন। তিনি বলেন,

﴿وَٱجۡنُبۡنِي وَبَنِيَّ أَن نَّعۡبُدَ ٱلۡأَصۡنَامَ ٣٥ ﴾ [ سورة إبراهيم : 35[.

আর স্মরণ কর ‘যখন ইবরাহীম বলল, ‘আর আমাকে ও আমার সন্তানদেরকে মূর্তি পূজা থেকে দূরে রাখুন’। [সূরা ইবরাহীম, আয়াত: ৩৫]

তিনি শুধু মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীন দরবারে ছোট গুনাহ থেকে বাচার প্রার্থনা করেন নি বরং তিনি বড় শির্ক হতে বাঁচার জন্য আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের দরবারে প্রার্থনা করেন। সুতরাং, তুমি কখনোই এ কথা বলবে না আমি একজন দ্বীনদার যুবক, আমি ইমাম, খতিব, বক্তা, তালেবে ইলম এবং আমি একজন দা‘য়ী। সবারই উচিত সে তার নিজের বিষয়ে ফিতনায় লিপ্ত হওয়া হতে ভয় করবে। আর আমরা যখন আমাদের নিজের বিষয়ে ভয় করব, তখন আমরা আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের নিকট প্রার্থনা করব এবং তার নিকট ফিরে যাব, যাতে তিনি আমাদের গুনাহ থেকে হেফাজত করেন। মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীন বলেন,

﴿وَلَوۡلَآ أَن ثَبَّتۡنَٰكَ لَقَدۡ كِدتَّ تَرۡكَنُ إِلَيۡهِمۡ شَيۡ‍ٔٗا قَلِيلًا ٧٤ ﴾ [ سورة الإسراء [74.

“আর আমি যদি তোমাকে অবিচল না রাখতাম, তবে অবশ্যই তুমি তাদের দিকে কিছুটা ঝুঁকে পড়তে” [সূরা আল-ইসরা, আয়াত: ৭৪]

إذَِا لَم يَكنْ عَوْنٌ مِنَ الله للْفَتَى

فَأَوَّلُ مَا يَجْنِي عَلَيْهِ اجْتِهَادُهُ

একজন যুবককে যখন আল্লাহ রাব্বুল আলামীন সহযোগিতা না করে তখন প্রথম যে বস্তুটি তার বিপদ ডেকে আনে তা হচ্ছে, তার ইজতিহাদ [নফহুত তীব মিন গুসনিল উন্দুলুসির রাতীব ৬/১৭৭।]।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন