মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
আসসালামু আলাইকুম, Hadith.one বন্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে! আমাদের সার্ভারের মেয়াদ ১১ অক্টোবর ২০২৫ এ শেষ হবে, এবং এবং ওয়েবসাইট টি চালানোর জন্য আমাদের কোনো ফান্ড নেই।
🌟 আপনার দান এই প্ল্যাটফর্মকে বাঁচাতে পারে এবং প্রতিটি হাদিস পড়ার মাধ্যমে সদকাহ জারিয়ার অংশীদার হতে পারেন!
🔗 অনুগ্রহ করে আপনার দানের মাধ্যমে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি চালিয়ে নিতে সাহায্য করুন!
জাযাকাল্লাহু খাইরান!
আল্লাহ রাব্বুল আলামীন মানবকে সৃষ্টি করার সাথে তার মধ্যে এমন একটি মানবিক চাহিদা দান করেন, যা দ্বারা আল্লাহ মানব সৃষ্টির উদ্দেশ্য সম্পর্কে একটি ধারণা দেন।
ইমাম ইবন তাইমিয়্যাহ রহ. বলেন, “আমরা আমাদের দুনিয়ার জীবনের সামগ্রিক কল্যাণ অর্জনে যাতে সহযোগিতা লাভ করতে পারি, তাই মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীন আমাদের মধ্যে আসক্তি ও কামনা-বাসনাকে সৃষ্টি করেছেন। এ ছাড়াও তিনি আমাদের মধ্যে খাদ্যের চাহিদা ও তা ভোগ করার চাহিদা সৃষ্টি করেছেন। মূলত: এটি মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের অনেক বড় নেয়ামত। দুনিয়াতে বেঁচে থাকা এবং দৈহিক ক্ষমতা সচল রাখার জন্য খাদ্য-পানীয় আমাদের অপরিহার্য, খাদ্য পানীয় ছাড়া আমাদের বেঁচে থাকা কোন ক্রমেই সম্ভব নয়। অনুরূপভাবে বিবাহ করা, স্বামী-স্ত্রী উভয়ে মিলে-মিশে ঘর-সংসার করার নাম। আর এটিও একটি মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের অনেক বড় নেয়ামত। বিবাহ দ্বারা বংশ পরিক্রমা ও তার ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকে। মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীন আমাদের যে সব কর্ম ও ইবাদত-বন্দেগী করার নির্দেশ দিয়েছেন, যদি আমরা আমাদের শক্তি দ্বারা তা পালন করতে পারি, তাহলে আমরা দুনিয়া ও আখিরাতের যাবতীয় কল্যাণ লাভে সক্ষম হব এবং আমরা সে সব লোকদের অন্তর্ভুক্ত হব, যাদের মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীন বিশেষ নেয়ামত দান করেছেন এবং দুনিয়াতে তাদের সৌভাগবান করেছেন। আর যদি আমরা আমাদের আসক্তির পুজা করি এবং যে সব কর্ম আমাদের ক্ষতির কারণ হয়, তা করতে থাকি, যেমন- হারাম খাওয়া, অন্যায়ভাবে উপার্জন করা, অপচয় করা, আমাদের স্ত্রীদের বিষয়ে সীমালঙ্ঘন করা ইত্যাদি, তাহলে আমরা মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের দরবারে জালেম ও অন্যায়কারী হিসেবে পরিগণিত হব। আমরা কখনোই আল্লাহ রাব্বুল আলামীন এর নেয়ামতের শুকর গুজার বান্দা হিসেবে বিবেচিত হব না” [আল-ইস্তেকামাহ ৩৪১-৩৪২/১]।
উল্লেখিত আলোচনা হতে একটি বিষয় স্পষ্ট হয়, আর তা হল, কামনা-বাসনা ও আসক্তি মূলত: কোন খারাপ কিছু নয়, তবে তার ব্যবহারের কারণে তা ভালো ও খারাপে পরিণত। কামনা-বাসনা ও আসক্তিকে যদি বৈধ, ভালো ও কল্যাণমুলক কাজে ব্যবহার করা হয়, তখন তা অবশ্যই ভালো এবং এবং প্রসংশনীয়। আর তা না করে যদি তাকে খারাপ ও মন্দ কাজে ব্যবহার করা হয়, তখন তা অবশ্যই খারাপ বলে বিবেচিত হবে। এ জন্য এ কথা বলার অপেক্ষা রাখে না যে, একজন মানুষ তার কামনা-বাসনা ও আসক্তির পরিচালক, সে তার কামনা-বাসনা ও আসক্তিকে যেভাবে চালাবে তা সেভাবেই চলতে বাধ্য থাকবে।
এতে মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের আরও বড় হিকমত হল, যদি মানুষের মধ্যে কামনা-বাসনা ও আসক্তি না থাকত, তাহলে সে কখনোই বিবাহ করত না, সন্তান লাভের প্রতি তার কোন আকর্ষণ থাকত না এবং সন্তানের চাহিদা থাকত না। ফলে আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের মানব সৃষ্টির যে উদ্দেশ্য তা হাসিল হত না এবং তার প্রতিফলন ঘটতো না। এ কারণে বলা চলে, আমাদের সৃষ্টির বিশেষ হিকমত ও বুদ্ধিমত্তা হল, মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীন আমাদেরকে এমন এক আসক্তি বা কামনা দিয়ে সৃষ্টি করেছেন, যার মধ্যে রয়েছে আমাদের অস্তিত্ব ও স্থায়িত্ব। অন্যথায় আমরা টিকে থাকতে পারতাম না, আমাদের বংশ-পরিক্রমা ও তার ধারাবাহিকতা বন্ধ হয়ে যেত এবং দুনিয়ার স্বাভাবিক গতি রুদ্ধ হত। কিন্তু কামনা-বাসনা ও আসক্তির চাহিদা কখনো কখনো মানব জাতির ধ্বংসের কারণ হয়ে থাকে এবং তাদের বিপর্যয় ডেকে আনে।
আর সৃষ্টির বিষয়ে আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের চিরন্তন পদ্ধতি হল, তিনি বিভিন্ন হিকমত ও মহান উদ্দেশ্যকে সামনে রেখেই তাদের সৃষ্টি করেন। আর দুনিয়াতে তিনি মানুষকে পরীক্ষা করেন। যারা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হবে, তাদের জন্য রয়েছে উত্তম বিনিময়। আর যারা পরীক্ষায় ফেল করবে তাদের জন্য রয়েছে অসহনীয় যন্ত্রণা ও কঠিন শাস্তি। আর পরীক্ষার বিশেষ অংশ হল, মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীন আমাদের কামনা-বাসনা ও আসক্তির চাহিদা দিয়ে সৃষ্টি করেন, যাতে মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীন পার্থক্য স্পষ্ট করে দিতে পারেন কে আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের অনুগত বান্দা, আর কে অবাধ্য। তিনি আরও স্পষ্ট করেন কে আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের পবিত্র বান্দা, আর কে অপবিত্র ও অপরাধী।
মালেক ইব্ন দীনার রহ. বলেন, “দুনিয়ার জীবনের চাহিদা যার নিকট প্রাধান্য পায়, শয়তান তাকে আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের আশ্রয় হতে দূরে সরিয়ে দেয়”।
হাসান বছরী রহ. বলেন,
رَُّب مَسُتورٍ سَبَتْهُ شَهْوَةٌ
فَتَعَرَّى سِتْرُهُ فَانْهَتَكا
صَاحِبُ الشَّهْوَةِ عَبْدٌ فَإذَِا
غَلَبَ الشَّهْوَةَ أَضْحَى مَلِكا
“অনেক আত্মগোপনে থাকা মানুষকে তার আসক্তি বন্দি করে ফেলে। অতঃপর যখন সে গোপন পর্দা খুলে যায় তখন তা আবরণ শুন্য হয়ে পড়ে। কামনা-বাসনা ও আসক্তির পুজারী হল একজন দাস কিন্তু যখন সে তার আসক্তিকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে তখন সে সত্যিকার বাদশায় পরিণত হয়” [হুলিয়াতুল আওলিয়া ২/৩৬৫, জাম্মুল হাওয়া ২২]।
দুনিয়াতে পুরুষের সবচেয়ে বড় চাহিদা হল নারী। এ কারণে মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীন কুরআনে করীমে নারীদের কথা প্রথমে আলোচনা করেন। তিনি মানব জাতিকে জানিয়ে দেন যে, নারীদের ফিতনা সর্বাধিক মারাত্মক, ক্ষতিকর এবং সমাজ ও ব্যক্তি জীবনে এর প্রভাব অত্যন্ত শক্তিশালী ও ভয়াবহ। আল্লাহ রাব্বুল আলামীন কুরআনের করীমে এরশাদ করেন.
“মানুষের জন্য সুশোভিত করা হয়েছে কামনা-বাসনা ও আসক্তির ভালবাসা- নারী, সন্তানাদি, রাশি রাশি সোনা-রূপা, চিহ্নিত ঘোড়া, গবাদি পশু ও শস্যখেত। এগুলো দুনিয়ার জীবনের ভোগ সামগ্রী। আর আল্লাহ, তাঁর নিকট রয়েছে উত্তম প্রত্যাবর্তনস্থল”। [সূরা আলে ইমরান, আয়াত: ১৪]
উসামা ইবন যায়েদ রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
“তোমরা দুনিয়া বিষয়ে সতর্ক থাক এবং তোমরা নারীদের বিষয়ে সতর্ক থাক। কারণ, বনী ইসরাইলদের সর্বপ্রথম ফিতনা ছিল নারীদের বিষয়ে” [মুসলিম ২৭৪২]।
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/714/4
রিডিং সেটিংস
Bangla
English
Bangla
Indonesian
Urdu
System
System
Dark
Green
Teal
Purple
Brown
Sepia
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
Kfgq Hafs
Qalam
Scheherazade
Kaleel
Madani
Khayma
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
Kalpurush
Rajdip
Bensen
Ekushe
Alinur Nakkhatra
Dhakaiya
Saboj Charulota
Niladri Nur
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।