hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

অন্তর বিধ্বংসী বিষয় আসক্তি

লেখকঃ মুহাম্মাদ সালেহ আল-মুনাজ্জেদ

২৬
পাঁচ. কোন নারী দেখে আকৃষ্ট হলে, স্বীয় স্ত্রীর নিকট চলে আসা:
মনে রাখতে হবে, আসক্তি পূজা করা শুধু অবিবাহিত লোকদের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। বরং বিবাহিত লোকও অনেক সময় তার নিজের স্ত্রীকে বাদ দিয়ে অন্য নারীর প্রতি ঝুঁকে পড়ে। অনেক সময় দেখা যায় বিবাহিত লোক অবিবাহিত লোকের চেয়ে আরও বেশি ফিতনার কারণ হয়। কারণ, সে নারীদের সাথে মিশছে তাদের সাথে সহবাস করছে। ফলে সে নারীদের সাথে মেলামেশা করা কি মজা তা জানে। আর যে কোন কিছুর মজা বা স্বাদ কি তা জানে আর যে জানে না উভয় সমান হতে পারে না।

সুতরাং বিবাহিত লোকদের এ বিষয়ে অধিক সতর্ক থাকতে হবে। তারা তাদের নিজেদের হেফাজত করার জন্য অধিক চেষ্টা করবে। যদি কোন অপরিচিত নারীর দিক দৃষ্টির কারণে অথবা নিষিদ্ধ বা উলঙ্গ ছবি ইত্যাদি দেখার কারণে তার অন্তরে কোন অপকর্ম বা খারাপ কাজের উদ্রেক হয়, তখন সে যেন দ্রুত তার স্ত্রীর নিকট গিয়ে তার স্বীয় প্রয়োজন পূর্ণ করে এবং তার নফসের চাহিদা মেটায়।

জাবের রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একজন নারীকে দেখে তিনি তার স্ত্রী যয়নাবের নিকট আসল। তখন যয়নব রাদিয়াল্লাহু আনহু তার শরীরকে পরিষ্কার করার জন্য মালিশ করতে ছিল। তারপর সে তার হাজত পূরণ করল এবং সাহাবীদের নিকট বের হয়ে বলল,

« إنَِّ المرَْأَةَ تُقْبلُِ فِي صُورَة شَيطْاَنٍ، وَتُدْبرُِ فِي صُورَة شَيطْاَنٍ، فَإذَِا أَبْصَرَ أَحَدَكُمُ امْرَأَةً فَلْيأَتِْ أَهْلَهُ؛ فَإنَِّ ذَلكَِ يَرُدُّ مَا فِي نَفْسِهِ »

“নারীরা শয়তানের আকৃতিতে সামনের দিক অগ্রসর হয় আবার শয়তানের আকৃতিতে চলে যায়। তোমাদের যখন কোন নারী দেখে যৌন চাহিদা জেগে উঠে, তাহলে সাথে সাথে তোমরা তোমাদের স্ত্রীদের নিকট এসে চাহিদা মেটাবে। কারণ, এতে তোমাদের অন্তরে যে খারাপ ভাবের উদ্রেক করেছে তা দূর করে দেবে” [মুসলিম: ১৪০৩।]। অপর এক বর্ণনায় তিনি বলেন,

« فإنَ مَعَهَا مِثَل الَّذِي مَعَهَا »

“তার সাথে তাই আছে যা তোমার স্ত্রীর মধ্যে রয়েছে”। [তিরমিযি ১১৫৮; আল্লামা আলবানী রহ. হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন।]

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একজন নারীকে দেখল, এর অর্থ হল, একজন নারীর উপর হঠাৎ করে তার দৃষ্টি পড়ল। এতে কোন গুনাহ নাই। অথবা এ ঘটনা পর্দার বিধান নাযিল হওয়ার পূর্বের; তখন নারীদের দিকে তাকানো বৈধ ছিল।

-----

আবী কাবশা আল-আনমারী রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একদিন তার সাথীদের সাথে বসা ছিলেন, তারপর তিনি মজলিশ থেকে উঠে ভিতরে প্রবেশ করলেন এবং গোসল করে বের হলেন। তাকে দেখে আমরা বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! নিশ্চয় কোন ঘটনা ঘটছে! তখন তিনি বললেন,

« أَجَلْ، مَرَّتْ بِي فُلَانَةٌ فَوَقَعَ فِي قَلْبِي شَهْوَةُ النِّسَاءِ، فَأَتَيْتُ بَعْضَ أَزْوَاجِي فَأَصَبْتُهَا، فَكَذَلكَِ فَافْعَلُوا؛ فَإِنَّهُ مِنْ أَمَاثِلِ أَعْمَالِكُمْ إِتْيَانُ الحَلَالِ »

“আমার নিকট দিয়ে একজন নারী অতিক্রম করতে দেখে আমার অন্তরে নারীর আকর্ষণ জাগ্রত হয়। তারপর আমি আমার একজন স্ত্রীর নিকট হাজির হয়ে তার সাথে সহবাস করি। তোমরাও তাই কর। কারণ, হালালের কাছে গমন করা তোমাদের সর্বোত্তম আমলেরই নামান্তর” [আহমদ ১৮৫৬৭; আল্লামা আলবানী রহ. হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন।]।

ইমাম নববী রহ. বলেন, কোন ব্যক্তি যখন কোন নারীকে দেখে তার যৌন উত্তেজনা বৃদ্ধি পায়, তার জন্য মুস্তাহাব হল, সে তার স্ত্রীর নিকট আসবে এবং তার সাথে সহবাস করে, সে তার যৌন ক্ষুধা নিবারণ করবে, তার অন্তরকে তার চাহিদা অনুযায়ী একত্র করবে এবং আত্মাকে শান্তি দেবে। শয়তান মানুষকে নারীদের ফিতনায় লিপ্ত হওয়ার দাওয়াত দিতে থাকে। কারণ, মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীন পুরুষদের নারীদের প্রতি আকর্ষণ দিয়েই সৃষ্টি করেছেন। তারা নারীদের দিকে দেখে এবং তাদের সাথে সম্পৃক্ত যে কোন কিছু দেখে তাদের প্রতি আকৃষ্ট হয় এবং মজা পায়। সুতরাং, বলা বাহুল্য যে, নারীরা শয়তানের মতই। শয়তান যেমন মানুষকে খারাপ ও অপকর্মের দিকে আহ্বান করে অনুরূপভাবে নারীরাও তাদের সাজ-সজ্জা ও পর্দা-হীনতা দিয়ে পুরুষদের অপকর্ম ও ব্যভিচারের দিকে ডাকতে থাকে। এতে এ কথা স্পষ্ট হয়, নারীরা যেন বেপর্দা হয়ে বিনা প্রয়োজনে পুরুষদের সাথে হাটে বাজারে রাস্তা ঘাটে বের না হয়। আর পুরুষদের কর্তব্য হল, তারা নারীদের প্রতি তাকাবে না এবং তাদের দেখলে চক্ষুকে অবনত করে রাখবে। [শারহুন নববী আলা মুসলিম: ৯/১৭৮।]

উপরের দুটি হাদিসে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার নিজের গোপন বিষয়ে যে স্পষ্ট কথা বলেন, তাতে অনেকেই বিষয়টিকে আশ্চর্য মনে করেন। রাসূল সা. এর অন্তরে কিভাবে খারাপ চিন্তা আসল? আবার তিনি তা সাহাবীদের নিকট কীভাবে বললেন? কিন্তু তারা যখন তার কারণ সম্পর্কে জানবে তখন আর আশ্চর্যবোধ করবে না। কারণ, বিষয়টি খুবই মারাত্মক ও ক্ষতিকর। এ কারণেই রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার নিজের বিষয়টি স্পষ্টভাবে তুলে ধরেন, যাতে মুসলিমরা তার থেকে শিক্ষালাভ করে এবং তার অনুকরণ করে।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন