hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

একগুচ্ছ মুক্তাদানা দ্বীনে ইসলামীর সৌন্দর্য

লেখকঃ শাইখ আবদুর রহমান ইবন নাসের ইবন সা‘দী রহ.

২২
বিংশ দৃষ্টান্ত: ইসলামের অস্বাভাবিক ও অলৌকিক ব্যাপক ও দিগন্ত জোড়া বিজয়সমূহে সামগ্রিক দৃষ্টিপাত; অতঃপর শত্রুদের প্রকাশ্য শত্রুতা, প্রচণ্ড বিরোধিতা ও তার সাথে তাদের চিরাচরিত সংঘাতমুখর অবস্থান সত্ত্বেও সম্মানের সাথে তা বিদ্যমান থাকার ব্যাপারটি সম্পর্কে।
আর এটা বুঝা যায়, এই দ্বীন তথা জীবনব্যবস্থার উৎসের দিকে নজর দিলেই; কিভাবে তা আরব উপদ্বীপের অধিবাসীদের অন্তরের মধ্যে বিভেদ এবং প্রচণ্ড বিদ্বেষ ও শত্রুতা বিদ্যমান থাকার পরেও তাদেরকে ঐক্যবদ্ধ করেছে; আর কিভাবে তাদেরকে সংঘবদ্ধ করেছে, তাদের দূরবর্তীদেরকে নিকটবর্তীদের সঙ্গে একত্রিত করেছে এবং তাদের মধ্যকার ঐ শত্রুতাকে দূর করে দিয়েছে; আর ঈমানী ভ্রাতৃত্ববোধকে তার যথাস্থানে প্রতিস্থাপন করেছে।

অতঃপর তারা পৃথিবীর দিক দিগন্তে ঝাঁপিয়ে পড়েছে তার বিভিন্ন ভূখণ্ডকে জয় করার জন্য; আর এই ভূখণ্ডসমূহের শীর্ষে ছিল অত্যন্ত শক্তিশালী পারস্য ও রোম জাতি; যাদের রাজত্ব ছিল বিরাট, শক্তি ছিল প্রচণ্ড আকারের এবং সংখ্যা ও স্থায়িত্বের দিক থেকে ছিল অনেক বেশি পরিমাণে; অতঃপর তারা এই উভয় সাম্রাজ্যকে জয় করেছে এবং এই জয় সম্ভব হয়েছিল তাদের দ্বীন, ঈমানী শক্তি এবং তাদের প্রতি আল্লাহ তা‘আলার সাহায্য ও সহযোগিতার বদৌলতে; এমনকি শেষ পর্যন্ত ইসলাম পৃথিবীর পূর্ব থেকে পশ্চিম পর্যন্ত পৌঁছে গেছে।

অতঃপর এটাকে আল্লাহ তা‘আলার অন্যতম নিদর্শন, তাঁর দ্বীনের সত্যতার দলিল এবং তাঁর নবীর মু‘জিযা হিসেবে গণনা করা হয়; আর এই জন্যই মানবজাতি কোন প্রকার জোরজবরদস্তি ও অস্থিরতা ছাড়াই স্বজ্ঞানে দৃঢ় আস্থার সাথে দলে দলে এই দ্বীনের মধ্যে প্রবেশ করেছে ও করছে।

অতএব যে ব্যক্তি এই বিষয়টির প্রতি সামগ্রিকভাবে দৃষ্টি দেবে, সে বুঝতে পারবে যে, এটা হল সত্য দ্বীন, যার মোকাবিলায় বাতিল কিছুতেই সফল হবে না, যতই সে শক্তিশালী হোক এবং তার প্রভাব ও প্রতিপত্তি যতই প্রবল হোক না কেন।

এটা বুঝা যাবে স্বয়ংক্রিয় জ্ঞান-বুদ্ধির মাধ্যমে এবং তাতে কোন ন্যায়পরায়ণ লোক সন্দেহ পোষণ করবে না; আর তা অত্যাবশ্যক বা জরুরি বিষয়ের অন্তর্ভুক্ত।

কিন্তু এই যুগের লেখকদের একটি দল তার বিপরীত কথা বলেন, যাদেরকে অসমর্থিত চিন্তাধারা ইসলামের শত্রুদের সমর্থন করার দিকে ঠেলে দিয়েছে; সুতরাং তারা ধারণা করে যে, ইসলামের সম্প্রসারণ ও তার বিস্ময়কর বিজয়সমূহ নির্ভেজাল বস্তুগত বিষয় ও কর্মকাণ্ডের উপর প্রতিষ্ঠিত; আর তারা এই বিজয়সমূহকে তাদের ভুল ধারণার ভিত্তিতে বিচার বিশ্লেষণ করেছে।

আর তাদের এই বিশ্লেষণটির মাধ্যমে যে কথাটি তারা বলতে চাচ্ছে তা হচ্ছে, ইসলামের বিজয় মূলত: পারস্য ও রোম সম্রাটদের রাষ্ট্রীয় দুর্বলতার কারণে, আর আরবের বস্তুগত শক্তির আধিক্যতার কারণে।

নিঃসন্দেহে প্রকৃত অবস্থা সম্পর্কে সামান্যতম ধারণাই তাদের উপরোক্ত কল্পনাপ্রসূত বিশ্লেষণ বাতিল করার জন্য যথেষ্ট।

কারণ, আরবের মধ্যে ঐ সময়ে এমন কোন শক্তি ছিল, যার দ্বারা তারা ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র রাষ্ট্র বা সরকারসমূহের মধ্য থেকে একটি ক্ষুদ্রতম সরকারকে প্রতিরোধ করা বা উৎখাত করার মত উপযুক্ত ছিল? সে সময়ের মধ্যে সাধারণভাবে সবচেয়ে শক্তিশালী এবং একই সময়ে জনসংখ্যা ও প্রস্তুতির দিক থেকে বিশাল বড় রাষ্ট্র ও জাতিকে প্রতিরোধ করা তো দূরে থাক। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তারা (মুসলিমগণ) সামগ্রিকভাবে ঐসব সাম্রাজ্যকে টুকরা টুকরা করে দিয়েছিল এবং ঐসব শক্তিশালী সাম্রাজ্যের সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলো আল-কুরআন ও ইনসাফপূর্ণ দ্বীনের বিধানসমূহ দখল করে নিয়েছিল, যা প্রত্যেক ন্যায়পরায়ণ ব্যক্তি ও হকপন্থী লোক তার যথার্থতা উপলব্ধি করে সাদরে গ্রহণ করে নিয়েছিলেন।

সুতরাং শুধুমাত্র বস্তুগত বিষয়ে আরবদের শ্রেষ্ঠত্বের কারণে এই সম্প্রসারিত ব্যাপক বিজয় অর্জিত হয়েছে বলে ব্যাখ্যা করা সম্ভব কি?

এই ধারায় শুধু তারাই কথা বলে, যারা ইসলামী জীবনব্যবস্থার মধ্যে দুর্নাম ছড়িয়ে দিতে চায়, অথবা তারাই এই ধরনের কথা বলে, যাদের মধ্যে শত্রুদের কথা বাস্তবতা বিবর্জিত অবস্থায় ছড়িয়ে আছে।

অতঃপর ধারাবাহিক দুর্যোগ ও দুর্ঘটনা এবং শত্রুদের প্রকাশ্য শত্রুতার পরেও এই দ্বীন তার যথাযথ স্বকীয়তা নিয়ে অবশিষ্ট থাকাটা এই দ্বীনের নিদর্শনসমূহের মধ্যে অন্যতম; আর এটাই সত্যিকার অর্থে আল্লাহর দ্বীন। সুতরাং যদি এমন পর্যাপ্ত শক্তি এই দ্বীনকে সহযোগিতা করে, যা তার ব্যাপারে সীমলংঘনকারীদের বাড়াবাড়ি ও বিদ্রোহীদের বিদ্রোহকে প্রতিরোধ করে, তবে পৃথিবীতে এই দ্বীন ব্যতীত অন্য কোন ধর্ম অবশিষ্ট থাকত না এবং কোন প্রকার জোর জবরদস্তি ও বাধ্যবাধকতা ছাড়াই মানবজাতি তাকে গ্রহণ করত। কারণ, তা হল সত্যের ধর্ম, স্বভাবধর্ম এবং সততা ও সংস্কারের ধর্ম; কিন্তু তার অনুসারীদের সংকীর্ণতা, দুর্বলতা, অনৈক্য ও তাদের উপর তাদের শত্রুদের নির্যাতন-নিষ্পেষণই তার অগ্রযাত্রাকে থামিয়ে দিয়েছে; সুতরাং আল্লাহর সাহায্য ছাড়া এই অবস্থা থেকে উত্তরণের কোন শক্তি ও সামর্থ্য আমাদের নেই।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন