hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

নবুওয়তের দাবীদারদের উৎপত্তি ও ঐতিহাসিক পরিণতি

লেখকঃ ড. আবু বকর মুহাম্মাদ যাকারিয়া

২৪
৩.৩ গোলাম আহমাদ ইবন্ মীর্যা গোলাম কাদিয়ানী
১৮৩৬ বা ১৮৩৭ অথবা ১৮৩৯ খ্রীষ্টাব্দে ভারতের পাঞ্জাব প্রদেশের গুরুদাসপুর জেলার কাদিয়ান নগরীতে তার জম্ম হয়। নিজেকে সে আহলে বাইত তথা কুরাইশ বংশীয় বলে দাবী করতে দ্বিধা করেনি। অথচ সে নিজেই তার বংশধারা সম্পর্কে ভিন্ন ভিন্ন মত দিয়েছে। একবার বলেছে যে সে পারস্য বংশোদ্ভূত। আবার কখনো কখনো বলত যে, সে মঙ্গোলীয় বা মোগল [আবুল হাসান আলী আন-নদভী, আল-কাদিয়ানী ওয়াল কাদিয়ানিয়্যাহ, পৃ. ২০। জহীর , ইহসান ইলাহী, আল-কাদিয়্যানিয়্যাহ, দিরাসাহ্ ওয়া তাহলীল পৃ. ১২৫-১২৬।]।

পাঞ্জাবের তৎকালীন মহারাজা রনজিত সিং এর সময়ে মীর্যা পরিবারের প্রতি মহারাজার দৃষ্টি সুপ্রসন্ন হয়। ফলে তারা এলাকায় মহারাজার একনিষ্ঠ ভক্তে পরিণত হয়। পরবর্তীতে ইংরেজরা এদেশ দখল করলে মীর্যা পরিবার তাদের কৃপা লাভের প্রচেষ্টা চালায়। মীর্যা গোলাম আহমাদ নিজেই ইংরেজ প্রশাসনকে বিভিন্ন পত্রাদি দিয়ে এ বিষয়টির স্বীকৃতি দিয়ে কৃপা লাভের প্রচেষ্টা চালায় [আওয়াজী, ড. গালিব, ফিরাকুন মু‘আসারাতুন, দামনাহুর: মাকতাবাতু লীনাহ, প্রথম সংস্করণ, ১৪১৪ হি. খ.২ পৃ. ৪৯৭-৫০৩।]।

যখন মীর্যার বয়স ২৫ বছর হয় তখন সে তৎকালীন ইংরেজ সরকারের অধীনে কেরানীর চাকুরী গ্রহণ করে। ১৮৫৫ বা ১৮৫৩ সালে মীর্যা গোলাম আহমাদ প্রথম বিয়ে করে।

১৮৭৯ সালে মীর্যা গোলাম প্রথম দাবী করতে শুরু করে যে সে আল্লাহ্র পক্ষ থেকে প্রেরিত সংস্কারক ও সংশোধনকারী রাসূল [আত-তাইয়্যেব, প্রাগুক্ত, পৃ. ৭৬।]। ১৮৮৪ সালে সে দ্বিতীয়বার বিয়ে করে। এরপর সে দাবী করে বসে যে, সেই প্রতিশ্রুত মাহদী, যার সম্পর্কে বিভিন্ন হাদীসে সুসংবাদ দেয়া হয়েছে। তারপর সে নিজেকে নবী বলে দাবী করে [প্রাগুক্ত, পৃ. ৭৭-৭৯।]। তারপর বাকী ৩০ বছর সে যে সমস্ত গ্রন্থ রচনা করে সেগুলোকে সে আল্লাহ‌্‌র পক্ষ থেকে অহী বলে দাবী করতে থাকে [আওয়াজী, প্রাগুক্ত খ.২ পৃ. ৪৯১, ৪৯২।]। এভাবে সে মুসলমানদের মধ্যে সবচেয়ে বড় সমস্যা ও ফেতনার সৃষ্টি করে। ১৯০৮ সালে লাহোর নগরীতে কলেরা রোগে আক্রান্ত হয়ে তার মৃত্যু হয়। তাকে কাদিয়ানে দাফন করা হয় [প্রাগুক্ত, খ. ২, পৃ. ৫৬১।]।

গোলাম আহমাদ কাদিয়ানীর অনুসারীরা বর্তমানে বিশ্বের অধিকাংশ দেশে তাদের কর্মকান্ড পরিচালনা করে থাকে। সাম্রাজ্যবাদী মুসলিম-বিদ্বেষী শাসকগোষ্ঠী কাদিয়ানীদের যাবতীয় সাহায্য-সহযোগিতা করে থাকে [বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে তাদের অনুসারী ও অফিস আছে। বিশেষ করে ঢাকার বখশীবাজার এলাকায় আহমাদীয়া মসজিদ কমপ্লেক্স তাদের প্রধান দপ্তর।]।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন