মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
আসসালামু আলাইকুম, Hadith.one বন্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে! আমাদের সার্ভারের মেয়াদ ১১ অক্টোবর ২০২৫ এ শেষ হবে, এবং এবং ওয়েবসাইট টি চালানোর জন্য আমাদের কোনো ফান্ড নেই।
🌟 আপনার দান এই প্ল্যাটফর্মকে বাঁচাতে পারে এবং প্রতিটি হাদিস পড়ার মাধ্যমে সদকাহ জারিয়ার অংশীদার হতে পারেন!
🔗 অনুগ্রহ করে আপনার দানের মাধ্যমে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি চালিয়ে নিতে সাহায্য করুন!
জাযাকাল্লাহু খাইরান!
৪.৩.১ মুসলিম জাতির প্রতি ইয়াহূদী জাতির প্রতিহিংসা:
মুসলিমদের বিরুদ্ধে ইয়াহূদী জাতির প্রতিহিংসা সবারই জানা। মহান আল্লাহ্ পবিত্র কুরআনেই সেটা ঘোষণা করেছেন [সূরা আল-মায়েদাহ: ৮২।]। আমরা এর প্রমাণ পাই রাসূলের সাথে মদীনার ইয়াহূদীদের বিভিন্ন আচরণে। পরবর্তীতে তারা সম্মুখসমর পরিত্যাগ করে ইসলামের মধ্যে মুসলিম নামধারী তাদের অনুচরদের মাধ্যমে এ শত্রুতা চালিয়ে যেতে থাকে।
শিয়া সম্প্রদায় থেকেই উমাইয়া, আববাসী তথা পরবর্তী অধিকাংশ নবুওয়তের দাবীদারদের উত্থান হয়েছিল। আমরা যদি শিয়া সম্প্রদায়ের উৎপত্তি সম্পর্কে দৃষ্টি দেই তাহলে দেখতে পাব যে, তাদের উত্থানের মূলে ছিল: ‘আব্দুল্লাহ ইবন্ সাবা’ নামক জনৈক ইয়াহূদী। সে ইয়াহূদী ধর্ম থেকে বিভিন্ন আকীদা বিশ্বাস নিয়ে এসে চটকদার আহবানের মাধ্যমে পারসিকদেরকে তার নিজের দলে ভিড়াতে আরম্ভ করে। পরবর্তীতে তারই রেখে যাওয়া মতবাদের উপর শিয়া সম্প্রদায়ের উদ্ভব ঘটে [যাকারিয়্যাহ, ড. আবু বকর মুহাম্মাদ, আশ-শিরক ফিল কাদীম ওয়াল হাদীস, (আর-রিয়াদ: মাকতাবাতুর রুশদ), ২য় সংস্করণ, ১৪২২ হি. খ.২, পৃ.৬৪৯।]।
অন্য আরেকটি বিষয়ও এ ক্ষেত্রে প্রণিধানযোগ্য, তা হলো: বাবিয়্যাহ ও বাহাহিয়্যাহ সম্প্রদায়ের অনুসারীদের অনেকেই ইয়াহূদীদের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ সাহায্যের উপর টিকে আছে। এমনকি গোলাম আহমাদ কাদিয়ানী ও তার অনুসারীরা ইয়াহূদী রাষ্ট্র ও সরকারের কাছ থেকে পর্যাপ্ত সুযোগ সুবিধা ভোগ করে থাকে [আত-তাইয়্যেব, প্রাগুক্ত, পৃ. ৯০-৯১।]।
৪.৩.২ মুসলিম জাতির প্রতি উপনিবেশবাদী তথা খ্রিষ্ট জগতের প্রতিহিংসা:
সশস্ত্র সম্মুখ যুদ্ধে ক্রুসেডের যুদ্ধে মুসলিমদেরকে পরাভূত করতে অসমর্থ হওয়ার পর খ্রিষ্টজগত মুসলমানদের বিরুদ্ধে হিংসাত্মক ষড়যন্ত্রে মেতে উঠে। তারা মুসলমানদেরকে নিজেদের মধ্যে মতবিরোধ, হানাহানি, মারামারিতে লিপ্ত করার যাবতীয় প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখে। তাই তারা যত বেশী সম্ভব খারাপ আকীদা-বিশ্বাস, সন্দেহ ভিন্ন ভিন্ন নামে প্রবিষ্ট করতে থাকে। এভাবে উপনিবেশ শাসন অবসানের পরও মুসলমানরা তাদের চিন্তা-চেতনা, বুদ্ধি-বিবেককে উপনিবেশবাদীদের শিখিয়ে দেয়া বুলির বাইরে নিয়ে যেতে পারেনি।
পাদ্রী ‘যুওয়াইমার’ বলেন: ‘মুসলমানদেরকে খ্রীষ্ট ধর্মে দীক্ষিত করার জন্য যা প্রয়োজন তা হলো তাদের নিজেদের মধ্য থেকে কোন নবীর আবির্ভাব ঘটানো, তাদের মধ্যে বিবেদ সৃষ্টি করা, যাতে করে কোন গাছের শাখাই সেই গাছ কেটে ফেলার মত কাজ করে’ [এল, এল, শানলি, আল-গাররা আলাল আলামিল ইসলামী, আরবী অনুবাদ: মুহিববুদ্দিন আল-খতীব, (কায়রো: ২য় সংস্করণ, আল-মাতবা‘য়াতুস সালাফিয়্যাহ), পৃ. ৩২।]।
তাছাড়া ১৮৬৯ সালে উপনিবেশবাদী চক্র ভারতের মুসলমানদের সম্পর্কে একটি রিপোর্ট দেয় তা হলো, ‘‘যেহেতু ভারতীয় মুসলমানরা তাদের নেতার পিছনেই চলে থাকে তাই তাদেরকে তাদের দীন থেকে তখনই দূরে সরানো যাবে যখন তাদের মধ্য থেকেই একজনকে নবুওয়তের দাবীদার বানানো যাবে। যাতে করে একটি গোষ্ঠী তার অনুসারী হয়ে পড়ে।’’ [আল-গামেদী, প্রাগুক্ত, পৃ. ৩৩৫।]
এভাবে তারা তাদের মনের মত করে গোলাম আহমাদ কাদিয়ানীকে তৈরী করে। যে ব্যক্তি তাদের জন্য হাদীয়া হিসেবে ঘোষণা করে যে, ব্রিটিশ বেনিয়াদের আনুগত্য করা ফরয এবং তাদের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করা না জায়েয। সে আরও ঘোষণা করে যে, জ্বিহাদ বলতে কিছু নেই।
যেভাবে ব্রিটিশরা ভারতে গোলাম আহমদ কাদিয়ানীকে তৈরী করে তেমনি করেছিল, ইরানেও রাশিয়া ও ফ্রান্সের উপনিবেশবাদীরা বাব এবং বাহাকে তৈরী করেছিল। তারা মুসলমানদের শক্তিকে ভিন্ন ভিন্ন খাতে পরিচালিত করে নিজেদেরকে নিরাপদ করতে চেয়েছিল।
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/765/28
রিডিং সেটিংস
Bangla
English
Bangla
Indonesian
Urdu
System
System
Dark
Green
Teal
Purple
Brown
Sepia
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
Kfgq Hafs
Qalam
Scheherazade
Kaleel
Madani
Khayma
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
Kalpurush
Rajdip
Bensen
Ekushe
Alinur Nakkhatra
Dhakaiya
Saboj Charulota
Niladri Nur
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।