মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
আসসালামু আলাইকুম, Hadith.one বন্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে! আমাদের সার্ভারের মেয়াদ ১১ অক্টোবর ২০২৫ এ শেষ হবে, এবং এবং ওয়েবসাইট টি চালানোর জন্য আমাদের কোনো ফান্ড নেই।
🌟 আপনার দান এই প্ল্যাটফর্মকে বাঁচাতে পারে এবং প্রতিটি হাদিস পড়ার মাধ্যমে সদকাহ জারিয়ার অংশীদার হতে পারেন!
🔗 অনুগ্রহ করে আপনার দানের মাধ্যমে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি চালিয়ে নিতে সাহায্য করুন!
জাযাকাল্লাহু খাইরান!
ষড়যন্ত্র, মূর্খতা ও হিতাহিত জ্ঞানশূন্যতার ফলে, বিভিন্ন পরিস্থিতি, আনুকুল্যতা ও প্রতিকুলতার বিভাজনে, ইসলামি আকিদার ভেতর শ্রীহীনতা ও অনাকাঙ্খিত কুসংস্কারের অনুপ্রবেশ ঘটেছে। জন্ম হয়েছে বিভিন্ন দল-উপদলের। কাদারী, জাহমী, শিয়া, রাফেযী, খারেজী, মাজার পূজারি, ব্যক্তির আধ্যাত্মিক শক্তিতে বিশ্বাসীর ন্যায় অনেক ফিরকা। যাদের আকিদা প্রকৃতি বিরুদ্ধ, বিজ্ঞান প্রত্যাখ্যাত, পাগলামি, প্রলাপ, শুধুই ভক্তিনির্ভর, বাড়াবাড়ি, কল্পনা ও গোড়ামি নির্ভর। যে আকিদার সাথে সর্ম্পক নেই আল্লাহ, তাঁর রাসূল কিংবা পথিকৃৎ আসহাবে রাসূলের সাথে। তাই প্রয়োজন; স্বচ্ছ-পরিচ্ছন্ন-খাঁটি ইসলামী আকিদার পৃথকিকরণ। যে আকিদা কুরআনে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অনুমোদিত, সাহাবায়ে কেরামের অনুসৃত। অর্থাৎ আহলে সুন্নাত ওয়াল জামা‘আতের আকিদা, ত্বায়েফায়ে মানসুরার (সাহায্যপ্রাপ্ত গোষ্ঠীর) আকিদা, ফিরকায়ে নাজিয়ার (মুক্তিপ্রাপ্ত গোষ্ঠীর) আকিদা। এ আকিদা-ই প্রকৃতির অনুকূল, মানব স্বভাবের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ, বিজ্ঞানের পরিপূরক। এ আকিদার দ্বারাই সুষ্ঠু-সুন্দর ও সুনিপুনভাবে নিয়ন্ত্রিত, পরিচালিত ও নির্দেশিত হতে পারে মানবজাতি। সংশোধিত হতে পারে তার সত্তা, পরিবার, সমাজ, রাষ্ট্র ও বিশ্ব। এ আকিদার মাধ্যমে দূরীভূত হতে পারে দুর্নীতি, যুলুম, বর্বরতা, অরাজকতা ও বিশৃঙ্খলা- ব্যক্তি, পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্র থেকে। প্রতিষ্ঠিত হতে পারে হিংসা ও বিদ্বেষহীন, ভ্রাতৃত্ব ও সৌহার্দ্যপূর্ণ ব্যক্তি, সমাজ, রাষ্ট্র ও বিশ্ব।
আমাদের এ আকিদা-বিশ্বাসে বালা-মুসীবত দূর কিংবা প্রতিরোধের জন্য তাগা, রিং, আংটা, শঙ্খ-শামুক, সূতা ইত্যাদি শরীরের কোনো অংশে ঝুলানোর কিংবা বাধার বিধান নেই। [আল্লাহ তা‘আলা বলেন, “(হে রাসূল) আপনি বলে দিন, আল্লাহকে ছাড়া যাদের আহ্বান করো, তোমরা মনে করো কি তারা আমাকে রক্ষা করতে পারবে? যদি আল্লাহ আমার কোনো ক্ষতি করতে চান।” [সূরা আয-যুমার, আয়াত: ৩৮] ইমরান ইবন হুসাইন রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এক ব্যক্তির হাতে হলুদ তাগা দেখে জিজ্ঞেস করলেন, “এটা কী?” লোকটি বলল, এটা দুর্বলতা দূর করার জন্য দেওয়া হয়েছে। তিনি বললেন, “এটা খুলে ফেল, কারণ এটা শুধু দুর্বলতাই বৃদ্ধি করবে। আর এটা নিয়ে মারা গেলে কখনোই তুমি সফলকাম হবে না।” (আহমাদ) উকবা ইবন আমের রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে একটি “মারফু” হাদীসে বর্ণিত আছে, “যে ব্যক্তি তাবিজের সাথে নিজেকে সম্পৃক্ত করে নেয়, (আল্লাহর উপর ভরসা না করে) আল্লাহ যেন তার আশা পূরণ না করেন। যে ব্যক্তি কড়ি, শঙ্খ বা শামুকের সাথে নিজেকে সম্পৃক্ত করে, তাকে যেন আল্লাহ রক্ষা না করেন।” অপর একটি বর্ণনায় আছে, “যে ব্যক্তি তাবিজ ঝুলালো সে শির্ক করলো।” (আহমাদ) ইবন আবি হাতেম বর্ণনা করেন, হুযাইফা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু এক অসুস্থ ব্যক্তিকে দেখতে গিয়ে দেখেন “জ্বর নিরাময়ের জন্য হাতে সুতা বা তাগা বাঁধা, তিনি সুতা কেটে ফেললেন এবং কুরআনের এ আয়াতটি তিলাওয়াত করেন, যার অর্থ “তাদের অধিকাংশই শির্ক করে, আবার আল্লাহর ওপরও ঈমান আনে” [সূরা ইউসুফ, আয়াত: ১০৬] অর্থাৎ তাদের ঈমান নির্ভেজাল বা খাটি নয়। (আল-কাওলুস সাদীদ শরহু কিতাবুত তাওহীদ: শাইখ আব্দুর রহমান ইবন নাসের আস-সা‘দী)] গাছ, পাথর বরকতময় বা আল্লাহর নৈকট্য অর্জনের বস্তু মনে করার সুযোগ নেই। [আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন, “তোমরা কি (পাথরের তৈরি মুর্তি) ‘লাত’ আর “উয্যা” নিয়ে চিন্তা করেছ?” [সূরা আন-নাজম, আয়াত: ১৯] আবূ ওয়াকিদ আল-লাইছী বলেন, “আমরা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাথে হুনাইনের (যুদ্ধের) উদ্দেশ্যে রওয়ানা হলাম। আমরা তখনও নও মুসলিম। কোথাও মুশরিকদের একটি কুলগাছ ছিল, যার চারপাশে তারা বসতো এবং তাতে সমরাস্ত্র ঝুলিয়ে রাখতো। গাছটি তারা ذات أنواط (যাত আনওয়াত) বলতো। আমরা একদিন রাসূলসহ সে কুলগাছের পাশ দিয়ে যাচ্ছিলাম। আমরা বললাম, ‘হে আল্লাহর রাসূল তাদের যেমন “যাতু আনওয়াত” আছে আমাদের জন্যও অনুরূপ “যাতু আনওয়াত” নির্ধারণ করে দিন। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ কথা শুনে বললেন, “আল্লাহু আকবার! এ একটি কু-প্রথা; আমার জীবনের মালিক-আল্লাহর কসম, তোমরা বনী ইসরাইলের মতো উক্তি করেছ; তারা মূসা আলাইহিস সালামকে বলেছিল। “হে মূসা, মুশরিকদের যেমন মা‘বুদ আছে আমাদেরও তেমন মা‘বুদ বানিয়ে দাও। মুসা আলাইহিস সালাম বললেন, তোমরা মূর্খের মতো কথা বলছ।” [সূরা আল-আ‘রাফ, আয়াত: ১৩৮] বাস্তবে তোমরা তাদেরই অনুসরণ করছ। তিরমিযী হাদীসটি বর্ণনা করে সহীহ বলেছেন। আল-কাওলুস সাদীদ শরহু কিতাবুত তাওহীদ: শাইখ আব্দুর রহমান ইবন নাসের আস-সা‘দী।] শরী‘আত সমর্থিত ঝাড়-ফুঁক ব্যতীত অন্য কিছু দিয়ে ঝাড়-ফুঁক করা বা তাবিজ-কবজ ব্যবহারের কোনো স্বীকৃতি নেই। [আবূ বাসীর আনসারী রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু বলেন, আমি একবার রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সফর সঙ্গী ছিলাম। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একটি জনপদে দূত পাঠালেন, এ নির্দেশ দিয়ে; কোনো উটের গলায় ধনুকের রজ্জু লটকানো থাকবে না, থাকলে তা যেন কেটে ফেলা হয়। (সহীহ বুখারী) ইবন মাসউদ রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু বলেন, “আমি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি, “ঝাড়-ফুঁক ও তাবিজ-কবজ হচ্ছে শির্ক” (আহমাদ, আবূ দাউদ) আবদুল্লাহ ইবন উকাইম-এর মারফু‘ হাদীসে আছে, “যে কোনো জিনিস (তাবিজ-কবজ) লটকায় সে উক্ত জিনিসেই সোপর্দ হয়।” (আহমাদ, তিরমিযী) তাবিজ: বদনজর থেকে রক্ষার জন্য সন্তানদের গায়ে ঝুলানো বস্তু। ঝুলন্ত বস্তুটি কুরআনের অংশ হলে সলফে সালেহীনের কেউ অনুমতি দিয়েছেন, আবার কেউ অনুমতি দেন নি বরং শরী‘আত কর্তৃক নিষিদ্ধ মনে করতেন। ইবনে মাসউদ রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু তাদের একজন। ঝাড়-ফুঁককে عزائم বলা হয়। যেসব ঝাড়-ফুঁক শির্কমুক্ত তা অন্য দলীলের দ্বারা বৈধ প্রমাণিত। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বদনজর এবং সাপ বিচ্ছুর বিষের জন্য ঝাড়-ফুঁকের অনুমতি দিয়েছেন। تولة তিওয়ালা কবিরাজদের বানানো কবজ: তাদের দাবী এর (কবজ) দ্বারা স্ত্রীর অন্তরে স্বামীর ভালোবাসা, স্বামীর অন্তরে স্ত্রীর ভালোবাসার জন্ম হয়। ইমাম আহমাদ বলেন, সাহাবী রুওয়াইফি‘ বলেছেন, “রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে উদ্দেশ্য করে বলেন, “হে রুওয়াইফি‘, তুমি সম্ভবত দীর্ঘজীবি হবে। মানুষদের জানিয়ে দিও, “যে ব্যক্তি দাঁড়িতে গিরা দেয়, গলায় তাবিজ-কবজ ঝুলায়, পশুর মল কিংবা হাড় দ্বারা এস্তেঞ্জা করে; আমি মুহাম্মাদ তার থেকে সম্পূর্ণ মুক্ত।” সা‘ঈদ ইবন জুবাইর থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, “যে ব্যক্তি কোনো মানুষের তাবিজ-কবজ ছিড়ে ফেলল বা কেটে ফেলল সে একটি গোলাম আযাদ করার সওয়াব অর্জন করল।” (ওয়াকী) ইবরাহীম রহ. বলেন, আমাদের পূর্বসূরী বড় আলেমগণ সব ধরনের তাবীজ-কবজ অপছন্দ করতেন, তার উৎস কুরআন হোক বা অন্য কিছু। [আল-কাওলুস সাদীদ শরহু কিতাবুত তাওহীদ: শাইখ আব্দুর রহমান ইবন নাসের আস-সা‘দী।]] আল্লাহ ছাড়া অন্য কারো নামে মান্নত করা, কাউকে ডাকা, ফরিয়াদ করা, কারো নামে কুরবানি করার অনুমতি নেই। [আল্লাহ তা‘আলা বলেন, “কিছু সংখ্যক লোক কতিপয় জিন্নের কাছে আশ্রয় চাচ্ছিল, যার ফলে তাদের (জিন্নদের) গর্ব ও আহমিকা আরো বেড়ে বৃদ্ধি পেল।” [সূরা আল-জিন্ন, আয়াত: ৬] খাওলা বিনতে হাকীম রাদিয়াল্লাহু ‘আনহা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, “আমি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি, যে কোনো অবতরণ স্থানে পৌঁছে বলে, أعوذ بكلمات الله التامات من شرما خلق “আমি আল্লাহ তা‘আলার পূর্ণাঙ্গ কালামের মাধ্যমে তাঁর সৃষ্টির সকল অনিষ্টতা থেকে আশ্রয় চাই।” (সহীহ মুসলিম) সে ঐ মঞ্জিল ত্যাগ না করা পর্যন্ত কোনো বস্তুর ক্ষতির শিকার হবে না। (সহীহ মুসলিম) আল্লাহ তা‘আলা বলেন, “আল্লাহ ব্যতীত এমন সত্তাকে ডেকো না, যা তোমার কোনো উপকার কিংবা ক্ষতি করতে পারবে না। অন্যথায় তুমি একজন যালিম। অপর দিকে আল্লাহ তোমাকে বিপদে ফেললে, তিনি ব্যতীত কেউ তোমাকে উদ্ধার করতে পারবে না।” [সূরা ইউনুস, আয়াত: ১০৬, ১০৭] অল্লাহ আরো বলেন, “তার চেয়ে অধিক গুমরাহ আর কে? -যে আল্লাহ ছাড়া এমন সত্ত্বাকে ডাকে যে কিয়ামত পর্যন্ত তার ডাকে সাড়া দিবে না”। [সূরা আল-আহকাফ, আয়াত: ৫] আল্লাহ আরো বলেন, “বিপদগ্রস্ত ব্যক্তির ডাকে কে সাড়া দেয়? -যখন সে ডাকে; কে তার কষ্ট দূর করে?” [সূরা আন-নামল, আয়াত: ৬২] ইমাম তাবরানী বর্ণনা করেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের যুগে একজন মুনাফিক ছিল, যে মুমিনদের কষ্ট দিত। মুমিনরা পরস্পর বলল: চলো, আমরা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাছে তার অত্যাচার হতে বাচাঁর জন্য সাহায্য চাই। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদের বললেন, “আমার কাছে সাহায্য চাওয়া যায় না, সাহায্য একমাত্র আল্লাহর কাছেই চাইতে হয়।” আল্লাহ তা‘আলা বলেন, “তোমার রবের জন্য সালাত পড় এবং কুরবানি কর।” [সূরা আল-কাওসার, আয়াত: ২] আলী রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি আল্লাহ ছাড়া অন্য কারো জন্য কুরবানি করবে তার ওপর আল্লাহর লা‘নত। (সহীহ মুসলিম) আল-কাওলুস সাদীদ শরহু কিতাবুত তাওহীদ: শাইখ আব্দুর রহমান ইবন নাসের আস-সা‘দী।] নেককার লোকদের কবর নিয়ে বাড়াবাড়ি করা, মসজিদ বানানো, [সহীহ হাদীসে ইবন আব্বাস রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুমা থেকে বর্ণিত, আল্লাহ তা‘আলার বাণী “কাফেররা বলল, ‘তোমরা নিজেদের মাবূদগুলো পরিত্যাগ করো না। বিশেষ করে “ওয়াদ”, “সু‘আ”, “ইয়াগুছ” “ইয়াঊক” এবং “নসর।” [সূরা নূহ, আয়াত: ২৩] এর ব্যাখ্যায় তিনি বলেন, ‘এগুলো নূহ আলাইহিস সালামের কাওমের কতিপয় নেককার-বুজুর্গ ব্যক্তির নাম, তারা মারা গেলে, শয়তান তাদের অনুসারীদের কুমন্ত্রণা দিয়ে বলল, ‘যেসব জায়গায় তাদের মজলিস হত সেসব জায়গাতে তাদের মুর্তি স্থাপন কর এবং তাদের সম্মানার্থে তাদের নামেই মুর্তিগুলোর নামকরণ কর। তারা তাই করল। তাদের জীবদ্দশায় মুর্তির পূজা করা হয় নি ঠিকই; কিন্তু মূর্তি স্থাপন কারীদের মৃত্যুর পর, মুর্তি স্থাপনের ইতি কথা ভুলে, মুর্তিগুলোর ইবাদত শুরু হলো। ইবনুল কাইয়্যেম রহ. বলেন, একাধিক আলেম বলেছেন, ‘নেককার-বুজুর্গ ব্যক্তিগণ মারা গেলে, তাদের কাওমের লোকেরা কবরের পাশে ধ্যান-মগ্ন হয়ে বসে থাকত। একধাপ এগিয়ে তাদের প্রতিকৃতি তৈরি করে নিল। এভাবে বহুদিন অতিক্রান্ত হল, অতঃপর তারা তাদের ইবাদত আরাম্ভ করল। [আল-কাওলুস সাদীদ শরহু কিতাবুত তাওহীদ: শাইখ আব্দুর রহমান ইবন নাসের আস-সা‘দী।]] জাদুকর, গণক, [আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন, “তারা অবশ্যই অবগত, যে (জাদু) ক্রয় করেছে, পরকালে তার সুফল নেই।” [সূরা আল-বাকারাহ, আয়াত: ১০২] আল্লাহ তা‘আলা আরো বলেন, “তারা “জিবত” এবং “তাগুত” কে বিশ্বাস করে।” [সূরা আন-নিসা, আয়াত: ৫১] উমার রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু বলেন, “জিবত” হচ্ছে জাদু, আর “তাগুত” হচ্ছে শয়তান। জাবির রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু বলেন, ‘তাগুত হচ্ছে গণক। তাদের উপর শয়তান অবতীর্ণ হত। প্রত্যেক গোত্রের জন্যই একজন করে গণক নির্ধারিত ছিল। আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, “তোমরা সাতটি ধ্বংসাত্মক বস্তু হতে বেঁচে থাক; সাহাবায়ে কেরাম জিজ্ঞাসা করলেন, হে আল্লাহর সাসূল, ঐ ধ্বংসাত্মক জিনিসগুলো কী? তিনি বললেন, ...জাদু করা। জুনদুব রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে ‘মারফু’ হাদীসে বর্ণিত আছে, “জাদুকরের শাস্তি হচ্ছে তলোয়ারের আঘাতে মৃত্যুদণ্ড। (তিরমিযী) সহীহ বুখারীতে বাজালা ইবন আবাদাহ থেকে বর্ণিত, উমার রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু মুসলিম গভর্ণরদের কাছে পাঠানো নির্দেশনামায় লিখেছেন, “তোমরা প্রত্যেক জাদুকর পুরুষ, জাদুকর নারীকে হত্যা কর।” বাজালা বলেন, এ নির্দেশের পর আমরা তিনজন জাদুকরকে হত্যা করেছি। হাফসা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহা থেকে বর্ণিত সহীহ হাদীসে আছে, তিনি তার অধীনস্থ একজন বান্দী (ক্রীতদাসী)-কে হত্যা করার নির্দেশ দিয়েছিলেন, যে দাসী তাকে জাদু করেছিলো। একই রকম হাদীস জুনদুব থেকে সহীহভাবে বর্ণিত হয়েছে। ইমাম আহমাদ রহ. বলেছেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের তিনজন সাহাবী থেকে একথা সহীহভাবে বর্ণিত হয়েছে। [আল-কাওলুস সাদীদ শরহু কিতাবুত তাওহীদ: শাইখ আব্দুর রহমান ইবন নাসের আস্ সা‘দী।]] নাশরাহ বা প্রতিরোধমূলক জাদু, [নাশরাহ বা প্রতিরোধমূলক জাদু: জাবের রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে নাশরাহ বা প্রতিরোধমূলক জাদু সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে। তিনি বলেন, “এটা হচ্ছে শয়তানের কাজ” (আহমাদ, আবূ দাউদ) আবূ দাউদ বলেন, ইমাম আহমাদ রহ.-কে নাশরাহ (প্রতিরোধমূলক জাদু) সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন; “ইবন মাসউদ রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু নাশরার সব কিছুই অপছন্দ করতেন।” সহীহ বুখারীতে কাতাদাহ রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, আমি ইবনুল মুসাইয়্যিবকে বললাম, “একজন লোকের অসুখ হয়েছে বা তাকে স্ত্রীর কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন করা হচ্ছে; তার এ সমস্যার সমধান কল্পে প্রতিরোধমূলক জাদুর (নাশরাহ) মাধ্যমে চিকিৎসা করা যাবে? তিনি বললেন, ‘কোনো সমস্যা নেই।’ কারণ, এর (নাশরাহ) দ্বারা তারা সংশোধন ও উপকার করতে চায়। যার দ্বারা মানুষের উপকার ও কল্যাণ সাধিত হয়, তা নিষিদ্ধ নয়।” অপর দিকে হাসান রাহিমাহুল্লাহ বলেন, لا يحل السحر إلا السحر “একমাত্র জাদুকর ছাড়া অন্য কেউ জাদুকে বিনষ্ট করতে সক্ষম হয় না।” ইবনুল কাইয়্যেম বলেন, النشرة حل السحر عن المسحور ‘নাশারাহ’ হচ্ছে জাদুকৃত ব্যক্তি বা বস্তুর উপর থেকে জাদুর প্রভাব দূর করা। নাশরাহ দু’ধরনের: প্রথমটি হচ্ছে, জাদুকৃত ব্যক্তি বা বস্তুর উপর থেকে জাদুর ক্রিয়া নষ্ট করার জন্য অনুরূপ জাদু দ্বারা চিকিৎসা করা। আর এটাই হচ্ছে শয়তানের কাজ। হাসান বসরী রহ.-এর বক্তব্য দ্বারা এ কথাই বুঝানো হয়েছে। এক্ষেত্রে নাশের (জাদুর চিকিৎসক) ও মুনতাশার (জাদুকৃত রোগী) উভয়ই শয়তানের অনুকরণের মাধ্যমে তার নৈকট্য লাভে সচেষ্ট হয়; বিনিময়ে শয়তান জাদুকৃত রোগী থেকে স্বীয় প্রভাব উঠিয়ে নেয়। দ্বিতীয়টি হচ্ছে, ঝাড়-ফুঁক আর বিভিন্ন ধরনের প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ, ঔষধ-পত্র প্রয়োগ ও শরী‘আতসম্মত দো‘আ ইত্যাদির মাধ্যমে চিকিৎসা করা; এ ধরনের চিকিৎসা জায়েয। ইবনুল মুসাইয়্যেবের বক্তব্য দ্বারা এ নাশরাই উদ্দেশ্য। [আল-কাওলুস সাদীদ শরহু কিতাবুত তাওহীদ: শাইখ আব্দুর রহমান ইবন নাসের আস-সা‘দী।]] জ্যোতিষ্ক, তারকার ক্ষমতায় বিশ্বাস, শান্তির জন্য কবুতর উড়ানো, মাটিতে রেখা টেনে অদৃশ্যের সংবাদ প্রদান, [রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কোনো এক স্ত্রী থেকে বর্ণিত আছে, তিনি বলেছেন, “যে গণকের কাছে এসে কিছু (ভাগ্য সম্পর্কে) জিজ্ঞাসা করল এবং তার কথায় বিশ্বাস করল, চল্লিশ দিন পর্যন্ত তার সালাত কবুল হবে না। (সহীহ মুসলিম) আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, “যে গণকের কাছে আসল, অতঃপর সে যা বলল তা সত্য বলে বিশ্বাস করল, সে মূলতঃ মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ওপর নাযিলকৃত কুরআনকেই অস্বীকার করল। [সহীহ বুখারী ও মুসলিমের শর্ত মোতাবেক হাদীসটি সহীহ। আবূ দাউদ, তিরমিযী, নাসাঈ, ইবন মাজাহ ও হাকিম এ হাদীসটি বর্ণনা করেছেন।] ইমরান ইবন হুসাইন থেকে মারফু’ হাদীসে বর্ণিত আছে, “যে পাখি উড়িয়ে ভালো-মন্দ ভাগ্য যাচাই করল; যার জন্য পাখি উড়ানো হলো; যে ভাগ্য গণনা করল; যার ভাগ্য গণনা করা হলো; যে জাদু করল; যার জন্য জাদু করা হলো; যে গণকের কাছে আসল; অতঃপর গণকের কথায় বিশ্বাস করল; সে মূলতঃ মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ওপর নাযিলকৃত কুরআনকে অস্বীকার করল। (বায্যার) ইমাম বগবী রহ. বলেন, গণক ঐ ব্যক্তিকে বলা হয়, যে চুরি হওয়া কিংবা হারিয়ে যাওয়া জিনিসের স্থান ইত্যাদি বিষয় অবগত আছে বলে দাবী করে। মূলতঃ গণক বলা হয় এমন ব্যক্তিকে যে ভবিষ্যতের গায়েবি বিষয় সম্পর্কে সংবাদ দেয় [অর্থাৎ ভবিষ্যদ্বাণী করে]। কেউ বলেন, যে ব্যক্তি ভবিষ্যতের গোপন খবর বলে দেয়ার দাবী করে তাকেই গণক বলা হয়। কেউ বলেন, যে দিলের (গোপন) খবর বলে দেওয়ার দাবী করে, সেই গণক। আবুল আববাস ইবনে তাইমিয়া রহ. বলেছেন كاهن [গণক], منجم [জ্যোতির্বিদ], এবং رمال [বালির উপর রেখা টেনে ভাগ্য গণনাকারী] এবং এ জাতীয় পদ্ধতিতে যারাই গায়েব সম্পর্কে কিছু জানার দাবী করে তারাই হাদিসে বর্ণিত ‘আররাফ [ عراف ] বলে। ইবন আব্বাস রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুমা বলেছেন, একটি সম্প্রদায়ের কতিপয় লোক আরবি أباجاد লিখে নক্ষত্রের দিকে দৃষ্টি দিয়ে ভালো-মন্দ ভাগ্য নির্ণয় করে; পরকালে আল্লাহর কাছে তাদের কোনো অংশ আছে বলে মনে করি না। [আল-কাওলুস সাদীদ শরহু কিতাবুত তাওহীদ: শাইখ আব্দুর রহমান ইবন নাসের আস-সা‘দী।]] কুলক্ষণ [আল্লাহ তা‘আলা বলেন, ﴿أَلَآ إِنَّمَا طَٰٓئِرُهُمۡ عِندَ ٱللَّهِ وَلَٰكِنَّ أَكۡثَرَهُمۡ لَا يَعۡلَمُونَ﴾ [ الاعراف : ١٣١ ] “মনে রেখো, তাদের কুলক্ষণসমূহ আল্লাহর নিকট রয়েছে। কিন্তু অধিকাংশ লোক তা বুঝে না।” [সূরা আল-আ‘রাফ, আয়াত: ১৩১] আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্নিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, «لاَ عَدْوَى وَلاَ طِيَرَةَ، وَلاَ هَامَةَ وَلاَ صَفَرَ» “দীন ইসলামে সংক্রামক ব্যাধি, কুলক্ষণ, অলুক্ষ্যেনে প্রাণী বা অলুক্ষ্যেনে মাস বলতে কিছু নেই।” (সহীহ বুখারী ও মুসলিম) বুখারি ও মুসলিমে আনাস রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, «لاَ عَدْوَى وَلاَ طِيَرَةَ، وَيُعْجِبُنِي الفَأْلُ» قَالُوا : وَمَا الفَأْلُ؟ قَالَ : «كَلِمَةٌ طَيِّبَةٌ» “ইসলামে সংক্রামক ব্যাধি আর কুলক্ষণ বলতে কিছুই নেই। তবে ‘ফাল’ আমার খুব পছন্দ। সাহাবায়ে কেরাম জিজ্ঞেস করলেন, ‘ফাল’ কী? জবাবে বললেন, ‘শুভ লক্ষণমূলক ভালো কথা’। উকবা ইবন আমের রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু বলেন, কুলক্ষণ বা দূর্ভাগ্যের বিষয়টি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের দরবারে উল্লেখ করা হলে, তিনি বলেন, «أَحْسَنُهَا الْفَأْلُ وَلَا تَرُدُّ مُسْلِمًا، فَإِذَا رَأَى أَحَدُكُمْ مَا يَكْرَهُ فَلْيَقُلِ اللَّهُمَّ لَا يَأْتِي بِالْحَسَنَاتِ إِلَّا أَنْتَ، وَلَا يَدْفَعُ السَّيِّئَاتِ إِلَّا أَنْتَ، وَلَا حَوْلَ وَلَا قُوَّةَ إِلَّا بِكَ» “এর মধ্যে উত্তম হচ্ছে ‘ফাল’। কুলক্ষণ কোনো মুসলিমকে স্বীয় কর্তব্য কর্ম পালন করতে বাধাগ্রস্ত করতে পারে না। (কারণ সে আল্লাহর ওপর ভরসা করে কাজ করে।) তোমাদের কেউ অপছন্দনীয় কিছু প্রত্যক্ষ করলে, বলবে اللَّهُمَّ لَا يَأْتِي بِالْحَسَنَاتِ إِلَّا أَنْتَ، وَلَا يَدْفَعُ السَّيِّئَاتِ إِلَّا أَنْتَ، وَلَا حَوْلَ وَلَا قُوَّةَ إِلَّا بِكَ “হে আল্লাহ তুমি ছাড়া কেউ কল্যাণ দিতে পারে না, কেউ অকল্যাণ দূরও করতে পারে না। তুমিই একমাত্র ক্ষমতা ও শক্তির আধার।” (আবূ দাউদ) ইবন মাসউদ রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে ‘মারফু’ হাদীসে আছে, পাখি উড়িয়ে ভাগ্য গণনা করা, লক্ষণ নির্ধারণ করা শির্কী কাজ, এ কাজ আমাদের নয়। আল্লাহ তা‘আলা তাওয়াক্কুলের মাধ্যমে মুসলিমের দুশ্চিন্তাকে দূর করে দেন। (আবূ দাউদ, তিরমিযী) ইবন উমার রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুমা থেকে বর্ণিত, ‘কুলক্ষণ বা দুর্ভাগ্যের ধারণা যে ব্যক্তিকে স্বীয় প্রয়োজন, দায়িত্ব ও কর্তব্য থেকে দূরে রাখল, সে মূলতঃ শির্ক করল। সাহাবায়ে কেরাম জিজ্ঞেস করলেন, এর কাফ্ফারা কী? তিনি বললেন, তোমরা এ দো‘আ পড়বে, أللهم لا خير إلا خيرك ولا طير إلا طيرك ولا إله غيرك “হে আল্লাহ, তোমার মঙ্গল ব্যতীত কোনো মঙ্গল নেই। তোমার অকল্যাণ ছাড়া কোনো অকল্যাণ নেই। আর তুমি ছাড়া কোনো সত্য ইলাহ নেই।” (আহমাদ) [আল-কাওলুস সাদীদ শরহু কিতাবুত তাওহীদ: শাইখ আব্দুর রহমান ইবন নাসের আস-সা‘দী।]] ইত্যাদির আকিদা পোষণ করা বা বিশ্বাস রাখা অবৈধ, হারাম ও ইসলামি আকিদার পরিপন্থি।
ইসলামি আকিদা-ই একমাত্র আকিদা- যা আল্লাহ তা‘আলা মানব জাতি হিসেবে আমাদের জন্য পছন্দ করেছেন। মূলত এর দ্বারা তিনি আমাদের ওপর অনুগ্রহ করেছেন, আমাদেরকে ধন্য করেছেন। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
“আজ আমি তোমাদের জন্য তোমাদের দীনকে পুর্ণাঙ্গ করে দিলাম এবং তোমাদের ওপর আমার অবদান সম্পূর্ণ করে দিলাম এবং দীন হিসেবে ইসলামকে তোমাদের জন্য পছন্দ করলাম।” [সূরা আল-মায়েদাহ, আয়াত: ৩] এ কারণেই এবং তখন থেকেই ইসলাম মানব জাতির জন্য বাস্তবমুখী প্রকৃত জীবন বিধান। যা স্বয়ং আল্লাহ তা‘আলা দান করেছেন, যাতে আমরা দুনিয়া-আখেরাত উভয় জগতে ভাগ্যবান এবং খিলাফতের সে যোগ্যতা অর্জন করতে পারি, যে জন্য তিনি আমাদের সৃষ্টি করেছেন। [৫৯ আল্লাহ তা‘আলা বলেন, “স্মরণ কর- যখন তোমার রব ফিরিশতাদের বলেছিলেন, আমি দুনিয়াতে প্রতিনিধি সৃষ্টি করব।” [সূরা আল-বাকারাহ, আয়াত: ৩০]] এবং যাতে তার বিধি-নিষেধ ও পরিকল্পনা মোতাবেক দুনিয়া আবাদ করতে পারি। [আল্লাহ তা‘আলা বলেন, “একমাত্র তিনিই তোমাদেরকে জমিন থেকে সৃষ্টি করেছেন এবং তন্মধ্যে বসতি দান করেছেন।” [সূরা হূদ, আয়াত: ৬১]] শুধু তার ইবাদত ও আনুগত্যের নিমিত্তে, যা সমগ্র মানব জাতি সৃষ্টির একমাত্র লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য। [আল্লাহ তা‘আলা বলেন, “আমি মানব ও জিন্ন জাতি একমাত্র আমার ইবাদতের জন্য সৃষ্টি করেছি।” [সূরা আয-যারিয়াত, আয়াত: ৫৬]]
এ সংক্ষিপ্ত পরিচিতির মাধ্যমে আমাদের ইসলামি আকিদার বিশেষ ব্যঞ্জনা, অনন্য বৈশিষ্টের একটি স্পষ্ট ধারণার জন্ম হল। অর্থাৎ ইসলামি আকিদা সার্বজনিন, পরিপূর্ণ, ভারসাম্যপূর্ণ, সমৃদ্ধ ও প্রকৃতিগত। আমরা এ নিয়ে সামনে আরও বিস্তারিত আলোচনা করার প্রয়াস পাবো।
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/11/12
রিডিং সেটিংস
Bangla
English
Bangla
Indonesian
Urdu
System
System
Dark
Green
Teal
Purple
Brown
Sepia
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
Kfgq Hafs
Qalam
Scheherazade
Kaleel
Madani
Khayma
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
Kalpurush
Rajdip
Bensen
Ekushe
Alinur Nakkhatra
Dhakaiya
Saboj Charulota
Niladri Nur
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।