মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
আসসালামু আলাইকুম, Hadith.one বন্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে! আমাদের সার্ভারের মেয়াদ ১১ অক্টোবর ২০২৫ এ শেষ হবে, এবং এবং ওয়েবসাইট টি চালানোর জন্য আমাদের কোনো ফান্ড নেই।
🌟 আপনার দান এই প্ল্যাটফর্মকে বাঁচাতে পারে এবং প্রতিটি হাদিস পড়ার মাধ্যমে সদকাহ জারিয়ার অংশীদার হতে পারেন!
🔗 অনুগ্রহ করে আপনার দানের মাধ্যমে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি চালিয়ে নিতে সাহায্য করুন!
জাযাকাল্লাহু খাইরান!
এক আল্লাহর আকিদা ও মানবপ্রকৃতি: একেশ্বরবাদ, বহু ইশ্বরবাদ ও ত্রিত্ববাদের আকিদা ও বিশ্বাসের সংঘর্ষ যুগ যুগ ধরে। তবে কোনটি যুক্তিযুক্ত ও মানুষের প্রকৃতিগত? সামান্য বিবেচনা ও ক্ষণিক চিন্তা দ্বারাই আমরা নির্ণয় করতে পারি যে, এক আল্লাহর ওপর বিশ্বাসই যুক্তিযুক্ত ও প্রকৃতিগত। সাধারণ যুক্তি, ছোট-বড় সবারই অভিজ্ঞতা একরাজ্যে দুই রাজা, একরাষ্ট্রে দুই সরকার, একবিশ্বে দুই পরাশক্তির সহাবস্থান হয় না, সম্ভব নয়। ক্ষুদ্র একটি ফ্যামিলী, দু’জনের দাম্পত্য জীবনও সমান অধিকার, বরাবর কর্তৃত্বের দাবির সাথে সাথেই ভেঙ্গে টুকরো হয়ে যায়, ছাড়াছাড়ি হয়ে যায় স্বামী-স্ত্রীর মাঝে। যুদ্ধ-বিদ্রোহ আরম্ভ হয়, দাঙ্গা-হাঙ্গামা ব্যাপক আকার ধারণ করে রাজ্য ও দেশের ভেতর। সমূলে ধ্বংস কিংবা কর্তৃত্বহীন হয় কোনো পক্ষ অথবা আলাদা হয়ে যায় নিজস্ব অংশ ও অনুসারীদের নিয়ে। এ স্বভাবজাত বাস্তবতাই পবিত্র কুরআনে বিধৃত হয়েছে এভাবে:
“যদি আসমান-জমিনে এক আল্লাহ ছাড়া অনেক উপাস্য বিদ্যমান থাকত, তবে উভয়ই ধ্বংস হয়ে যেত। সুতরাং আল্লাহ (অংশিদার থেকে) পবিত্র। তারা (আল্লাহর ব্যাপারে) বহু ইশ্বরবাদের যে বাজে গুণ আরশের অধিপতি আল্লাহর সাথে সম্পৃক্ত করছে তিনি তা থেকে সম্পূর্ণ পবিত্র।” [সূরা আল-আম্বিয়া, আয়াত: ২২]
“হে নবী, আপনি বলুন, তাদের কথা মতো যদি অনেক ইলাহ বা মা‘বুদ থাকত, তাহলে সকলেই ‘আরশের অধিপতির প্রতি ধাবিত হতো। সুতরাং তারা যা বলে, আল্লাহ তা থেকে কত পবিত্র, অনেক উর্ধ্বে। আসমান-জমিন এবং এ দুয়ের মাঝখানে যা আছে, সবই তার প্রশংসা করে, এমন জিনিস নেই যে তার প্রশংসা করে না, কিন্তু তোমরা তাদের তাসবীহ বুঝতে পার না।” [সূরা আল-ইসরা, আয়াত: ৪২-৪৪]
“আল্লাহ সন্তান গ্রহণ করেন নি, তার সাথে অন্য কোনো মা‘বুদও নেই। যদি থাকত প্রত্যেকেই নিজস্ব সৃষ্টি নিয়ে আলাদ হয়ে যেত এবং একে অপরের ওপর প্রধান্য বিস্তারের জন্য ব্যগ্র থাকত। আল্লাহ সম্পর্কে তারা যা বলে, তা থেকে আল্লাহ পবিত্র।” [সূরা আল-মুমিনুন, আয়াত: ৯১]
“হে রাসূল, আপনি বলুন, আল্লাহ এক, তিনি স্বয়ংসম্পূর্ণ, অমুখাপেক্ষি, কারো থেকে জন্ম গ্রহণ করেন নি, কাউকে জন্ম দেন নি, তাঁর সমকক্ষ কেউ নেই।” [সূরা ইখলাস, আয়াত: ১-৪]
আবার বহু ইশ্বরের আনুগত্য মানুষের সাধ্যাতীত। মানুষ শুধু একজনের আনুগত্য, তার চাহিদা পূরণ ও সন্তুষ্টির অনুসরণ করতে পারে, দুই বা অনেকের আনুগত্য, অনুসরণ তার সাধ্যের বাইরে। কারণ, এক-ই মুহূর্তে দ্বৈত চাহিদা, বিপরীতমুখীকর্ম কিংবা এক-ই কর্ম দুই জনের হয়ে সম্পাদন করা সম্ভব নয়। একজন সন্তুষ্ট হলে অপরজন হবে নারাজ। একজনের কাছে হবে আপনজন অপরের বিরাগভাজন। এ বাস্তবতাই তুলে ধরা হয়েছে নিম্নোক্ত আয়াতে:
“আল্লাহ একটি দৃষ্টান্ত বর্ণনা করছেন: একটি লোকের পরস্পর বিরোধী কয়েকজন মালিক, আরেক ব্যক্তির প্রভু মাত্র একজন, তাদের উভয়ের অবস্থা কি সমান? (না-সমান নয়) সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর। কিন্তু তাদের অধিকাংশই জানে না।” [সূরা আয-যুমার, আয়াত: ২৯]
মানুষের স্বভাব কঠিনতম মুহূর্তে, জটিলতম সমস্যায় এবং জীবন-মরণ সন্ধিক্ষণে, কপটতা শূন্য সত্য বের করে দেয়া। চাপহীন অনুভূতি, মুক্ত বিবেক, স্বাধীন চেতনা ও বাস্তব প্রকৃতির উন্মেষ গঠে তখন। অকপটে স্বীকার করে নেয় চিরসত্য, অমোঘ হক কথা। এ ক্ষেত্রে মুসলিম-অমুসলিম নির্বিশেষে সবার চিত্র এক ও অভিন্ন। প্রাগৈসলামিক ও ইসলামিক উভয় যুগেই এর উদাহরণ অগণিত, অসংখ্য। [আল্লাহ বলেন, “দুঃখ-কষ্ট মানুষকে যখন আষ্টেপৃষ্ঠে ঘিরে ফেলে, তখন সে নিজ পালনকর্তাকে একাগ্রচিত্তে আহ্বান করে; অতঃপর যখন তিনি নাজাত দান করেন, তখন সে কষ্টের কথা ভুলে যায়, যে কষ্টে পড়ে সে প্রভুর শরনাপন্ন হয়েছিল।” [সূরা আয-যুমার, আয়াত: ৮] “সমুদ্রে থাকাবস্থায় যখন তোমাদের ওপর বিপদ নেমে আসে, তখন আল্লাহ ব্যতীত সকল উপাস্যদের ভুলে যাও, যাদেরকে তোমরা নিরাপদ ও সচ্ছল অবস্থায় ডাক-উপাসনা কর। আবার যখন তিনি স্থলে ভিড়িয়ে তোমাদেরকে উদ্ধার করেন, তখন তোমরা তার থেকে মুখ ফিরিয়ে নাও। মানুষ বড়ই অকৃতজ্ঞ।” [সূরা আল-ইসরা, আয়াত: ৬৭]] আবু জাহেলের ছেলে ইকরিমাহ মক্কা বিজয়ের সময় সমুদ্রপথে পলায়নরত জাহাজে বসা, হঠাৎ তুফানের আক্রমণ, অকস্মাৎ তার অন্তরে এক আল্লাহর স্মরণ জাগরুক হলো, সাথে সাথে বুঝে আসল আল্লাহর অস্তিত্ব ও একত্ব। সে ডাকেই সাড়া দিয়ে পরবর্তীতে ঈমান নিয়ে আসেন। [উজুদে বারি তা‘আলা আউর তওহিদ, পৃষ্ঠা: ৮৮-৮৯, ডা. মালিক গোলাম মুর্তজা, প্রকাশক: ডা. গোলাম মুর্তজা এডুকেশনাল ট্রাস্ট লাহোর, প্রকাশকাল ২০০২ জুলাই] রুশ দার্শনিক স্টালিনও এক আল্লাহর অস্তিত্ব বুকে বেধে বলেছিল, “আল্লাহ আমাদের স্কীম সফল করুন।” [(দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ বিষয়ে চার্চিল স্বীয় গ্রন্থের ৪৩৩ পৃষ্ঠায় লিখেছেন: ১৯৪২ সনের ভয়ানক পরিস্থিতিতে, যখন রুশ জীবন-মরণ সন্ধিক্ষণে দুরহ দুরহ করছিল, এদিকে হিটলার সমগ্র ইউরোপের জন্য এক মারাত্মক হুমকির কারণ। তখন চার্চিল মাস্কো সফর করেন এবং যৌথবাহিনীর পরিকল্পনা ও স্কীম সম্পর্কে স্টালিনকে বিস্তারিত তথ্য দেন। স্কীমের পরিকল্পনা ও ব্যাখ্যা শ্রবণ করতে করতে বিশেষ এক মুহূর্তে স্টালিনের মুখ থেকে অলক্ষে বের হয়ে যায়, “আল্লাহ আমাদের স্কীম সফল করুন।” [সূত্র: উজুদে বারি তা‘আলা আউর তাওহীদ, পৃষ্ঠা. ৮৯, ডা. মালিক গোলাম মুর্তজা, প্রকাশক: ডা. গোলাম মুর্তজা এডুকেশনাল ট্রাস্ট লাহোর, প্রকাশকাল ২০০২ জুলাই, সংকলিত: ডা. আব্দুল সাইয়্যেদ লতিফ: দি মাইন্ড আল-কুরআন বিল্ডাজ, পৃষ্ঠা. ৯৪]] কথিত আছে, জনৈক পণ্ডিত বেশ কয়েকটি ভাষায় অগাধ পারদর্শী ছিল, দ্বিধাহীনভাবে অনর্গল কথা বলত সবক’টি ভাষাতেই। তার স্বভাবজাত ও মাতৃভাষা কেউ জানত না। এ বিষয়টি জানার জন্য কৌতহলী সকলেই আরেক পণ্ডিতের শরনাপন্ন হলো। তার পরামর্শ, তোমরা তাকে দৌড় প্রতিযোগিতায় এনে, মাঠের কোথাও রশির পেঁচ, ল্যাং বা অন্য কোনো কৌশলে নীচে ফেলে দাও, তখন সে ব্যাথাজনিত দুঃখ যে শব্দ দ্বারা প্রকাশ করবে, সেটাই তার স্বভাবজাত বা মাতৃভাষা। এ হলো মানুষের স্বভাবসিদ্ধ প্রকৃতি, এর উপর তিনি মানবজাতি সৃষ্টি করেছেন, আফসোস! মানুষ মোহান্ধ, স্বার্থপর, প্রবৃত্তির কারণে অন্তরদৃষ্টি ও শ্রবণইন্দ্রিয় বিকল করে স্বভাব-ধর্ম ত্যাগ করছে, জাহান্নামি হচ্ছে, যে জন্য তার পরিতাপের অন্ত থাকবে না। [“আল্লাহ তা‘আলা বলেন, তারা আরো বলবে, যদি আমরা শুনতাম অথবা বুদ্ধি খাটাতাম, তবে আমরা জাহান্নামবাসী হতাম না।” [সূরা আল-মুলক, আয়াত: ১০]] অসাধু গুরুর অন্ধ অনুকরণ, [“এমনিভাবে আপনার আগে যখন কোনো জনপদে কোনো সতর্ককারী প্রেরণ করেছি, তখনই তাদের বিত্তশালীরা বলেছে, আমরা আমাদের পূর্বপুরুষদের পেয়েছি এক আদর্শের ওপর, আমরা তাদেরই পদাংক অনুসরণ করছি। সে বলত, তোমাদের পূর্বপুরুষদেরকে যে আদর্শের ওপর পেয়েছ, আমি যদি তদপেক্ষা উত্তম আদর্শ নিয়ে আসি, তবুও কি তোমরা তাই কলবে? তারা বলত, তোমাদের আদর্শ আমরা মানব না।” [সূরা আয-যুখরুফ, আয়াত: ২৩-২৪]] বিক্রিত পরিবেশ এবং অপরিণামদর্শী পিতা-মাতার কারণে হিন্দু-খৃস্টান-ইয়াহূদী-অগ্নিপুজক হয়ে যাচ্ছে। [রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, প্রত্যেক নবজাতক স্বীয় স্বভাবজাত ধর্ম তথা ইসলাম নিয়েই জন্মগ্রহণ করে, অতঃপর তার পিতা-মাতা তাকে ইয়াহূদী, নাসারা ও অগ্নিপূজক বানায়। (সহীহ বুখারী, হাদীস নং ১৩৮৫)]
মোদ্দাকথা: একেশ্বরবাদ তথা এক আল্লাহর আকিদা-ই যুক্তিযুক্ত, স্বভাবসিদ্ধ ও প্রকৃতিগত। এ আকিদাই আল্লাহর মনোনীত, [আল্লাহ তা‘আলা বলেন, “আমি তোমাদের জন্য ইসলামকে দীন হিসেবে মনোনীত করলাম।” [সূরা আল-মায়েদাহ, আয়াত: ৩]] ও গ্রহণীয়; [আল্লাহ তা‘আলা বলেন, “নিঃসন্দেহে আল্লাহর নিকট গ্রহনযোগ্য দীন একমাত্র ইসলাম।” [সূরা আলে ইমরান, আয়াত: ১৯]] অন্য সব আকিদা ভ্রষ্ট, [আল্লাহ তা‘আলা বলেন, “আল্লাহই তোমাদের প্রকৃত রব, সত্য প্রকাশিত হওয়ার পর উদ্ভ্রান্তের ন্যায় ঘুরার মাঝে কি আছে গোমরাহী ছাড়া, সুতরাং তোমরা কোথায় ঘুরছ?” [সূরা ইউনুস, আয়াত: ৩২]] পরিত্যাজ্য, যুক্তিহীন, স্বভাববিরোধী ও অপ্রকৃতিগত।
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/11/13
রিডিং সেটিংস
Bangla
English
Bangla
Indonesian
Urdu
System
System
Dark
Green
Teal
Purple
Brown
Sepia
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
Kfgq Hafs
Qalam
Scheherazade
Kaleel
Madani
Khayma
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
Kalpurush
Rajdip
Bensen
Ekushe
Alinur Nakkhatra
Dhakaiya
Saboj Charulota
Niladri Nur
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।