মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
আসসালামু আলাইকুম, Hadith.one বন্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে! আমাদের সার্ভারের মেয়াদ ১১ অক্টোবর ২০২৫ এ শেষ হবে, এবং এবং ওয়েবসাইট টি চালানোর জন্য আমাদের কোনো ফান্ড নেই।
🌟 আপনার দান এই প্ল্যাটফর্মকে বাঁচাতে পারে এবং প্রতিটি হাদিস পড়ার মাধ্যমে সদকাহ জারিয়ার অংশীদার হতে পারেন!
🔗 অনুগ্রহ করে আপনার দানের মাধ্যমে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি চালিয়ে নিতে সাহায্য করুন!
জাযাকাল্লাহু খাইরান!
মানবস্বভাব ও মানবপ্রকৃতি; শিক্ষালাভ করা ও অভিজ্ঞতা অর্জন করা; এককথায় সে অনুসন্ধিৎসু। কারণ, মায়ের উদর থেকেই সে মূর্খ ও অজ্ঞ। সাদা-কালো, ভালো-মন্দ, দোস্ত-দুশমন, রাত-দিন সবই তার কাছে অজানা ও অস্পষ্ট। নাক, কান, চোখ, চর্ম, জিহবা তথা পঞ্চ ইন্দ্রিয়ের মাধ্যমে আস্তে আস্তে শিখে: মায়ের ভাষা শিখে, বাবার পেশা শিখে, শিখে শিল্প, বিদ্যা অর্জন করে, পরিচিত হয় সংস্কৃতির সাথে। পুরা জীবনটাই তার শিখা, অভিজ্ঞতা অর্জন করা আর পার্থিব জীবনে বাস্তবায়ন করা। এটাই তার প্রকৃতি, অন্যথায় সে মূর্খ, অজ্ঞ। [আল্লাহ বলেন, “আল্লাহ তোমাদেরকে তোমাদের মায়ের উদর থেকে বের করেছেন, তোমরা ছিলে মূর্খ, কিছুই জানতে না। কিন্তু তিনি তোমাদের কর্ণ, চক্ষু, অন্তর দিয়েছেন (যাতে তোমরা জ্ঞান অর্জন কর, নিজের অক্ষমতা, প্রাক মূর্খতার স্মরণ করত শুকরিয়া আদায় কর, কিন্তু না) তোমরা খুব কম শুকরিয়া আদায় কর, খুব সামান্য কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন কর।” [সূরা আন-নাহাল, আয়াত: ৭৮]]
জার্মানি এক জীববিজ্ঞানী তো বলেই ফেলেছেন: “প্রকৃতিই মানুষের ধর্মীয় আকিদার জনক। মানুষ আসমান-জমিন, চন্দ্র-সূর্য, চার দিগন্ত দেখে প্রভাবিত হয়, উপলব্ধি করে, সে এক মহাশক্তি বেষ্টিত; যার দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে দৃশ্যমান দিগন্ত ও দিগন্তের বাইরে অদৃশ্য যাবত কিছু। কে এগুলো সৃষ্টি করেছে? কোথায় তার সূচনা? আছে কি তার অন্ত? ভাবতে ভাবতে সহসা মস্তক অবনত হয়ে আসে মহান সত্ত্বার পানে, পবিত্রতা ঘোষণা করে তার, মনুষ্য সীমাবদ্ধতার ঊর্ধ্বে জ্ঞান করে তাকে। কারণ, সে-ই উপযুক্ত, সে-ই পারে মানুষের অসাধ্য সাধন করতে।”
কেউ কেউ এতে সন্তুষ্ট হতে পারেন নি। কারণ, একটি জিনিস বার বার দেখার ফলে স্বাভাবিক ও নিরাকর্ষণ হয়ে পড়ে, কৌতুহল বিরাজমান থাকে-না তার ভেতর।
ফলে প্রকৃতি গবেষকদের আরেকটি দল বলেন, “আকস্মিক ভীতিপ্রদ ও অস্বাভাবিক কিছুই মানুষের ভেতর আকিদা তথা ধর্মীয় বিশ্বাসের জনক। যেমন বিজলি, মেঘের গর্জন, প্রাকৃতিক দুর্বিপাক, তুফান ও ভূমিকম্প ইত্যাদি। ঘন্টার আওয়াজ যেরূপ তন্ময় কিংবা ঘুমন্ত ব্যক্তিদের জাগিয়ে তুলে, তদ্রূপ এগুলো মানুষের ভেতর অনুসন্ধিৎসার জন্ম দেয়, দ্রুত প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করে। কৌতুহলি হয়ে উঠে সে! কে এর সৃষ্টিকর্তা? কোথায় এর উৎস? কীভাবে তার অন্ত? বাহ্যিক কোনো কারণ-ই খোঁজে পায়-না সে; বাধ্য হয় অজানা এক মহা শক্তির সামনে অবনত মস্তক হতে। এভাবেই মানবপ্রকৃতিতে বিশ্বাসের সৃষ্টি, ধর্মীয় আকিদার জন্ম। জনৈক ইংরেজ বৈজ্ঞানিকের মত এটি।”
কিন্তু ফ্রন্সের এক বিজ্ঞানী বলেন, “শুধু ভয়ের বস্তু দেখলেই যথেষ্ট নয়। এর দ্বারা শুধু নৈরাশ্য ও আতঙ্কের জন্ম হয়, ইন্দ্রীয় শক্তি লোপ পায়। সুতরাং এমন এক অনুভুতির প্রয়োজন, যার ফলে এ ভয়ের বিপরীতে সৃষ্টি হয় আশা ও সম্ভাবনার। যে তাকে আশা-ভয়, সম্ভাবনা ও হতাশার টানাপোড়নে অবনত মস্তক করে দিবে মহান সত্তার পানে। এটাই ধর্ম, দীনের বাস্তব আকৃতি।” [ড. আব্দুল্লাহ দারাজ লিখিত ‘আদ-দীন’ পৃ (১১৪)।]
পবিত্র কুরআনও অনুরূপভাবে মানবপ্রকৃতিকে আকিদা তথা ধর্মীয় বিশ্বাস আহরণের দীক্ষা দিয়েছে। তার জ্ঞান, বুদ্ধি ও বিবেকের ওপর জোরপূর্বক কোনো আকিদা চাপিয়ে দেয় নি, মুক্ত চিন্তার সুযোগ দিয়েছে। বরং যারা চিন্তা করে না, গবেষনা করে-না প্রকৃতি নিয়ে, তাদের তিরস্কার করেছে, ধিক্কার জানিয়েছে তাদের মনুষ্য আকৃতিকে, অনুভূতি ও চেতনা বোধকে। [আল্লাহ বলেন “তাদের অন্তর রয়েছে, তার দ্বারা তারা গবেষণা করে না, তাদের চোখ রয়েছে, তার দ্বারা তারা দেখে না, তাদের কানও রয়েছে, তার দ্বারা তারা শোনে না। তারা চতুষ্পদ জন্তুর মত, বরং তাদের চেয়েও অধম, নিকৃষ্টতর। তারাই গাফেল-চেতনাহীন।” [সূরা আল-আ‘রাফ, আয়াত: ১৭৯]] আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
“তারা কি উষ্ট্রের প্রতি লক্ষ্য করে না, কীভাবে তা সৃষ্টি করা হয়েছে? আকাশের পানে তাকায় না, কীভাবে তা উচ্চ করা হয়েছে? দেখে না পাহাড়ের দিকে, কীভাবে তা স্থাপন করা হয়েছে? দৃষ্টি বুলায় না পৃথিবীর বুকে, কীভাবে তা সমতল বিছানো হয়েছে?” [সূরা আল-গাশিয়াহ, আয়াত: ১৭-২০], এ হচ্ছে ইসলামি আকিদা, যা স্বাধীন মানবপ্রকৃতির অনুকূল ও স্বভাবজাত, তথ্যে ও তত্ত্বে সমৃদ্ধ।
৪. ইসলাম: মৌলিক কয়েকটি বিষয়ের সাক্ষ্য প্রদান করা:
ক. আল্লাহ ব্যতীত কোনো সত্য ইলাহ নেই তথা ইবাদাতের উপযুক্ত কোনো সত্তা নেই। যাবতীয় ইবাদত কেবল তাঁরই প্রাপ্য। আর এ কথার অন্তর্ভুক্ত হবে এটা সাব্যস্ত করা যে, তিনিই সৃষ্টিকর্তা, পালনকর্তা ও বিধানদাতা।
আরও স্বীকৃতি প্রদান করা যে, মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর বান্দা ও রাসূল।
খ. সালাত কায়েম করা।
গ. যাকাত প্রদান করা।
ঘ. রমযান মাসে সাওম পালন করা।
ঙ. সামর্থ থাকলে হজ করা।” [সহীহ মুসলিম।]
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/11/5
রিডিং সেটিংস
Bangla
English
Bangla
Indonesian
Urdu
System
System
Dark
Green
Teal
Purple
Brown
Sepia
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
Kfgq Hafs
Qalam
Scheherazade
Kaleel
Madani
Khayma
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
Kalpurush
Rajdip
Bensen
Ekushe
Alinur Nakkhatra
Dhakaiya
Saboj Charulota
Niladri Nur
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।