মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
আসসালামু আলাইকুম, Hadith.one বন্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে! আমাদের সার্ভারের মেয়াদ ১১ অক্টোবর ২০২৫ এ শেষ হবে, এবং এবং ওয়েবসাইট টি চালানোর জন্য আমাদের কোনো ফান্ড নেই।
🌟 আপনার দান এই প্ল্যাটফর্মকে বাঁচাতে পারে এবং প্রতিটি হাদিস পড়ার মাধ্যমে সদকাহ জারিয়ার অংশীদার হতে পারেন!
🔗 অনুগ্রহ করে আপনার দানের মাধ্যমে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি চালিয়ে নিতে সাহায্য করুন!
জাযাকাল্লাহু খাইরান!
যারা ইসলাম গ্রহণ করে নি। বরং ক্রুসেড ও অন্যান্য যুদ্ধে ইসলাম ও মুসলিমের বিরুদ্ধে পৈচাশিকতাপূর্ণ নঘ্ন আঘাত হেনেছে। সে ইউরোপের ইসলাম ও মুসলিম থেকে শিক্ষণীয় কতক বিষয় উল্লেখ করছি।
মধ্য যুগীয় পতনোন্মুখ ইউরোপ আন্তর্জাতিক নিয়ম-নীতি থেকে সম্পূর্ণ অজ্ঞতায় বাস করছিল। যার সরকার ও পুরোহিতগণ আপ্রাণ চেষ্টায় নিরত ছিল- কীভাবে ক্ষমতাধর রাজত্ব মানুষের আত্মা ও অন্তরে সমহিমায় বিদ্যমান রাখা যায়। তাদের রাজ্যগুলো ছিল প্রাদেশিক কেন্দ্রিক, খণ্ড-বিখণ্ড ও মিলন সূত্রহীন। যদিও সম্পূর্ণটাই খৃষ্টরাজ্য ছিল। কারণ, প্রাদেশিক সরকার তার রাজত্বে স্বতন্ত্রভাবে রাষ্ট্রীয়, বিচার-বিভাগীয় আইন প্রণয়ন, বাস্তবায়নসহ সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী ছিল।
আরেকটি বাস্তবতা হচ্ছে: পোপতন্ত্রের ক্ষমতা ও দাপটের যাঁতাকল মানুষের অন্তরাত্মা, চিন্তা-চেতনাকে দাসত্বে আবদ্ধ রেখেছিল। অবৈধভাবে মানুষের শ্রম ও সম্পদ কুক্ষিগত করছিল। [পবিত্র কুরআনের সাক্ষ্য: “হে ঈমানদারগণ, অধিকাংশ পোপ ও পুরোহিতগণ অন্যায়ভাবে মানুষের সম্পদ ভক্ষণ করে, আল্লাহর পথ থেকে বিরত রাখে। এবং যারা স্বর্ণ-রোপা পুঞ্জিভুত করে- আল্লাহর রাস্তায় খরচ করে না, তাদেরকে মর্মন্তুদ শাস্তির সুসংবাদ দিন।” [সূরা আত-তাওবাহ, আয়াত: ৩৪]] এ অবস্থার এক পর্যায়ে এসে ইউরোপ ইসলামের মুখোমুখী হয় সার্বিকভাবে। কখনো সন্ধি চুক্তির বিনিময়ে: যেমন মুসলিম স্পেন, উত্তর আফ্রিকা, সিসিল দ্বীপ ও অন্যান্য দেশের সাথে। কখনো যুদ্ধে অবতীর্ণ হয়ে: যেমন প্রায় দুই যুগ ধরে ক্রুসেড যুদ্ধ। এ শান্তি চুক্তি ও যুদ্ধের বাস্তবতায় ইউরোপ ইসলামের মুখোমুখী হয়ে যে শিক্ষা অর্জন করেছে, যেভাবে প্রভাবিত হয়েছে, তার সামান্য নমুনা নিম্নে পেশ করলাম:
১. ইউরোপ পুর্ণাঙ্গ ইসলামি জ্ঞান অর্জন করে এবং সাইন্টেফিক গবেষণায় ইসলামের প্রায়োগিক পদ্ধতি অবলম্বন করে। যার ওপর ভিত্তি করেই তাদের বর্তমান বৈজ্ঞানিক উৎকর্ষতার উৎপত্তি।
২. ইসলামি ঐক্যবদ্ধতার নীতি অনুসরণ তথা খেলাফত পদ্ধতি গ্রহণ করে, যা এক বাঁধনে আবদ্ধ, এক সংবিধানের মাধ্যমে পরিচালিত। তবে তারা সেটাকে বিশ্বাস বা আকিদার ওপর নির্ভরশীল করে প্রতিষ্ঠিত করতে পারেনি। কারণ তাদের আকিদা ভ্রান্ত-বিকৃত, পুরোহিতরা অন্যায় প্রবণ-দুর্নীতিগ্রস্ত। ফলে জাতীয়তার রূপায়নে তারা তাদের ঐক্যের ভিত্তি স্থাপন করে। অদ্যাবধি সে নীতির ওপর-ই পাশ্চাত্য রাষ্ট্রসমূহ চলমান।
৩. কার্লফন, মার্টিন লুসার ও অন্যান্যরা বিভিন্ন আন্দোলনের মাধ্যমে আকিদা ও গীর্জার ভ্রান্তমতবাদ ও বিকৃত সিদ্ধান্তের সংস্করণ চেষ্টা করেন। তবে ভারসাম্যহীনতা ও অশ্লীলতায় আচ্ছন্ন বিশৃংখলার ভেতর কিঞ্চিত মাত্র সাফল্য লাভ হয়। কারণ, পরিশুদ্ধকরণ ও ভারসাম্য সমৃদ্ধ করণের মূল চাবিকাঠি ইসলামকে তারা প্রথমেই পরিত্যাগ করেছে।
৪. ইসলামি বিদ্যাপিঠের নিয়ম পদ্ধতি সংগ্রহ করে এবং তার অবকাঠামোর ওপর তারা নিজস্ব বিদ্যাপিঠগুলোর রূপরেখা তৈরি করে।
৬. শাসক শ্রেণির প্রবৃত্তি ও ব্যক্তিগত স্বার্থের উর্ধ্বে থেকে সংবিধান রচনার সূত্রপাত। বরং অধিকাংশ মূলনীতি তারা ইসলামি ফিকহ থেকে গ্রহণ করে। যেমন ফ্রান্সের নগরায়নের অধিকাংশ বিধান-পদ্ধতি মালেকী ফিকহ থেকে সংকলিত হওয়া এর জলজ্যান্ত প্রমাণ। কারণ, উত্তর আফ্রিকায় প্রসারিত মালেকি মাযহাব-ই তাদের সবচেয়ে নিকটবর্তী ছিল।
৭. ইসলামি নির্মাণ কৌশল ও স্থাপত্য পদ্ধতি দ্বারা প্রভাবান্বিত হয়। ধর্মীয় কিংবা সাধারণ সব প্রাসাদে তার হুবহু অনুকরণ। সর্বোতভাবেই তারা প্রভাবান্বিত হয় ইসলামি নিখুঁত পদ্ধতির মাধ্যমে। তার ক্ষুদ্র একটি উদাহরণ: ঘরে বাথরুমরের অন্তর্ভুক্তি। গোসলের মাধ্যমে শরীর পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন করা। মুসলিমের সংস্পর্শে আসার আগে ইউরোপ কোনো দিন এ অভিজ্ঞতার স্বাদ পায় নি।
৮. ভৌগলিক রুপরেখা: ইসলামি মানচিত্রের মাধ্যমে তারা প্রচুর উপকৃত হয়। সে অনুপাতে মানচিত্রের ত্বরিত উন্নতির ব্যাপারে তারা ভূমিকা রাখে।
৯. সারসংক্ষেপ: ইউরোপ তার বর্তমান প্রগতি ও উন্নতির মূল রসদ গ্রহণ করেছে ইসলাম হতে। যদিও বর্তমান যুগে এসে ইসলাম ও মুসলমানের সক্রিয় প্রভাব তাদের জীবনে জড়তায় পর্যবসিত হয়েছে। স্বজনপ্রীতি ও স্বজাতপ্রীতির অন্ধত্বে দূরে নিক্ষেপ করেছে ইসলাম।
বর্তমান যুগে আমাদের চার পাশের ইসলামী বিশ্বে দৃষ্টি নিক্ষেপ করলে এর কোনো সঠিক প্রভাব পরিলক্ষিত হয় না। তাহলে কী ইসলামি আকিদা স্বীয় ঐতিহ্য ও কার্যকারিতা শূন্য হয়ে গেল? না, কখনো নয়। ইসলাম কোনো অংশে তার কর্মক্ষমতা হারায়নি। কারণ, এটা কার্যকর ও সক্রিয় আল্লাহ তা‘আলার জীবন বিধান। যার মাধ্যমে সরাসরি মানব জীবন সঠিক পথে পরিচালিত হয়। নির্ভুল ও পরিশুদ্ধভাবে স্বীয় সাফল্যের স্বাক্ষর রাখে। তবে মূল ব্যাপার হলো: এ আকিদা তখনই কাজ করবে যখন মানুষ স্বীয় শরীর ও বাস্তব জীবনে প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখবে। [পবিত্র কুরআনে ঘোষিত হচ্ছে: “আল্লাহ কোনো জাতির অবস্থা পরিবর্তন করেন না, যে পর্যন্ত না তারা তাদের নিজেদের অবস্থা পরিবর্তন করে।” [সূরা আর-রা‘দ, আয়াত: ১১]] এটাই আল্লাহর বিধান- যার কোনো পরিবর্তন নেই। মানুষের প্রচেষ্টা ব্যতীত, ফলপ্রসূ উপায়-উপকরণ গ্রহণ করা ছাড়া, কখনো মানুষের অবস্থা পরিবর্তন হবে না। মানুষের জীবন অধ্যায় পরিচালনার জন্য ইসলামি আকিদার চালিকা শক্তির মতো অন্য কোনো চালিকা শক্তি নেই। কিন্তু সে তাকে-ই পরিচালনা করবে, যে ইসলামকে আলিঙ্গন করবে, তার প্রতি মননিবেশ করবে এবং বাস্তব জীবনে তার বাস্তবায়নের জন্য জীবন-মরণ পণ করবে।
উদাহরণত: মনে করুন একটি বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র। সর্বদাই কাজ করতে প্রস্তুত। কিন্তু তার যদি কোনো সংযোগ দানকারী না থাকে, তবে কি উপকারে আসবে?
অথবা মনে করি সে সক্রিয়। কিন্তু কেউ যদি তার থেকে শক্তি সঞ্চয় না করে তবে কি লাভ হবে? আমরা কি বলব- বিদ্যুৎ প্রভাব শূন্য হয়ে গেছে? না-কি বলব- মানুষ তার ব্যবহার ছেড়ে দিয়েছে?
এ হলো ইসলামি আকিদার উদাহরণ- বাস্তব ময়দানে ইসলামি মৌলিকত্ব শূন্য নাম সর্বস্ব মুসলিমের ক্ষেত্রে। যে ইসলাম দুনিয়া-আখেরাতের কল্যাণের বাহক। কিন্তু তারা সে ইসলামকে প্রয়োগ করে না। তার প্রতি ধাবিত হয় না। ফলে তাদের জীবন পতনোন্মুখ। আবার কখনো এর থেকে উত্তরণের চিন্তা করলেও সত্যিকারার্থে ত্রাণকর্তার দিকে দৃষ্টি দেয় না। বরং যে পতন ত্বরান্বিত ও গভীর করবে- তার প্রতি-ই ধাবিত হয়।
মুসলিমদের সময় এসেছে আল্লাহর সাথে সম্পর্ক উন্নয়নের এবং তার পছন্দকৃত ইসলামের সাথে গভীর সম্পর্ক স্থাপনের। তাদের সময় এসেছে বাস্তব ইসলামের দিকে প্রত্যাবর্তন করার। শয়তান আছরকৃত ব্যক্তির ন্যায় এদিক-সেদিক ঘোরাফেরা ছেড়ে, ইসলাম থেকেই জীবনের সঠিক রূপ রেখা গ্রহণ করা- যার নীতি নির্ভর হয়ে এগুবে অভীষ্ট লক্ষের দিকে।
তবে মুসলিম যুবকদের ভেতর ইসলামি পুনঃজাগরণের যে আন্দোলন দুনিয়া-জুড়ে বিরাজ করছে- অদূর ভবিষ্যতের জন্য এটি একটি শুভ সংবাদ। যদিও এ ভবিষ্যত প্রচুর ত্যাগ-তিতিক্ষা আর কুরবানির দাবিদার।
তবে যারা দীন পরিত্যাগ করেছে কিংবা দীন থেকে নিজেকে চিরতরে মুক্ত করে নিয়েছে, তাদের ব্যাপারে আল্লাহর ওয়াদা প্রযোজ্য নয়। বরং তাদের ওপর প্রয়োগ হবে আল্লাহর অশনি সংকেত। [আল্লাহ তা‘আলা বলেন, “যদি তোমরা মুখ ফিরিয়ে নাও, আল্লাহ তোমাদের পরিবর্তে এমন এক জাতির সৃষ্টি করবেন যারা তোমাদের মত হবে না।” [সূরা মুহাম্মাদ, আয়াত: ৩৮]]
পক্ষান্তরে যারা এ দীন আঁকড়ে আছে, এ দীন প্রতিষ্ঠার জন্য প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে, তারা অতি সত্বর আল্লাহর ওয়াদা প্রত্যক্ষ করবে। তারাই পৃথিবীতে কর্তৃত্ব করবে। যেমন কর্তৃত্ব করেছিল তাদের পূর্ববর্তীগণ। তিনিই সুদৃঢ় করবেন তাদের ধর্ম এবং ভয়-ভীতির উর্ধ্বে দান করবেন শান্তি। [পবিত্র কুরআনে ঘোষিত হচ্ছে- “তোমাদের মধ্যে যারা বিশ্বাস স্থাপন করে ও সৎ কর্ম করে, আল্লাহ তাদেরকে ওয়াদা দিয়েছেন যে, তাদেরকে অবশ্যই পৃথিবীর শাসনকর্তৃত্ব দান করবেন। যেমন তিনি শাসনকর্তৃত্ব দান করেছেন তাদেরপূর্ববর্তীদেরকে এবং তিনি অবশ্যই সুদৃঢ় করবেন তাদের ধর্মকে, যা তিনি তাদের জন্য পছন্দ করেছেন এবং তাদের ভয়-ভীতির পরিবর্তে অবশ্যই তাদেরকে শান্তি দান করবেন। তারা আমার ইবাদত করবে আমার সাথে কাউকে শরীক করবে না।” [সূরা আন-নূর, আয়াত: ৫৫]]
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/11/22
রিডিং সেটিংস
Bangla
English
Bangla
Indonesian
Urdu
System
System
Dark
Green
Teal
Purple
Brown
Sepia
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
Kfgq Hafs
Qalam
Scheherazade
Kaleel
Madani
Khayma
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
Kalpurush
Rajdip
Bensen
Ekushe
Alinur Nakkhatra
Dhakaiya
Saboj Charulota
Niladri Nur
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।