hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

সহীহ সুন্নাহ’র আলোকে জান্নাতের বৈশিষ্ট্য

লেখকঃ ওয়াহিদ ইবন আবদিস সালাম বালী

১৩
দশম পরিচ্ছেদ: জান্নাতের প্রাসাদ, কক্ষ ও তাঁবুসমূহ
আল্লাহ তা‘আলা বলেন:

﴿ وَمَسَٰكِنَ طَيِّبَةٗ فِي جَنَّٰتِ عَدۡنٖۚ ﴾ [ التوبة : ٧٢ ]

“আরও (ওয়াদা দিচ্ছেন) স্থায়ী জান্নাতসমূহে উত্তম বাসস্থানের।” [সূরা আত-তাওবা: ৭২]

আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা‘আলা আরও বলেন:

﴿ وَهُمۡ فِي ٱلۡغُرُفَٰتِ ءَامِنُونَ ٣٧ ﴾ [ سبا : ٣٧ ]

“আর তারা সুউচ্চ প্রাসাদে নিরাপদে থাকবে।” [সূরা সাবা: ৩৭]

আল্লাহ তা‘আলা আরও বলেন:

﴿ أُوْلَٰٓئِكَ يُجۡزَوۡنَ ٱلۡغُرۡفَةَ بِمَا صَبَرُواْ وَيُلَقَّوۡنَ فِيهَا تَحِيَّةٗ وَسَلَٰمًا ٧٥ ﴾ [ الفرقان : ٧٤ ]

“তারাই, যাদেরকে প্রতিদান দেয়া হবে জান্নাতের সুউচ্চ কক্ষ, যেহেতু তারা ছিল ধৈর্যশীল। আর তারা প্রাপ্ত হবে সেখানে অভিবাদন ও সালাম।” [সূরা আল-ফুরকান: ৭৫]

আল্লাহ তা‘আলা আরও বলেন:

﴿ لَٰكِنِ ٱلَّذِينَ ٱتَّقَوۡاْ رَبَّهُمۡ لَهُمۡ غُرَفٞ مِّن فَوۡقِهَا غُرَفٞ مَّبۡنِيَّةٞ تَجۡرِي مِن تَحۡتِهَا ٱلۡأَنۡهَٰرُۖ وَعۡدَ ٱللَّهِ لَا يُخۡلِفُ ٱللَّهُ ٱلۡمِيعَادَ ٢٠ ﴾ [ الزمر : ٢٠ ]

“তবে যারা তাদের রবের তাকওয়া অবলম্বন করে, তাদের জন্য আছে বহু প্রাসাদ যার উপর নির্মিত আরো প্রাসাদ, যার পাদদেশে নদী প্রবাহিত; এটা আল্লাহ্‌র প্রতিশ্রুতি, আল্লাহ্ প্রতিশ্রুতির বিপরীত করেন না।” [সূরা যুমার: ২০]

আল্লাহ তা‘আলা আরও বলেন:

﴿ حُورٞ مَّقۡصُورَٰتٞ فِي ٱلۡخِيَامِ ٧٢ ﴾ [ الرحمن : ٧٢ ]

“তারা হূর, তাঁবুতে সুরক্ষিতা।” [সূরা আর-রাহমান: ৭২]

৩০. আবূ মূসা আল-আশ‘আরী রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন:

« إِنَّ لِلْمُؤْمِنِ فِى الْجَنَّةِ لَخَيْمَةً مِنْ لُؤْلُؤَةٍ وَاحِدَةٍ مُجَوَّفَةٍ , طُولُهَا سِتُّونَ مِيلاً , لِلْمُؤْمِنِ فِيهَا أَهْلُونَ , يَطُوفُ عَلَيْهِمُ الْمُؤْمِنُ , فَلاَ يَرَى بَعْضُهُمْ بَعْضًا » . ( رواه البخاري و مسلم ) .

“নিশ্চয়ই মুমিনদের জন্য জান্নাতের মধ্যে ফাঁপা মূর্তির একটি তাঁবু থাকবে; আকাশের দিকে এর উচ্চতা হবে ষাট মাইল। তাতে মুমিনের পরিবার-পরিজন থাকবে, তাদের কাছে মুমিন ব্যক্তিগণ যাবে, তবে তাদের একজন অপরজনকে দেখতে পাবে না।” [বুখারী, আস-সহীহ (৮ / ২৬৪ - ফতহুল বারী) ; মুসলিম, অধ্যায়: জান্নাত এবং তার নিয়ামত ও অধিবাসীদের বর্ণনা ( الجنة وصفة نعيمها وأهلها ), পরিচ্ছেদ: জান্নাতের তাঁবুসমূহ এবং মুমিনদের জন্য তাতে যে পরিবার থাকবে তার বিবরণ প্রসঙ্গে ( باب فِى صِفَةِ خِيَامِ الْجَنَّةِ وَمَا لِلْمُؤْمِنِينَ فِيهَا مِنَ الأَهْلِينَ ), হাদিস নং- ৭৩৩৭।]

৩১. আবূ মালেক আল-আশ‘আরী রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন:

«إن في الجنة غرفة يرى ظاهرها من باطنها , وباطنها من ظاهرها , أعدها الله لمن أطعم الطعام , وألان الكلام , وتابع الصيام , وصلى بالليل والناس نيام» . ( رواه أحمد و ابن حبان ) .

“নিশ্চয়ই জান্নাতের মধ্যে একটি কক্ষ থাকবে, যার ভিতর থেকে বহির্ভাগ দেখা যাবে এবং বহির্ভাগ থেকে তার ভিতরভাগ দেখা যাবে; আল্লাহ তা‘আলা তা তৈরি করেছেন ঐ ব্যক্তির জন্য, যে অপরকে খাদ্য দান করে, নরম সুরে কথা বলে, সাওম পালন করে এবং মানুষ যখন ঘুমায় তখন সে সালাত আদায় করে।” [আহমদ; ইবন হিব্বান; ইমাম তিরমিযী র. হাদিসটি আলী রা. থেকে বর্ণনা করেছেন; আর তাবারানী ‘আল-কাবীর’ ( الكبير ) এর মধ্যে আবদুল্লাহ ইবন ‘আমর ইবনিল ‘আস রা. থেকে হাদিসখানা বর্ণনা করেছেন; আর আল-মুনযেরী ‘আত-তারগীব’ ( الترغيب ) নামক গ্রন্থের মধ্যে (২ / ২৪) হাদিসটিকে হাসান বলেছেন; আর অনুরূপ মন্তব্য করেছেন হাইছামী ‘আল-মাজমা‘ ( المجمع ) এর মধ্যে (১০ / ৩৯৭); আর এই হাদিসটি ‘সহীহুল জামে’ ( صحيح الجامع ) এর মধ্যে আছে (২ / ২২০)।]

৩২. আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন:

«أتى جبريل النبي صلى الله عليه و سلم , فقال : يا رسول الله ! هذه خديجة قد أتت معها إناء فيه إدام أو طعام أو شراب , فإذا هي أتتك فاقرأ عليها السلام من ربها ومني , وبشرها ببيت في الجنة من قصب , لا صخب فيه ولا نصب » . ( رواه البخاري و مسلم ) .

“জিবরাঈল আ. নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের খেদমতে হাযির হয়ে বললেন: হে আল্লাহর রাসূল! ঐ যে খাদিজা রা. একটি পাত্র হাতে নিয়ে আসছেন। ঐ পাত্রে তরকারী অথবা খাদ্যদ্রব্য অথবা পানীয় রয়েছে; যখন তিনি পৌঁছে যাবেন, তখন তাঁকে তাঁর প্রতিপালকের পক্ষ থেকে এবং আমার পক্ষ থেকে সালাম জানাবেন, আর তাঁকে জান্নাতের এমন একটি সুরম্য প্রাসাদের সুসংবাদ দিবেন, যার ভিতরদেশ ফাঁকা-মোতি দ্বারা তৈরি করা হয়েছে। সেখানে থাকবে না কোন প্রকার হট্টগোল এবং থাকবে না কোন প্রকার ক্লেশ ও ক্লান্তি।” [বুখারী, আস-সহীহ, অধ্যায়: সাহাবীদের ফযীলত ( كتاب فضائل الصحابة ), পরিচ্ছেদ: নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাথে খাদিজা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহার বিয়ে এবং তাঁর মর্যাদা ( باب تزويج النبي صلى الله عليه و سلم خديجة وفضلها رضي الله عنه ), হাদিস নং- ৩৬০৯; মুসলিম; আরও দেখুন: মিশকাতুল মাসাবীহ (৩ / ২৬৬)।]

৩৩. আবদুল্লাহ ইবন আব্বাস রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুমা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন:

« من بنى لله مسجدا ولو كمفحص قطاة لبيضها , بنى الله له بيتا في الجنة » . ( رواه أحمد ) .

“যে ব্যক্তি আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে একটি মাসজিদ নির্মাণ করল, যদিও তা তিতির পাখির ডিম পাড়ার উদ্দেশ্যে করা গর্তের মত হউক না কেন, তবে আল্লাহ তা‘আলা সেই ব্যক্তির জন্য জান্নাতের মধ্যে একটি ঘর তৈরি করে রাখবেন।” [আহমদ; আর আলবানী হাদিসটিকে ‘সহীহুল জামে’ ( صحيح الجامع ) এর মধ্যে (৫ / ২৬৫) সহীহ বলেছেন; আর সহীহাইন তথা বুখারী ও মুসলিমের মধ্যে উসমান ইবন ‘আফ্ফান রা. থেকে বর্ণনা করা হয়েছে।]

৩৪. মুমিন জননী উম্মে হাবীবা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন:

« مَا مِنْ عَبْدٍ مُسْلِمٍ يُصَلِّى لِلَّهِ كُلَّ يَوْمٍ ثِنْتَىْ عَشْرَةَ رَكْعَةً تَطَوُّعًا غَيْرَ فَرِيضَةٍ إِلاَّ بَنَى اللَّهُ لَهُ بَيْتًا فِى الْجَنَّةِ أَوْ إِلاَّ بُنِىَ لَهُ بَيْتٌ فِى الْجَنَّةِ » . ( رواه مسلم ) .

“যে কোন মুসলিম বান্দা ফরয ব্যতীত দৈনিক অতিরিক্ত বার রাকা‘আত সালাত আল্লাহর উদ্দেশ্য আদায় করবে, আল্লাহ তার জন্য জান্নাতে একটি ঘর তৈরি করবেন অথবা বলেছেন, জান্নাতে তার জন্য একটি ঘর তৈরি করা হবে।” [মুসলিম, অধ্যায়: মুসাফিরের সালাত ( صلاة المسافرين ), পরিচ্ছেদ: ফরযের আগে ও পরে নিয়মিত সুন্নাত সালাতের ফযীলত এবং তার রাকাত সংখ্যার বিবরণ ( باب فَضْلِ السُّنَنِ الرَّاتِبَةِ قَبْلَ الْفَرَائِضِ وَبَعْدَهُنَّ وَبَيَانِ عَدَدِهِنَّ ), হাদিস নং- ১৭২৯; আর এই হাদিসটি ‘সহীহুল জামে’ ( صحيح الجامع ) এর মধ্যে আছে, ক্রমিক নং- ৬২৩৪]

৩৫. আনাস রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন:

« دخلت الجنة , فإذا أنا بقصر من ذهب , فقلت : لمن هذا القصر ؟ قالوا : لشاب من قريش , فظننت أني أنا هو , فقلت : ومن هو ؟ قالوا : عمر بن الخطاب » . ( رواه البخاري و مسلم ) .

“আমি জান্নাতে প্রবেশ করলাম; তখন আমি আমাকে একটি স্বর্ণের প্রাসাদের নিকট দেখতে পেলাম। তখন আমি জিজ্ঞাসা করলাম: এই প্রাসাদটি কার জন্য? তারা বলল: কুরাইশ বংশের এক যুবকের জন্য; তখন আমি ধারণা করলাম যে, আমিই সেই ব্যক্তি; তারপর আমি জিজ্ঞাসা করলাম: কে সেই যুবক? তারা বলল: ওমর ইবনুল খাত্তাব।” [বুখারী ও মুসলিম।]

৩৬. আবূ সা‘ঈদ খুদরী রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন:

« إذا خلص المؤمنون من النار حبسوا بقنطرة بين الجنة والنار , فيتقاصون مظالم كانت بينهم في الدنيا , حتى إذا نقوا وهذبوا , أذن لهم بدخول الجنة , فوالذي نفس محمد صلى الله عليه و سلم بيده لأحدهم بمسكنه في الجنة أدل بمنزله كان في الدنيا » . ( رواه البخاري ) .

“মুমিনগণ যখন জাহান্নাম থেকে মুক্তি পাবে, তখন জান্নাত ও জাহান্নামের মাঝখানে একটি পুলের উপর তাদের আটকে রাখা হবে। তখন পৃথিবীতে একের প্রতি অন্যের যা যা জুলুম ও অন্যায় ছিল, তার প্রতিশোধ গ্রহণের পরে যখন তারা পরিচ্ছন্ন হয়ে যাবে, তখন তাদেরকে জান্নাতে প্রবেশের অনুমতি দেয়া হবে। সুতরাং সেই সত্তার কসম, যাঁর হাতে মুহাম্মদের প্রাণ! নিশ্চয়ই তাদের প্রত্যেকে পৃথিবীতে তার আবাসস্থল যেভাবে চিনত, তার চেয়ে অধিক সহজে তার জান্নাতের আবাসস্থল চিনতে পারবে।” [বুখারী, আস-সহীহ, অধ্যায়: যুলুম ( كتاب المظالم ), পরিচ্ছেদ: অপরাধের দণ্ড ( باب قصاص المظالم ), হাদিস নং- ২৩০৮]

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন