মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
আসসালামু আলাইকুম, Hadith.one বন্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে! আমাদের সার্ভারের মেয়াদ ১১ অক্টোবর ২০২৫ এ শেষ হবে, এবং এবং ওয়েবসাইট টি চালানোর জন্য আমাদের কোনো ফান্ড নেই।
🌟 আপনার দান এই প্ল্যাটফর্মকে বাঁচাতে পারে এবং প্রতিটি হাদিস পড়ার মাধ্যমে সদকাহ জারিয়ার অংশীদার হতে পারেন!
🔗 অনুগ্রহ করে আপনার দানের মাধ্যমে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি চালিয়ে নিতে সাহায্য করুন!
জাযাকাল্লাহু খাইরান!
“এ এক স্মরণ। মুত্তাকীদের জন্য রয়েছে উত্তম আবাস— চিরস্থায়ী জান্নাত, যার দরজাসমূহ তাদের জন্য উন্মুক্ত। সেখানে তারা আসীন হবে হেলান দিয়ে, সেখানে তারা বহুবিধ ফলমূল ও পানীয় চাইবে।” [সূরা সোয়াদ: ৪৯ - ৫১]
“নিশ্চয় সৎকর্মশীলেরা পান করবে এমন পূর্ণপাত্র-পানীয় থেকে যার মিশ্রণ হবে কাফূর— এমন একটি প্রস্রবণ যা থেকে আল্লাহর বান্দাগণ পান করবে, তারা এ প্রস্রবণকে যথেচ্ছা প্রবাহিত করবে।” [সূরা আল-ইনসান: ৫ - ৬]
“কেউ মন্দ কাজ করলে সে শুধু তার কাজের অনুরূপ শাস্তিই প্রাপ্ত হবে। আর যে পুরুষ কিংবা নারী মুমিন হয়ে সৎকাজ করবে তবে তারা প্রবেশ করবে জান্নাতে, সেখানে তাদেরকে দেয়া হবে অগণিত রিযিক।” [সূরা গাফের: ৪০]
“স্বর্ণের থালা ও পানপাত্র নিয়ে তাদেরকে প্রদক্ষিণ করা হবে; সেখানে মন যা চায় এবং যাতে নয়ন তৃপ্ত হয় তাই থাকবে। আর সেখানে তোমরা স্থায়ী হবে।” [সূরা যুখরুফ: ৭১]
৫৯. জাবের রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি:
“নিশ্চয়ই জান্নাতবাসীগণ সেখানে খাবে এবং পান করবে; তারা সেখানে থুথু ফেলবে না, প্রস্রাব করবে না, পায়খানা করবে না এবং তাদের নাক থেকে শ্লেষ্মাও বের হবে না। সাহাবীগণ জিজ্ঞাসা করলেন: তাহলে খাবারের অবস্থা কি হবে? জবাবে তিনি বললেন: “ঢেকুরের মাধ্যমেই তা হযম হয়ে যাবে; আর সেখানকার ঘাম হবে মিশকের ন্যায় সুগন্ধময়। আর তাদেরকে ইলহাম করা হবে (স্বাভাবিকভাবে বের হবে) তাসবীহ ও তাহমীদ (আল্লাহর প্রশংসা), যেমনিভাবে শ্বাসপ্রশ্বাসের ইলহাম (তোমাদেরকে স্বাভাবিকভাবে গ্রহণ) করানো হয়।” [মুসলিম (১৭ / ১৭৩ - নববী)।]
৬০. আনাস ইবন মালেক রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন:
« إن طير الجنة كأمثال البخت , ترعى في شجر الجنة » . فقال أبو بكر رضي الله عنه : يا رسول الله ! إن هذه لطير ناعمة . فقال أكلتها أنعم منها , ( قالها ثلاثا ) , وأني لأرجو أن تكون ممن يأكل منها يا أبا بكر » . ( رواه أحمد ) .
“নিশ্চয়ই জান্নাতের পাখি হবে খোরাসানী উটের মত, সেগুলো জান্নাতের গাছে গাছে চরবে।” অতঃপর আবূ বকর রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু বললেন: হে আল্লাহ রাসূল! নিশ্চয়ই এই পাখিগুলো মোলায়েম ও স্বাচ্ছন্দ্যপূর্ণ হবে। তখন তিনি বললেন: “সেগুলো যারা খাবে, তারা তার চেয়ে বেশি মোলায়েম ও স্বাচ্ছন্দ্যপূর্ণ (তিনি এই কথাটি তিনবার বলেছেন); আর আমি অবশ্যই কামনা করি যে, তুমি হবে তাদেরই একজন, যার তা থেকে খাবে।” [ইমাম আহমদ র. হাদিসটি উৎকৃষ্ট সনদে বর্ণনা করেছেন, যা আল-মুনযেরী ‘আত-তারগীব’ ( الترغيب ) নামক গ্রন্থের মধ্যে (৬ / ২৯৮) বলেছেন; আর ইরাকী (৩০০৮) বলেন: তার সনদ বিশুদ্ধ।]
৬১. সালেম ইবন ‘আমির রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন:
«كان أصحاب رسول الله صلى الله عليه و سلم يقولون : إن الله لينفعنا بالأعراب و مسائلهم . قال : أقبل أعرابي يوما , فقال : يا رسول الله ! قد ذكر الله عز و جل في الجنة شجرة مؤذية , و ما كنت أرى أن في الجنة شجرة تؤذي صاحبها . فقال رسول الله صلى الله عليه و سلم : فما هي ؟ قال : السدر , فإن لها شوكا مؤذيا . قال رسول الله صلى الله عليه و سلم : أليس الله يقول : ﴿ في سدر مخضود ﴾ يخضد الله شوكه , فيجعل مكان كل شوكة ثمرة , فإنها لتنبت ثمرا تفتق الثمرة منها عن اثنين و سبعين لونا من طعام , ما فيها لون يشبه الآخر » .
“রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাহাবীগণ বলতেন: নিশ্চয়ই আল্লাহ তা‘আলা বেদুইনগণ ও তাদের প্রশ্ন করার মাধ্যমে আমাদের অনেক উপকার করেছেন। বর্ণনাকারী বলেন: কোন একদিন এক বেদুইন আগমন করল, তারপর বলল: হে আল্লাহর রাসূল! আল্লাহ তা‘আলা জান্নাতের মধ্যে একটি কষ্টদায়ক বৃক্ষ থাকবে বলে উল্লেখ করেছেন, অথচ আমি মনে করি না যে, জান্নাতে এমন কোন বৃক্ষ থাকবে, যা জান্নাতবাসীকে কষ্ট দিবে। তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম জিজ্ঞাস করলেন: “সেই বৃক্ষটি কোনটি?” সে বলল: কুলবৃক্ষ; কেননা, তার মাঝে কষ্টদায়ক কাঁটা রয়েছে। তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন: “আল্লাহ তা‘আলা কি বলেননি: ﴿ في سدر مخضود ﴾ [যাতে আছে কাঁটাহীন কুলগাছ] ? আল্লাহ তা‘আলা তার কাঁটা কেটে দিয়েছেন, তারপর প্রত্যেকটি কাঁটার জায়গায় একটি করে ফলের ব্যবস্থা করেছেন; সুতরাং সেই বৃক্ষটি অনেক ফল দিবে, তার ফল থেকে বাহাত্তর রঙের খাবার বেরিয়ে আসবে, তাতে একটি রঙের সাথে অন্যটির কোন মিল থাকবে না।” [ইবনু আবিদ দুনিয়া হাদিসটি বর্ণনা করেছেন; হাফেয আল-মুনযেরী ‘আত-তারগীব’ ( الترغيب ) নামক গ্রন্থের মধ্যে (৬ / ৩০) বলেছেন: তার সনদ বিশুদ্ধ।]
৬২. আনাস ইবন মালেক রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন:
« بلغ عبد الله بن سلام مقدم النبي صلى الله عليه و سلم المدينة , فأتاه , فقال : إني سائلك عن ثلاث لا يعلمهن إلا نبي . قال : ما أول أشراط الساعة ؟ وما أول طعام يأكله أهل الجنة ؟ ومن أي شيء ينزع الولد إلى أبيه ومن أي شيء ينزع إلى أخواله ؟ فقال رسول الله صلى الله عليه و سلم : « أخبرني بهن آنفا جبريل » . فقال عبد الله ابن سلام : ذاك عدو اليهود من الملائكة . فقال رسول الله صلى الله عليه و سلم : « أما أول أشراط الساعة فنار تحشرالناس من المشرق إلى المغرب , وأما أول طعام يأكله أهل الجنة فزيادة كبد الحوت , وأما الشبه في الولد فإن الرجل إذا غشي المرأة فسبقها ماؤه كان الشبه له وإذا سبق ماؤها كان الشبه لها » . قال أشهد أن لا إله إلا الله وأنك رسول الله صلى الله عليه و سلم .
ثم قال : يا رسول الله ! إن اليهود قوم بهت , إن علموا بإسلامي قبل أن تسألهم بهتوني عندك . فجاءت اليهود , ودخل عبد الله البيت , فقال النبي صلى الله عليه و سلم : « أي رجل فيكم عبد الله بن سلام » . قالوا : أعلمنا وابن أعلمنا , وأخيرنا وابن أخيرنا . فقال رسول الله صلى الله عليه و سلم : «أفرأيتم إن أسلم عبد الله ؟» . قالوا : أعاذه الله من ذلك . فخرج عبد الله إليهم , فقال أشهد أن لا إله إلا الله وأشهد أن محمدا رسول الله . فقالوا : شرنا وابن شرنا , ووقعوا فيه » . ( رواه البخاري ) .
“আবদুল্লাহ ইবন সালাম রা. এর নিকট নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের আগমনের সংবাদ পৌঁছলে তিনি তাঁকে কয়েকটি প্রশ্ন করলেন। তিনি বললেন: আমি আপনাকে তিনটি প্রশ্ন করছি; এগুলোর সঠিক উত্তর নবী ব্যতীত অন্য কেউ জানে না— (১) কিয়ামতের সর্বপ্রথম আলামত ও লক্ষণ কী? (২) জান্নাতবাসীদের সর্বপ্রথম খাবার কী? এবং (৩) কি কারণে সন্তান আকৃতিতে কখনও পিতার অনুরূপ, আবার কখনও বা মায়ের অনুরূপ হয়? নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন: এই বিষয়গুলো সম্পর্কে এইমাত্র জিবরাঈল আ. আমাকে জানিয়ে গেলেন। আবদুল্লাহ ইবন সালাম রা. একথা শুনে বললেন, ফিরিশতাদের মধ্যে তিনিই ইয়াহূদীদের শত্রু। নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম (তার প্রশ্নের জবাবে) বললেন: (১) কিয়ামত নিকটবর্তী হওয়ার সর্বপ্রথম লক্ষণ হল লেলীহান আগুন, যা মানুষকে পূর্বদিক থেকে পশ্চিম দিকে ধাওয়া করে নিয়ে যাবে এবং সবাইকে সমবেত করবে; (২) জান্নাতবাসীগণ সর্বপ্রথম যে খাবার ভক্ষণ করবে, তা হল মাছের কলিজার অতিরিক্ত অংশ; (৩) যদি নারীর আগে পুরুষের বীর্যপাত ঘটে, তবে সন্তান পিতার অনুরূপ হয়; আর যদি পুরুষের আগে নারীর বীর্যপাত ঘটে, তবে সন্তান মায়ের অনুরূপ হয়। আবদুল্লাহ ইবন সালাম বললেন: আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ ছাড়া কোনো হক্ব ইলাহ (উপাস্য) নেই এবং নিশ্চয়ই আপনি আল্লাহর রাসূল।
অতঃপর সে বলল: হে আল্লাহর রাসূল! ইয়াহূদীগণ এমন একটি সম্প্রদায়, যারা অন্যের কুৎসা রটনায় অত্যন্ত পটু। আমার ইসলাম গ্রহণ করার বিষয়টি প্রকাশ হওয়ার পূর্বে আমার অবস্থা সম্পর্কে তাঁদেরকে জিজ্ঞাসা করুন। নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদেরকে ডাকলেন, তারা হাযির হল। তিনি জিজ্ঞাসা করলেন, তোমাদের মাঝে আবদুল্লাহ ইবন সালাম কেমন লোক? জবাবে তারা বলল, তিনি আমাদের মধ্যে সর্বোত্তম ব্যক্তি এবং সর্বোত্তম ব্যক্তির পুত্র; তিনি আমাদের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ ব্যক্তি এবং সর্বশ্রেষ্ঠ ব্যক্তির পুত্র। নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন: আচ্ছা বলত, যদি আবদুল্লাহ ইবন সালাম ইসলাম গ্রহণ করে, তাহলে কেমন হবে? তোমরা তখন কি করবে? তারা বলল, আল্লাহ তাকে এ কাজ থেকে রক্ষা করুন। নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম আবার এ কথাটি বললেন, তারাও আগের মত করে উত্তর দিল। তখন আবদুল্লাহ ইবন সালাম বেরিয়ে আসলেন এবং বললেন: أشهد أن لا إله إلا الله وأشهد أن محمدا رسول الله (আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ ছাড়া কোনো হক্ক ইলাহ নেই এবং মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহর রাসূল)। এ কথা শুনে ইয়াহূদীগণ বলতে লাগল, সে আমাদের মধ্যে মন্দ লোক এবং মন্দ লোকের ছেলে। আর তারা তাকে হেয় প্রতিপন্ন করার উদ্দেশ্য আরও নানান কথাবার্তা বলতে শুরু করল।” [বুখারী, আস-সহীহ, অধ্যায়: সাহাবীদের ফযীলত ( كتاب فضائل الصحابة ), পরিচ্ছেদ: নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম কিভাবে তাঁর সাহাবীদের মধ্যে ভ্রাতৃত্ববোধ তৈরি করেছেন ( باب كيف آخى النبي صلى الله عليه و سلم بين أصحابه ), হাদিস নং- ৩৭২৩]
৬৩. আবূ উমামা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন:
« إن الرجل من أهل الجنة ليشتهي الشراب من شراب الجنة , فيجيء إليه الإبريق , فيقع في يده , فيشرب , فيعود إلى مكانه » .
“নিশ্চয়ই জান্নাতবাসীদের মধ্য থেকে এক ব্যক্তি জান্নাতের পানীয় থেকে পানীয় গ্রহণ করার আকঙ্খা প্রকাশ করবে, অতঃপর তার নিকট জগ বা এ জাতীয় পানপাত্র চলে আসবে এবং তার হাতের মধ্যে পানীয় ঢালবে, তারপর সে পান করবে; অতঃপর সেই পাত্র আবার তার জায়গায় ফিরে যাবে।” [ইবনু আবিদ দুনিয়া হাদিসটি ‘মাওকুফ’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন; আর হাফেয আল-মুনযেরী ‘আত-তারগীব’ ( الترغيب ) নামক গ্রন্থের মধ্যে (৬ / ২৯৬) বলেছেন: তার সনদ উৎকৃষ্ট।]
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/316/17
রিডিং সেটিংস
Bangla
English
Bangla
Indonesian
Urdu
System
System
Dark
Green
Teal
Purple
Brown
Sepia
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
Kfgq Hafs
Qalam
Scheherazade
Kaleel
Madani
Khayma
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
Kalpurush
Rajdip
Bensen
Ekushe
Alinur Nakkhatra
Dhakaiya
Saboj Charulota
Niladri Nur
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।