মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
আসসালামু আলাইকুম, Hadith.one বন্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে! আমাদের সার্ভারের মেয়াদ ১১ অক্টোবর ২০২৫ এ শেষ হবে, এবং এবং ওয়েবসাইট টি চালানোর জন্য আমাদের কোনো ফান্ড নেই।
🌟 আপনার দান এই প্ল্যাটফর্মকে বাঁচাতে পারে এবং প্রতিটি হাদিস পড়ার মাধ্যমে সদকাহ জারিয়ার অংশীদার হতে পারেন!
🔗 অনুগ্রহ করে আপনার দানের মাধ্যমে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি চালিয়ে নিতে সাহায্য করুন!
জাযাকাল্লাহু খাইরান!
“নিশ্চয় আমরা তাদেরকে সৃষ্টি করেছি বিশেষরূপে— অতঃপর তাদেরকে করেছি কুমারী, সোহাগিনী ও সমবয়স্কা।” [সূরা আল-ওয়াকিয়া: ৩৫ - ৩৭]
৬৯. আনাস ইবন মালেক রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন:
«لروحة في سبيل الله أو غدوة خير من الدنيا وما فيها ولقاب قوس أحدكم من الجنة أو موضع قيد يعني سوطه خير من الدنيا وما فيها , ولو أن امرأة من أهل الجنة اطلعت إلى أهل الأرض لملأت ما بينهما ريحا , لأضاءت ما بينهما , ولنصيفها على رأسها خير من الدنيا وما فيها» . ( رواه البخاري ) .
“আল্লাহর রাস্তায় একটি সকাল অথবা একটি বিকাল অতিবাহিত করা দুনিয়া ও তার মধ্যকার সবকিছু থেকে উত্তম। আর তোমাদের কারোর ধনুকের কিংবা চাবুক রাখার মত জান্নাতের জায়গাটুকু দুনিয়া ও তার মধ্যকার সবকিছু থেকে উত্তম। জান্নাতী কোনো মহিলা যদি দুনিয়াবাসীদের প্রতি উঁকি দেয়, তাহলে আসমান ও যমীনের মধ্যবর্তী সবকিছু সুরভীতে ভরপুর হয়ে যাবে এবং উভয়ের মধ্যবর্তী সবকিছু আলোকিত হয়ে যাবে। আর তার মাথার ওড়না দুনিয়া ও তার মধ্যকার সবকিছু থেকে উত্তম।” [বুখারী, আস-সহীহ, অধ্যায়: জিহাদ ( كتاب الجهاد والسير ), পরিচ্ছেদ: ডাগর চক্ষু বিশিষ্ট হুর ও তাদের গুণাবলী, তাদের দর্শনে দৃষ্টি স্থির থাকে না এবং তাদের চোখের মনি অতীব কালো ও চোখের সাদা অংশ অতীব শুভ্র ( باب الحور العين وصفتهن يحار فيها الطرف شديدة سواد العين شديدة بياض العين ), হাদিস নং- ২৬৪৩।]
৭০. আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন:
« إن أول زمرة يدخلون الجنة على صورة القمر ليلة البدر , و التي تليها على أضوإ كوكب دري في السماء , لكل امرئ منهم زوجتان اثنتان , يرى مخ سوقهما من وراء اللحم , وما في الجنة أعزب » . ( رواه البخاري ) .
“সর্বপ্রথম যে দল জান্নাতে প্রবেশ করবে, তাদের মুখমণ্ডল হবে পূর্ণিমার রাতের চাঁদের মত উজ্জ্বল। তারপর যে দল তাদের অনুগামী হবে, তাদের মুখমণ্ডল হবে আকাশের সর্বাধিক দীপ্তিমান উজ্জ্বল তারকার মত। আর তাদের প্রত্যেকের জন্য এমন দু’জন স্ত্রী থাকবে, যাদের সৌন্দর্যের ফলে গোশত ভেদ করে পায়ের নলার হাঁড়ের মজ্জা দেখা যাবে। আর জান্নাতের মধ্যে কোনো অবিবাহিত নেই।” [বুখারী (৬ / ৩২১ - ফাতহুল বারী)।]
৭১. আবূ সা‘ঈদ খুদরী রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন:
“নিশ্চয়ই জান্নাতের মধ্যে পুরুষ ব্যক্তি একভাবে সত্তর বছর হেলান দিয়ে থাকবে, অতঃপর তার নিকট তার স্ত্রী আসবে এবং সে তার দুই কাঁধের উপর (মৃদু) আঘাত করবে; তারপর সে তার সামনের দিকে লক্ষ্য করে দেখবে তার (স্ত্রী’র) গণ্ডদেশ (গাল) আয়নার চেয়েও অনেক বেশি স্বচ্ছ; তার চেহারার উপর একটি ছোট্ট মুক্তাদানার আলোর প্রতিবিম্ব নিশ্চিতভাবে পূর্ব ও পশ্চিমের মধ্যকার সমপরিমাণ জায়গাকে আলোকিত করে দিবে; অতঃপর তার স্ত্রী তাকে সালাম পেশ করবে; রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন: তারপর সেও সালামের জবাব পেশ করবে এবং তাকে জিজ্ঞাসা করবে: তুমি কে? তখন সে বলবে: আমি (তোমার জন্য) অতিরিক্ত বরাদ্ধ; আর তার পোশাক হবে সত্তরটি, তন্মধ্যে সবচেয়ে নিম্নমানের পোশাকটির অবস্থা হবে ‘তুবা’ নামক বৃক্ষ থেকে উৎপাদিত ‘নু‘মান’ নামক পাহাড়ের মত; তারপর সেই পোশাক তাকে পরানো হবে, তারপরেও এর বাইরে থেকে সৌন্দর্যের ফলে তার পায়ের নলার হাঁড়ের মজ্জা দেখা যাবে; আর তার মাথায় থাকবে (মুক্তার) মুকুট, যার মধ্যকার ছোট্ট একটি মুক্তাদানা পূর্ব ও পশ্চিমের মধ্যকার সমপরিমাণ জায়গাকে আলোকিত করে দিবে।” [তাবারানী হাদিসটি উৎকৃষ্ট সনদে ‘আল-আওসাত’ ( الأوسط ) এর মধ্যে বর্ণনা করেছেন, যা হাইছামী ‘আল-মাজমা’ ( المجمع ) নামক গ্রন্থের মধ্যে (১০ / ৪১৮) বলেছেন।]
অর্থসহ হাদিসের বিশেষ শব্দ-তালিকা:
( أَنَا مِنَ الْمَزِيدِ ): অর্থাৎ আল্লাহ তা‘আলার বাণী: ﴿ لَهُم مَّا يَشَآءُونَ فِيهَا وَلَدَيۡنَا مَزِيدٞ ٣٥ ﴾ [ق: ٣٥ ] [এখানে তারা যা কামনা করবে তা-ই থাকবে এবং আমার কাছে রয়েছে তারও বেশি। - সূরা ক্বাফ: ৩৫]।
( النُّعْمَان ): আরাফাতের পাহাড়।
( فَيَنْفُذُهَا ): তার দৃষ্টি এই কাপড়সমূহকে অতিক্রম করবে।
( طُوبَى ): এমন বৃক্ষের নাম, যার থেকে জান্নাতবাসীদের কাপড় বেরিয়ে আসবে।
৭৩. মু‘আয ইবন জাবাল রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন:
«لا تؤذى امرأة زوجها في الدنيا ؛ الا قالت زوجته من الحور العين : لا تؤذيه قاتلك الله ؛ فإنما هو عندك دخيل , يوشك أن يفارقك إلينا » . ( رواه أحمد و الترمذي ) .
“দুনিয়ার জীবনে কোনো স্ত্রী তার স্বামীকে কষ্ট দিলে ডাগর চক্ষুবিশিষ্টা হূরদের মধ্য থেকে তার স্ত্রী বলে: তুমি তাকে কষ্ট দিও না, আল্লাহ তোমাকে ধ্বংস করুন; কারণ, সে তো তোমার নিকট আগন্তুক, শীঘ্রই সে তোমাকে ছেড়ে আমাদের নিকট চলে আসবে।” [আহমদ; তিরমিযী; আর আলবানী হাদিসটিকে ‘সহীহুল জামে’ ( صحيح الجامع ) এর মধ্যে সহীহ বলেছেন, ক্রমিক নং- ৭০৬৯]
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/316/20
রিডিং সেটিংস
Bangla
English
Bangla
Indonesian
Urdu
System
System
Dark
Green
Teal
Purple
Brown
Sepia
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
Kfgq Hafs
Qalam
Scheherazade
Kaleel
Madani
Khayma
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
Kalpurush
Rajdip
Bensen
Ekushe
Alinur Nakkhatra
Dhakaiya
Saboj Charulota
Niladri Nur
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।