hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

সহীহ সুন্নাহ’র আলোকে জান্নাতের বৈশিষ্ট্য

লেখকঃ ওয়াহিদ ইবন আবদিস সালাম বালী

পঞ্চম পরিচ্ছেদ: জান্নাতবাসীগণ কর্তৃক জান্নাতে প্রবেশের বিবরণ
আল্লাহ তা‘আলা বলেন:

﴿ وَأُدۡخِلَ ٱلَّذِينَ ءَامَنُواْ وَعَمِلُواْ ٱلصَّٰلِحَٰتِ جَنَّٰتٖ تَجۡرِي مِن تَحۡتِهَا ٱلۡأَنۡهَٰرُ خَٰلِدِينَ فِيهَا بِإِذۡنِ رَبِّهِمۡۖ تَحِيَّتُهُمۡ فِيهَا سَلَٰمٌ ٢٣ ﴾ [ ابراهيم : ٢٣ ]

“আর যারা ঈমান আনে ও সৎকাজ করে তাদেরকে প্রবেশ করানো হবে জান্নাতে যার পাদদেশে নদী প্রবাহিত। সেখানে তারা তাদের রবের অনুমতিক্রমে স্থায়ী হবে, সেখানে তাদের অভিবাদন হবে ‘সালাম’।” [সূরা ইবরাহীম: ২৩]

আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা‘আলা আরও বলেন:

﴿ أَهَٰٓؤُلَآءِ ٱلَّذِينَ أَقۡسَمۡتُمۡ لَا يَنَالُهُمُ ٱللَّهُ بِرَحۡمَةٍۚ ٱدۡخُلُواْ ٱلۡجَنَّةَ لَا خَوۡفٌ عَلَيۡكُمۡ وَلَآ أَنتُمۡ تَحۡزَنُونَ ٤٩ ﴾ [ الاعراف : ٤٩ ]

“এরাই কি তারা, যাদের সম্বন্ধে তোমরা শপথ করে বলতে যে, আল্লাহ্ তাদেরকে রহমতে শামিল করবেন না? (এদেরকেই বলা হবে,) ‘তোমরা জান্নাতে প্রবেশ কর, তোমাদের কোন ভয় নেই এবং তোমরা চিন্তিতও হবে না।” [সূরা আল-আ‘রাফ: ৪৯]

আল্লাহ তা‘আলা আরও বলেন:

﴿ ٱلَّذِينَ تَتَوَفَّىٰهُمُ ٱلۡمَلَٰٓئِكَةُ طَيِّبِينَ يَقُولُونَ سَلَٰمٌ عَلَيۡكُمُ ٱدۡخُلُواْ ٱلۡجَنَّةَ بِمَا كُنتُمۡ تَعۡمَلُونَ ٣٢ ﴾ [ النحل : ٣٢ ]

“ফিরিশতাগণ যাদের মৃত্যু ঘটায় পবিত্র থাকা অবস্থায়। ফিরিশতাগণ বলবে, ‘তোমাদের প্রতি শান্তি! তোমরা যা করতে, তার ফলে জান্নাতে প্রবেশ কর।” [সূরা আন-নাহল: ৩২]

আল্লাহ তা‘আলা আরও বলেন:

﴿ إِنَّ ٱلۡمُتَّقِينَ فِي جَنَّٰتٖ وَعُيُونٍ ٤٥ ٱدۡخُلُوهَا بِسَلَٰمٍ ءَامِنِينَ ٤٦ ﴾ [ الحجر : ٤٥، ٤٦ ]

“নিশ্চয় মুত্তাকীরা থাকবে জান্নাতে ও প্রস্রবণসমূহের মধ্যে। তাদেরকে বলা হবে, ‘তোমরা শান্তিতে নিরাপত্তার সাথে এতে প্রবেশ কর’।” [সূরা আল-হিজর: ৪৫ - ৪৬]

১৪. সাহল ইবন সা‘দ রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন:

« ليدخلن الجنة من أمتي سبعون ألفا أو سبعمائة ألف , ( لا يدري أبو حازم أيهما قال ) , متماسكون , آخذ بعضهم بعضا , لا يدخل أولهم حتى يدخل آخرهم , وجوههم على صورة القمر ليلة البدر » . ( رواه البخاري و مسلم ) .

“আমার উম্মত থেকে সত্তর হাজার লোক অথবা সাত লক্ষ লোক একে অপরের হাত ধরে জান্নাতে প্রবেশ করবে। (বর্ণনাকারী আবূ হাযেমের নিশ্চিত জানা নেই যে, তিনি উভয় সংখ্যার মধ্যে কোনটি বলেছেন) তাদের প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত সকলেই একসাথে জান্নাতে প্রবেশ করবে; আর তাদের চেহারাগুলো পূর্ণিমার চাঁদের আলোর ন্যায় উজ্জ্বল থাকবে।” [বুখারী, আস-সহীহ, অধ্যায়: কোমল হওয়া ( كتاب الرقاق ), পরিচ্ছেদ: জান্নাত ও জাহান্নামের বর্ণনা ( باب صفة الجنة والنار ), হাদিস নং- ৬১৮৭; মুসলিম (৩ / ৯২ - নববী)।]

১৫. আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন:

«إن أول زمرة يدخلون الجنة على صورة القمر ليلة البدر , ثم الذين يلونهم على أشد كوكب دري في السماء إضاءة , لا يبولون ولا يتغوطون , ولا يتفلون ولا يمتخطون , أمشاطهم الذهب , ورشحهم المسك , ومجامرهم الألوة الألنجوج عود الطيب , وأزواجهم الحور العين , أخلاقهم على خلق رجل واحد على صورة أبيهم آدم : ستون ذراعا في السماء» . ( رواه البخاري ومسلم ).

“সর্বপ্রথম যে দল জান্নাতে প্রবেশ করবে, তাদের মুখমণ্ডল হবে পূর্ণিমার রাতের চাঁদের মত উজ্জ্বল। তারপর যে দল তাদের অনুগামী হবে, তাদের মুখমণ্ডল হবে আকাশের সর্বাধিক দীপ্তিমান উজ্জ্বল তারকার মত। তারা না করবে পেশাব, আর না করবে পায়খানা। তাদের থুথু ফেলার প্রয়োজন হবে না এবং তাদের নাক থেকে শ্লেষ্মাও বের হবে না। তাদের চিরণী হবে স্বর্ণের তৈরি। তাদের ঘাম হবে মিশকের ন্যায় সুগন্ধময়। তাদের ছাইদানি বা আগরদানি হবে সুগন্ধযুক্ত চন্দন কাঠের। ডাগড় চক্ষু বিশিষ্টা হূরগণ হবে তাদের স্ত্রী। তাদের সকলের দেহের গঠন হবে একই রকম। তারা সকলেই তাদের আদি পিতা আদম আ. এর আকৃতিতে হবে। উচ্চতায় তাদের দেহের দৈর্ঘ্য হবে ষাট হাত।” [বুখারী, আস-সহীহ, অধ্যায়: আম্বীয়া ( كتاب الأنبياء ), পরিচ্ছেদ: আল্লাহ তা‘আলার বাণী ( باب قول الله تعالى ), হাদিস নং- ৩১৪৯; মুসলিম (১৭ / ১৭১ - নববী)।]

অপর এক বর্ণনায় এসেছে:

«ولكل واحد منهم زوجتان يرى مخ سوقهما من وراء اللحم من الحسن , ولا اختلاف بينهم ولا تباغض , قلوبهم قلب رجل واحد , يسبحون الله بكرة وعشيا » . ( رواه البخاري و مسلم ) .

“আর তাদের প্রত্যেকের জন্য এমন দু’জন স্ত্রী থাকবে, যাদের সৌন্দর্যের ফলে গোশত ভেদ করে পায়ের নলার হাঁড়ের মজ্জা দেখা যাবে। তাদের মধ্যে কোন মতভেদ থাকবে না; পরস্পর হিংসা-বিদ্বেষ থাকবে না। তাদের সকলের অন্তর এক অন্তরের মত থাকবে। তারা সকাল ও সন্ধ্যায় আল্লাহর তাসবীহ পাঠে রত থাকবে।” [বুখারী, আস-সহীহ, অধ্যায়: সৃষ্টির সূচনা ( كتاب بدء الخلق ), পরিচ্ছেদ: জান্নাতের বর্ণনা প্রসঙ্গে যা এসেছে এবং তা (আল্লাহর) সৃষ্টি ( باب ما جاء في صفة الجنة وأنها مخلوقة ), হাদিস নং- ৩০৭৩; মুসলিম (১৭ / ১৭৩ - নববী)।]

অর্থসহ হাদিসের বিশেষ শব্দ-তালিকা:

( الألنجوج ): সুগন্ধময় কাঠ, যা ধূপায়িত করার দ্বারা সুবাস ছড়ানো হয়।

( زمرة ): দল বা গোষ্ঠী।

( مجامرهم الألوة ): এমন কাঠ, যা ধূপায়িত করার দ্বারা সুবাস ছড়ানো হয়; কেউ কেউ বলেন: সুগন্ধযুক্ত ঐ কাঠকেই তাদের ছাইদানি বানানো।

( المجامر ): শব্দটি " مجمرة " শব্দের বহুবচন, তার অর্থ: ধূপপাত্র; আর তাকে" مجمرة " বা ছাইদানি নামে নামকরণ করার কারণ হল, যেহেতু তাতে অঙ্গার রাখা হয় তার মধ্যে রাখা সুগন্ধিযুক্ত কাঠকে পুড়িয়ে সুবাস ছড়িয়ে দেয়ার জন্য।

( مخ سوقهما ): হাড়ের অভ্যন্তরে যা থাকে; আর এর দ্বারা উদ্দেশ্য হল: তার চরম সৌন্দর্যের বর্ণনা দেয়া; আর তা হল হাড়ের অভ্যন্তরে যা কিছু আছে, তাকে হাড়, গোশত ও চামড়া আড়াল করতে পারবে না।

( قلوبهم قلب رجل واحد ): অর্থাৎ তাদের মধ্যে কোন হিংসা-বিদ্বেষ ও মতবিরোধ থাকবে না; কারণ, যাবতীয় মন্দ ও নিন্দিত চরিত্র থেকে তাদের অন্তর পবিত্র হয়ে গেছে।

১৬. মু‘আয ইবন জাবাল রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন:

« يدخل أهل الجنة الجنة جردا , مردا , مكحلين , أبناء ثلاثين أو ثلاث وثلاثين سنة » . ( رواه الترمذي ) .

“জান্নাতবাসীগণ পশমহীন শরীর, দাড়ি-গোঁফবিহীন মুখ, সুরমা দেয়া চোখের মত কাজল কালো চোখ এবং ত্রিশ বা তেত্রিশ বছর বয়সের যুবক অবস্থায় জান্নাতে প্রবেশ করবে।” [তিরমিযী (৪ / ৮৮); আর হাইছামী ‘আল-মাজমা’ ( المجمع ) গ্রন্থের মধ্যে হাদিসটিকে হাসান বলেছেন (১০ / ৩৯৯)। আর আলবানীও হাদিসটিকে হাসান বলেছেন।]

অর্থসহ হাদিসের বিশেষ শব্দ-তালিকা:

" جرد ": " أجرد "শব্দের বহুবচন, তার অর্থ এমন এক ব্যক্তি, যার শরীর তথা চামড়ার উপর কোন পশম নেই।

" مرد ": " أمرد "শব্দের বহুবচন, তার অর্থ এমন এক ব্যক্তি, যার চেহারায় কোনো পশম নেই। (যেমন দাঁড়ি বা গোফ)

" الكحل ": " أكحل "শব্দের বহুবচন, তার অর্থ এমন এক ব্যক্তি, যার চক্ষু এমন কালো বর্ণ ধারণ করেছে, মনে হয় যেন তাতে সুরমা লাগানো হয়েছে।

১৭. মিকদাম রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন:

« ما من أحد يموت سقطًا ولا هرمًا , وإنما الناس فيما بين ذلك , إلا بعث ابن ثلاثين سنة , فمن كان من أهل الجنة كان على مسحة آدم , وصورة يوسف , وقلب أيوب , ومن كان من أهل النار عظموا وفخموا كالجبال » . ( رواه البيهقي و الطبراني ) .

“যে কোনো ব্যক্তি মৃত্যুবরণ করবে মায়ের পেট থেকে মৃত ভুমিষ্ট হয়ে, অথবা বৃদ্ধ বয়সে, আর মানুষ তো এতদোভয়ের মাঝেই হয়ে থাকে, তাদেরকেই পুনরায় জীবিত করা হবে তেত্রিশ বছরের যুবক হিসেবে। অতঃপর তাদের মধ্যে যে জান্নাতবাসীদের অন্তর্ভুক্ত হবে, সে হবে পরিমাপে আদম আ. এর মত, চেহারা-ছবিতে ইউসূফ আ. এর মত এবং অন্তরের দিক থেকে আইয়ূব আ. এর মত। আর সে যদি জাহান্নামের অধিবাসীদের অন্তর্ভুক্ত হয়, তবে তার পুনরুত্থান হবে পাহাড়ের মত বিশাল আকারের শরীর নিয়ে।” [বায়হাকী হাসান সনদে হাদিসটি বর্ণনা করেছেন, যা আল-মুনযেরী ‘আত-তারগীব’ ( الترغيب ) নামক গ্রন্থের মধ্যে বলেছেন; তাবারানী।]

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন