hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

সহীহ সুন্নাহ’র আলোকে জান্নাতের বৈশিষ্ট্য

লেখকঃ ওয়াহিদ ইবন আবদিস সালাম বালী

৩২
ঊনত্রিংশ পরিচ্ছেদ: সর্বশেষ জান্নাতে প্রবেশকারী ব্যক্তি
৯২. আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন: সাহাবীগণ নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামকে জিজ্ঞাসা করলেন, হে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম! আমরা কি কিয়ামতের দিন আমাদের রবকে দেখতে পাব? জবাবে তিনি বলেন:

« هل تمارون في القمر ليلة بدر ليس دونه حجاب ( سحاب ) ؟ » . قالوا : لا يا رسول الله ! قال : « فهل تمارون في الشمس ليس دونها سحاب ؟ » . قالوا : لا , قال : « فإنكم ترونه كذلك , يحشر الناس يوم القيامة , فيقول : من كان يعبد شيئا ؛ فليتبع , فمنهم من يتبع الشمس , ومنهم من يتبع القمر , ومنهم من يتبع الطواغيت , وتبقى هذه الأمة فيها منافقوها , فيأتهم الله , فيقول : أنا ربكم , فيقولون : هذا مكاننا حتى يأتينا ربنا , فإذا جاء ربنا ؛ عرفناه , فيأتيهم الله , فيقول : أنا ربكم . فيقولون : أنت ربنا , فيدعوهم , و يضرب الصراط بين ظهراني جهنم , فأكون أول من يجوز من الرسل بأمته , ولا يتكلم يومئذ أحد إلا الرسل , وكلام الرسل يومئذ : اللهم سلم سلم , وفي جهنم كلاليب مثل شوك السعدان , هل رأيتم شوك السعدان ؟ » . قالوا : نعم , قال : فإنها مثل شوك السعدان , غير أنه لا يعلم قدرعظمها إلا الله , تخطف الناس بأعمالهم , فمنهم من يوبق بعمله , ومنهم من يخردل ثم ينجو , حتى إذا أراد الله رحمة من أراد من أهل النار ؛ أمر الله الملائكة أن يخرجوا من كان يعبد الله , فيخرجونهم ويعرفونهم بآثار السجود , وحرم الله على النار أن تأكل أثر السجود , فيخرجون من النار , فكل ابن أدم تأكله النار إلا أثر السجود , فيخرجون من النار قد امتحشوا , فيصب عليهم ماء الحياة , فينبتون كما تنبت الحبة في حميل السيل , ثم يفرغ الله من القضاء بين العباد , ويبقى رجل بين الجنة والنار ( وهو آخر أهل النار دخولا الجنة ) , مقبل بوجهه قبل النار , فيقول : يا رب ! اصرف وجهي عن النار ؛ قد قشبني ريحها , وأحرقني ذكاؤها , فيقول : هل عسيت إن أفعل ذلك بك أن تسأل غير ذلك ؟ فيقول : لا , وعزتك . فيعطي الله ما يشاء من عهد وميثاق , فيصرف الله وجهه عن النار .

فإذا أقبل به على الجنة ؛ رأى بهجتها ؛ سكت ما شاء الله أن يسكت , ثم قال : يا رب ! قدمني عند باب الجنة , فيقول الله له : أليس قد أعطيت العهود والميثاق أن لا تسأل غير الذي كنت سألت ؟ فيقول : يا رب ! لا أكون أشقى خلقك . فيقول : فما عسيت إن أعطيتك ذلك أن لا تسأل غيره ؟ فيقول : لا , وعزتك لا أسأل غير ذلك . فيعطي ربه ما شاء من عهد وميثاق , فيقدمه إلى باب الجنة , فإذا بلغ بابها ؛ فرأى زهرتها وما فيها من النضرة والسرور , فسكت ما شاء الله أن يسكت , فيقول : يارب ! أدخلني الجنة , فيقول الله : ويحك يا بن آدم ! ما أغدرك ! أليس قد أعطيت العهد والميثاق أن لا تسأل غير الذي أعطيت ؟ فيقول : يا رب ! لا تجعلني أشقى خلقك . فيضحك الله عز و جل منه , ثم يأذن له في دخول الجنة , فيقول : تمن , فيتمنى , حتى إذا انقطعت أمنيته ؛ قال الله عز و جل : تمن كذا وكذا , أقبل . يذكره ربه حتى إذا انتهت به الأماني , قال الله تعالى : لك ذلك ومثله معه , و ذلك الرجل آخر أهل الجنة دخولا الجنة » . ( أخرجه البخاري و مسلم ) .

“মেঘমুক্ত পূর্ণিমার রাতের চাঁদকে দেখার ব্যাপারে তোমরা কি সন্দেহ পোষণ কর? তাঁরা বললেন, না, হে আল্লাহর রাসূল! তিনি বললেন, মেঘমুক্ত আকাশে সূর্য দেখার ব্যাপারে কি তোমাদের কোন সন্দেহ আছে? সবাই বললেন, না। তখন তিনি বললেন: নিঃসন্দেহে তোমরাও আল্লাহকে অনুরূপভাবে দেখতে পাবে। কিয়ামতের দিন সকল মানুষকে সমবেত করা হবে। তারপর আল্লাহ তা‘আলা বলবেন: যে যার উপাসনা করত, সে যেন তার অনুসরণ করে; তাই তাদের কেউ সূর্যের অনুসরণ করবে, কেউ চন্দ্রের অনুসরণ করবে, কেউ তাগুতের অনুসরণ করবে। আর অবশিষ্ট থাকবে শুধু এ উম্মাহ, তবে তাদের সাথে মুনাফিকরাও থাকবে। তাদের মাঝে এ সময় আল্লাহ তা‘আলা শুভাগমন করবেন এবং বলবেন: “আমি তোমাদের রব।” তখন তারা বলবে, যতক্ষণ পর্যন্ত আমাদের রবের শুভাগমন না হবে, ততক্ষণ পর্যন্ত আমরা এখানেই থাকব। আর তাঁর যখন শুভাগমন হবে, তখন আমরা অবশ্যই তাঁকে চিনতে পারব। তখন তাদের মাঝে মহান পরাক্রমশালী আল্লাহ আগমন করবেন এবং বলবেন: “আমি তোমাদের রব।” তারা বলবে, হ্যাঁ, আপনিই আমাদের রব। আল্লাহ তা‘আলা তাদের ডাকবেন। আর জাহান্নামের উপর একটি সেতুপথ (পুলসিরাত) স্থাপন করা হবে। রাসূলগণের মধ্যে আমিই সবার আগে আমার উম্মত নিয়ে এ পথ অতিক্রম করব। সেদিন রাসূলগণ ব্যতীত আর কেউ কথা বলবে না। আর রাসূলগণের কথা হবে: ‘ اللهم سلم سلم ’ (আল্লাহুম্মা সাল্লিম সাল্লিম), অর্থাৎ হে আল্লাহ! রক্ষা করুন, রক্ষা করুন। আর জাহান্নামে বাঁকা লোহার বহু শলাকা থাকবে; সেগুলো হবে সা‘দান কাঁটার মত। তোমরা কি সা‘দান কাঁটা দেখেছ? তারা বলবে, হ্যাঁ, দেখেছি। তিনি বলবেন, সেগুলো দেখতে সা‘দান [সা‘দান চতুর্পাশ্বে কাঁটা বিশিষ্ট এক প্রকার গাছ, মরু অঞ্চলে জন্মে, যার কাঁটাগুলো বাঁকা হয়ে থাকে। এগুলো উটের খাদ্য।] কাঁটার মতই। তবে সেগুলো কত বড় হবে তা একমাত্র আল্লাহ ব্যতীত আর কেউ জানে না। সে কাঁটা লোকের আমল অনুযায়ী তাদের তড়িৎ গতিতে ধরবে। তাদের কিছু লোক ধ্বংস হবে আমলের কারণে। আর কারোর পায়ে জখম হবে, কিছু লোক কাঁটায় আক্রান্ত হবে, তারপর নাজাত পেয়ে যাবে। জাহান্নামীদের থেকে যাদের প্রতি আল্লাহ তা‘আলা রহমত করতে ইচ্ছা করবেন, তাদের ব্যাপারে ফেরেশতাগণকে নির্দেশ দেবেন যে, যারা আল্লাহর ইবাদত করত, তাদের যেন জাহান্নাম থেকে বের করে আনা হয়। ফেরেশতাগণ তাদের বের করে আনবেন এবং সিজদার চিহ্ন দেখে তাঁরা তাদের চিনতে পারবেন। কেননা, আল্লাহ তা‘আলা জাহান্নামের জন্য সিজদার চিহ্নগুলো মিটিয়ে দেয়া হারাম করে দিয়েছেন। ফলে তাদেরকে জাহান্নাম থেকে বের করে আনা হবে। কাজেই সিজদার চিহ্ন ছাড়া আগুন বনী আদমের সব কিছুই গ্রাস করে ফেলবে। অবশেষে, তাদেরকে অঙ্গারে পরিণত অবস্থায় জাহান্নাম থেকে বের করা হবে। তাদের উপর ‘আবে-হায়াত’ ঢেলে দেয়া হবে, ফলে তারা স্রোতে বাহিত ফেনার উপর গজিয়ে উঠা উদ্ভিদের মত সঞ্জীবিত হয়ে উঠবে। এরপর আল্লাহ তা‘আলা বান্দাদের বিচার কাজ সমাপ্ত করবেন। কিন্তু একজন লোক জান্নাত ও জাহান্নামের মাঝখানে থেকে যাবে। তার মুখমণ্ডল তখনও জাহান্নামের দিকে ফিরানো থাকবে। জাহান্নামবাসীদের মধ্যে জান্নাতে প্রবেশকারী সেই শেষ ব্যক্তি। সে তখন নিবেদন করবে, হে আমার রব! জাহান্নাম থেকে আমার চেহারা ফিরিয়ে দিন, এর দূষিত হাওয়া আমাকে বিষিয়ে তুলছে, এর লেলিহান শিখা আমাকে যন্ত্রনা দিচ্ছে। তখন আল্লাহ তা‘আলা বলবেন: তোমার নিবেদন গ্রহণ করা হলে, তুমি এ ছাড়া আর কিছু চাইবে না তো? সে বলবে, না, আপনার ইজ্জতের শপথ! সে তার ইচ্ছামত আল্লাহ তা‘আলাকে অঙ্গিকার ও প্রতিশ্রুতি দিবে। কাজেই আল্লাহ তা‘আলা তার চেহারাকে জাহান্নামের দিক থেকে ফিরিয়ে দেবেন। এরপর সে যখন জান্নাতের দিকে মুখ ফিরাবে, তখন সে জান্নাতের অপরূপ সৌন্দর্য দেখতে পাবে। যতক্ষণ আল্লাহর ইচ্ছা সে চুপ করে থাকবে। তারপর সে বলবে, হে আমার রব! আপনি জান্নাতের দরজার কাছে পৌঁছিয়ে দিন। তখন আল্লাহ তা‘আলা তাকে বলবেন, তুমি পূর্বে যা চেয়েছিলে, তা ছাড়া আর কিছু চাইবে না বলে তুমি কি অঙ্গীকার ও প্রতিশ্রুতি দাওনি? তখন সে বলবে, হে আমার রব! তোমার সৃষ্টির সবচেয়ে হতভাগ্য ব্যক্তি আমি হতে চাই না। আল্লাহ তাতক্ষণিক বলবেন, তোমার এটি পুরণ করা হলে তুমি এ ছাড়া কিছু চাইবে না তো? সে বলবে, না, আপনার ইজ্জতের কসম! এছাড়া আর কিছুই চাইব না। এ ব্যাপারে সে তার ইচ্ছানুযায়ী অঙ্গিকার ও প্রতিশ্রুতি দেবে। সে যখন জান্নাতের দরজায় পৌঁছবে, তখন জান্নাতের অনাবিল সৌন্দর্য্য ও তার অভ্যন্তরীণ সুখ শান্তি ও আনন্দঘন পরিবেশ দেখতে পাবে। যতক্ষণ আল্লাহ তা‘আলা ইচ্ছা করবেন, সে চুপ করে থাকবে। এরপর সে বলবে, হে আমার রব! আমাকে জান্নাতে প্রবেশ করিয়ে দাও! তখন পরাক্রমশালী মহান আল্লাহ বলবেন: হে আদম সন্তান, কি আশ্চর্য! তুমি কত প্রতিশ্রুতি ভঙ্গকারী! তুমি কি আমার সঙ্গে অঙ্গিকার করনি এবং প্রতিশ্রুতি দাওনি যে, তোমাকে যা দেয়া হয়েছে, তা ছাড়া আর কিছু চাইবে না? তখন সে বলবে, হে আমার রব! আপনার সৃষ্টির মধ্যে সবচেয়ে হতভাগ্য আমাকে করবেন না। এতে আল্লাহ হেসে দেবেন। এরপর তাকে জান্নাতে প্রবেশের অনুমতি দিবেন এবং বলবেন, চাও। তখন সে চাইবে, এমনকি তার চাওয়ার আকাঙ্খা ফুরিয়ে যাবে। তখন পরাক্রমশালী মহান আল্লাহ বলবেন: এটা চাও, ওটা চাও। এভাবে তার রব তাকে স্মরণ করিয়ে দিতে থাকবেন। অবশেষে যখন তার আকাঙ্খা শেষ হয়ে যাবে, তখন আল্লাহ তা‘আলা বলবেন: এ সবই তোমার, এর সাথে আরও সমপরিমাণ (তোমাকে দেয়া হল); আর এই ব্যক্তিই হল জান্নাতে প্রবেশ করার দিক থেকে সর্বশেষ ব্যক্তি।” [বুখারী, অধ্যায়: সালাতের বিবরণ ( كتاب صفة الصلاة ), পরিচ্ছেদ: সিজদার ফযিলত ( باب فضل السجود ), হাদিস নং- ৭৭৩; মুসলিম (৩ / ৮১ - নববী)।]

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন