hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

সাহাবীদের পেয়েছি, কিন্তু আহলে-বাইতকে হারাই নি

লেখকঃ আবু খলিফা আলি ইব্‌ন মুহাম্মদ আল-কুদাইবি

১৪
একটি ঘটনা আমরা বিশ্বাস করেছি, কারণ আমরা চিন্তা করতে চাই না
শৈশব থেকে আমাকে একটি ঘটনা শিক্ষা দেয়া হয়েছে, আমি আমার সরলতায় যা বিশ্বাস করেছি, তাতে কোন চিন্তা করেনি, সুস্থ বিবেক দ্বারা তা যাচাই করেনি।

ঘটনার সারাংশ: ইমাম হাসান আল-আসকারি “বিশির ইব্‌ন সুলাইমান আন-নাখ্‌খাস’কে ডেকে পাঠালেন, তাকে বললেন: আমি তোমাকে একটি গোপন বিষয়ে অবহিত করব, তুমি ব্যতীত কাউকে তা বলব না। অতঃপর তিনি তার জন্য টার্কি ভাষায় একটি পত্র লিখেন ও তার ওপর তার আংটির মোহর লাগান। অতঃপর তাকে দুইশত বিশ দিরহাম প্রদান করেন। আর বলেন: এ দিরহামগুলো গ্রহণ কর ও বাগদাদের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হও। তুমি ‘নাখ্‌খাসাহ’ বাজারে এক ব্যক্তিকে দেখবে, তার নাম “ওমর ইব্‌ন ইয়াজিদ আন-নাখ্‌খাস”। তার আশ-পাশে অনেক বাদি রয়েছে, একজন বাদির আকৃতি ও গঠন এরূপ –গঠনের বর্ণনা দেন-, সে পুরুষদের থেকে দূরে থাকে। তুমি যদি তাকে দেখ তার নিকট আমার পত্র দিবে।

বিশির বাগদাদে গিয়ে ইমামের কথার সত্যতা পেল। বাদিকে সে পত্র দিল, বাদি পত্র পেয়ে খুব কাঁদলো এবং ওমর ইব্‌ন ইয়াজিদকে বলল: আমাকে এ পত্র প্রেরকের নিকট বিক্রি করে দিন। খরিদ করে বিশির তাকে কান্নার কারণ জিজ্ঞাসা করল, সে উত্তর দিল: “আমি রুমের বাদশাহ ইয়াশুআ ইব্‌ন কায়সারের মেয়ে, আমার মাতা মাসিহের ওসি শামউন ইব্‌ন হাম্মুন ইব্‌ন আস-সাফার বংশধর”!!

অতঃপর সে তাকে একটি আশ্চর্য ঘটনা বলল তার দাদা কায়সার সূত্রে। কায়সার তাকে নিজ ভাতিজার সাথে বিয়ে দিতে চেয়েছিল। এ বাদি স্বপ্নে দেখেছে ইসার ওসি শামউনের মেয়ের প্রস্তাব নিয়ে মুহাম্মদ ‘আলাইহিস সালাম ইসা মাসিহ ‘আলাইহিস সালামের নিকট এসেছেন। স্বপ্নে এ বাদি জাহরা, মারইয়াম বিনতে ইমরান ও একহাজার জান্নাতি নারী দেখেছে। স্বপ্নে সে ইমাম হাসান আসকারিকে দেখেছে। হাসান আসকারি তাকে বলেছে: তার দাদা অতিসত্বর মুসলিমদের মোকাবিলার জন্য অমুক দিন যুদ্ধের ঘোষণা দিবেন। তখন তার দায়িত্ব হবে সাধারণ বেশভুষায় খাদেম হিসেবে সৈন্যবাহিনীতে যোগ দেয়া। অবাক লাগে এসব সত্ত্বেও কিভাবে সে বন্দী হল!

এ হল সাহেবুজ জমানের মায়ের ঘটনা। এমন ঘটনা সিনেমার গল্পের সাথেই মানায়। কোন মুসলিমের এ আকিদা হতে পারে না, কারণ কুরআন এসব কুসংস্কার ও এ জাতীয় বাজে গল্প থেকে মুক্ত করার জন্যই এসেছে। আর নার্গিস সাহেবুজ জমানকে কিভাবে গর্ভে ধারণ করবে, সে ঘটনা শোনার জন্য আব্বাস আল-কুম্মির বর্ণনাই যথেষ্ট, যা তিনি “মুনতাহাল আমাল” গ্রন্থে এবং অন্যান্য শিয়া আলেম বিভিন্ন গ্রন্থে উল্লেখ করেছেন।

সাহেবুজ জামান সম্পর্কে শিয়াদের বর্ণনা: আমরা ওসিদের জমাত, আমরা পেটে জন্ম নেই না, বরং আমরা জন্ম নেই পার্শ্বে। আমরা রেহেম থেকে বের হই না, বরং আমরা আমাদের মায়েদের ডান রান থেকে বের হই। কারণ আমরা আল্লাহর নূর, যা কোন নাপাকি স্পর্শ করতে পারে না!!

নবীগণ জন্ম নেন রেহেম থেকে, আর ওসিরা রান থেকে! এসব নোংরামিতে ভরা শিয়াদের ইসলাম কখনো আল্লাহর দীন হতে পারে না?!

সাহেবুজ জমানের জন্মের বর্ণনা: যখন সায়্যেদ ‘আলাইহিস সালাম জন্ম গ্রহণ করেন, তার থেকে এক জ্যোতির্ময় নূর প্রকাশ পেল, যা আসমানের দিগন্ত পর্যন্ত আলোকিত করল। আমি দেখলাম সাদা পাখিগুলো আসমান থেকে অবতরণ করে পাখা দ্বারা তার মাথা, চেহারা ও শরীর মাসেহ করে উড়ে যাচ্ছে। আবু মুহাম্মদ আল-হাসান চিৎকার করে বললেন: হে ফূফূ, তাকে আমার কাছে নিয়ে আস। যখন সে কাছে আসল, আমি তাকে জাড়িয়ে ধরলাম। আমি দেখলাম তার খৎনা করা, নাভির নাড় কাঁটা ও গোসল দেয়া শেষ। তার ডান বাহুতে লেখা রয়েছে: “সত্য এসেছে, মিথ্যা দূরীভূত হয়েছে, নিশ্চয় মিথ্যা দূরীভূত হওয়ার বস্তু”। [মুনতাহাল আমাল, লি আব্বাস আল-কুম্মি: (২/৫৬১)]

সাহেবুজ জমানের ধর্ম ইসলাম নয়!

ইব্‌ন বাবুইয়াহ আল-কুম্মি “আল-ইতিকাদাত” গ্রন্থে বলেন: নিশ্চয় মাহদি যখন তার অদৃশ্যতা থেকে বের হবেন, ইসলামী শরীয়তের মিরাস সংক্রান্ত বিধানগুলো রহিত করবেন। তিনি সাদেক থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন: “শরীর সৃষ্টি করার দুই হাজার বছর পূর্বে আল্লাহ ছায়ার মধ্যে রূহসমূহের মাঝে ভ্রাতৃত্ব সৃষ্টি করেছেন। আমাদের কায়েম যখন বের হবেন, তখন আহলে বাইত ছায়ার মধ্যে সৃষ্ট ভ্রাতৃত্বের ভিত্তিতে একে অপরের ওয়ারিস হবেন, জন্ম সূত্রে সৃষ্ট ভ্রাতৃত্বের ভিত্তিতে ওয়ারিস হবেন না”। [আল-ইতিকাদাত: (পৃ.৮৩)]

তিনি তাকেই হত্যা করবেন, যার বিশ বছর পার হয়েছে কিন্তু দীনের ইলম অর্জন করেনি। [ইলামুল ওরা লিত তাবরানি: (পৃ.৪৩১), বিহারুল আনওয়ার: (৫২/১৫২)]

সাহেবুজ জমান আলে দাউদের হুকুম মোতাবেক ফয়সালা করবেন, মুহাম্মদ কিংবা আহলে বাইতের বিধান মোতাবেক ফয়সালা করবেন না। শিয়া বর্ণনাগুলো বলে: “যখন মুহাম্মদের পরিবারে কায়েম বের হবেন, তিনি দাউদ ও সুলাইমানের বিধান মোতাবেক ফয়সালা করবেন, সাক্ষী তালাশ করবেন না”। [উসূলুল কাফি: (১/৩৯৭)] অপর বর্ণনায় এসেছে: “যখন মুহাম্মদের পরিবারে কায়েম বের হবেন, দাউদ ‘আলাইহিস সালামের বিধান মোতাবেক মানুষের মাঝে ফয়সালা করবেন, তিনি সাক্ষীর প্রয়োজন বোধ করবেন না”। [আল-ইরশাদ লিল মুফিদ: (পৃ.৪১৩), ইলামুল ওরা লিত তাবরাসি: (পৃ.৪৩৩)]

এসব মিথ্যাচারের মূল উদ্দেশ্য মানুষকে জানানো যে, মাহদি কুরআন পরিত্যাগ করে তার জায়গায় অন্য কিতাব গ্রহণ করবেন। আবু বসির সূত্রে নুমানির বর্ণনা এ কথাই প্রমাণ করে, তিনি বলেন: আবু জাফর ‘আলাইহিস সালাম বলেছেন: “কায়েম নতুন নির্দেশ, নতুন কিতাব ও নতুন ফয়সালাসহ বের হবেন” [আল-গায়বাহ লিন নুমানি: (পৃ.১৫৪), বিহারুল আনওয়ার: (৫২/৩৫৪)]... “যেন আমি তাকে দেখছি, তিনি [কাবা ঘরের] রুকন ও মাকামের মাঝখানে মানুষের কাছ থেকে নতুন কিতাবের বায়েত নিচ্ছেন”। [আল-গায়বাহ লিন নুমানি: (পৃ.১৭৬), বিহারুল আনওয়ার: (৫২/১৩৫)]

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন