hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

সাহাবীদের পেয়েছি, কিন্তু আহলে-বাইতকে হারাই নি

লেখকঃ আবু খলিফা আলি ইব্‌ন মুহাম্মদ আল-কুদাইবি

২১
শিয়া অবস্থায় হজে গিয়েছে... সুন্নী হয়ে হজ থেকে ফিরেছে...
তিনি ‘জাদ্দে হাফস’ শহরে বাস করতেন, তখনো মানামাহ শহরে বাহরাইনের রাজধানী স্থানান্তর করা হয়নি। তিনি ছিলেন সবজি বিক্রেতা। তিনজন আহলে সুন্নার সাথে তার ছিল গভীর সম্পর্ক।

একদা তাদের মাঝে শিয়াদের রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের স্ত্রী আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহাকে গালি ও অপবাদ দেয়ার আলোচনা ওঠে। তিনি তা অস্বীকার করতে পারেননি। তিনি স্পষ্ট বললেন: আমরা শিয়ারা তাকে ঘৃণা করি, তাকে অপছন্দ করি, তাকে গালি দেই ও তাকে লানত করি, সে নাসেবিয়াহ। [ইব্‌ন রজব আল-বুরসি “মাশারিকুল আনওয়ার: (পৃ.৮৬) গ্রন্থে বলেন: “আয়েশা খিয়ানত করে চল্লিশ দিনার জমা করেছিল, অর্থাৎ যেনা” আল্লাহর নিকট পানাহ চাই।] আমরা বিশ্বাস করি সে জাহান্নামী। তাদের একজন তাকে বলল, আপনি আল্লাহর বাণী শোনেননি:

﴿ٱلنَّبِيُّ أَوۡلَىٰ بِٱلۡمُؤۡمِنِينَ مِنۡ أَنفُسِهِمۡۖ وَأَزۡوَٰجُهُۥٓ أُمَّهَٰتُهُمۡۗ ٦﴾ [ الاحزاب : ٦ ]

“নবী মুমিনদের কাছে তাদের নিজেদের চেয়ে ঘনিষ্ঠতর। আর তার স্ত্রীগণ তাদের মাতাস্বরূপ”। [সূরা আহযাব: (৬)]

তাকে আয়াতটি ব্যাখ্যা করে বোঝাল ও বিস্তারিত বলল। তিনি আয়াত ও অর্থ শ্রবণ করে হতভম্ব হয়ে গেলেন। তিনি জিজ্ঞাসা করলেন: এ আয়াত কুরআনে রয়েছে? জীবনে এ প্রথম শুনলাম! তারা তাকে কুরআনের পৃষ্ঠা উল্টিয়ে আয়াতটি দেখাল। অতঃপর সে বলল: এখন আমি জানলাম যে, আয়েশা ও নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের অন্য স্ত্রীগণ আমার মাতা ও সকল মুমিনের মাতা।

তিনি আরো বললেন: আমার দ্বারা সম্ভব নয় আল্লাহর কালামকে মিথ্যা বলে মানুষকে বিশ্বাস করা।

তাকে আরো বলা হল, আল্লাহ তা‘আলা নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের স্ত্রীদের সম্পর্কে বলেছেন:

﴿ يَٰٓأَيُّهَا ٱلنَّبِيُّ قُل لِّأَزۡوَٰجِكَ إِن كُنتُنَّ تُرِدۡنَ ٱلۡحَيَوٰةَ ٱلدُّنۡيَا وَزِينَتَهَا فَتَعَالَيۡنَ أُمَتِّعۡكُنَّ وَأُسَرِّحۡكُنَّ سَرَاحٗا جَمِيلٗا ٢٨ وَإِن كُنتُنَّ تُرِدۡنَ ٱللَّهَ وَرَسُولَهُۥ وَٱلدَّارَ ٱلۡأٓخِرَةَ فَإِنَّ ٱللَّهَ أَعَدَّ لِلۡمُحۡسِنَٰتِ مِنكُنَّ أَجۡرًا عَظِيمٗا ٢٩ ﴾ [ الاحزاب : ٢٨، ٢٩ ]

“হে নবী, তুমি তোমার স্ত্রীদেরকে বল, ‘যদি তোমরা দুনিয়ার জীবন ও তার চাকচিক্য কামনা কর তবে আস, আমি তোমাদের ভোগ-বিলাসের ব্যবস্থা করে দেই এবং উত্তম পন্থায় তোমাদের বিদায় করে দেই’। ‘আর যদি তোমরা আল্লাহ, তার রাসূল ও পরকালীন নিবাস কামনা করা, তবে তোমাদের মধ্য থেকে সৎকর্মশীলদের জন্য আল্লাহ অবশ্যই মহান প্রতিদান প্রস্তুত করে রেখেছেন”। [সূরা আহযাব: (২৮-২৯)]

শিয়া ও সুন্নী এ ব্যাপারে একমত যে, নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইন্তেকালের আগ পর্যন্ত কোন স্ত্রীকে তালাক দেননি। এ আয়াত দু’টিতে আল্লাহ তা‘আলা নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামকে নির্দেশ দিচ্ছেন তার স্ত্রীদেরকে তালাক দেয়ার জন্য যদি তারা দুনিয়ার চাকচিক্য গ্রহণ করেন, আর যদি তারা আল্লাহ এবং তার রাসূল ও আখেরাতকে গ্রহণ করেন, তাহলে তাদেরকে রাখার নির্দেশ দিচ্ছেন।

কোন কাফের বা মুনাফিক দুনিয়ার চাকচিক্যের ওপর আখেরাতকে কিভাবে প্রাধান্য দেয়?! বিবেকীদের নিকট প্রশ্ন রাখলাম..!

আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা যদি অন্তরে নেফাক গোপন করতেন, -আল্লাহর নিকট পানাহ চাই- আল্লাহ কি তার অন্তর ও প্রত্যেকের অন্তরের খবর জানেন না! তাহলে আল্লাহ কেন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামকে তার সম্পর্কে বললেন না, তিনি মারা গেলেন অথচ সে তার স্ত্রী, মুমিনদের মাতা হিসেবে কথা বলছেন?!

শিয়ারা বিশ্বাস করে নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম ছোট-বড় গুনা ও ভুল-ত্রুটি থেকে মাসুম ও নিষ্পাপ। তাহলে আয়েশার সাথে নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের বিবাহ বন্ধন কি ভুল নয়?!

একথা শুনে তিনি নিজেকে প্রশ্ন করলেন: আমি কিভাবে মুমিনদের মাতা আয়েশাকে গালি দেই, অথচ সে আমার ও সকল মুমিনের মাতা?!

তিনি কতিপয় শিয়া আলেমদের নিকট গেলেন ও তাদেরকে আল্লাহর নিম্নের বাণী সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলেন:

﴿ٱلنَّبِيُّ أَوۡلَىٰ بِٱلۡمُؤۡمِنِينَ مِنۡ أَنفُسِهِمۡۖ وَأَزۡوَٰجُهُۥٓ أُمَّهَٰتُهُمۡۗ ٦﴾ [ الاحزاب : ٦ ]

“নবী মুমিনদের কাছে তাদের নিজদের চেয়ে ঘনিষ্ঠতর। আর তার স্ত্রীগণ তাদের মাতাস্বরূপ”। [সূরা আহযাব: (৬)]

শিয়া আলেমদের কেউ উত্তর এড়িয়ে গেলেন। কেউ স্বীকার করলেন নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের স্ত্রীগণ মুমিনদের মাতা, এ আয়াত আল্লাহর পক্ষ থেকে তাদের সনদ।

যখন হজের মৌসুম আসল, তিনি তার দেশ থেকে হজের উদ্দেশ্যে রওয়ানা করলেন। সেখানে আল্লাহ তার অন্তরকে সত্য গ্রহণের জন্য খুলে দিলেন। হজ থেকে তিনি সুন্নী হয়ে দেশে প্রত্যাবর্তন করলেন। তার সুন্নী হয়ে ফিরে আসা দেখে সবাই অবাক হল।

এ জন্য বাহরাইনে তিনি খুব প্রসিদ্ধি লাভ করলেন, টক অব দা বাহরাইন ও প্রবাদে পরিণত হলেন যে, শিয়া অবস্থায় হজে গেছেন, সুন্নী হয়ে ফিরে এসেছেন।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন