hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

সাহাবীদের পেয়েছি, কিন্তু আহলে-বাইতকে হারাই নি

লেখকঃ আবু খলিফা আলি ইব্‌ন মুহাম্মদ আল-কুদাইবি

২০
‘সালাহ’ আল-কাজেমি ও মৃত্যুর ভয়
কাজেমির অবস্থা ধীরে ধীরে অস্বাভাবিক হতে থাকায় তার পরিবার খুব উদ্বিগ্ন হল। তারা বুঝল সে মৃত্যুকে ভয় করছে, সে অতিশীঘ্র মারা যাবে, কিন্তু সে মরতে চায় না। তার ঘুম কম, খানা কম, ডাক্তাররা তার চিকিৎসায় অপারগ। শিয়া মাশায়েখ ও মোল্লারা পর্যন্ত তার চিকিৎসায় অপারগ। তাদের ধারণা তাকে জিনে আসর করেছে। শিয়া মাশায়েখ ও মোল্লাদের পেছনে তার পরিবার অনেক টাকা নষ্ট করেছে, তারা তাদের ধারণা মত তার চিকিৎসা করত। ভাই ‘সলাহ’ বলেন, তাদের চিকিৎসা ছিল অভিনব, কেউ তাবিজ, কেউ ভৈল্কিবাজি প্রভৃতি দ্বারা প্রত্যেকে ভিন্ন ভিন্ন চিকিৎসা করত। কিন্তু তাদের কাউকে কুরআন দ্বারা চিকিৎসা করতে দেখিনি।

অতঃপর জনৈক শিয়া কুরআন পড়ে তার ওপর দম করার জন্য সুন্নী শায়খের নিকট যাওয়ার পরামর্শ দিল। এভাবে বলল যে, সুন্নীদের শ্বাস শিয়াদের চিকিৎসা স্বরূপ। কারণ শিয়াদের বিশ্বাস: “শয়তান শয়তানের দ্বারা বিতাড়িত হয়”।

অতঃপর সে তার বাড়ির পাশে অবস্থিত ইমাম আহমদ ইব্‌ন হাম্বল মসজিদের ইমাম সাহেবের নিকট গেল। যখন ইমাম সাহেব তার ওপর দম করল, ভাই ‘সালাহ’ আয়াত শ্রবণ করে অন্তরে প্রশান্তি, স্বস্তি ও প্রসন্নতা অনুভব করলেন।

শায়খ তিলাওয়াত শেষ করলেন, ভাই ‘সালাহ’ পূর্ণ নীরব। কোন কথা নেই, একটি শব্দও নয়, শুধু মসজিদে বসে আছেন তিনি। কারণ মসজিদের পরিবেশ তাকে আরাম ও শান্তি দিচ্ছিল। যখন সালাতের সময় হল মুয়াজ্জিন আযান দিলেন। এ দিকে ভাই ‘সালাহ’ চোখে চোখে মুসল্লিদের পর্যবেক্ষণ করছিলেন, তারা ইকামত পর্যন্ত মসজিদে আসছেই। চিন্তা না করে মসজিদে ঢুকে তাদের সাথে সালাত আদায় করলেন। দ্বিতীয় দিন সালাতের সময় মসজিদে ভাই ‘সালাহ’ এর উপস্থিতি দেখে ইমাম সাহেব আশ্চর্য হলেন। ইমাম সাহেব যখন তার হালত সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলেন, তিনি বললেন: আল-হামদুলিল্লাহ, আমার অবস্থা আগের চেয়ে অনেক ভাল।

‘সালাহ’ লক্ষ্য করলেন আহলে সুন্নাহ কুরআনের নিকটবর্তী। তিনি মুসলিমদের আল্লাহর প্রতি সম্মান, ইসলামের নিদর্শনের প্রতি সম্মান, সঠিক সময়ে জমাতের সাথে সালাত আদায় করা ইত্যাদি দেখলেন। তিনি দেখলেন তাদের মিম্বারের খুৎবাগুলো আল্লাহর প্রশংসা ও গুণকীর্তনে পরিপূর্ণ। শিয়াদের খুৎবাগুলো এরূপ নয়, যাদের নিকট গুরুত্বপূর্ণ আহলে বাইতের সম্মান ও ইমামদের জীবনী আলোচনা করা কুরআনের আলোকে।

তিনি আমাকে বলেন, কুরআন তিলাওয়াত করার জন্য তিনি মসজিদে বসতেন। তিনি আমাকে বললেন কুরআন তিলাওয়াত ও গবেষণার প্রতি কিভাবে সে মনোযোগী হল, ইমাম সাহেব কিভাবে তার অন্তরে ইমানের বীজ বপন করলেন।

‘সালাহ’ মসজিদে আসা-যাওয়া অব্যাহত রাখল... তার পরিচিত কতক শিয়া তার অবস্থা দেখল। তারা তাকে ফিরিয়ে নেয়ার জন্য বুঝানোর সিদ্ধান্ত নিল, কিন্তু তিনি তাদের কথায় সায় দিলেন না। তিনি তাদেরকে বললেন: আমি যখন আহলে সুন্নাহর সাথে সালাত আদায় করি, তখন নিজেকে প্রসন্ন ও প্রফুল্ল মনে করি। বিশেষ করে আমি যখন জাহেরি সালাতে ইমামের কিরাত শ্রবণ করি।

তার ভুল শোধরানোর জন্য তারা কালো পাগড়ীধারী কতিপয় শিয়া আলেম উপস্থিত করল। তাদের বুঝানোর ফাঁকে কতক মাসআলা নিয়ে ‘সালেহ’ তাদের সাথে আলোচনা করেন। তার সাথে তারা একাধিকবার বসল... এক পর্যায়ে তাদের সামনে বিভিন্ন ইখতিলাফি মাসআলা পেশ করলেন। কুরআন বিকৃতি করা, শিয়াদের কুরআন ও কুরআনের ইলমের ওপর গুরুত্ব না দেয়ার বিষয় উত্থাপন করলেন। [এ বিষয়ে আলি খামেনি স্পষ্ট ঘোষণা দিয়ে বলেন: “আমাদের শিক্ষিত সমাজের কুরআন থেকে বিরত থাকা এবং কুরআনকে যথেষ্ট মনে না করার ফলে বর্তমান ও ভবিষ্যতে অনেক সমস্যার কারণ হয়েছে। কুরআন থেকে দূরত্ব আমাদেরকে সংকীর্ণতায় ফেলে দিবে।”তিনি আরো বলেন: “সবচেয়ে দুঃখের বিষয় আমাদের নিকট ইজতিহাদের স্বীকৃতির জন্য গবেষণার শুরু ও তার ধারাবাহিকতায় একবারের জন্য কুরআন না দেখলেও চলে! এরূপ কেন?! এর কারণ আমাদের পাঠগুলো কুরআন নির্ভর নয়...”তিনি আরো বলেন: “আমাদের শিক্ষিত সমাজে কেউ যখন শিক্ষার স্বীকৃতি অর্জন করতে চায়, তার উচিত কুরআনের ব্যাখ্যায় না যাওয়া, যেন কেউ তাকে মূর্খতার অপবাদ না দেয়। যেমন কোন মুফাসসির আলেম যার তাফসির থেকে মানুষ উপকৃত হয়, তার দিকে আমাদের ইলমি সমাজ এমনভাবে দৃষ্টি দেয় যেন সে মূর্খ, তার ইলমী কোন যোগ্যতা নেই। এ জন্য তারা তার দরস ত্যাগ করতে বাধ্য হন... এটা কি আপনি বড় মুসিবত মনে করেন না?! “আল-হাওজাতুল ইলমিয়াহ ফি ফিকরিল ইমাম আল-খামেনিয়ী: (পৃ.১০০-১০১)] শিয়াদের প্রমাণ্য গ্রন্থের উদ্ধৃতি দ্বারা প্রমাণ করলেন যে, শিয়ারা সাহাবীদের কুরআন বিকৃতি করার অপবাদ দেয়। [মুহাম্মদ বাকের আল-মাজলিসি “মিরআতুল উকুল” গ্রন্থে এক হাদিস উল্লেখ করে বলেন: “নিশ্চয় জিবরিল আলাইহিস যে কুরআন নিয়ে মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট এসেছেন তার আয়াত সংখ্যা সাত হাজার”। তারপর বলেন: “নির্ভরযোগ্য, কতক নুসখায় রয়েছে হিশাম ইব্‌ন সালেমের জায়গায় হারুন ইব্‌ন সালেম, তবে সংবাদ বিশুদ্ধ। এতে সন্দেহ নেই যে, এ সংবাদ ও অন্যান্য সহিহ সংবাদ প্রমাণ করে যে, কুরআনের মধ্যে ত্রুটি ও পরিবর্তন রয়েছে...” এ বিষয়ে আরো বর্ণনা রয়েছে, অতিরিক্ত দেখার জন্য আপনি দেখুন: “শিয়া ও তাহরিফুল কুরআন লি মুহাম্মদ সাইফ”। অথবা দেখুন: “আরা হাওলাল কুরআন লি আয়াতুল্লাহ আল-ফানি আল-স্পাহানি” সেখানে তৃষ্ণার্ত ব্যক্তির তৃপ্তির যথেষ্ট উপাদান রয়েছে।] তারা ‘সালেহ’-র সাথে আলোচনা থেকে পিছু হটল ও প্রমাণ ব্যতীত অস্বীকার করার পথ অনুসরণ করল।

ভাই ‘সালাহ’-র আহলে সুন্নাহর দিকে প্রত্যাবর্তন দেখে তার পরিবার অবাক হল! এ জন্য তার শিয়া পরিবার ও সাথীগণ রাগান্বিত হল। কিন্তু তিনি আল্লাহর সন্তুষ্টিকে মানুষের সন্তুষ্টির ওপর প্রাধান্য দিলেন। আজ তিনি আল্লাহর হিদায়েত লাভ করে আনন্দিত। এটা আল্লাহর অনুগ্রহ, যাকে তিনি চান দান করেন।

বর্তমান আবু আব্দুর রহমান ‘সালাহ’ ইলম অন্বেষণকারী, আল্লাহ তাকে ইলম প্রদান করুন ও তার মকাম বৃদ্ধি করুন।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন