hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

সাহাবীদের পেয়েছি, কিন্তু আহলে-বাইতকে হারাই নি

লেখকঃ আবু খলিফা আলি ইব্‌ন মুহাম্মদ আল-কুদাইবি

আমার জীবন থেকে নেয়া
আমি শিয়া পরিবারে বড় হয়েছি, যে পরিবার শিয়া জ্ঞান চর্চা ও শিয়া মাজহাব সুরক্ষার ব্রতকে আল্লাহর নৈকট্য অর্জনের উপায় হিসেবে গ্রহণ করেছে। আমি যখন ছোট তখন আমার পিতা মারা যান। আমার ও আমার ভাই-বোনের দায়িত্ব গ্রহণ করেন আমার খালু। তিনি কালো পাগড়ীধারী শিয়া বড় শায়খ। বাহরাইনের “জাদ্দে হাফস” শহরে অবস্থিত এক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে তিনি ইলম অর্জন করেন। অতঃপর ইরানের কুম শহরে শিক্ষা সমাপ্ত করেন।

তিনি আমাদের ব্যাপারে খুব যত্নশীল ছিলেন। তিনি লক্ষ্য রাখতেন যেন আমরা সঙ্গদোষে তুষ্ট না হই, আমাদের থেকে এমন কিছু প্রকাশ না পায়, যা আমাদের সুখ্যাতি বিনষ্ট করে, পারিবারিক আদর্শকে কলঙ্কিত করে এবং যে কারণে আমাদের রব আমাদের ওপর অসন্তুষ্ট হন। তিনি এতটাই লক্ষ্য রাখতেন যে, যখন জানলেন আমি মাধ্যমিক শিক্ষা শেষ করে সঙ্গীত শিক্ষার প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হতে ইচ্ছুক, আমার আগ্রহ আমি সঙ্গীত টিচার হবো, তিনি খুব রাগ করলেন। তিনি আমাকে নিষেধ করে বললেন, আমার শৈশবে আমি এমন কাউকে পাইনি যে আমাকে উপদেশ দেবে ও আমার হাত ধরে সামনে এগিয়ে নিবে। একা একা অনেক কঠিন পথ অতিক্রম করে এ পর্যন্ত এসেছি। আমার উপদেশ শোন।

আমি বলতে পারি, আমার মাথা থেকে সঙ্গীত শিখার চিন্তা দূর করার পেছনে আমার খালুর অনেক অবদান রয়েছে। সাথে অন্য কারণও ছিল যে জন্য আমি সে দিকে এগুতে পারিনি।

আমার মার ইচ্ছা ছিল আমি যেন শিয়াদের আনন্দ ও বিষাদের ধর্মীয় সব উৎসবে অংশ গ্রহণ করি। তার ধারণা এতে অনেক সাওয়াব ও প্রতিদান রয়েছে। বিশেষভাবে তিনি যেহেতু ইমাম হুসাইনের খাদেম, তাই এ জন্য আমাকে নিয়ে তার আগ্রহের কমতি ছিল না।

রোগ-শোক ও সাংসারিক ব্যস্ততা কিছুকেই তিনি বাধা মনে করতেন না, ধর্মীয় উৎসবগুলোতে অংশ গ্রহণ করতেন! তিনি বিশ্বাস করতেন এতে অংশ না নেয়া পাপ, অংশ নিলে রোগ থেকে মুক্তি মিলে ও বরকত হাসিল হয়।

আমার নানা জীবন ভর ঢোল বানিয়েছেন, যা মুহররমের তাজিয়া মিছিল ও রমযানের শেষ রাতগুলোতে ঘটা করে বাজানো হত বিশেষ করে ঐ রাতে যে রাতকে বলা হত “লাইলাতুল বেদা”। এখানে বলে রাখি, আমার গোটা পরিবার তখন শিয়া সাইয়্যেদ খুয়ীর অনুসারী ছিল, যার আমিও একজন সদস্য ছিলাম।

এ পরিবেশের কারণে আমি শৈশব থেকে ‘মানামাহ’ শহরে অবস্থিত ‘হাম্মাম’ জনপদে উদ্‌যাপিত আলহাজ্ব আব্বাসের মাতমে অংশ গ্রহণ করা পছন্দ করতাম।

প্রত্যেক উৎসবে সর্বাগ্রে উপস্থিত হওয়া আমার স্বভাবে পরিণত হয়েছিল, যেন হুসাইনী তাজিয়া মিছিলে আমার আগে কেউ ঝাণ্ডা হাতে নিতে না পারে।

সামান্য বড় হয়ে মাতমের মিছিলে যখন অংশ নিতাম, তখন শিকলের আঘাতে আমার পিঠ আমি রক্তাক্ত করতাম।

শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আমি সেসব বন্ধুদের সঙ্গ বেশী পছন্দ করতাম, যারা ধর্মীয় উৎসবে সোৎসাহে অংশ গ্রহণ করত। ধর্মীয় অনুষ্ঠানে যোগ দেয়া আমাদের জন্য শিক্ষার বদ্ধ পরিবেশ থেকে বেড়িয়ে মুক্ত বাতাস গ্রহণ করার ন্যায় আকর্ষণীয় হয়ে ওঠে ছিল। তাই এসব উৎসবে যোগদানের অজুহাতে ক্লাসে অধিকাংশ অনুপস্থিতি ছিল আমাদের। বিশেষ করে শিয়া শিক্ষকগণ আমাদের কখনো এ জন্য জবাবদিহি করতেন না, বরং তাদের থেকে উৎসাহ পেতাম।

দুঃখের হলেও সত্য যে, অধিকাংশ যুবক এসব উৎসব আগমনে পুলক অনুভব করত। কারণ এতে তাদের জন্য যুবতী মেয়েদের সাথে মেশার সেরা সুযোগ ছিল, যেহেতু এসব অনুষ্ঠানে নারী-পুরুষের সংমিশ্রণে তেমন বিধি-নিষেধ থাকত না। লা হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ।

আমার পরিবারে এক রেওয়াজ ছিল মান্নত করা। আমার ফুফুর কখনো গর্ভ টিকত না। তার বাচ্চা হয়ে জন্মের পূর্বে মারা যেত, অথবা প্রসবের পরেই মারা যেত। এ ঘটনা তার একাধিকবার ঘটেছে, এক পর্যায়ে আমার পরিবার প্রায় নিরাশ হয়ে গিয়েছিল। অবশেষে তারা ইমাম আলির জন্য মান্নত করল, যদি তিনি তাদেরকে বাচ্চা দেন ও সকল বিপদ থেকে মুক্ত রাখেন, [কখনো মান্নতকারীর মান্নত মোতাবেক কিছু ঘটতে দেখা যায়, তার অর্থ মান্নত সহি পন্থায় হয়েছে, অথবা গায়রুল্লাহর জন্য মান্নত করা ঠিক, এমনটি নয়। কারণ খৃস্টানরা অনেক সময় গীর্জায় গিয়ে চিরকুমারী মারইয়ামের নিকট রোগ মুক্তি অথবা রিযক তলব করে, কিন্তু আল্লাহ নিজের পক্ষ থেকে তাদের উদ্দিষ্ট বস্তু প্রদান করেন, যা তাদের জন্য ফিতনা ও তাদেরকে ঢিল দেয়া স্বরূপ। এরূপ সকল বিশ্বাসীদের ক্ষেত্রে ঘটে, যেমন হিন্দু মূর্তিপূজকরা তাদের উপাস্যদের নিকট কিছু প্রার্থনা করে, আল্লাহ তাদের আশা পূরণ করে তাদেরকে ঢিল দেন। যেমন আল্লাহ তাআলা বলেছেন: ﴿ سَنَسۡتَدۡرِجُهُم مِّنۡ حَيۡثُ لَا يَعۡلَمُونَ ١٨٢ ﴾ [ الاعراف : ١٨١ ] “অচিরেই আমি তাদেরকে ধীরে ধীরেএমনভাবে পাকড়াও করব যে, তারা জানতেওপারবে না”। [সূরা আল-আরাফ: (১৮১)] এ আয়াতের তাফসিরে ইমাম সাদেক বলেন: “এখানে উদ্দেশ্য ঐ পাপী ব্যক্তি যাকে পাপ সত্ত্বেও নিয়ামত প্রদান করা হয়, যা তাকে পাপ থেকে ইস্তেগফার করা ভুলিয়ে দেয়”। [আল-কাফি: (২/৪৫২)] আল্লাহ ব্যতীত অন্য কাউকে আহ্বান করা শুধু পাপই নয়, বরং সকল পাপ থেকে বড় পাপ। আল-নুরি আত-তাবরিসি মুস্তাদরাক গ্রন্থে বর্ণনা করেছেন: আব্দুল্লাহ ইব্‌ন মাসউদ রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামকে জিজ্ঞাসা করেছেন: “কোন পাপ সবচেয়ে বড়? তিনি বলেন: আল্লাহর সাথে তোমার শরীক করা, অথচ তিনি তোমাকে সৃষ্টি করেছেন!” [আল-মুস্তাদরাক: (১৪/৩৩১)] মুসলিম মাত্রই জানে যে, দোয়া এক প্রকার ইবাদত। আর ইবাদত আল্লাহ ব্যতীত কাউকে নিবেদন করা বৈধ নয়। আল্লাহ তা‘আলা ইরশাদ করেন: ﴿ وَأَنَّ ٱلۡمَسَٰجِدَ لِلَّهِ فَلَا تَدۡعُواْ مَعَ ٱللَّهِ أَحَدٗا ١٨ ﴾ [ الجن : ١٨ ] “আর নিশ্চয় মসজিদগুলো আল্লাহরই জন্য।কাজেই তোমরা আল্লাহর সাথে অন্য কাউকে ‎‎ ডেকো না”। [সূরা আল-জিন: (১৮)] অনুরূপ মান্নতও ইবাদত, আল্লাহ ব্যতীত কারো জন্য মান্নত করা বৈধ নয়। আল-নুরি তাবরাসি বর্ণনা করেন: “ইমাম জাফর সাদেক আল্লাহ ব্যতীত কারো জন্য মান্নত করতে নিষেধ করেছেন”। [আল- মুস্তাদরাক: (১৬/৮২)]আয়াতুল্লাহ আল-উজমা মুহাম্মদ আমিন জয়নুদ্দিন “কালিমাতুত তাকওয়া” গ্রন্থে বলেন: আল্লাহ ব্যতীত কারো জন্য মান্নত করা বৈধ নয়, যেমন রাসূল, নবী, ওলী, ফেরেশতা অথবা নেককার বান্দা। অনুরূপ জায়েজ নয় কা’বা, মসজিদ, ইবাদত খানা ও অন্য সকল সম্মানীত স্থানের নামে মান্নত করা”। [“কালিমাতুত তাকওয়া”: (৬/৪২২), মাসআলা নং: (৬৩)]মুসলিম আরো বিশ্বাস করে যে, আল্লাহ একভাবে উপকার, ক্ষতি, রিযক ও রোগ মুক্তির মালিক, তিনি ব্যতীত কেউ উপকার, ক্ষতি, রিযক ও রোগ মুক্তির মালিক নয়।মানব জাতিকে পৌঁছানোর জন্য আল্লাহ তা‘আলা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে ঘোষণা দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন: “বল আমি কারো উপকার বা ক্ষতির মালিক নই”। নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম আল্লাহর সর্বোত্তম ও সর্বশ্রেষ্ঠ মখলুক, তিনি যখন কারো উপকার বা ক্ষতির ক্ষমতা রাখেন না, তিনি ব্যতীত অন্যান্য নবী, ইমাম ও নেককার লোক কিভাবে মালিক হবেন? আল্লাহ তা‘আলা বলেন: ﴿ قُلۡ إِنَّمَآ أَدۡعُواْ رَبِّي وَلَآ أُشۡرِكُ بِهِۦٓ أَحَدٗا ٢٠ قُلۡ إِنِّي لَآ أَمۡلِكُ لَكُمۡ ضَرّٗا وَلَا رَشَدٗا ٢١ ﴾ [ الجن : ٢٠، ٢١ ] “বল, ‘নিশ্চয় আমি আমার রবকে ডাকি এবংতার সাথে কাউকে শরীক করি না। বল, ‘নিশ্চয় আমি তোমাদের জন্য না কোনঅকল্যাণ করার ক্ষমতা রাখি এবং না কোনকল্যাণ করার’। [সূরা আল-জিন: (২০-২১)]অতএব শয়তানের চাকচিক্যের কারণে কোন বিবেকবানের পক্ষে ধোঁকায় লিপ্ত হওয়া সমীচীন নয়। পাঠবর্গ মনে রাখবেন এসব ঘটনা উল্লেখ করার উদ্দেশ্য সাধরণ মানুষের বিশ্বাসের বর্ণনা দেয়া, যা তাদের মধ্যে জন্ম নিয়েছে আল্লাহর সাথে দুর্বল সম্পর্ক ও তার ওপর দুর্বল ইমানের কারণে। অন্যথায় কোন বিবেক নিজের মধ্যে এসব বিশ্বাস স্থান দিতে পারে না, যে তিলাওয়াত করে: ﴿ أَلَيۡسَ ٱللَّهُ بِكَافٍ عَبۡدَهُۥۖ ٣٦ ﴾ [ الزمر : ٣٥ ] “আল্লাহ কি তাঁর বান্দার জন্য যথেষ্ট নন”? [সূরা আয-যুমার: (২৬)] নিশ্চয় মুসলিমের জন্য তার রবই যথেষ্ট। অন্যদের সম্পর্কে আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন: ﴿ وَمَا يُؤۡمِنُ أَكۡثَرُهُم بِٱللَّهِ إِلَّا وَهُم مُّشۡرِكُونَ ١٠٦ ﴾ [ يوسف : ١٠٥ ] “তাদের অধিকাংশ আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস করে,তবে (ইবাদাতে) র্শিক করা অবস্থায়”। [সূরা ইউসূফ: (১০৬)]‎] তাহলে প্রতি বছর আশুরার দিন প্রত্যুষে বাচ্চাকে তাজিয়া মিছিলে উপস্থিত করবেন। তার পড়নে থাকবে কাফন [সাদা কাপড়], যা মিছিলে অংশ গ্রহণকারীরা রক্তে রঞ্জিত করবে। এ জন্য তাকে ইমাম হুসাইনের ঘোড়ার সাদৃশ্য ঘোড়ায় আরোহণ করানো হত।

আমার ফুফুর বাচ্চা হল, তারা তার নাম রাখল আকিল। [পূর্ণ নাম আকিল ইব্‌ন আব্দুল জলিল আল-আহমদ।] কয়েক বছর এভাবে মান্নত পূরণ করার পর আকিল জানল যে, আল্লাহ ব্যতীত কারো জন্য মান্নত করা বৈধ নয়। ইমাম আলি একজন মানুষ। তাকে কিংবা অন্য কোন মানুষকে ইবাদত উৎসর্গ করা যায় না, যেমন দোয়া, ফরিয়াদ ও মান্নত। সে তার পিতাকে বোঝাল যে, এ মান্নত হারাম। অতঃপর এ ঘটনা তার জীবনে স্মরণীয় হয়ে থাকল, যা মানুষের ক্ষেত্রে কমই ঘটে।

অনুরূপ কৌতূহল উদ্দীপক ঘটনা আমার জীবনেও ঘটেছে। আমি যখন ছোট আমার ঘাড়ে অপারেশন করা হয়, কয়েক দিন পর ক্ষত স্থানটি ফুলে গেল, ফলে দ্বিতীয়বার অপারেশন করা হল।

আমার মা বলেন: তোমার স্বাস্থ্য খুব খারাপ ছিল। তুমি ছিলে জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে।

আমার ওপর তার আশঙ্কার কারণে জনৈক শিয়া পণ্ডিতের পরামর্শ মোতাবেক আমাকে সাকিয়্যাহ শহরে অবস্থিত এক মাজারে নিয়ে যান। আমার সুস্থতার জন্য সেখানে মান্নত করেন। কারণ অন্যান্য শিয়াদের মত তার বিশ্বাস ছিল মাজার, সমাধি ও কবরস্থ ব্যক্তিরা মানুষের উপকার ও ক্ষতি করার সামর্থ্য রাখে।

ইচ্ছা সত্ত্বেও বিশেষ কোনো কারণে কয়েক বছর হল মান্নত পূর্ণ করার জন্য সেখানে যেতে পারেননি, আমি বড় হলাম।

অতঃপর আমি যখন আল্লাহর হিদায়েতে আহলে-সুন্নাহ ওয়াল জামাতের আকিদায় প্রত্যাবর্তন করি এবং সবাই জেনে গেল, আমার পরিবার আমার নিকট প্রমাণ করতে চাইল যে, আমার আহলে সুন্নত ওয়াল জামাতে প্রত্যাবর্তন করা আহলে বাইতের প্রতি অসদাচরণ ও তাদের ওপর জুলমের শামিল!

আমার পরিবার আমাকে মায়ের মান্নত স্মরণ করিয়ে দিয়ে স্পষ্ট বলল: আহলে বাইত না হলে তুমি সুস্থ হতে না, আজ পর্যন্ত জীবিতও থাকতে না। অতঃপর তারা আমাকে সতর্ক করে দিল আমি যেন মান্নতের ব্যাপারে অবহেলা না করি। তারা আমাকে মান্নত পূর্ণ করার জন্য সে মাজারে তাদের সাথে যেতে উদ্বুদ্ধ করল, যেন আমাকে কোন অনিষ্ট স্পর্শ না করে, অথবা আমার মৃত্যু না হয়।

তারা আমাকে বোঝাতে ও তাদের সাথে মাজারে নিয়ে যেতে বারবার চেষ্টা করল। তারা চেষ্টা করল আমাকে শিয়া ধর্মে পুনরায় ফিরিয়ে নিতে, কিন্তু তাদের চেষ্টা ব্যর্থ হল।

হাসির খোরাক হল, গত কয়েক বছর যাবত ঐ মাজারকে পবিত্র জ্ঞান করা, তার নিকট ফরিয়াদ করা ও তার জন্য মান্নত করার পর জানাজানি হল যে, ঐ মাজার সম্পর্কে যা প্রচার করা হয়েছিল সব ধারণার ওপর ধারণা। [রবিউল আউয়াল (১৪২৫হি.) মোতাবেক মে (২০০৪ইং) সনে শিয়াদের কতক কর্মকাণ্ড সেখানে মাজারের অস্তিত্ব জানান দেয়, তার সাথে কতক আকিদাও প্রচার করা হয়, যেমন সবাই যে মাহদির জন্য অপেক্ষা করছে এখানে তার মায়ের নিদর্শন রয়েছে এবং এ স্থান পবিত্র! প্রভৃতি।] অতঃপর ঐ মাজার সমূলে ধ্বংস করে দেয়া হল। আল্লাহর প্রশংসা।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন