মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
আসসালামু আলাইকুম, Hadith.one বন্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে! আমাদের সার্ভারের মেয়াদ ১১ অক্টোবর ২০২৫ এ শেষ হবে, এবং এবং ওয়েবসাইট টি চালানোর জন্য আমাদের কোনো ফান্ড নেই।
🌟 আপনার দান এই প্ল্যাটফর্মকে বাঁচাতে পারে এবং প্রতিটি হাদিস পড়ার মাধ্যমে সদকাহ জারিয়ার অংশীদার হতে পারেন!
🔗 অনুগ্রহ করে আপনার দানের মাধ্যমে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি চালিয়ে নিতে সাহায্য করুন!
জাযাকাল্লাহু খাইরান!
শিয়ারা কেন তাদের প্রখ্যাত আলেম মুহাম্মদ হুসাইন ফদলুল্লার ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ল?! [শিয়াদের কেন্দ্রবিন্দু লুবনানি প্রখ্যাত আলেম, দুনিয়ার সর্বত্র তার অনুসারী রয়েছে।]
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/448/18
বর্তমান শিয়াদের অবস্থা পর্যবেক্ষণকারী দেখবে যে, তাদের মধ্যে খুব দীর্ঘ ও গভীর থেকে জাগরণ আরম্ভ হয়েছে... কিন্তু বেশী দীর্ঘ হবে না।
সুখের সংবাদ শিয়া মাজহাবের কট্টরপন্থীগণ সেসব বর্ণনা যাচাই ও গবেষণা শুরু করেছেন, যা তাজিয়ার পাঠকবর্গ পড়েন, হুসাইনী মিম্বারের খতিব, কট্টর শিয়া যুবক ও শিয়া আলেমগণ বিনা বিচার ও বিনা গবেষণায় মেনে নেন ও প্রচার করেন। তাদের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে।
ইতোপূর্বে জেগেছেন [আয়াতুল্লাহ আল-উজমা আবুল ফজল আল-বারকিয়ী], [আহমদ আল-কাসরুবি], [আল্লামা আল-খুয়াইনী], [ড. মুসা মুসাবি], [মুহাম্মদ আল-ইয়াসিরি], [আহমদ আল-কাতেব] এবং বর্তমান জেগেছেন [আয়াতুল্লাহ আল-উজমা মুহাম্মদ হুসাইন ফদলুল্লাহ]।
সাইয়্যেদ ফদলুল্লাহ দেখেছেন যে, আকিদা ও ইতিহাস সংশ্লিষ্ট কতক তথ্য, শৈশব থেকে যার পক্ষে তিনি প্রতিবাদ করতেন, যার ব্যাখ্যা দিতেন, যার দিকে তিনি আহ্বান করতেন, তা বাস্তবতার নিরিখে উঁচুমানের নয়। অথচ তিনি শিয়াদের ইলমের কেন্দ্র ও বড় আলেম!
সায়্যেদ ফদলুল্লাহ ইতিহাসের একটি বিষয় গবেষণা ও নিরিক্ষা শেষে এ সিদ্ধান্তে পৌঁছেছেন যে, ফাতেমার ওপর হামলা সম্পর্কে যা বর্ণনা করা হয়, যেমন তাকে আঘাত করা, তার পেটের বাচ্চা ফেলে দেয়া প্রভৃতির সাথে বাস্তবতার কোন সম্পর্ক নেই।
এ স্পষ্ট ঘোষণার কারণে তিনি প্রতিপক্ষ থেকে অনেক কষ্টের সম্মুখীন হয়েছেন, তাকে গোমরাহ বরং কাফের বলে ফতোয়া প্রচার করা হয়েছিল!
ফাতেমাতুজ জাহরার ওপর হামলা সম্পর্কে কথিত বর্ণনার সমালোচনা করে সায়্যেদ ফদলুল্লাহ বলেন: “তোমার করণীয় কি হবে, যদি কেউ এসে তোমার স্ত্রীর ওপর হামলা করে, তাকে মারতে চায়? তুমি ঘরে বসে শুধু বলবে: لاحول ولاقوة إلا بالله অথবা তোমার স্ত্রীকে আঘাত করতে আসা ব্যক্তির ওপর ঝাঁপিয়ে পড়বে?!
বাহাদুরদের পরাস্তকারী আলি ইব্ন আবি তালেব ‘আলাইহিস সালাম কতিপয় লোককে চোখের সামনে ফাতেমাতুজ জাহরার ওপর হামলা করার সুযোগ দিবেন, আর তিনি ঘরে বসে বলবেন: لاحول ولاقوة إلا بالله العلي العظيم তোমাদের কেউ নিজের ব্যাপারে এরূপ সহ্য করবে?! কেউ না...” [আল-হাউজাতুল ইলমিয়াহ তুদিনুল ইনহিরাফ: (পৃ.২৭-২৮)]
তিনি বলেন: “জাহরা কেন দরজা খুলবেন... তুমি যখন ঘরে থাক, তোমার স্ত্রীও ঘরে থাকে, এমতাবস্থায় কেউ দরজায় নক করল, বিশেষ করে তোমাকে বন্দি করার জন্য যদি আইনের লোক আসে, তোমার স্ত্রীকে তুমি বলবে: তুমি বের হও?... অর্থাৎ ইমাম আলি ভীরু, তার নিকট কোন অহমিকা নেই?! তারা বলেন: নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে খিলাফতের ব্যাপারে ঝগড়া না করা ওসিয়ত করেছেন, কিন্তু তাকে তো স্ত্রীর ওপর হামলাকারীকে প্রতিহত করতে নিষেধ করেননি”! [আল-হাউজাতুল ইলমিয়াহ তুদিনুল ইনহিরাফ: (পৃ.২৭-২৮)]
তিনি আকিদার বিষয়ে কিতাব ও সুন্নাহতে গভীর গবেষণা পর উদাত্তকণ্ঠে সাহসী ঘোষণা দেন যে, ইসলাম বিশুদ্ধ বা বান্দার আমল কবুল হওয়ার জন্য ইমামত শর্ত নয়। এটা এক দৃষ্টিভঙ্গি কতক মুসলিমের নিকট অগ্রাধিকার পেয়েছে কতকের নিকট পায়নি। ইমামত ইজতেহাদি বিষয় সবল ও দুর্বল উভয় হতে পারে।
সাইয়্যেদ ফদলুল্লাহ ইমামদের ইলমে গায়েব জানার বিষয়ে সমালোচনা করে আরেকটি সঠিক পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। তিনি আল্লাহ তা‘আলার নিম্নের বাণীর তাফসীরে বলেন:
বল, ‘তোমাদেরকে আমি বলি না, আমার কাছে আল্লাহর ভাণ্ডারসমূহ রয়েছে এবং আমি গায়েব জানি না এবং তোমাদেরকে বলি না, নিশ্চয় আমি ফেরেশতা। আমি কেবল তাই অনুসরণ করি যা আমার কাছে ওহী প্রেরণ করা হয়’। বল ‘অন্ধ আর চক্ষুষ্মান কি সমান হতে পারে? অতএব তোমরা কি চিন্তা করবে না’?
সাইয়্যেদ ফদলুল্লাহ বলেছেন এ আয়াত স্পষ্ট ঘোষণা করছে যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইলমে গায়েবের মালিক ছিলেন না। আল্লাহ তা‘আলা রাসূল থেকে চাননি যে, তিনি ইলমে গায়েবের অধিকারী হয়ে মানুষের সামনে দাঁড়িয়ে তাদের অন্তরের গোপন বিষয় বলে দিবেন, তাদের প্রত্যেকের সামনে কি অপেক্ষা করছে বলে দিবেন। অধিকাংশ শিয়া নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামকে যাদুকরের মত মনে করে। [তাফসির মিন ওয়াহইল কুরআন, সূরা আনআন: (৫০)]
দুঃখের বিষয় এসব গবেষণা তাদের অন্তর নাড়া দেয়নি যে, তারা কান লাগিয়ে শুনবে, বিবেক জাগ্রত করেনি যে, তাতে চিন্তা করবে। সায়্যেদ ফদলুল্লাহ দীর্ঘ গবেষণা ও প্রচুর অনুসন্ধান করে খুব শান্ত মেজাজ ও স্থির চিত্তে তার ফলাফল বের করার চেষ্টা করেছেন, বরং তিনি এসব গবেষণা প্রকাশের সাহসী ভূমিকা গ্রহণ করে যেমন পরিচিতি পেয়েছেন, তেমন গোমরাহ হওয়ার খেতাবও লাভ করেছেন!
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/448/18
রিডিং সেটিংস
Bangla
English
Bangla
Indonesian
Urdu
System
System
Dark
Green
Teal
Purple
Brown
Sepia
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
Kfgq Hafs
Qalam
Scheherazade
Kaleel
Madani
Khayma
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
Kalpurush
Rajdip
Bensen
Ekushe
Alinur Nakkhatra
Dhakaiya
Saboj Charulota
Niladri Nur
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।