hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

সাহাবীদের পেয়েছি, কিন্তু আহলে-বাইতকে হারাই নি

লেখকঃ আবু খলিফা আলি ইব্‌ন মুহাম্মদ আল-কুদাইবি

শিয়া মাজহাবের বৈপরীত্য জীবন...
শৈশব থেকে আমরা শিখেছি আশুরার রাতে মাতম ও বিলাপ করে আবু আব্দুল্লাহ [হুসাইন রা.] এর মুসিবত স্মরণ করা ইবাদত। আফসোস! আমাদের কেউ কি ঘুণাক্ষরেও এসব নিয়ে ভেবেছেন, কুরআন-হাদিস মোতাবিক কি-না যাচাই করেছেন, অথবা কুরআন-হাদিস বিরোধী সন্দেহ করেছেন?!. না, কেউ করেননি!

এভাবে আমারও কয়েকটি বছর পার হল, এক সময় আমার মধ্যে কিছু পরিবর্তন দেখলাম, যা আমাকে সুন্নী হতে বাধ্য করল।

আমার ভাবতে অবাক লাগে আমি কি পরিমাণ গোমরাহ ছিলাম!

শিয়াদের বড় পণ্ডিত তাবরিজিকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল: তাজিয়া মিছিল বৈধ? তিনি উত্তর বলেন: ইমামদের জমানায় শিয়ারা ‘তাকিইয়া’ অবলম্বন করত। তাদের জমানায় সম্ভব ছিল না, তাই তার অস্তিত্ব ছিল না বিধায় এ যুগে না-জায়েয হওয়ার প্রমাণ নয়। তখন যদি শিয়ারা বর্তমান যুগের ন্যায় জীবন ধারণে সক্ষম হত, যেমন আমরা আমাদের নিদর্শনগুলো পালন করি ও প্রকাশ করতে সক্ষম, তাহলে তারাও করতেন যেমন আমরা করছি। যেমন শোক প্রকাশের নিমিত্তে হুসাইনি মাজার বরং ঘরের দরজাও কালো পতাকা উড়ানো প্রভৃতি”। [সিরাতুন নাজাত লিল খুইয়ী, খ.২, (পৃ.৫৬২) পরিশিষ্টি।]

শিয়া মাজহাবের আলেমদের নিকট মুহররমের মাতম ও তাজিয়া মিছিল ইস্তেহসান বা মুস্তাহাবের অন্তর্ভুক্ত। আল্লাহর নিদর্শন জিন্দা করার নামে মুহররমে কৃত এসব কর্ম-কাণ্ডের পক্ষে কুরআন-হাদিসের কোন দলিল নেই।

বরং আহলে বাইতের ইমাম ও পূর্বযুগের শিয়া আলেমদের বাণী তার বিপরীত! ইব্‌ন বাবুইয়াহ আল-কুম্মি বলেন: রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: “বিলাপ করা জাহিলি যুগের আমল”। [মান লাইয়াহদুরুল ফাকিহ: (৪/৩৭৬)]

তাবরাসি বর্ণনা করেন, আলি ‘আলাইহিস সালাম থেকে বর্ণিত, তিনি বলেছেন: “জাহিলি যুগের আমল তিনটি, কিয়ামত পর্যন্ত মানুষ তাতে মগ্ন থাকবে: নক্ষত্রের ওসিলায় বৃষ্টি তলব করা, মানুষের বংশে কলঙ্ক লেপন করা ও মৃতদের ওপর বিলাপ করা”। [মুস্তাদরাকুল ওসায়েল: (১/১৪৩)]

মুহাম্মদ বাকের আল-মাজলিসি আলি ‘আলাইহিস সালাম থেকে বর্ণনা করেন: “যখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের ছেলে ইবরাহিম মারা যায়, আমাকে তিনি নির্দেশ করেন আমি তার গোসল দেই। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে কাফন পড়ান ও তার গায়ে সুগন্ধি লাগান। আমাকে তিনি বলেন: হে আলি তাকে নিয়ে চল। আমি তাকে নিয়ে ‘বাকি’ কবর স্থানে আসি। তিনি তার ওপর সালাত পড়েন। যখন তাকে লম্বা শয়ন অবস্থায় দেখলেন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম কেঁদে দিলেন। তার কাঁদা দেখে মুমিনরাও কাঁদা আরম্ভ করল, এমনকি পুরুষদের কান্না নারীদের কান্নার আওয়াজকে ছাপিয়ে গেল। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদেরকে কঠোরভাবে নিষেধ করলেন। তিনি বললেন: চোখ অশ্রু ঝরাবে, অন্তর ব্যথিত হবে ঠিক, কিন্তু আল্লাহ নারাজ হন এমন কিছু আমরা বলব না। হে ইবরাহিম নিশ্চয় তোমার বিরহে আমরা শোকাহত, তোমার জন্য আমরা ব্যথিত”। [বিহারুল আনওয়ার: (৮২/১০০-১০১)]

দেখুন মাতম সম্পর্কে নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও ইমাম আলির অবস্থান কি। চিন্তা করুন হারাম ও জাহিলি যুগের আমল শিয়াদের নিকট কিভাবে মুস্তাহাব হল?!

মাতম ও তাজিয়ার নিষেধাজ্ঞায় কোন অস্পষ্টতা নেই, তাই তুসি ও ইব্‌ন হামজাহ তা হারাম বলেছেন। তুসি দ্ব্যর্থ কণ্ঠে বলেছেন: তার যুগের শিয়ারা মাতম হারাম সম্পর্কে একমত ছিল। [দেখুন: আয-যিকরা লিশ শাহীদিল আউয়াল: (পৃ.৭২)]

শিয়াদের বর্ণনায় পরিষ্কার আছে যে, চেহারায় ও বুকে আঘাত করা ঘৃণিত বিদআত, যার প্রতি সন্তুষ্ট নয় আল্লাহ, তার রাসূল ও পবিত্র ইমামগণ।

ইমাম বাকের বলেছেন: “তাকদিরকে দোষারোপ করা, চিৎকার করে কাঁদা, চেহারায় ও বুকে আঘাত করা ও মাথার চুল ছেড়া প্রভৃতিভাবে শোক প্রকাশ করা হারাম। যে বিলাপ করল সে ধৈর্য পরিহার করল ও সঠিক পথ বিচ্যুত হল”। [কালিনি তার কাফি গ্রন্থে বর্ণনা করেছেন: (৩/২২২-২২৩), ফায়দুল কাশানি ফিল ওয়াফি: (১৩/৮৭), হুর আল-আমেলি ফি ওসায়েলুশ শিয়াহ: (২/৯১৫)]

বর্ণিত আছে, ইমাম হুসাইন তার বোন জয়নবকে বলেছেন: “হে বোন, আল্লাহকে ভয় কর, আল্লাহ যেভাবে শোক প্রকাশ করতে বলেছেন সেভাবে শোক প্রকাশ কর। জেনে রেখ, জমিনের সবাই মারা যাবে, আসমানের কেউ অবশিষ্ট থাকবে না। সবাই ধ্বংস হয়ে যাবে একমাত্র আল্লাহ তা‘আলা ব্যতীত, যিনি নিজ কুদরতে সৃষ্টি করেছেন তাই মখলুক সৃষ্টি হয়েছে। তিনি একলা। আমার পিতা আমার চেয়ে উত্তম, আমার মাতা আমার চেয়ে উত্তম, আমার ভাই আমার চেয়ে উত্তম। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমার ও সকল মুসলিমের আদর্শ”। তিনি এভাবে তার বোনকে সান্ত্বনা দেন। অতঃপর তাকে বলেন: “হে বোন আমি তোমাকে কসম দিচ্ছি, তুমি আমার কসম পূর্ণ করবে, আমি যখন মারা যাব বুকের কাপড় ছিঁড়বে না, চেহারায় আঘাত করবে না, আমার বিরহে মুসিবত ও ধ্বংসকে আহ্বান করবে না”। [আল-মালহুফ লি ইব্‌ন তাউস: (পৃ.৫০), মুনতাহাল আমাল লি আব্বাস আল-কুম্মি: (১/৪৮১)]

মুহাম্মদ ইব্‌ন মক্কী আল-আমেলি [আশ-শাহীদুল আউয়াল] তুসির বাণী নকল করেন: “চেহারায় ও বুকে আঘাত করা এবং চুল ছেঁড়া সবার নিকট হারাম। তিনি ‘মবসুত’ গ্রন্থে এ কথা বলেছেন। দ্বিতীয় এ কারণে যে, এতে আল্লাহর তাকদিরের প্রতি অসন্তোষ প্রকাশ করা হয়”। [আয-যিকরা: (পৃ.৭২)]

কালো কাপড় পরিধান সম্পর্কে ইমাম আলি ‘আলাইহিস সালামের বাণীই যথেষ্ট: “তোমরা কালো কাপড় পরিধান কর না, কারণ তা ফিরআউনের পোশাক”। [মান লা ইয়াহদুরুহুল ফাকিহ: (১/১৬৩), ওসায়েলুশ শিয়াহ: (৩/২৭৮)]

মাতম করা, গায়ে রক্ত মাখা ও কালো কাপড় পরিধান করার নিষেধাজ্ঞা এবং তার বিপরীত জগতে শিয়াদের অবস্থান দেখে হতবাক হলাম! কারণ এগুলো অন্তরে লালন করে বড় হয়েছি, এসব আমার নিকট আহলে বাইতের প্রতি মহব্বতের প্রতীক! আমি জানতাম না তাজিয়া মিছিল, মাতম ও তাতে কৃত কর্মসমূহ আহলে বাইতের ইমামদের বাণী, ওসিয়ত ও তাদের দাদা নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের হাদিসের সরাসরি লঙ্ঘন।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন