HADITH.One
HADITH.One
Bangla
System
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
সাপোর্ট করুন
সৎকাজের আদেশ ও মন্দ কাজ থেকে নিষেধ করা
লেখকঃ আব্দুল্লাহ শহীদ আব্দুর রহমান
৩
আর যেন তোমাদের মধ্য থেকে এমন একটি দল হয়, যারা কল্যাণের দিকে আহ্বান করবে, ভালো কাজের আদেশ দেবে এবং মন্দ কাজ থেকে নিষেধ করবেআল্লাহ তা‘আলা বলেন,
﴿وَلۡتَكُن مِّنكُمۡ أُمَّةٞ يَدۡعُونَ إِلَى ٱلۡخَيۡرِ وَيَأۡمُرُونَ بِٱلۡمَعۡرُوفِ وَيَنۡهَوۡنَ عَنِ ٱلۡمُنكَرِۚ ١٠٤﴾ [ ال عمران : ١٠٤ ]
“আর যেন তোমাদের মধ্য থেকে এমন একটি দল হয়, যারা কল্যাণের দিকে আহ্বান করবে, ভালো কাজের আদেশ দেবে এবং মন্দ কাজ থেকে নিষেধ করবে”। [সূরা আলে ইমরান, আয়াত: ১০৪]
আয়াত থেকে শিক্ষা ও মাসায়েল:
এক. মুসলিমদের মধ্যে কল্যাণকর ও ভালো কাজের দিকে আহবান, সৎ কাজের আদেশ ও মন্দ কাজ থেকে নিষেধ করার জন্য একটি দল গঠন করার অপরিহার্যতা প্রমাণিত হলো।
দুই. যারা এ দায়িত্ব পালন করবে তারাই সফলকাম হবে।
তিন. এ আয়াত দ্বারা বুঝা যায় প্রথমে ভালো কাজের দিকে দাওয়াত দিতে হবে। তারপর সৎ কাজের আদেশ ও অন্যায় কাজ থেকে নিষেধ করতে হবে। দাওয়াত দানের মাধ্যমে জানাতে হবে কোনটি ভালো কাজ আর কোনটি মন্দ।
﴿وَلۡتَكُن مِّنكُمۡ أُمَّةٞ يَدۡعُونَ إِلَى ٱلۡخَيۡرِ وَيَأۡمُرُونَ بِٱلۡمَعۡرُوفِ وَيَنۡهَوۡنَ عَنِ ٱلۡمُنكَرِۚ ١٠٤﴾ [ ال عمران : ١٠٤ ]
“আর যেন তোমাদের মধ্য থেকে এমন একটি দল হয়, যারা কল্যাণের দিকে আহ্বান করবে, ভালো কাজের আদেশ দেবে এবং মন্দ কাজ থেকে নিষেধ করবে”। [সূরা আলে ইমরান, আয়াত: ১০৪]
আয়াত থেকে শিক্ষা ও মাসায়েল:
এক. মুসলিমদের মধ্যে কল্যাণকর ও ভালো কাজের দিকে আহবান, সৎ কাজের আদেশ ও মন্দ কাজ থেকে নিষেধ করার জন্য একটি দল গঠন করার অপরিহার্যতা প্রমাণিত হলো।
দুই. যারা এ দায়িত্ব পালন করবে তারাই সফলকাম হবে।
তিন. এ আয়াত দ্বারা বুঝা যায় প্রথমে ভালো কাজের দিকে দাওয়াত দিতে হবে। তারপর সৎ কাজের আদেশ ও অন্যায় কাজ থেকে নিষেধ করতে হবে। দাওয়াত দানের মাধ্যমে জানাতে হবে কোনটি ভালো কাজ আর কোনটি মন্দ।
৪
তোমরা হলে সর্বোত্তম জাতি। মানুষের কল্যাণের জন্য যাদের বের করা হয়েছে। তোমরা সৎ কাজের আদেশ দেবে আর মন্দ কাজ থেকে নিষেধ করবেতিনি আরও বলেন,
﴿كُنتُمۡ خَيۡرَ أُمَّةٍ أُخۡرِجَتۡ لِلنَّاسِ تَأۡمُرُونَ بِٱلۡمَعۡرُوفِ وَتَنۡهَوۡنَ عَنِ ٱلۡمُنكَرِ ١٠﴾ [ ال عمران : ١١٠ ]
“তোমরা হলে সর্বোত্তম জাতি। মানুষের কল্যাণের জন্য যাদের বের করা হয়েছে। তোমরা সৎ কাজের আদেশ দেবে আর মন্দ কাজ থেকে নিষেধ করবে”। [সূরা আলে ইমরান, আয়াত: ১১০]
আয়াত থেকে শিক্ষা ও মাসায়েল:
এক. পৃথিবিতে যত জাতি আছে তার মধ্যে মুসলিম উম্মাহ হলো সর্বশ্রেষ্ঠ জাতি।
দুই. সর্বশ্রেষ্ঠ জাতি বলে তাদের দায়িত্ব হলো সমগ্র মানবতাকে ভালো কাজ ও কল্যাণের দিকে আহবান করা, অন্যায় ও মন্দ কাজ-কথা-বিশ্বাস থেকে তাদের নিষেধ করা।
﴿كُنتُمۡ خَيۡرَ أُمَّةٍ أُخۡرِجَتۡ لِلنَّاسِ تَأۡمُرُونَ بِٱلۡمَعۡرُوفِ وَتَنۡهَوۡنَ عَنِ ٱلۡمُنكَرِ ١٠﴾ [ ال عمران : ١١٠ ]
“তোমরা হলে সর্বোত্তম জাতি। মানুষের কল্যাণের জন্য যাদের বের করা হয়েছে। তোমরা সৎ কাজের আদেশ দেবে আর মন্দ কাজ থেকে নিষেধ করবে”। [সূরা আলে ইমরান, আয়াত: ১১০]
আয়াত থেকে শিক্ষা ও মাসায়েল:
এক. পৃথিবিতে যত জাতি আছে তার মধ্যে মুসলিম উম্মাহ হলো সর্বশ্রেষ্ঠ জাতি।
দুই. সর্বশ্রেষ্ঠ জাতি বলে তাদের দায়িত্ব হলো সমগ্র মানবতাকে ভালো কাজ ও কল্যাণের দিকে আহবান করা, অন্যায় ও মন্দ কাজ-কথা-বিশ্বাস থেকে তাদের নিষেধ করা।
আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
﴿خُذِ ٱلۡعَفۡوَ وَأۡمُرۡ بِٱلۡعُرۡفِ ١٩٩﴾ [ الاعراف : ١٩٨ ]
“তুমি ক্ষমা প্রদর্শন করো ও সৎ কাজের আদেশ দাও”। [সূরা আল-আ‘রাফ, আয়াত: ১৯৮]
আয়াত থেকে শিক্ষা ও মাসায়েল:
এক. ইসলামে ক্ষমা করার গুরুত্ব প্রমাণিত হলো। আল্লাহ তা‘আলা তাঁর রাসূলকে ক্ষমার নীতি গ্রহণ করার আদেশ করেছেন। এমনিভাবে সকলকে তিনি ক্ষমা করার জন্য আল কুরআনের একাধিক স্থানে আদেশ করেছেন।
দুই. ভালো কাজের দিকে আহবান, সৎ কাজের আদেশ করার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন মহান আল্লাহ তা‘আলা।
﴿خُذِ ٱلۡعَفۡوَ وَأۡمُرۡ بِٱلۡعُرۡفِ ١٩٩﴾ [ الاعراف : ١٩٨ ]
“তুমি ক্ষমা প্রদর্শন করো ও সৎ কাজের আদেশ দাও”। [সূরা আল-আ‘রাফ, আয়াত: ১৯৮]
আয়াত থেকে শিক্ষা ও মাসায়েল:
এক. ইসলামে ক্ষমা করার গুরুত্ব প্রমাণিত হলো। আল্লাহ তা‘আলা তাঁর রাসূলকে ক্ষমার নীতি গ্রহণ করার আদেশ করেছেন। এমনিভাবে সকলকে তিনি ক্ষমা করার জন্য আল কুরআনের একাধিক স্থানে আদেশ করেছেন।
দুই. ভালো কাজের দিকে আহবান, সৎ কাজের আদেশ করার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন মহান আল্লাহ তা‘আলা।
আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
﴿وَٱلۡمُؤۡمِنُونَ وَٱلۡمُؤۡمِنَٰتُ بَعۡضُهُمۡ أَوۡلِيَآءُ بَعۡضٖۚ يَأۡمُرُونَ بِٱلۡمَعۡرُوفِ وَيَنۡهَوۡنَ عَنِ ٱلۡمُنكَرِ ٧١﴾ [ التوبة : ٧١ ]
“আর মুমিন পুরুষ ও মুমিন নারীরা একে অপরের বন্ধু। তারা ভালো কাজের আদেশ দেয় আর মন্দ কাজ থেকে নিষেধ করে”। [সূরা আত-তাওবাহ, আয়াত: ৭১]
আয়াতের শিক্ষা ও মাসায়েল:
এক. ঈমানদার নারী ও পুরুষেরা একে অপরের বন্ধু ও কল্যাণকামী।
দুই. সৎ কাজের আদেশ করা ও মন্দ কাজ থেকে নিষেধ করা, কল্যাণ কামনার গুরুত্বপূর্ণ একটি দিক। এবং এটি মুমিন পুরুষ ও নারীদের গুণাবলির অন্যতম একটি গুণ।
তিন. দাওয়াত, শিক্ষা, সৎকাজের আদেশ ও অন্যায় থেকে নিষেধ করার দায়িত্ব শুধু পুরুষের একার নয়। নারীদেরও এ দায়িত্ব পালন করতে হবে।
﴿وَٱلۡمُؤۡمِنُونَ وَٱلۡمُؤۡمِنَٰتُ بَعۡضُهُمۡ أَوۡلِيَآءُ بَعۡضٖۚ يَأۡمُرُونَ بِٱلۡمَعۡرُوفِ وَيَنۡهَوۡنَ عَنِ ٱلۡمُنكَرِ ٧١﴾ [ التوبة : ٧١ ]
“আর মুমিন পুরুষ ও মুমিন নারীরা একে অপরের বন্ধু। তারা ভালো কাজের আদেশ দেয় আর মন্দ কাজ থেকে নিষেধ করে”। [সূরা আত-তাওবাহ, আয়াত: ৭১]
আয়াতের শিক্ষা ও মাসায়েল:
এক. ঈমানদার নারী ও পুরুষেরা একে অপরের বন্ধু ও কল্যাণকামী।
দুই. সৎ কাজের আদেশ করা ও মন্দ কাজ থেকে নিষেধ করা, কল্যাণ কামনার গুরুত্বপূর্ণ একটি দিক। এবং এটি মুমিন পুরুষ ও নারীদের গুণাবলির অন্যতম একটি গুণ।
তিন. দাওয়াত, শিক্ষা, সৎকাজের আদেশ ও অন্যায় থেকে নিষেধ করার দায়িত্ব শুধু পুরুষের একার নয়। নারীদেরও এ দায়িত্ব পালন করতে হবে।
৭
বনী ইসরাইলের মধ্যে যারা কুফুরী করেছে তাদেরকে দাউদ ও মারইয়ামপুত্র ঈসার মুখে (ভাষায়) অভিশাপ দেওয়া হয়েছে। কারণ, তারা অবাধ্য হয়েছে এবং সীমালঙ্ঘন করত। তারা পরস্পরকে মন্দ থেকে নিষেধ করত না, যা তারা করত তা থেকে। তারা যা করত তা কতই না মন্দ!আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
﴿لُعِنَ ٱلَّذِينَ كَفَرُواْ مِنۢ بَنِيٓ إِسۡرَٰٓءِيلَ عَلَىٰ لِسَانِ دَاوُۥدَ وَعِيسَى ٱبۡنِ مَرۡيَمَۚ ذَٰلِكَ بِمَا عَصَواْ وَّكَانُواْ يَعۡتَدُونَ ٧٨ كَانُواْ لَا يَتَنَاهَوۡنَ عَن مُّنكَرٖ فَعَلُوهُۚ لَبِئۡسَ مَا كَانُواْ يَفۡعَلُونَ ٧٩﴾ [ المائدة : ٧٨، ٧٩ ]
“বনী ইসরাইলের মধ্যে যারা কুফুরী করেছে তাদেরকে দাউদ ও মারইয়ামপুত্র ঈসার মুখে (ভাষায়) অভিশাপ দেওয়া হয়েছে। কারণ, তারা অবাধ্য হয়েছে এবং সীমালঙ্ঘন করত। তারা পরস্পরকে মন্দ থেকে নিষেধ করত না, যা তারা করত তা থেকে। তারা যা করত তা কতই না মন্দ!” [সূরা আল-মায়েদা, আয়াত: ৭৮-৭৯]
আয়াত থেকে শিক্ষা ও মাসায়েল:
এক. নবীর মুখ দিয়ে বনী ইসরাইলের ঐ সকল লোকদের অভিশাপ দেওয়া হয়েছে যারা সীমালঙ্ঘন করেছে, অবাধ্য হয়েছে। তারা সমাজে প্রচলিত খারাপ ও মন্দ কাজ থেকে নিষেধ করত না।
দুই. সমাজে প্রচলিত মন্দ, অন্যায় কাজ থেকে নিষেধ না করা ইহুদীদের স্বভাব।
﴿لُعِنَ ٱلَّذِينَ كَفَرُواْ مِنۢ بَنِيٓ إِسۡرَٰٓءِيلَ عَلَىٰ لِسَانِ دَاوُۥدَ وَعِيسَى ٱبۡنِ مَرۡيَمَۚ ذَٰلِكَ بِمَا عَصَواْ وَّكَانُواْ يَعۡتَدُونَ ٧٨ كَانُواْ لَا يَتَنَاهَوۡنَ عَن مُّنكَرٖ فَعَلُوهُۚ لَبِئۡسَ مَا كَانُواْ يَفۡعَلُونَ ٧٩﴾ [ المائدة : ٧٨، ٧٩ ]
“বনী ইসরাইলের মধ্যে যারা কুফুরী করেছে তাদেরকে দাউদ ও মারইয়ামপুত্র ঈসার মুখে (ভাষায়) অভিশাপ দেওয়া হয়েছে। কারণ, তারা অবাধ্য হয়েছে এবং সীমালঙ্ঘন করত। তারা পরস্পরকে মন্দ থেকে নিষেধ করত না, যা তারা করত তা থেকে। তারা যা করত তা কতই না মন্দ!” [সূরা আল-মায়েদা, আয়াত: ৭৮-৭৯]
আয়াত থেকে শিক্ষা ও মাসায়েল:
এক. নবীর মুখ দিয়ে বনী ইসরাইলের ঐ সকল লোকদের অভিশাপ দেওয়া হয়েছে যারা সীমালঙ্ঘন করেছে, অবাধ্য হয়েছে। তারা সমাজে প্রচলিত খারাপ ও মন্দ কাজ থেকে নিষেধ করত না।
দুই. সমাজে প্রচলিত মন্দ, অন্যায় কাজ থেকে নিষেধ না করা ইহুদীদের স্বভাব।
আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
﴿وَقُلِ ٱلۡحَقُّ مِن رَّبِّكُمۡۖ فَمَن شَآءَ فَلۡيُؤۡمِن وَمَن شَآءَ فَلۡيَكۡفُرۡۚ ٢٩﴾ [ الكهف : ٢٩ ]
“বল, সত্য তোমার রবের পক্ষ থেকে। সুতরাং যার ইচ্ছা সে যেন ঈমান আনে আর যার মনে চায় সে যেন কুফুরী করে”। [সূরা আল-কাহফ, আয়াত: ২৯]
আয়াত থেকে শিক্ষা ও মাসায়েল:
এক. সত্য ও ন্যায় আল্লাহর পক্ষ থেকে স্পষ্ট করে বলে দেওয়া হয়েছে।
দুই. সত্য প্রকাশিত হওয়ার পর যে তার অনুসরণ করবে তার পুরস্কার সে-ই লাভ করবে আর যে অমান্য করবে তার শাস্তি সে-ই ভোগ করবে। দু’টো পথে চলার স্বাধীনতা আল্লাহ তা‘আলা সবাইকে দিয়েছেন।
যখন দুটো পথ মানুষের সামনে উম্মুক্ত তখন অবশ্যই ভালো পথের দিকে মানুষকে আহবান করতে হবে।
﴿وَقُلِ ٱلۡحَقُّ مِن رَّبِّكُمۡۖ فَمَن شَآءَ فَلۡيُؤۡمِن وَمَن شَآءَ فَلۡيَكۡفُرۡۚ ٢٩﴾ [ الكهف : ٢٩ ]
“বল, সত্য তোমার রবের পক্ষ থেকে। সুতরাং যার ইচ্ছা সে যেন ঈমান আনে আর যার মনে চায় সে যেন কুফুরী করে”। [সূরা আল-কাহফ, আয়াত: ২৯]
আয়াত থেকে শিক্ষা ও মাসায়েল:
এক. সত্য ও ন্যায় আল্লাহর পক্ষ থেকে স্পষ্ট করে বলে দেওয়া হয়েছে।
দুই. সত্য প্রকাশিত হওয়ার পর যে তার অনুসরণ করবে তার পুরস্কার সে-ই লাভ করবে আর যে অমান্য করবে তার শাস্তি সে-ই ভোগ করবে। দু’টো পথে চলার স্বাধীনতা আল্লাহ তা‘আলা সবাইকে দিয়েছেন।
যখন দুটো পথ মানুষের সামনে উম্মুক্ত তখন অবশ্যই ভালো পথের দিকে মানুষকে আহবান করতে হবে।
আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
﴿فَٱصۡدَعۡ بِمَا تُؤۡمَرُ ٩٤﴾ [ الحجر : ٩٤ ]
“সুতরাং তোমাকে যে আদেশ দেওয়া হয়েছে তা ব্যাপকভাবে প্রচার কর”। [সূরা আল-হিজর, আয়াত: ৯৪]
আয়াত থেকে শিক্ষা ও মাসায়েল:
এক. যা কিছু আল্লাহর পক্ষ থেকে এসেছে সেটাই প্রচার করতে হবে।
দুই. ব্যাপকভাবে এটা প্রচার করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
﴿فَٱصۡدَعۡ بِمَا تُؤۡمَرُ ٩٤﴾ [ الحجر : ٩٤ ]
“সুতরাং তোমাকে যে আদেশ দেওয়া হয়েছে তা ব্যাপকভাবে প্রচার কর”। [সূরা আল-হিজর, আয়াত: ৯৪]
আয়াত থেকে শিক্ষা ও মাসায়েল:
এক. যা কিছু আল্লাহর পক্ষ থেকে এসেছে সেটাই প্রচার করতে হবে।
দুই. ব্যাপকভাবে এটা প্রচার করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
১০
তখন আমরা মুক্তি দিলাম তাদেরকে যারা মন্দ হতে নিষেধ করে। আর যারা যুলুম করেছে তাদেরকে কঠিন আযাব দ্বারা পাকড়াও করলাম। কারণ, তারা পাপাচারে লিপ্ত হতআল্লাহ তা‘আলা বলেন,
﴿أَنجَيۡنَا ٱلَّذِينَ يَنۡهَوۡنَ عَنِ ٱلسُّوٓءِ وَأَخَذۡنَا ٱلَّذِينَ ظَلَمُواْ بِعَذَابِۢ بَِٔيسِۢ بِمَا كَانُواْ يَفۡسُقُونَ ١٦٥﴾ [ الاعراف : ١٦٤ ]
“তখন আমরা মুক্তি দিলাম তাদেরকে যারা মন্দ হতে নিষেধ করে। আর যারা যুলুম করেছে তাদেরকে কঠিন আযাব দ্বারা পাকড়াও করলাম। কারণ, তারা পাপাচারে লিপ্ত হত”। [সূরা আল-আ‘রাফ, আয়াত: ১৬৫]
আয়াত থেকে শিক্ষা ও মাসায়েল:
এক. যারা মন্দ থেকে নিষেধ করবে তারা আযাব ও আল্লাহর শাস্তি থেকে মুক্ত থাকবে।
দুই. খারাপ ও মন্দ কাজ থেকে বিরত থাকা, অন্যকে নিষেধ করা আল্লাহর শাস্তি থেকে বাঁচার একটি পথ। আর এতে লিপ্ত হওয়া, অন্যকে লিপ্ত হতে নিষেধ না করা আল্লাহর আযাব নাযিলের একটি কারণ।
তিন. পাপাচারের কারণে সমাজ ও দেশে আল্লাহ তা‘আলার পক্ষ থেকে বিভিন্ন রকম শাস্তি অবতীর্ণ হয়।
﴿أَنجَيۡنَا ٱلَّذِينَ يَنۡهَوۡنَ عَنِ ٱلسُّوٓءِ وَأَخَذۡنَا ٱلَّذِينَ ظَلَمُواْ بِعَذَابِۢ بَِٔيسِۢ بِمَا كَانُواْ يَفۡسُقُونَ ١٦٥﴾ [ الاعراف : ١٦٤ ]
“তখন আমরা মুক্তি দিলাম তাদেরকে যারা মন্দ হতে নিষেধ করে। আর যারা যুলুম করেছে তাদেরকে কঠিন আযাব দ্বারা পাকড়াও করলাম। কারণ, তারা পাপাচারে লিপ্ত হত”। [সূরা আল-আ‘রাফ, আয়াত: ১৬৫]
আয়াত থেকে শিক্ষা ও মাসায়েল:
এক. যারা মন্দ থেকে নিষেধ করবে তারা আযাব ও আল্লাহর শাস্তি থেকে মুক্ত থাকবে।
দুই. খারাপ ও মন্দ কাজ থেকে বিরত থাকা, অন্যকে নিষেধ করা আল্লাহর শাস্তি থেকে বাঁচার একটি পথ। আর এতে লিপ্ত হওয়া, অন্যকে লিপ্ত হতে নিষেধ না করা আল্লাহর আযাব নাযিলের একটি কারণ।
তিন. পাপাচারের কারণে সমাজ ও দেশে আল্লাহ তা‘আলার পক্ষ থেকে বিভিন্ন রকম শাস্তি অবতীর্ণ হয়।
১১
হাদীস: ১. তোমাদের কেউ যখন কোনো খারাপ কাজ হতে দেখবে তখন সে যেন তা হাত দ্বারা পরিবর্তন করে দেয় (অর্থাৎ নিষেধ করবে) যদি সে এ সামর্থ না রাখে তাহলে তার মুখ দিয়ে। যদি এ সামর্থও না থাকে তাহলে অন্তর দিয়ে। আর এটা হচ্ছে ঈমানের দুর্বলতর স্তরআবু সাঈদ খুদরী রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি:
1 - «مَنْ رَأَى مِنْكُمْ مُنْكَرًا فَلْيُغَيِّرْهُ بِيَدِهِ، فَإِنْ لَمْ يَسْتَطِعْ فَبِلِسَانِهِ، فَإِنْ لَمْ يَسْتَطِعْ فَبِقَلْبِهِ، وَذَلِكَ أَضْعَفُ الْإِيمَانِ» .
“তোমাদের কেউ যখন কোনো খারাপ কাজ হতে দেখবে তখন সে যেন তা হাত দ্বারা পরিবর্তন করে দেয় (অর্থাৎ নিষেধ করবে) যদি সে এ সামর্থ না রাখে তাহলে তার মুখ দিয়ে। যদি এ সামর্থও না থাকে তাহলে অন্তর দিয়ে। আর এটা হচ্ছে ঈমানের দুর্বলতর স্তর”। [সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ৪৯।]
হাদীস থেকে শিক্ষা ও মাসায়েল:
এক. অন্যায় ও খারাপ কাজ দেখলে তা প্রতিরোধ-প্রতিহত করা ঈমানের দাবী।
দুই. সামর্থ অনুযায়ী প্রত্যেকে অন্যায় ও পাপ কাজ থেকে নিষেধ করবে। সামর্থের বাইরে কোনো কিছু করে নিজের ওপর বিপদ ডেকে আনা ঠিক নয়।
তিন. যদি অন্যায় অনাচার দেখে কারো হৃদয়ে কোনো প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি না হয়, বুঝতে হবে তার ঈমানের পূর্ণতায় ঘাটতি রয়েছে।
চার. এ হাদীসে পরিবর্তন করা বা বদলে দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। বদলে দেওয়ার তিনটি ধাপ রয়েছে। প্রথম পর্যায় হলো: দাওয়াত। দ্বিতীয় পর্যায় হলো: সৎ কাজের আদেশ ও অসৎ কাজ থেকে নিষেধ। তৃতীয় পর্যায় হলো, শক্তি প্রয়োগ করে অন্যায় ও অসৎ কাজ পরিবর্তন করে দেওয়া।
1 - «مَنْ رَأَى مِنْكُمْ مُنْكَرًا فَلْيُغَيِّرْهُ بِيَدِهِ، فَإِنْ لَمْ يَسْتَطِعْ فَبِلِسَانِهِ، فَإِنْ لَمْ يَسْتَطِعْ فَبِقَلْبِهِ، وَذَلِكَ أَضْعَفُ الْإِيمَانِ» .
“তোমাদের কেউ যখন কোনো খারাপ কাজ হতে দেখবে তখন সে যেন তা হাত দ্বারা পরিবর্তন করে দেয় (অর্থাৎ নিষেধ করবে) যদি সে এ সামর্থ না রাখে তাহলে তার মুখ দিয়ে। যদি এ সামর্থও না থাকে তাহলে অন্তর দিয়ে। আর এটা হচ্ছে ঈমানের দুর্বলতর স্তর”। [সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ৪৯।]
হাদীস থেকে শিক্ষা ও মাসায়েল:
এক. অন্যায় ও খারাপ কাজ দেখলে তা প্রতিরোধ-প্রতিহত করা ঈমানের দাবী।
দুই. সামর্থ অনুযায়ী প্রত্যেকে অন্যায় ও পাপ কাজ থেকে নিষেধ করবে। সামর্থের বাইরে কোনো কিছু করে নিজের ওপর বিপদ ডেকে আনা ঠিক নয়।
তিন. যদি অন্যায় অনাচার দেখে কারো হৃদয়ে কোনো প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি না হয়, বুঝতে হবে তার ঈমানের পূর্ণতায় ঘাটতি রয়েছে।
চার. এ হাদীসে পরিবর্তন করা বা বদলে দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। বদলে দেওয়ার তিনটি ধাপ রয়েছে। প্রথম পর্যায় হলো: দাওয়াত। দ্বিতীয় পর্যায় হলো: সৎ কাজের আদেশ ও অসৎ কাজ থেকে নিষেধ। তৃতীয় পর্যায় হলো, শক্তি প্রয়োগ করে অন্যায় ও অসৎ কাজ পরিবর্তন করে দেওয়া।
১২
হাদীস: ২. আমার পূর্বে আল্লাহ তা‘আলা কোনো জাতির কাছে যে নবীই পাঠিয়েছেন, তাঁর সহযোগিতার জন্য তাদের মধ্য হতে কিছু সাথী থাকত। তারা তাঁর সুন্নতকে আঁকড়ে ধরত এবং তাঁর নির্দেশের অনুসরণ করত। কিন্তু এদের পর এমন কিছু লোকের অভ্যূদয় ঘটল, তারা যা বলত নিজেরা তা করত না। আর এমন সব কাজ করত যার নির্দেশ তাদের দেওয়া হয়নি। অতএব, তাদের বিপক্ষে যে ব্যক্তি হাত দিয়ে জিহাদ করবে, সে ঈমানদার। যে তাদের সাথে অন্তর দিয়ে জিহাদ করবে সে ঈমানদার। আর যে তাদের সাথে মুখ দিয়ে জিহাদ করবে সে ঈমানদার। এ তিন অবস্থা ব্যতীত সরিষার দানা পরিমাণ ঈমানও নেইইবন মাসউদ রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,
2 - «مَا مِنْ نَبِيٍّ بَعَثَهُ اللهُ فِي أُمَّةٍ قَبْلِي إِلَّا كَانَ لَهُ مِنْ أُمَّتِهِ حَوَارِيُّونَ، وَأَصْحَابٌ يَأْخُذُونَ بِسُنَّتِهِ وَيَقْتَدُونَ بِأَمْرِهِ، ثُمَّ إِنَّهَا تَخْلُفُ مِنْ بَعْدِهِمْ خُلُوفٌ يَقُولُونَ مَا لَا يَفْعَلُونَ، وَيَفْعَلُونَ مَا لَا يُؤْمَرُونَ، فَمَنْ جَاهَدَهُمْ بِيَدِهِ فَهُوَ مُؤْمِنٌ، وَمَنْ جَاهَدَهُمْ بِلِسَانِهِ فَهُوَ مُؤْمِنٌ، وَمَنْ جَاهَدَهُمْ بِقَلْبِهِ فَهُوَ مُؤْمِنٌ، وَلَيْسَ وَرَاءَ ذَلِكَ مِنَ الْإِيمَانِ حَبَّةُ خَرْدَلٍ»
“আমার পূর্বে আল্লাহ তা‘আলা কোনো জাতির কাছে যে নবীই পাঠিয়েছেন, তাঁর সহযোগিতার জন্য তাদের মধ্য হতে কিছু সাথী থাকত। তারা তাঁর সুন্নতকে আঁকড়ে ধরত এবং তাঁর নির্দেশের অনুসরণ করত। কিন্তু এদের পর এমন কিছু লোকের অভ্যূদয় ঘটল, তারা যা বলত নিজেরা তা করত না। আর এমন সব কাজ করত যার নির্দেশ তাদের দেওয়া হয়নি। অতএব, তাদের বিপক্ষে যে ব্যক্তি হাত দিয়ে জিহাদ করবে, সে ঈমানদার। যে তাদের সাথে অন্তর দিয়ে জিহাদ করবে সে ঈমানদার। আর যে তাদের সাথে মুখ দিয়ে জিহাদ করবে সে ঈমানদার। এ তিন অবস্থা ব্যতীত সরিষার দানা পরিমাণ ঈমানও নেই”। [সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ৫০।]
হাদীস থেকে শিক্ষা ও মাসায়েল:
এক. নবী ও রাসূলদের যারা সঙ্গী-সহচর হবেন, তাদের প্রধান কর্তব্য হলো, নবী ও রাসূলদের আদর্শ অনুসরণ ও বাস্তবায়ন করা।
দুই. এক দল মানুষ নিজেদেরকে নবী ও রাসূলদের অনুসারী বলে দাবী করে। তাদের ভালোবাসে বলে প্রচার করে কিন্তু তাদের আদর্শ অনুসরণ করে না। তারা যা বলে তা করে না। আবার তাদের যা করতে বলা হয় নি তা করে থাকে। ধর্মের নামে বিদ‘আতে লিপ্ত হয়। এরা যেমন অন্যান্য নবীদের অনুসারীদের মধ্যে ছিল, তেমনি উম্মতে মুহাম্মাদীর মধ্যেও আছে।
তিন. যারা এ রকম কাজে লিপ্ত হয় তারা বিদ‘আতী। তারা জেনে হোক বা না জেনে হোক আল্লাহ তা‘আলার ধর্মকে বিকৃত করার কাজে লিপ্ত। তাই তাদের বিরুদ্ধে সম্ভাব্য সকল উপায়ে জিহাদ করতে হবে।
চার. এদের বিরুদ্ধে যারা কোনো ধরনের জিহাদ করবে না তারা ঈমানদার হতে পারবে না।
পাঁচ. বিদ‘আত ও বিদ‘আতপন্থীদের বিরুদ্ধে সামর্থ অনুযায়ী জিহাদ করা, তাদের কাজ-কর্মের প্রতিবাদ করা ঈমানের দাবী।
2 - «مَا مِنْ نَبِيٍّ بَعَثَهُ اللهُ فِي أُمَّةٍ قَبْلِي إِلَّا كَانَ لَهُ مِنْ أُمَّتِهِ حَوَارِيُّونَ، وَأَصْحَابٌ يَأْخُذُونَ بِسُنَّتِهِ وَيَقْتَدُونَ بِأَمْرِهِ، ثُمَّ إِنَّهَا تَخْلُفُ مِنْ بَعْدِهِمْ خُلُوفٌ يَقُولُونَ مَا لَا يَفْعَلُونَ، وَيَفْعَلُونَ مَا لَا يُؤْمَرُونَ، فَمَنْ جَاهَدَهُمْ بِيَدِهِ فَهُوَ مُؤْمِنٌ، وَمَنْ جَاهَدَهُمْ بِلِسَانِهِ فَهُوَ مُؤْمِنٌ، وَمَنْ جَاهَدَهُمْ بِقَلْبِهِ فَهُوَ مُؤْمِنٌ، وَلَيْسَ وَرَاءَ ذَلِكَ مِنَ الْإِيمَانِ حَبَّةُ خَرْدَلٍ»
“আমার পূর্বে আল্লাহ তা‘আলা কোনো জাতির কাছে যে নবীই পাঠিয়েছেন, তাঁর সহযোগিতার জন্য তাদের মধ্য হতে কিছু সাথী থাকত। তারা তাঁর সুন্নতকে আঁকড়ে ধরত এবং তাঁর নির্দেশের অনুসরণ করত। কিন্তু এদের পর এমন কিছু লোকের অভ্যূদয় ঘটল, তারা যা বলত নিজেরা তা করত না। আর এমন সব কাজ করত যার নির্দেশ তাদের দেওয়া হয়নি। অতএব, তাদের বিপক্ষে যে ব্যক্তি হাত দিয়ে জিহাদ করবে, সে ঈমানদার। যে তাদের সাথে অন্তর দিয়ে জিহাদ করবে সে ঈমানদার। আর যে তাদের সাথে মুখ দিয়ে জিহাদ করবে সে ঈমানদার। এ তিন অবস্থা ব্যতীত সরিষার দানা পরিমাণ ঈমানও নেই”। [সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ৫০।]
হাদীস থেকে শিক্ষা ও মাসায়েল:
এক. নবী ও রাসূলদের যারা সঙ্গী-সহচর হবেন, তাদের প্রধান কর্তব্য হলো, নবী ও রাসূলদের আদর্শ অনুসরণ ও বাস্তবায়ন করা।
দুই. এক দল মানুষ নিজেদেরকে নবী ও রাসূলদের অনুসারী বলে দাবী করে। তাদের ভালোবাসে বলে প্রচার করে কিন্তু তাদের আদর্শ অনুসরণ করে না। তারা যা বলে তা করে না। আবার তাদের যা করতে বলা হয় নি তা করে থাকে। ধর্মের নামে বিদ‘আতে লিপ্ত হয়। এরা যেমন অন্যান্য নবীদের অনুসারীদের মধ্যে ছিল, তেমনি উম্মতে মুহাম্মাদীর মধ্যেও আছে।
তিন. যারা এ রকম কাজে লিপ্ত হয় তারা বিদ‘আতী। তারা জেনে হোক বা না জেনে হোক আল্লাহ তা‘আলার ধর্মকে বিকৃত করার কাজে লিপ্ত। তাই তাদের বিরুদ্ধে সম্ভাব্য সকল উপায়ে জিহাদ করতে হবে।
চার. এদের বিরুদ্ধে যারা কোনো ধরনের জিহাদ করবে না তারা ঈমানদার হতে পারবে না।
পাঁচ. বিদ‘আত ও বিদ‘আতপন্থীদের বিরুদ্ধে সামর্থ অনুযায়ী জিহাদ করা, তাদের কাজ-কর্মের প্রতিবাদ করা ঈমানের দাবী।
১৩
হাদীস: ৩. আমরা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাছে বাইয়াত (শপথ) নিলাম দুঃখে-সুখে, শান্তিতে-বিপদে সর্বাবস্থায় নেতার কথা শোনা ও তার আনুগত্য করার, আমাদের ওপর তাদের প্রাধান্য দেওয়ার। আরো শপথ নিলাম, নেতাদের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা আমরা করব না, যতক্ষণ না তোমরা তাদের থেকে স্পষ্ট কুফুরী দেখতে পাবে যার সম্পর্কে আল্লাহর পক্ষ থেকে তোমাদের কাছে প্রমাণ আছে। আমরা আরো শপথ নিলাম, আমরা যেখানেই থাকি না কেন সর্বাবস্থায় সত্য ও ন্যায়ের কথা বলব। আমরা আল্লাহর ব্যাপারে কোনো নিন্দুকের নিন্দার ভয় করব নাআবুল ওয়ালিদ উবাদা ইবন সামেত রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত,
3 - «بَايَعْنَا رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَى السَّمْعِ وَالطَّاعَةِ فِي الْعُسْرِ وَالْيُسْرِ، وَالْمَنْشَطِ وَالْمَكْرَهِ، وَعَلَى أَثَرَةٍ عَلَيْنَا، وَعَلَى أَنْ لَا نُنَازِعَ الْأَمْرَ أَهْلَهُ، وَعَلَى أَنْ نَقُولَ بِالْحَقِّ أَيْنَمَا كُنَّا، لَا نَخَافُ فِي اللهِ لَوْمَةَ لَائِمٍ»
“আমরা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাছে বাইয়াত (শপথ) নিলাম দুঃখে-সুখে, শান্তিতে-বিপদে সর্বাবস্থায় নেতার কথা শোনা ও তার আনুগত্য করার, আমাদের ওপর তাদের প্রাধান্য দেওয়ার। আরো শপথ নিলাম, নেতাদের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা আমরা করব না, যতক্ষণ না তোমরা তাদের থেকে স্পষ্ট কুফুরী দেখতে পাবে যার সম্পর্কে আল্লাহর পক্ষ থেকে তোমাদের কাছে প্রমাণ আছে। আমরা আরো শপথ নিলাম, আমরা যেখানেই থাকি না কেন সর্বাবস্থায় সত্য ও ন্যায়ের কথা বলব। আমরা আল্লাহর ব্যাপারে কোনো নিন্দুকের নিন্দার ভয় করব না। [সহীহ বুখারী, হাদীস নং ৭১৯৯; সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ১৭০৯।]
হাদীস থেকে শিক্ষা ও মাসায়েল:
এক. বিশেষ কোনো কাজ করা বা ত্যাগ করার ক্ষেত্রে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের হাতে বাইয়াত বা শপথ করার প্রচলন ছিল। এ বাইয়াত অনুযায়ী চলা অপরিহার্য কর্তব্য।
দুই. রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের অবর্তমানে নেতাদের হাতে বাইয়াত গ্রহণ বৈধ ও তা মান্য করে চলা ওয়াজিব।
তিন. সর্বাবস্থায় মুসলিম শাসক ও নেতাদের আনুগত্য করা ওয়াজিব। তবে তারা যদি শরী‘আত বিরোধী কোন কাজের নির্দেশ দেয়, তা পালন করা যাবে না। কারণ, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,
«لَا طَاعَةَ لِمَخْلُوقٍ فِي مَعْصِيَةِ اللهِ عَزَّ وَجَلَّ»
“স্রষ্টার অবাধ্যতায় কোনো সৃষ্টির আনুগত্য নেই”। [মুসনাদে আহমদ, হাদীস নং ১০৯৪, শুয়াইব আরনাউত বলেছেন, হাদীসটি শাইখাইনের শর্তে সহীহ।]
চার. কোনো নেতাকে কাফির বলা বা তার কাজকে কুফুরী বলতে হলে শক্তিশালী দলীল প্রয়োজন।
পাঁচ. সর্বাবস্থায় ও সর্বত্র সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে কথা বলা ঈমানদারদের কর্তব্য।
ছয়. শরী‘আতের কোনো বিধান পালনের ক্ষেত্রে কোনো নিন্দুকের নিন্দার ভয় করা উচিত নয়। এমনিভাবে সত্য প্রতিষ্ঠা ও প্রচারে কোনো তিরস্কারকারীর তিরস্কার বা নিন্দুকের নিন্দা ঈমানদাররা পরোয়া করে না।
সাত. কোনো শাসকের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ বা অস্ত্র ধারণ করা যাবে না। তবে তার মধ্যে যদি চারটি শর্ত উপস্থিত থাকে তাহলে ভিন্ন কথা। শর্ত চারটি হলো:
(১) কুফুরী দেখতে পাওয়া। মানে সন্দেহ বা গুজবে কান দিয়ে বিদ্রোহ করা যাবে না। তার অন্যায়টা দেখতে পেতে হবে। ভালোমত জানতে হবে।
(২) কৃত অন্যায়টা কুফুরী হতে হবে। ফাসেকী বা শুধু বড় পাপ হলেই হবে না।
(৩) কুফুরীটা স্পষ্ট হতে হবে। অস্পষ্ট কুফুরী হলে হবে না। যেমন সে বলল: মদ খাওয়া হালাল, তোমরা মদ পান করো। যিনা-ব্যভিচার অন্যায় নয়, তোমরা তা করতে পারো, সমকামিতা অবৈধ নয়, সালাত পড়ার দরকার নেই ইত্যাদি। এগুলো স্পষ্ট কুফুরী।
(৪) তার থেকে প্রকাশ হওয়া স্পষ্ট কুফুরীগুলো যে সত্যিকর অর্থেই কুফুরী সে ক্ষেত্রে আল্লাহ তা‘আলার কালামের স্পষ্ট প্রমাণ থাকতে হবে।
এ চারটি শর্ত যদি কোনো শাসকের মধ্যে পাওয়া যায় তাহলে তার বিরুদ্ধে অস্ত্র ধারণ জায়েয। তবে তার জন্য আরেকটি শর্ত আছে। তাহল, মুকাবিলা করার শক্তি ও সামর্থ থাকতে হবে। কুফুরী দেখে সহ্য করতে না পেরে যদি মিসাইল, যুদ্ধ বিমান, ট্যাংকের বিরুদ্ধে রান্না ঘরের চাকু নিয়ে লড়াই করতে নেমে যাওয়া হয়, তাহলে তা ইসলামে অনুমোদিত হবে না। এটা করার মানে নিজেকে জেনে শুনে ধ্বংসের দিকে নিক্ষেপ করা।
3 - «بَايَعْنَا رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَى السَّمْعِ وَالطَّاعَةِ فِي الْعُسْرِ وَالْيُسْرِ، وَالْمَنْشَطِ وَالْمَكْرَهِ، وَعَلَى أَثَرَةٍ عَلَيْنَا، وَعَلَى أَنْ لَا نُنَازِعَ الْأَمْرَ أَهْلَهُ، وَعَلَى أَنْ نَقُولَ بِالْحَقِّ أَيْنَمَا كُنَّا، لَا نَخَافُ فِي اللهِ لَوْمَةَ لَائِمٍ»
“আমরা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাছে বাইয়াত (শপথ) নিলাম দুঃখে-সুখে, শান্তিতে-বিপদে সর্বাবস্থায় নেতার কথা শোনা ও তার আনুগত্য করার, আমাদের ওপর তাদের প্রাধান্য দেওয়ার। আরো শপথ নিলাম, নেতাদের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা আমরা করব না, যতক্ষণ না তোমরা তাদের থেকে স্পষ্ট কুফুরী দেখতে পাবে যার সম্পর্কে আল্লাহর পক্ষ থেকে তোমাদের কাছে প্রমাণ আছে। আমরা আরো শপথ নিলাম, আমরা যেখানেই থাকি না কেন সর্বাবস্থায় সত্য ও ন্যায়ের কথা বলব। আমরা আল্লাহর ব্যাপারে কোনো নিন্দুকের নিন্দার ভয় করব না। [সহীহ বুখারী, হাদীস নং ৭১৯৯; সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ১৭০৯।]
হাদীস থেকে শিক্ষা ও মাসায়েল:
এক. বিশেষ কোনো কাজ করা বা ত্যাগ করার ক্ষেত্রে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের হাতে বাইয়াত বা শপথ করার প্রচলন ছিল। এ বাইয়াত অনুযায়ী চলা অপরিহার্য কর্তব্য।
দুই. রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের অবর্তমানে নেতাদের হাতে বাইয়াত গ্রহণ বৈধ ও তা মান্য করে চলা ওয়াজিব।
তিন. সর্বাবস্থায় মুসলিম শাসক ও নেতাদের আনুগত্য করা ওয়াজিব। তবে তারা যদি শরী‘আত বিরোধী কোন কাজের নির্দেশ দেয়, তা পালন করা যাবে না। কারণ, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,
«لَا طَاعَةَ لِمَخْلُوقٍ فِي مَعْصِيَةِ اللهِ عَزَّ وَجَلَّ»
“স্রষ্টার অবাধ্যতায় কোনো সৃষ্টির আনুগত্য নেই”। [মুসনাদে আহমদ, হাদীস নং ১০৯৪, শুয়াইব আরনাউত বলেছেন, হাদীসটি শাইখাইনের শর্তে সহীহ।]
চার. কোনো নেতাকে কাফির বলা বা তার কাজকে কুফুরী বলতে হলে শক্তিশালী দলীল প্রয়োজন।
পাঁচ. সর্বাবস্থায় ও সর্বত্র সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে কথা বলা ঈমানদারদের কর্তব্য।
ছয়. শরী‘আতের কোনো বিধান পালনের ক্ষেত্রে কোনো নিন্দুকের নিন্দার ভয় করা উচিত নয়। এমনিভাবে সত্য প্রতিষ্ঠা ও প্রচারে কোনো তিরস্কারকারীর তিরস্কার বা নিন্দুকের নিন্দা ঈমানদাররা পরোয়া করে না।
সাত. কোনো শাসকের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ বা অস্ত্র ধারণ করা যাবে না। তবে তার মধ্যে যদি চারটি শর্ত উপস্থিত থাকে তাহলে ভিন্ন কথা। শর্ত চারটি হলো:
(১) কুফুরী দেখতে পাওয়া। মানে সন্দেহ বা গুজবে কান দিয়ে বিদ্রোহ করা যাবে না। তার অন্যায়টা দেখতে পেতে হবে। ভালোমত জানতে হবে।
(২) কৃত অন্যায়টা কুফুরী হতে হবে। ফাসেকী বা শুধু বড় পাপ হলেই হবে না।
(৩) কুফুরীটা স্পষ্ট হতে হবে। অস্পষ্ট কুফুরী হলে হবে না। যেমন সে বলল: মদ খাওয়া হালাল, তোমরা মদ পান করো। যিনা-ব্যভিচার অন্যায় নয়, তোমরা তা করতে পারো, সমকামিতা অবৈধ নয়, সালাত পড়ার দরকার নেই ইত্যাদি। এগুলো স্পষ্ট কুফুরী।
(৪) তার থেকে প্রকাশ হওয়া স্পষ্ট কুফুরীগুলো যে সত্যিকর অর্থেই কুফুরী সে ক্ষেত্রে আল্লাহ তা‘আলার কালামের স্পষ্ট প্রমাণ থাকতে হবে।
এ চারটি শর্ত যদি কোনো শাসকের মধ্যে পাওয়া যায় তাহলে তার বিরুদ্ধে অস্ত্র ধারণ জায়েয। তবে তার জন্য আরেকটি শর্ত আছে। তাহল, মুকাবিলা করার শক্তি ও সামর্থ থাকতে হবে। কুফুরী দেখে সহ্য করতে না পেরে যদি মিসাইল, যুদ্ধ বিমান, ট্যাংকের বিরুদ্ধে রান্না ঘরের চাকু নিয়ে লড়াই করতে নেমে যাওয়া হয়, তাহলে তা ইসলামে অনুমোদিত হবে না। এটা করার মানে নিজেকে জেনে শুনে ধ্বংসের দিকে নিক্ষেপ করা।
১৪
হাদীস: ৪. আল্লাহ তা‘আলার সীমার মধ্যে অবস্থানকারী ও সীমা লঙ্ঘনকারীর দৃষ্টান্ত হলো, একদল লোক জাহাজে আরোহণ করল, লটারীর মাধ্যমে কেউ উপর তলায় আবার কেউ নিচ তলায় স্থান পেল। নিচের তলার লোকদের পানির প্রয়োজন হলে উপরের তলা দিয়ে পানি আনতে যায়। ফলে নিচ তলার লোকেরা বলল, আমরা যদি জাহাজে আমাদের অংশে একটি ছিদ্র করে নেই, তাহলে উপর তলার লোকদের কষ্ট দেওয়া লাগত না। এখন যদি উপর তলার লোকেরা তাদের (জাহাজ ছিদ্র করার) কাজে ছেড়ে দেয় এবং কোনো পদক্ষেপ না নেয় তাহলে সকলেই ধ্বংস হয়ে যাবে। আর যদি তারা তাদের কাজে বাধা দেয় তাহলে তারা নিজেরাও বেঁচে যাবে আর তারাও বাঁচাবেনু‘মান ইবন বাশীর রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন:
4 - «مَثَلُ القَائِمِ عَلَى حُدُودِ اللَّهِ وَالوَاقِعِ فِيهَا، كَمَثَلِ قَوْمٍ اسْتَهَمُوا عَلَى سَفِينَةٍ، فَأَصَابَ بَعْضُهُمْ أَعْلاَهَا وَبَعْضُهُمْ أَسْفَلَهَا، فَكَانَ الَّذِينَ فِي أَسْفَلِهَا إِذَا اسْتَقَوْا مِنَ المَاءِ مَرُّوا عَلَى مَنْ فَوْقَهُمْ، فَقَالُوا : لَوْ أَنَّا خَرَقْنَا فِي نَصِيبِنَا خَرْقًا وَلَمْ نُؤْذِ مَنْ فَوْقَنَا، فَإِنْ يَتْرُكُوهُمْ وَمَا أَرَادُوا هَلَكُوا جَمِيعًا، وَإِنْ أَخَذُوا عَلَى أَيْدِيهِمْ نَجَوْا، وَنَجَوْا جَمِيعًا»
“আল্লাহ তা‘আলার সীমার মধ্যে অবস্থানকারী ও সীমা লঙ্ঘনকারীর দৃষ্টান্ত হলো, একদল লোক জাহাজে আরোহণ করল, লটারীর মাধ্যমে কেউ উপর তলায় আবার কেউ নিচ তলায় স্থান পেল। নিচের তলার লোকদের পানির প্রয়োজন হলে উপরের তলা দিয়ে পানি আনতে যায়। ফলে নিচ তলার লোকেরা বলল, আমরা যদি জাহাজে আমাদের অংশে একটি ছিদ্র করে নেই, তাহলে উপর তলার লোকদের কষ্ট দেওয়া লাগত না। এখন যদি উপর তলার লোকেরা তাদের (জাহাজ ছিদ্র করার) কাজে ছেড়ে দেয় এবং কোনো পদক্ষেপ না নেয় তাহলে সকলেই ধ্বংস হয়ে যাবে। আর যদি তারা তাদের কাজে বাধা দেয় তাহলে তারা নিজেরাও বেঁচে যাবে আর তারাও বাঁচাবে”। [সহীহ বুখারী, হাদীস নং ২৪৯৩।]
হাদীস থেকে শিক্ষা ও মাসায়েল :
এক. যারা অন্যায় কাজে লিপ্ত হয় আর যারা সামর্থ থাকা সত্ত্বেও তাতে বাধা দেয় না, তাদের অবস্থা ও পরিণতি একটি সুন্দর উপমা দিয়ে বুঝানো হয়েছে এ হাদীসে।
দুই. যখন কোন অন্যায় ও পাপের কারণে শাস্তি বা বিপর্যয় নেমে আসে, তখন অপরাধী ও নিরাপরাধ সকলেই এর শিকার হয়। তাই সামর্থানুযায়ী সকল অন্যায় কাজে বাধা প্রদান করা জরুরী। এ অন্যায় কাজ দ্বারা আমি নিজে কতটুকু ক্ষতিগ্রস্ত হব সেটা বিবেচনা করা উচিত নয়। আমি ক্ষতিগ্রস্ত না হলেও অন্য মানুষ বা ভবিষ্যত প্রজন্ম ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
তিন. অন্যায় ও পাপ কাজে বাধা প্রদান করার মধ্যে সকলের কল্যাণ নিহিত আছে।
চার. এ হাদীসের মাধ্যমে প্রমাণিত হলো, ভাগ-বাটোয়ারা, দায়িত্ব বন্টন, কে আগে শুরু করবে ইত্যাদির ব্যাপারে লটারী করা জায়েয। আমরা কুরআন ও হাদীসে এ ধরনের কাজে লটারী করার দৃষ্টান্ত দেখতে পাই।
কিন্তু যেখানে টাকা পয়সা বা সম্পদের লেনদেন বা তারতম্য আছে সেখানে লটারী জায়েয নয়। যেমন আমাদের দেশে প্রচলিত বিভিন্ন লটারী। দশ টাকার টিকেট কিনে লাখ টাকা জেতার সম্ভাবনা ইত্যাদি জুয়ার শামিল।
4 - «مَثَلُ القَائِمِ عَلَى حُدُودِ اللَّهِ وَالوَاقِعِ فِيهَا، كَمَثَلِ قَوْمٍ اسْتَهَمُوا عَلَى سَفِينَةٍ، فَأَصَابَ بَعْضُهُمْ أَعْلاَهَا وَبَعْضُهُمْ أَسْفَلَهَا، فَكَانَ الَّذِينَ فِي أَسْفَلِهَا إِذَا اسْتَقَوْا مِنَ المَاءِ مَرُّوا عَلَى مَنْ فَوْقَهُمْ، فَقَالُوا : لَوْ أَنَّا خَرَقْنَا فِي نَصِيبِنَا خَرْقًا وَلَمْ نُؤْذِ مَنْ فَوْقَنَا، فَإِنْ يَتْرُكُوهُمْ وَمَا أَرَادُوا هَلَكُوا جَمِيعًا، وَإِنْ أَخَذُوا عَلَى أَيْدِيهِمْ نَجَوْا، وَنَجَوْا جَمِيعًا»
“আল্লাহ তা‘আলার সীমার মধ্যে অবস্থানকারী ও সীমা লঙ্ঘনকারীর দৃষ্টান্ত হলো, একদল লোক জাহাজে আরোহণ করল, লটারীর মাধ্যমে কেউ উপর তলায় আবার কেউ নিচ তলায় স্থান পেল। নিচের তলার লোকদের পানির প্রয়োজন হলে উপরের তলা দিয়ে পানি আনতে যায়। ফলে নিচ তলার লোকেরা বলল, আমরা যদি জাহাজে আমাদের অংশে একটি ছিদ্র করে নেই, তাহলে উপর তলার লোকদের কষ্ট দেওয়া লাগত না। এখন যদি উপর তলার লোকেরা তাদের (জাহাজ ছিদ্র করার) কাজে ছেড়ে দেয় এবং কোনো পদক্ষেপ না নেয় তাহলে সকলেই ধ্বংস হয়ে যাবে। আর যদি তারা তাদের কাজে বাধা দেয় তাহলে তারা নিজেরাও বেঁচে যাবে আর তারাও বাঁচাবে”। [সহীহ বুখারী, হাদীস নং ২৪৯৩।]
হাদীস থেকে শিক্ষা ও মাসায়েল :
এক. যারা অন্যায় কাজে লিপ্ত হয় আর যারা সামর্থ থাকা সত্ত্বেও তাতে বাধা দেয় না, তাদের অবস্থা ও পরিণতি একটি সুন্দর উপমা দিয়ে বুঝানো হয়েছে এ হাদীসে।
দুই. যখন কোন অন্যায় ও পাপের কারণে শাস্তি বা বিপর্যয় নেমে আসে, তখন অপরাধী ও নিরাপরাধ সকলেই এর শিকার হয়। তাই সামর্থানুযায়ী সকল অন্যায় কাজে বাধা প্রদান করা জরুরী। এ অন্যায় কাজ দ্বারা আমি নিজে কতটুকু ক্ষতিগ্রস্ত হব সেটা বিবেচনা করা উচিত নয়। আমি ক্ষতিগ্রস্ত না হলেও অন্য মানুষ বা ভবিষ্যত প্রজন্ম ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
তিন. অন্যায় ও পাপ কাজে বাধা প্রদান করার মধ্যে সকলের কল্যাণ নিহিত আছে।
চার. এ হাদীসের মাধ্যমে প্রমাণিত হলো, ভাগ-বাটোয়ারা, দায়িত্ব বন্টন, কে আগে শুরু করবে ইত্যাদির ব্যাপারে লটারী করা জায়েয। আমরা কুরআন ও হাদীসে এ ধরনের কাজে লটারী করার দৃষ্টান্ত দেখতে পাই।
কিন্তু যেখানে টাকা পয়সা বা সম্পদের লেনদেন বা তারতম্য আছে সেখানে লটারী জায়েয নয়। যেমন আমাদের দেশে প্রচলিত বিভিন্ন লটারী। দশ টাকার টিকেট কিনে লাখ টাকা জেতার সম্ভাবনা ইত্যাদি জুয়ার শামিল।
১৫
হাদীস: ৫. তোমাদের ওপর এমন কতিপয় শাসক নিযুক্ত করা হবে তোমরা তাদের কিছু কাজকর্ম পছন্দ করবে আর কিছু অপছন্দ করবে। সুতরাং যে অপছন্দ করবে সে দায়মুক্ত হয়ে যাবে। যে প্রতিবাদ করবে সে নিরাপদ থাকবে। কিন্তু (সে দায়মুক্ত নয়) যে সস্তুষ্টি প্রকাশ করবে ও অনুসরণ করবে। সাহাবীগণ বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমরা কি তাদের সাথে লড়াই করব না? তিনি বললেন: না. যতক্ষণ পর্যন্ত তারা তোমাদের মধ্যে সালাত কায়েম রাখে। (ততক্ষণ পর্যন্ত লড়াই নয়)উম্মুল মুমিনীন উম্মে সালামা রাদিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,
5 - «إِنَّهُ يُسْتَعْمَلُ عَلَيْكُمْ أُمَرَاءُ، فَتَعْرِفُونَ وَتُنْكِرُونَ، فَمَنْ كَرِهَ فَقَدْ بَرِئَ، وَمَنْ أَنْكَرَ فَقَدْ سَلِمَ، وَلَكِنْ مَنْ رَضِيَ وَتَابَعَ»، قَالُوا : يَا رَسُولَ اللهِ، أَلَا نُقَاتِلُهُمْ؟ قَالَ : «لَا، مَا صَلَّوْا»
“তোমাদের ওপর এমন কতিপয় শাসক নিযুক্ত করা হবে তোমরা তাদের কিছু কাজকর্ম পছন্দ করবে আর কিছু অপছন্দ করবে। সুতরাং যে অপছন্দ করবে সে দায়মুক্ত হয়ে যাবে। যে প্রতিবাদ করবে সে নিরাপদ থাকবে। কিন্তু (সে দায়মুক্ত নয়) যে সস্তুষ্টি প্রকাশ করবে ও অনুসরণ করবে। সাহাবীগণ বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমরা কি তাদের সাথে লড়াই করব না? তিনি বললেন: না. যতক্ষণ পর্যন্ত তারা তোমাদের মধ্যে সালাত কায়েম রাখে। (ততক্ষণ পর্যন্ত লড়াই নয়)”। [সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ১৮৫৪।]
হাদীস থেকে শিক্ষা ও মাসায়েল:
এক. কোনো শাসক বা নেতার কাজ-কর্ম যদি ন্যায়সঙ্গত না হয়, তারা যদি জুলুম-অত্যাচার ও পাপাচার করে তাহলে তাদের থেকে দায়মুক্ত থাকার জন্য সকলের চেষ্টা করতে হবে। অন্যথায় যে তাদের সমর্থন করবে তাদের পাপাচারের দায় তাকেও বহন করতে হবে।
দুই. তাদের অন্যায় অনাচারের প্রতিবাদ করে তাদের থেকে দায়মুক্ত থাকা যেতে পারে। যদি প্রতিবাদ করার সামর্থ না থাকে তাহলে কমপক্ষে তাদের কোনো ধরনের সমর্থন করা যাবে না, বরং অন্তরে ঘৃণা করতে হবে। অন্তরের ঘৃণা ও তাদের সমর্থন বা সহযোগিতা না করে দায়মুক্ত থাকা যায়। আর যদি তাদের পাপাচার আর অন্যায় সত্ত্বেও তাদের সমর্থন করা হয় তাহলে তাদের পাপের দায় সমর্থনকারীর উপরও বর্তাবে।
তিন. তবে অন্যায় কাজে লিপ্ত বা পাপী শাসকদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করা যাবে না। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদের বিরুদ্ধে অস্ত্র ধারণ করতে অনুমতি দেন নি।
চার. তাদের অন্যায় অনাচার ও শরী‘আত বিরোধী কোনো কাজকে সমর্থন করা বা তাদের প্রতি সন্তুষ্টি প্রকাশ করা অন্যায়।
5 - «إِنَّهُ يُسْتَعْمَلُ عَلَيْكُمْ أُمَرَاءُ، فَتَعْرِفُونَ وَتُنْكِرُونَ، فَمَنْ كَرِهَ فَقَدْ بَرِئَ، وَمَنْ أَنْكَرَ فَقَدْ سَلِمَ، وَلَكِنْ مَنْ رَضِيَ وَتَابَعَ»، قَالُوا : يَا رَسُولَ اللهِ، أَلَا نُقَاتِلُهُمْ؟ قَالَ : «لَا، مَا صَلَّوْا»
“তোমাদের ওপর এমন কতিপয় শাসক নিযুক্ত করা হবে তোমরা তাদের কিছু কাজকর্ম পছন্দ করবে আর কিছু অপছন্দ করবে। সুতরাং যে অপছন্দ করবে সে দায়মুক্ত হয়ে যাবে। যে প্রতিবাদ করবে সে নিরাপদ থাকবে। কিন্তু (সে দায়মুক্ত নয়) যে সস্তুষ্টি প্রকাশ করবে ও অনুসরণ করবে। সাহাবীগণ বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমরা কি তাদের সাথে লড়াই করব না? তিনি বললেন: না. যতক্ষণ পর্যন্ত তারা তোমাদের মধ্যে সালাত কায়েম রাখে। (ততক্ষণ পর্যন্ত লড়াই নয়)”। [সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ১৮৫৪।]
হাদীস থেকে শিক্ষা ও মাসায়েল:
এক. কোনো শাসক বা নেতার কাজ-কর্ম যদি ন্যায়সঙ্গত না হয়, তারা যদি জুলুম-অত্যাচার ও পাপাচার করে তাহলে তাদের থেকে দায়মুক্ত থাকার জন্য সকলের চেষ্টা করতে হবে। অন্যথায় যে তাদের সমর্থন করবে তাদের পাপাচারের দায় তাকেও বহন করতে হবে।
দুই. তাদের অন্যায় অনাচারের প্রতিবাদ করে তাদের থেকে দায়মুক্ত থাকা যেতে পারে। যদি প্রতিবাদ করার সামর্থ না থাকে তাহলে কমপক্ষে তাদের কোনো ধরনের সমর্থন করা যাবে না, বরং অন্তরে ঘৃণা করতে হবে। অন্তরের ঘৃণা ও তাদের সমর্থন বা সহযোগিতা না করে দায়মুক্ত থাকা যায়। আর যদি তাদের পাপাচার আর অন্যায় সত্ত্বেও তাদের সমর্থন করা হয় তাহলে তাদের পাপের দায় সমর্থনকারীর উপরও বর্তাবে।
তিন. তবে অন্যায় কাজে লিপ্ত বা পাপী শাসকদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করা যাবে না। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদের বিরুদ্ধে অস্ত্র ধারণ করতে অনুমতি দেন নি।
চার. তাদের অন্যায় অনাচার ও শরী‘আত বিরোধী কোনো কাজকে সমর্থন করা বা তাদের প্রতি সন্তুষ্টি প্রকাশ করা অন্যায়।
১৬
হাদীস: ৬. লা ইলাহা ইল্লাল্লহ, আরব ধ্বংস হয়ে যাক, যে মন্দ কাজ তারা করেছে যার কারণে (ধ্বংস) নিকটবর্তী হয়ে গেছে। আজ ইয়াযুয মাজুযের দেওয়াল এতটা খুলে দেওয়া হয়েছে, এ কথা বলে তিনি তাঁর বৃদ্ধা আঙ্গুলি ও তর্জনী বৃত্তাকার করে দেখালেন। আমি বললাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমাদের মধ্যে সৎ লোক থাকা সত্ত্বেও আমরা ধ্বংস হয়ে যাব? তিনি বললেন: হ্যাঁ, যখন পাপাচার ও নোংরামী বেশি হয়ে যাবেউম্মুল মুমিনীন যয়নব বিনতে জাহাশ রাদিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একবার ভীত-সন্ত্রস্ত অবস্থায় ঘরে প্রবেশ করে বললেন:
6 - «لاَ إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ، وَيْلٌ لِلْعَرَبِ مِنْ شَرٍّ قَدِ اقْتَرَبَ، فُتِحَ اليَوْمَ مِنْ رَدْمِ يَأْجُوجَ وَمَأْجُوجَ مِثْلُ هَذِهِ» وَحَلَّقَ بِإِصْبَعِهِ الإِبْهَامِ وَالَّتِي تَلِيهَا، قَالَتْ زَيْنَبُ بِنْتُ جَحْشٍ فَقُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ : أَنَهْلِكُ وَفِينَا الصَّالِحُونَ؟ قَالَ : «نَعَمْ إِذَا كَثُرَ الخَبَثُ»
“লা ইলাহা ইল্লাল্লহ, আরব ধ্বংস হয়ে যাক, যে মন্দ কাজ তারা করেছে যার কারণে (ধ্বংস) নিকটবর্তী হয়ে গেছে। আজ ইয়াযুয মাজুযের দেওয়াল এতটা খুলে দেওয়া হয়েছে, এ কথা বলে তিনি তাঁর বৃদ্ধা আঙ্গুলি ও তর্জনী বৃত্তাকার করে দেখালেন। আমি বললাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমাদের মধ্যে সৎ লোক থাকা সত্ত্বেও আমরা ধ্বংস হয়ে যাব? তিনি বললেন: হ্যাঁ, যখন পাপাচার ও নোংরামী বেশি হয়ে যাবে”। [সহীহ বুখারী, হাদীস নং ৩৩৪৬; সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ২৮৮০।]
হাদীস থেকে শিক্ষা ও মাসায়েল :
এক. আরবরা ধ্বংস হয়ে যাক, এ কথার অর্থ হলো, আরবদের বিপর্যয় ও সঙ্কট নিকটবর্তী। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের এ ভবিষ্যত সাবধানবাণী সত্যে পরিণত হয়েছিল তৃতীয় খলীফা উসমান রাদিয়াল্লাহু আনহুর নির্মম হত্যাকাণ্ডের মাধ্যমে। আর এর জের ধরে বহু বছর পর্যন্ত চলে গৃহযুদ্ধ।
দুই. ইয়াজুজ মাজুজ একটি বর্বর সম্প্রদায়। কিয়ামতের পূর্বক্ষণে তাদের উত্থান ঘটবে। তারা পৃথিবীতে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চালাবে। তাদের এক অজ্ঞাত স্থানে প্রাচীর দিয়ে আটকে রাখা হয়েছে।
তিন. যখন জনপদে পাপাচার প্রসারতা লাভ করে তখন এ পাপাচারের পরিণতিতে যে আযাব-গজব, শাস্তি ও বিপর্যয় নেমে আসে তাতে শুধু পাপীরাই ধ্বংসপ্রাপ্ত হয় না। অপরাধী ও নিরাপরাধ সকলেই ধ্বংস প্রাপ্ত হয়। ভালো মানুষেরাও রেহাই পায় না। তাই আল্লাহ তা‘আলা মানুষদের সতর্ক করে দিয়ে বলেন,
﴿وَٱتَّقُواْ فِتۡنَةٗ لَّا تُصِيبَنَّ ٱلَّذِينَ ظَلَمُواْ مِنكُمۡ خَآصَّةٗۖ وَٱعۡلَمُوٓاْ أَنَّ ٱللَّهَ شَدِيدُ ٱلۡعِقَابِ ٢٥﴾ [ الانفال : ٢٥ ]
“আর তোমরা ভয় করো ফিতনা-কে যা তোমাদের মধ্য থেকে বিশেষভাবে শুধু যালিমদের ওপরই আপতিত হবে না”। [সূরা আল-আনফাল, আয়াত: ২৫]
চার. ব্যাপকভিত্তিক আযাব, বিপর্যয় থেকে বাঁচতে হলে অন্যায় ও পাপ কাজে বাধা প্রদান করতে হবে।
6 - «لاَ إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ، وَيْلٌ لِلْعَرَبِ مِنْ شَرٍّ قَدِ اقْتَرَبَ، فُتِحَ اليَوْمَ مِنْ رَدْمِ يَأْجُوجَ وَمَأْجُوجَ مِثْلُ هَذِهِ» وَحَلَّقَ بِإِصْبَعِهِ الإِبْهَامِ وَالَّتِي تَلِيهَا، قَالَتْ زَيْنَبُ بِنْتُ جَحْشٍ فَقُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ : أَنَهْلِكُ وَفِينَا الصَّالِحُونَ؟ قَالَ : «نَعَمْ إِذَا كَثُرَ الخَبَثُ»
“লা ইলাহা ইল্লাল্লহ, আরব ধ্বংস হয়ে যাক, যে মন্দ কাজ তারা করেছে যার কারণে (ধ্বংস) নিকটবর্তী হয়ে গেছে। আজ ইয়াযুয মাজুযের দেওয়াল এতটা খুলে দেওয়া হয়েছে, এ কথা বলে তিনি তাঁর বৃদ্ধা আঙ্গুলি ও তর্জনী বৃত্তাকার করে দেখালেন। আমি বললাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমাদের মধ্যে সৎ লোক থাকা সত্ত্বেও আমরা ধ্বংস হয়ে যাব? তিনি বললেন: হ্যাঁ, যখন পাপাচার ও নোংরামী বেশি হয়ে যাবে”। [সহীহ বুখারী, হাদীস নং ৩৩৪৬; সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ২৮৮০।]
হাদীস থেকে শিক্ষা ও মাসায়েল :
এক. আরবরা ধ্বংস হয়ে যাক, এ কথার অর্থ হলো, আরবদের বিপর্যয় ও সঙ্কট নিকটবর্তী। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের এ ভবিষ্যত সাবধানবাণী সত্যে পরিণত হয়েছিল তৃতীয় খলীফা উসমান রাদিয়াল্লাহু আনহুর নির্মম হত্যাকাণ্ডের মাধ্যমে। আর এর জের ধরে বহু বছর পর্যন্ত চলে গৃহযুদ্ধ।
দুই. ইয়াজুজ মাজুজ একটি বর্বর সম্প্রদায়। কিয়ামতের পূর্বক্ষণে তাদের উত্থান ঘটবে। তারা পৃথিবীতে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চালাবে। তাদের এক অজ্ঞাত স্থানে প্রাচীর দিয়ে আটকে রাখা হয়েছে।
তিন. যখন জনপদে পাপাচার প্রসারতা লাভ করে তখন এ পাপাচারের পরিণতিতে যে আযাব-গজব, শাস্তি ও বিপর্যয় নেমে আসে তাতে শুধু পাপীরাই ধ্বংসপ্রাপ্ত হয় না। অপরাধী ও নিরাপরাধ সকলেই ধ্বংস প্রাপ্ত হয়। ভালো মানুষেরাও রেহাই পায় না। তাই আল্লাহ তা‘আলা মানুষদের সতর্ক করে দিয়ে বলেন,
﴿وَٱتَّقُواْ فِتۡنَةٗ لَّا تُصِيبَنَّ ٱلَّذِينَ ظَلَمُواْ مِنكُمۡ خَآصَّةٗۖ وَٱعۡلَمُوٓاْ أَنَّ ٱللَّهَ شَدِيدُ ٱلۡعِقَابِ ٢٥﴾ [ الانفال : ٢٥ ]
“আর তোমরা ভয় করো ফিতনা-কে যা তোমাদের মধ্য থেকে বিশেষভাবে শুধু যালিমদের ওপরই আপতিত হবে না”। [সূরা আল-আনফাল, আয়াত: ২৫]
চার. ব্যাপকভিত্তিক আযাব, বিপর্যয় থেকে বাঁচতে হলে অন্যায় ও পাপ কাজে বাধা প্রদান করতে হবে।
১৭
হাদীস: ৭. তোমরা রাস্তাসমূহের উপর বসে থাকা থেকে বিরত থাক। সাহাবীগণ বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! রাস্তায় বসা ব্যতীত আমাদের কোনো উপায় নেই। আমরা সেখানে বসে কথা-বার্তা বলে থাকি। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন: রাস্তায় যদি বসতেই হয় তাহলে তোমরা রাস্তার হক (অধিকার) আদায় কর। তাঁরা বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! রাস্তার হক কী? তিনি বললেন: রাস্তার হক হচ্ছে, দৃষ্টি অবনত রাখা, কষ্টদায়ক বস্তু রাস্তা থেকে অপসারণ করা, সালামের উত্তর দেওয়া আর সৎ কাজের আদেশ করা ও মন্দ কাজ থেকে নিষেধ করাআবু সাঈদ খুদরী রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,
7 - «إِيَّاكُمْ وَالْجُلُوسَ فِي الطُّرُقَاتِ» قَالُوا : يَا رَسُولَ اللهِ مَا لَنَا بُدٌّ مِنْ مَجَالِسِنَا نَتَحَدَّثُ فِيهَا، قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : «فَإِذَا أَبَيْتُمْ إِلَّا الْمَجْلِسَ فَأَعْطُوا الطَّرِيقَ حَقَّهُ» قَالُوا : وَمَا حَقُّهُ؟، قَالَ : «غَضُّ الْبَصَرِ، وَكَفُّ الْأَذَى، وَرَدُّ السَّلَامِ وَالْأَمْرُ بِالْمَعْرُوفِ، وَالنَّهْيُ عَنِ الْمُنْكَرِ»
“তোমরা রাস্তাসমূহের উপর বসে থাকা থেকে বিরত থাক। সাহাবীগণ বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! রাস্তায় বসা ব্যতীত আমাদের কোনো উপায় নেই। আমরা সেখানে বসে কথা-বার্তা বলে থাকি। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন: রাস্তায় যদি বসতেই হয় তাহলে তোমরা রাস্তার হক (অধিকার) আদায় কর। তাঁরা বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! রাস্তার হক কী? তিনি বললেন: রাস্তার হক হচ্ছে, দৃষ্টি অবনত রাখা, কষ্টদায়ক বস্তু রাস্তা থেকে অপসারণ করা, সালামের উত্তর দেওয়া আর সৎ কাজের আদেশ করা ও মন্দ কাজ থেকে নিষেধ করা”। [সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ২১২১।]
হাদীস থেকে শিক্ষা ও মাসায়েল:
এক. অযথা রাস্তা বা পথে বসা, জনসভা করা উচিৎ নয়। যদি করতেই হয় তবে কয়েকটি শর্ত মেনে করতে হবে। শর্তগুলো হলো:
রাস্তায় চলাচলের অধিকার সংরক্ষণ করতে হবে। কোনভাবে মানুষের চলাচলে বিঘ্ন ঘটানো যাবে না।
রাস্তায় কোনো কষ্টদায় জিনিস থাকলে তা সরিয়ে দিতে হবে। কোনো কষ্টদায়ক বিষয় সৃষ্টি করা যাবে না।
অযথা মানুষের দিকে তাকানো যাবে না। দৃষ্টি নীচু রাখতে হবে।
কেউ সালাম দিলে উত্তর দিতে হবে।
ভালো ও সৎ কাজের আদেশ দিতে হবে।
অন্যায় ও খারাপ কাজে বাধা দিতে হবে।
দুই. হাদীসটি আমাদের সর্বাবস্থায় সৎ কাজের আদেশ ও মন্দ কাজ থেকে বারণ করতে নির্দেশ দেয়।
7 - «إِيَّاكُمْ وَالْجُلُوسَ فِي الطُّرُقَاتِ» قَالُوا : يَا رَسُولَ اللهِ مَا لَنَا بُدٌّ مِنْ مَجَالِسِنَا نَتَحَدَّثُ فِيهَا، قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : «فَإِذَا أَبَيْتُمْ إِلَّا الْمَجْلِسَ فَأَعْطُوا الطَّرِيقَ حَقَّهُ» قَالُوا : وَمَا حَقُّهُ؟، قَالَ : «غَضُّ الْبَصَرِ، وَكَفُّ الْأَذَى، وَرَدُّ السَّلَامِ وَالْأَمْرُ بِالْمَعْرُوفِ، وَالنَّهْيُ عَنِ الْمُنْكَرِ»
“তোমরা রাস্তাসমূহের উপর বসে থাকা থেকে বিরত থাক। সাহাবীগণ বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! রাস্তায় বসা ব্যতীত আমাদের কোনো উপায় নেই। আমরা সেখানে বসে কথা-বার্তা বলে থাকি। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন: রাস্তায় যদি বসতেই হয় তাহলে তোমরা রাস্তার হক (অধিকার) আদায় কর। তাঁরা বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! রাস্তার হক কী? তিনি বললেন: রাস্তার হক হচ্ছে, দৃষ্টি অবনত রাখা, কষ্টদায়ক বস্তু রাস্তা থেকে অপসারণ করা, সালামের উত্তর দেওয়া আর সৎ কাজের আদেশ করা ও মন্দ কাজ থেকে নিষেধ করা”। [সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ২১২১।]
হাদীস থেকে শিক্ষা ও মাসায়েল:
এক. অযথা রাস্তা বা পথে বসা, জনসভা করা উচিৎ নয়। যদি করতেই হয় তবে কয়েকটি শর্ত মেনে করতে হবে। শর্তগুলো হলো:
রাস্তায় চলাচলের অধিকার সংরক্ষণ করতে হবে। কোনভাবে মানুষের চলাচলে বিঘ্ন ঘটানো যাবে না।
রাস্তায় কোনো কষ্টদায় জিনিস থাকলে তা সরিয়ে দিতে হবে। কোনো কষ্টদায়ক বিষয় সৃষ্টি করা যাবে না।
অযথা মানুষের দিকে তাকানো যাবে না। দৃষ্টি নীচু রাখতে হবে।
কেউ সালাম দিলে উত্তর দিতে হবে।
ভালো ও সৎ কাজের আদেশ দিতে হবে।
অন্যায় ও খারাপ কাজে বাধা দিতে হবে।
দুই. হাদীসটি আমাদের সর্বাবস্থায় সৎ কাজের আদেশ ও মন্দ কাজ থেকে বারণ করতে নির্দেশ দেয়।
১৮
হাদীস: ৮. একদিন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এক ব্যক্তির হাতে একটি সোনার আংটি দেখতে পেলেন। তিনি আংটি টি তার হাত থেকে খুলে ছুঁড়ে ফেলে দিয়ে বললেন, “তোমাদের কেউ যদি নিজের হাতে জ্বলন্ত অঙ্গার রাখতে ইচ্ছা করে সে নিজ হাতে আংটি রাখতে পারে”। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম চলে যাবার পর লোকটিকে কেউ বলল, আংটিটি উঠিয়ে নিয়ে অন্য কোনো কাজে লাগাও। সে বলল, আল্লাহর কসম! রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যা ছুঁড়ে ফেলেছেন, আমি তা কখনো ধরব নাইবন আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহুমা থেকে বর্ণিত,
8 - «أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ رَأَى خَاتَمًا مِنْ ذَهَبٍ فِي يَدِ رَجُلٍ، فَنَزَعَهُ فَطَرَحَهُ، وَقَالَ : «يَعْمِدُ أَحَدُكُمْ إِلَى جَمْرَةٍ مِنْ نَارٍ فَيَجْعَلُهَا فِي يَدِهِ»، فَقِيلَ لِلرَّجُلِ بَعْدَ مَا ذَهَبَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : خُذْ خَاتِمَكَ انْتَفِعْ بِهِ، قَالَ : لَا وَاللهِ، لَا آخُذُهُ أَبَدًا وَقَدْ طَرَحَهُ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ
“একদিন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এক ব্যক্তির হাতে একটি সোনার আংটি দেখতে পেলেন। তিনি আংটি টি তার হাত থেকে খুলে ছুঁড়ে ফেলে দিয়ে বললেন, “তোমাদের কেউ যদি নিজের হাতে জ্বলন্ত অঙ্গার রাখতে ইচ্ছা করে সে নিজ হাতে আংটি রাখতে পারে”। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম চলে যাবার পর লোকটিকে কেউ বলল, আংটিটি উঠিয়ে নিয়ে অন্য কোনো কাজে লাগাও। সে বলল, আল্লাহর কসম! রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যা ছুঁড়ে ফেলেছেন, আমি তা কখনো ধরব না। [সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ২০৯০।]
হাদীস থেকে শিক্ষা ও মাসায়েল :
এক. পুরুষদের জন্য স্বর্ণের অলংকারাদি ব্যবহার করা জায়েয নয়।
দুই. পুরুষদের সোনার অলংকারাদি ব্যবহার কত বড় পাপ ও তার শাস্তির ভয়াবহতা জানা গেল এ হাদীসে।
তিন. রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কর্তৃক নিক্ষিপ্ত আংটিটি উঠিয়ে অন্য কাজে ব্যবহার করা জায়েয ছিল বলেই অন্যান্য সাহাবায়ে কেরাম তাকে আংটিটা উঠিয়ে নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন।
চার. রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সিদ্ধান্তের প্রতি লোকটির আগ্রহ ও শ্রদ্ধাবোধ এতটাই ছিল যে, সে আংটিটি গ্রহণ করতে চাইল না। নবীজীর প্রতি তার অগাধ ভালোবাসারই প্রমাণ এটি।
পাঁচ. সৎ কাজে আদেশ ও অন্যায় কাজে নিষেধ করা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের একটি মৌলিক আদর্শ ও সুন্নাত। সামর্থ থাকলে এ আদর্শ বাস্তবায়নে শক্তি প্রয়োগ করা উচিৎ।
ছয়. রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে শাস্তি প্রদানের জন্য আংটিটা খুলে ফেলে দিয়েছিলেন। কারণ, সে জানত পুরুষের জন্য স্বর্ণ ব্যবহার হারাম। কিন্তু তার একটু অলসতা বা অসচেতনতা ছিল। বিধায় এ শাস্তির কারণে তার সচেতনতা বৃদ্ধি পেল। অপর দিকে এক ব্যক্তি মসজিদে পেশাব করল, কিন্তু তাকে শাস্তি দেওয়া হলো না। কারণ, সে ব্যক্তি বিষয়টি সম্পর্কে ছিল অজ্ঞ।
8 - «أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ رَأَى خَاتَمًا مِنْ ذَهَبٍ فِي يَدِ رَجُلٍ، فَنَزَعَهُ فَطَرَحَهُ، وَقَالَ : «يَعْمِدُ أَحَدُكُمْ إِلَى جَمْرَةٍ مِنْ نَارٍ فَيَجْعَلُهَا فِي يَدِهِ»، فَقِيلَ لِلرَّجُلِ بَعْدَ مَا ذَهَبَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : خُذْ خَاتِمَكَ انْتَفِعْ بِهِ، قَالَ : لَا وَاللهِ، لَا آخُذُهُ أَبَدًا وَقَدْ طَرَحَهُ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ
“একদিন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এক ব্যক্তির হাতে একটি সোনার আংটি দেখতে পেলেন। তিনি আংটি টি তার হাত থেকে খুলে ছুঁড়ে ফেলে দিয়ে বললেন, “তোমাদের কেউ যদি নিজের হাতে জ্বলন্ত অঙ্গার রাখতে ইচ্ছা করে সে নিজ হাতে আংটি রাখতে পারে”। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম চলে যাবার পর লোকটিকে কেউ বলল, আংটিটি উঠিয়ে নিয়ে অন্য কোনো কাজে লাগাও। সে বলল, আল্লাহর কসম! রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যা ছুঁড়ে ফেলেছেন, আমি তা কখনো ধরব না। [সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ২০৯০।]
হাদীস থেকে শিক্ষা ও মাসায়েল :
এক. পুরুষদের জন্য স্বর্ণের অলংকারাদি ব্যবহার করা জায়েয নয়।
দুই. পুরুষদের সোনার অলংকারাদি ব্যবহার কত বড় পাপ ও তার শাস্তির ভয়াবহতা জানা গেল এ হাদীসে।
তিন. রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কর্তৃক নিক্ষিপ্ত আংটিটি উঠিয়ে অন্য কাজে ব্যবহার করা জায়েয ছিল বলেই অন্যান্য সাহাবায়ে কেরাম তাকে আংটিটা উঠিয়ে নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন।
চার. রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সিদ্ধান্তের প্রতি লোকটির আগ্রহ ও শ্রদ্ধাবোধ এতটাই ছিল যে, সে আংটিটি গ্রহণ করতে চাইল না। নবীজীর প্রতি তার অগাধ ভালোবাসারই প্রমাণ এটি।
পাঁচ. সৎ কাজে আদেশ ও অন্যায় কাজে নিষেধ করা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের একটি মৌলিক আদর্শ ও সুন্নাত। সামর্থ থাকলে এ আদর্শ বাস্তবায়নে শক্তি প্রয়োগ করা উচিৎ।
ছয়. রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে শাস্তি প্রদানের জন্য আংটিটা খুলে ফেলে দিয়েছিলেন। কারণ, সে জানত পুরুষের জন্য স্বর্ণ ব্যবহার হারাম। কিন্তু তার একটু অলসতা বা অসচেতনতা ছিল। বিধায় এ শাস্তির কারণে তার সচেতনতা বৃদ্ধি পেল। অপর দিকে এক ব্যক্তি মসজিদে পেশাব করল, কিন্তু তাকে শাস্তি দেওয়া হলো না। কারণ, সে ব্যক্তি বিষয়টি সম্পর্কে ছিল অজ্ঞ।
১৯
হাদীস: ৯. আয়েজ ইবন আমর একদিন উবাইদুল্লাহ ইবন যিয়াদের কাছে গেলেন। তিনি তাকে বললেন, হে বৎস! আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি, “খারাপ প্রশাসক খর-কুটা মাত্র। তুমি সাবধান থেকো, যেন এর অন্তর্ভুক্ত না হয়ে যাও”। ইবন যিয়াদ তাকে বলল, বসুন! আপনি তো মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাহাবীদের মধ্যে একজন অপদার্থ। তিনি উত্তরে বললেন: তাদের জন্য কি অপদার্থ কথাটা প্রযোজ্য? অপদার্থ হলো, তাদের পরে যারা এসেছে ও যারা সাহাবী নয় তাদের মধ্য থেকেআয়েজ ইবন আমর একদিন উবাইদুল্লাহ ইবন যিয়াদের কাছে গেলেন। তিনি তাকে বললেন, হে বৎস! আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি, “খারাপ প্রশাসক খর-কুটা মাত্র। তুমি সাবধান থেকো, যেন এর অন্তর্ভুক্ত না হয়ে যাও”। ইবন যিয়াদ তাকে বলল, বসুন! আপনি তো মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাহাবীদের মধ্যে একজন অপদার্থ। তিনি উত্তরে বললেন: তাদের জন্য কি অপদার্থ কথাটা প্রযোজ্য? অপদার্থ হলো, তাদের পরে যারা এসেছে ও যারা সাহাবী নয় তাদের মধ্য থেকেআবু সাঈদ হাসান আল-বসরী রহ. থেকে বর্ণিত,
9 -«أَنَّ عَائِذَ بن عمْروٍ رضي اللَّه عنه دخَلَ عَلَى عُبَيْدِ اللَّهِ بن زيَادٍ فَقَالَ : أَيْ بن زيَادٍ فَقَالَ : أَيْ بنيَّ ، إِنِّي سمِعتُ رسولَ اللَّه صَلّى اللهُ عَلَيْهِ وسَلَّم يَقولُ : «إِنَّ شَرَّ الرِّعَاءِ الْحُطَمَةُ، فَإِيَّاكَ أَنْ تَكُونَ مِنْهُمْ»، فَقَالَ لَهُ : اجْلِسْ فَإِنَّمَا أَنْتَ مِنْ نُخَالَةِ أَصْحَابِ مُحَمَّدٍ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَالَ : «وَهَلْ كَانَتْ لَهُمْ نُخَالَةٌ؟ إِنَّمَا كَانَتِ النُّخَالَةُ بَعْدَهُمْ، وَفِي غَيْرِهِمْ»
“আয়েজ ইবন আমর একদিন উবাইদুল্লাহ ইবন যিয়াদের কাছে গেলেন। তিনি তাকে বললেন, হে বৎস! আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি, “খারাপ প্রশাসক খর-কুটা মাত্র। তুমি সাবধান থেকো, যেন এর অন্তর্ভুক্ত না হয়ে যাও”। ইবন যিয়াদ তাকে বলল, বসুন! আপনি তো মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাহাবীদের মধ্যে একজন অপদার্থ। তিনি উত্তরে বললেন: তাদের জন্য কি অপদার্থ কথাটা প্রযোজ্য? অপদার্থ হলো, তাদের পরে যারা এসেছে ও যারা সাহাবী নয় তাদের মধ্য থেকে”। [সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ১৮৩০।]
হাদীস থেকে শিক্ষা ও মাসায়েল :
এক. মন্দ ও খারাপ শাসক-কে খরকুটুর সাথে তুলনা করা হয়েছে। কারণ, এদের দ্বারা মানুষের কোনো উপকার হয় না।
দুই. খারাপ প্রশাসকদের সমর্থন করা, তাদের সঙ্গ দিতে নিষেধ করা হয়েছে।
তিন. ইবন যিয়াদ একজন যালিম শাসক ছিল, তাই সে একজন সাহাবীকে অপদার্থ বলে গালি দিয়েছিল।
চার. সাহাবীকে অপদার্থ বলা, গালি দেওয়া, সমালোচনা করা মারাত্মক অন্যায়। তাই আয়েজ ইবন আমর এর প্রতিবাদ করে বললেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাহাবীদের জন্য অপদার্থ কথাটা মানায় না। তাদের মধ্যে কেউ অপদার্থ ছিলেন না। যারা আল্লাহর পর সৃষ্টির মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ মানুষটির সঙ্গ লাভে ধন্য হয়েছেন, দুনিয়ার সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষক থেকে শিক্ষা লাভ করেছেন, তাঁরা কীভাবে অপদার্থ হতে পারেন?
পাঁচ. অপদার্থ হলো যারা সাহাবীদের পরে এসেছে। এ কথা বলে আয়েজ ইবন আমর গালিটি ইবন যিয়াদের দিকে ফেরত পাঠালেন।
ছয়. আয়েজ ইবন আমর রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু ইবন যিয়াদের মতো যালিম শাসককে সৎ কাজের আদেশ দিতে ভয় করেন নি এবং মন্দ কাজের প্রতিবাদ করতেও কুণ্ঠিত হন নি। এমনিভাবে অন্যায় থেকে নিষেধ করতে তারা কারোই পরোয়া করেন নি।
সাত. তুমি খারাপ শাসকদের থেকে সাবধান থেকো। এ কথা বলে সৎ কাজের আদেশ করেছেন। আর সাহাবীদের জন্য অপদার্থ কথাটা কি প্রযোজ্য’ এ কথা বলে অন্যায় থেকে বারণ করেছেন।
আট. কেউ গালি দিলে, রাগ না করে তাকে কীভাবে সুন্দর উত্তর দিতে হয় তার একটি নমুনা দেখালেন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের এই সাহাবী।
9 -«أَنَّ عَائِذَ بن عمْروٍ رضي اللَّه عنه دخَلَ عَلَى عُبَيْدِ اللَّهِ بن زيَادٍ فَقَالَ : أَيْ بن زيَادٍ فَقَالَ : أَيْ بنيَّ ، إِنِّي سمِعتُ رسولَ اللَّه صَلّى اللهُ عَلَيْهِ وسَلَّم يَقولُ : «إِنَّ شَرَّ الرِّعَاءِ الْحُطَمَةُ، فَإِيَّاكَ أَنْ تَكُونَ مِنْهُمْ»، فَقَالَ لَهُ : اجْلِسْ فَإِنَّمَا أَنْتَ مِنْ نُخَالَةِ أَصْحَابِ مُحَمَّدٍ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَالَ : «وَهَلْ كَانَتْ لَهُمْ نُخَالَةٌ؟ إِنَّمَا كَانَتِ النُّخَالَةُ بَعْدَهُمْ، وَفِي غَيْرِهِمْ»
“আয়েজ ইবন আমর একদিন উবাইদুল্লাহ ইবন যিয়াদের কাছে গেলেন। তিনি তাকে বললেন, হে বৎস! আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি, “খারাপ প্রশাসক খর-কুটা মাত্র। তুমি সাবধান থেকো, যেন এর অন্তর্ভুক্ত না হয়ে যাও”। ইবন যিয়াদ তাকে বলল, বসুন! আপনি তো মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাহাবীদের মধ্যে একজন অপদার্থ। তিনি উত্তরে বললেন: তাদের জন্য কি অপদার্থ কথাটা প্রযোজ্য? অপদার্থ হলো, তাদের পরে যারা এসেছে ও যারা সাহাবী নয় তাদের মধ্য থেকে”। [সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ১৮৩০।]
হাদীস থেকে শিক্ষা ও মাসায়েল :
এক. মন্দ ও খারাপ শাসক-কে খরকুটুর সাথে তুলনা করা হয়েছে। কারণ, এদের দ্বারা মানুষের কোনো উপকার হয় না।
দুই. খারাপ প্রশাসকদের সমর্থন করা, তাদের সঙ্গ দিতে নিষেধ করা হয়েছে।
তিন. ইবন যিয়াদ একজন যালিম শাসক ছিল, তাই সে একজন সাহাবীকে অপদার্থ বলে গালি দিয়েছিল।
চার. সাহাবীকে অপদার্থ বলা, গালি দেওয়া, সমালোচনা করা মারাত্মক অন্যায়। তাই আয়েজ ইবন আমর এর প্রতিবাদ করে বললেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাহাবীদের জন্য অপদার্থ কথাটা মানায় না। তাদের মধ্যে কেউ অপদার্থ ছিলেন না। যারা আল্লাহর পর সৃষ্টির মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ মানুষটির সঙ্গ লাভে ধন্য হয়েছেন, দুনিয়ার সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষক থেকে শিক্ষা লাভ করেছেন, তাঁরা কীভাবে অপদার্থ হতে পারেন?
পাঁচ. অপদার্থ হলো যারা সাহাবীদের পরে এসেছে। এ কথা বলে আয়েজ ইবন আমর গালিটি ইবন যিয়াদের দিকে ফেরত পাঠালেন।
ছয়. আয়েজ ইবন আমর রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু ইবন যিয়াদের মতো যালিম শাসককে সৎ কাজের আদেশ দিতে ভয় করেন নি এবং মন্দ কাজের প্রতিবাদ করতেও কুণ্ঠিত হন নি। এমনিভাবে অন্যায় থেকে নিষেধ করতে তারা কারোই পরোয়া করেন নি।
সাত. তুমি খারাপ শাসকদের থেকে সাবধান থেকো। এ কথা বলে সৎ কাজের আদেশ করেছেন। আর সাহাবীদের জন্য অপদার্থ কথাটা কি প্রযোজ্য’ এ কথা বলে অন্যায় থেকে বারণ করেছেন।
আট. কেউ গালি দিলে, রাগ না করে তাকে কীভাবে সুন্দর উত্তর দিতে হয় তার একটি নমুনা দেখালেন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের এই সাহাবী।
২০
হাদীস: ১০. সেই সত্ত্বার কসম, যার হাতে আমার জীবন, তোমরা অবশ্যই সৎ কাজের আদেশ করবে আর মন্দ কাজ থেকে বারণ করবে। যদি না কর, তাহলে আল্লাহ তোমাদের উপর শাস্তি পাঠাবেন। অতঃপর তোমরা তাকে ডাকবে আর তোমাদের ডাকের সাড়া দেওয়া হবে নাহুজাইফা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,
10 - «وَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ لَتَأْمُرُنَّ بِالمَعْرُوفِ وَلَتَنْهَوُنَّ عَنِ الْمُنْكَرِ أَوْ لَيُوشِكَنَّ اللَّهُ أَنْ يَبْعَثَ عَلَيْكُمْ عِقَابًا مِنْهُ ثُمَّ تَدْعُونَهُ فَلاَ يُسْتَجَابُ لَكُمْ» .
“সেই সত্ত্বার কসম, যার হাতে আমার জীবন, তোমরা অবশ্যই সৎ কাজের আদেশ করবে আর মন্দ কাজ থেকে বারণ করবে। যদি না কর, তাহলে আল্লাহ তোমাদের উপর শাস্তি পাঠাবেন। অতঃপর তোমরা তাকে ডাকবে আর তোমাদের ডাকের সাড়া দেওয়া হবে না”। [তিরমিযী, হাদীস নং ২১৬৯, ইমাম তিরমিযী হাদীসটিকে হাসান বলে মন্তব্য করেছেন। আলবানী রহ. হাদীসটিকে হাসান বলেছেন।]
হাদীস থেকে শিক্ষা ও মাসায়েল:
এক. সৎ কাজের আদেশ আর অন্যায় কাজের নিষেধ কত বড় গুরুত্বপূর্ণ কাজ, তা আমরা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের এই হাদীস থেকে বুঝতে পারি। তিনি আল্লাহ তা‘আলার শপথ করে জোর দিয়ে এ কাজটি করার জন্য আমাদের নির্দেশ দিয়েছেন। আর তা না করলে কি পরিণতি হবে সে সম্পর্কে সাবধান করেছেন।
দুই. এ কাজটি না করলে আল্লাহ তা‘আলার পক্ষ থেকে দুনিয়াতে আজাব-গজব আসবে বলে তিনি আমাদের খবর দিয়েছেন। তার চেয়ে সত্য খবর দানকারী আর কে আছে?
তিন. এ কাজটি ছেড়ে দিলে আল্লাহ তা‘আলা দু‘আ কবুল করবেন না।
10 - «وَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ لَتَأْمُرُنَّ بِالمَعْرُوفِ وَلَتَنْهَوُنَّ عَنِ الْمُنْكَرِ أَوْ لَيُوشِكَنَّ اللَّهُ أَنْ يَبْعَثَ عَلَيْكُمْ عِقَابًا مِنْهُ ثُمَّ تَدْعُونَهُ فَلاَ يُسْتَجَابُ لَكُمْ» .
“সেই সত্ত্বার কসম, যার হাতে আমার জীবন, তোমরা অবশ্যই সৎ কাজের আদেশ করবে আর মন্দ কাজ থেকে বারণ করবে। যদি না কর, তাহলে আল্লাহ তোমাদের উপর শাস্তি পাঠাবেন। অতঃপর তোমরা তাকে ডাকবে আর তোমাদের ডাকের সাড়া দেওয়া হবে না”। [তিরমিযী, হাদীস নং ২১৬৯, ইমাম তিরমিযী হাদীসটিকে হাসান বলে মন্তব্য করেছেন। আলবানী রহ. হাদীসটিকে হাসান বলেছেন।]
হাদীস থেকে শিক্ষা ও মাসায়েল:
এক. সৎ কাজের আদেশ আর অন্যায় কাজের নিষেধ কত বড় গুরুত্বপূর্ণ কাজ, তা আমরা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের এই হাদীস থেকে বুঝতে পারি। তিনি আল্লাহ তা‘আলার শপথ করে জোর দিয়ে এ কাজটি করার জন্য আমাদের নির্দেশ দিয়েছেন। আর তা না করলে কি পরিণতি হবে সে সম্পর্কে সাবধান করেছেন।
দুই. এ কাজটি না করলে আল্লাহ তা‘আলার পক্ষ থেকে দুনিয়াতে আজাব-গজব আসবে বলে তিনি আমাদের খবর দিয়েছেন। তার চেয়ে সত্য খবর দানকারী আর কে আছে?
তিন. এ কাজটি ছেড়ে দিলে আল্লাহ তা‘আলা দু‘আ কবুল করবেন না।
আবু সাঈদ আল-খুদরী রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,
11 - «أَفْضَلُ الْجِهَادِ كَلِمَةُ عَدْلٍ عِنْدَ سُلْطَانٍ جَائِرٍ، أَوْ أَمِيرٍ جَائِرٍ»
“যালিম শাসকের সামনে ইনসাফের কথা বলা উত্তম জিহাদ”। [আবু দাউদ, হাদীস নং ৪৩৪৪; তিরমিযী, হাদীস নং ২১৭৪। ইমাম তিরমিযী হাদীসটিকে হাসান বলে মন্তব্য করেছেন।]
হাদীস থেকে শিক্ষা ও মাসায়েল :
এক. অত্যাচারী শাসকের সামনে ন্যায় ও হক কথা বলা একটি উত্তম জিহাদ। কারণ, তাদের কাছে সত্য ও ন্যায় কথা বললে জীবনের ঝুকি নিতে হয়। তাই এটি জিহাদের মর্যাদা লাভ করেছে। কেননা জিহাদকারী জীবনের ঝুকি নিয়েই জিহাদ করেন।
দুই. ইসলামের সর্বোচ্চ শিখর হলো জিহাদ। এ হাদীসটি জিহাদের মর্যাদার প্রতি দিক-নির্দেশ করে।
তিন. সৎ কাজের আদেশ ও অন্যায় কাজের নিষেধ করতে যেয়ে কেউ যদি জীবনের ঝুকি নেয়, সাহসিকতার পরিচয় দেয় তাহলে সে যেন জিহাদ করল।
11 - «أَفْضَلُ الْجِهَادِ كَلِمَةُ عَدْلٍ عِنْدَ سُلْطَانٍ جَائِرٍ، أَوْ أَمِيرٍ جَائِرٍ»
“যালিম শাসকের সামনে ইনসাফের কথা বলা উত্তম জিহাদ”। [আবু দাউদ, হাদীস নং ৪৩৪৪; তিরমিযী, হাদীস নং ২১৭৪। ইমাম তিরমিযী হাদীসটিকে হাসান বলে মন্তব্য করেছেন।]
হাদীস থেকে শিক্ষা ও মাসায়েল :
এক. অত্যাচারী শাসকের সামনে ন্যায় ও হক কথা বলা একটি উত্তম জিহাদ। কারণ, তাদের কাছে সত্য ও ন্যায় কথা বললে জীবনের ঝুকি নিতে হয়। তাই এটি জিহাদের মর্যাদা লাভ করেছে। কেননা জিহাদকারী জীবনের ঝুকি নিয়েই জিহাদ করেন।
দুই. ইসলামের সর্বোচ্চ শিখর হলো জিহাদ। এ হাদীসটি জিহাদের মর্যাদার প্রতি দিক-নির্দেশ করে।
তিন. সৎ কাজের আদেশ ও অন্যায় কাজের নিষেধ করতে যেয়ে কেউ যদি জীবনের ঝুকি নেয়, সাহসিকতার পরিচয় দেয় তাহলে সে যেন জিহাদ করল।
২২
হাদীস: ১২. এক ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাছে এমন সময় প্রশ্ন করল যখন তিনি বাহনের পা-দানিতে পা রাখছিলেন, ‘সর্বোত্তম জিহাদ কোনটি?’ তিনি বললেন: যালিম শাসকের সামনে হক কথা বলাআব্দুল্লাহ ইবন তারেক ইবন শিহাব রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,
12 - «أَنَّ رجلاً سأَلَ النَّبِيَّ صَلّى اللهُ عَلَيْهِ وسَلَّم ، وقَدْ وَضعَ رِجْلَهُ في الغَرْزِ : أَيُّ الْجِهَادِ أَفْضَلُ؟ قَالَ : «كَلِمَةُ حَقٍّ عِنْدَ سُلْطَانٍ جَائِرٍ»
“এক ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাছে এমন সময় প্রশ্ন করল যখন তিনি বাহনের পা-দানিতে পা রাখছিলেন, ‘সর্বোত্তম জিহাদ কোনটি?’ তিনি বললেন: যালিম শাসকের সামনে হক কথা বলা। [নাসায়ী, হাদীস নং ৪২০৯, আলবানী রহ. বলেছেন, হাদীসটি সহীহ।]
হাদীস থেকে শিক্ষা ও মাসায়েল :
এক. সাহাবায়ে কেরাম সব সময় দীনি জ্ঞান অর্জন করার সুযোগ খুঁজতেন। এমনকি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন যানবাহনে আরোহণ করেছেন তখনও তারা শেখার জন্য প্রশ্ন করেছেন।
দুই. অত্যাচারী বাদশাহর সামনে ন্যায় ও হক কথা বলা একটি উত্তম জিহাদ। কারণ তাদের কাছে সত্য ও ন্যায় কথা বললে জীবনের ঝুকি নিতে হয়। তাই ঝুকি নিয়ে যিনি কথা বলবেন তিনি জিহাদ করার সওয়াব পাবেন। কেননা জিহাদকারী জীবনের ঝুকি নিয়েই জিহাদ করে থাকেন।
তিন. ইসলামের সর্বোচ্চ শিখর হলো জিহাদ। এ হাদীসটি জিহাদের মর্যাদার প্রতি দিক-নির্দেশ করে।
চার. সৎকাজের আদেশ ও অন্যায় কাজের নিষেধ করতে যেয়ে কেউ যদি জীবনের ঝুকি নেয়, সাহসিকতার পরিচয় দেয় তাহলে সে জিহাদ করার মর্যাদা লাভ করবে।
12 - «أَنَّ رجلاً سأَلَ النَّبِيَّ صَلّى اللهُ عَلَيْهِ وسَلَّم ، وقَدْ وَضعَ رِجْلَهُ في الغَرْزِ : أَيُّ الْجِهَادِ أَفْضَلُ؟ قَالَ : «كَلِمَةُ حَقٍّ عِنْدَ سُلْطَانٍ جَائِرٍ»
“এক ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাছে এমন সময় প্রশ্ন করল যখন তিনি বাহনের পা-দানিতে পা রাখছিলেন, ‘সর্বোত্তম জিহাদ কোনটি?’ তিনি বললেন: যালিম শাসকের সামনে হক কথা বলা। [নাসায়ী, হাদীস নং ৪২০৯, আলবানী রহ. বলেছেন, হাদীসটি সহীহ।]
হাদীস থেকে শিক্ষা ও মাসায়েল :
এক. সাহাবায়ে কেরাম সব সময় দীনি জ্ঞান অর্জন করার সুযোগ খুঁজতেন। এমনকি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন যানবাহনে আরোহণ করেছেন তখনও তারা শেখার জন্য প্রশ্ন করেছেন।
দুই. অত্যাচারী বাদশাহর সামনে ন্যায় ও হক কথা বলা একটি উত্তম জিহাদ। কারণ তাদের কাছে সত্য ও ন্যায় কথা বললে জীবনের ঝুকি নিতে হয়। তাই ঝুকি নিয়ে যিনি কথা বলবেন তিনি জিহাদ করার সওয়াব পাবেন। কেননা জিহাদকারী জীবনের ঝুকি নিয়েই জিহাদ করে থাকেন।
তিন. ইসলামের সর্বোচ্চ শিখর হলো জিহাদ। এ হাদীসটি জিহাদের মর্যাদার প্রতি দিক-নির্দেশ করে।
চার. সৎকাজের আদেশ ও অন্যায় কাজের নিষেধ করতে যেয়ে কেউ যদি জীবনের ঝুকি নেয়, সাহসিকতার পরিচয় দেয় তাহলে সে জিহাদ করার মর্যাদা লাভ করবে।
২৩
হাদীস: ১৩. বনী ইসরাইলের মধ্যে প্রথম ত্রুটি-বিচ্যূতি অনুপ্রবেশ করে এভাবে যে, এক ব্যক্তি অপর ব্যক্তির সাথে সাক্ষাত করত এবং তাকে বলত, হে অমুক! আল্লাহ তা‘আলাকে ভয় কর আর যা করছ তা বর্জন কর। কেননা এ কাজ তোমার জন্য বৈধ নয়। তারপর সে পরদিন তার সাথে দেখা করলে তাকে পূর্বের অবস্থায়ই দেখতে পেত। কিন্তু তার ঐ অবস্থা তাকে তার সাথে পানাহার, উঠা-বসায় অংশ নিতে বারণ করে নি। যখন তারা এমন করল আল্লাহ একজনের অন্তরের কালিমা দ্বারা অপরের অন্তরকে অন্ধকার করে দিলেন।’ এ কথা বলার পর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মিম্নোক্ত আয়াত পাঠ করলেন: যার অর্থ হলো : বনী ইসরাইলের মধ্যে যারা কুফুরী করেছে তাদেরকে দাউদ ও মারইয়ামপুত্র ঈসার মুখে অভিশাপ দেওয়া হয়েছে। কারণ, তারা অবাধ্য হয়েছে এবং সীমা লঙ্ঘন করত। তারা পরস্পরকে মন্দ থেকে নিষেধ করত না, যা তারা করত তা থেকে। তারা যা করত তা কতই না মন্দ! তাদের মধ্যে অনেককে তুমি দেখতে পাবে, যারা কাফেরদের সাথে বন্ধুত্ব করে। তারা যা নিজেদের জন্য পেশ করেছে তা কত মন্দ যে, আল্লাহ তাদের ওপর ক্রোধান্বিত হয়েছেন এবং তারা আযাবেই স্থায়ী হবে। আর যদি তারা আল্লাহ ও নবীর প্রতি এবং যা তার প্রতি নাযিল হয়েছে তার প্রতি ঈমান রাখত, তবে তাদেরকে বন্ধু হিসাবে গ্রহণ করত না, কিন্তু তাদের মধ্যে অনেকে পাপাচারী [সূরা আল-মায়েদা, আয়াত: ৭৮-৮১] এরপর তিনি বলেন, কখনো না, আল্লাহর কসম! তোমরা অবশ্যই সৎ কাজের আদেশ করতে থাকো এবং মন্দ কাজ থেকে নিষেধ করো। জালিম-অত্যাচরীর হাত ধরে তাকে হক পথে টেনে আনবে। সত্য ন্যায়ের ওপর প্রতিষ্ঠিত থাকবে। অন্যথায় আল্লাহ তোমাদের পরস্পরের অন্তরকে বিবাদ-বিচ্ছেদে লিপ্ত করে দেবেন। ফলে তোমরা তাদের অভিশাপ দেবে যেমন তারা অপরকে অভিশাপ দিতইবন মাসউদ রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন:
13 - «إِنَّ أَوَّلَ مَا دخَلَ النَّقْصُ عَلَى بَنِي إِسْرائيلَ أَنَّه كَانَ الرَّجُلُ يَلْقَى الرَّجُلَ فَيَقُولُ : يَا هَذَا اتَّق اللَّه وَدعْ مَا تَصْنَعُ فَإِنَّهُ لا يَحِلُّ لك ، ثُم يَلْقَاهُ مِن الْغَدِ وَهُو عَلَى حالِهِ ، فلا يمْنَعُه ذلِك أَنْ يكُونَ أَكِيلَهُ وشَرِيبَهُ وَقعِيدَهُ ، فَلَمَّا فَعَلُوا ذَلِكَ ضَرَبَ اللَّه قُلُوبَ بَعْضِهِمْ بِبَعْضٍ » ثُمَّ قال : { لُعِنَ الَّذِينَ كَفَروا مِنْ بنِي إِسْرَائِيلَ عَلَى لِسَانِ داوُدَ وعِيسَى ابنِ مَرْيمِ ذلِك بما عَصَوْا وكَانوا يعْتَدُونَ ، كَانُوا لا يَتَنَاهَوْنَ عنْ مُنْكَرٍ فَعَلُوهُ لَبِئْسَ ما كانُوا يَفْعلُون تَرى كثِيراً مِنْهُمُ يَتَوَلَّوْنَ الَّذينَ كَفَرُوا لَبِئْسَ مَا قَدَّمتْ لَهُمْ أَنْفُسُهُمْ } إلى قوله : { فَاسِقُونَ } [ المائدة : 78، 81 } ثُمَّ قَالَ : « كَلاَّ ، وَاللَّه لَتَأْمُرُنَّ بالْمعْرُوفِ ، وَلَتَنْهوُنَّ عَنِ الْمُنْكَرِ، ولَتَأْخُذُنَّ عَلَى يَدِ الظَّالِمِ ، ولَتَأْطِرُنَّهُ عَلَى الْحَقِّ أَطْراً ، ولَتقْصُرُنَّهُ عَلَى الْحَقِّ قَصْراً ، أَوْ لَيَضْرِبَنَّ اللَّه بقُلُوبِ بَعْضِكُمْ عَلَى بَعْضٍ ، ثُمَّ لَيَلْعَنكُمْ كَمَا لَعَنَهُمْ »
“ বনী ইসরাইলের মধ্যে প্রথম ত্রুটি-বিচ্যূতি অনুপ্রবেশ করে এভাবে যে, এক ব্যক্তি অপর ব্যক্তির সাথে সাক্ষাত করত এবং তাকে বলত, হে অমুক! আল্লাহ তা‘আলাকে ভয় কর আর যা করছ তা বর্জন কর। কেননা এ কাজ তোমার জন্য বৈধ নয়। তারপর সে পরদিন তার সাথে দেখা করলে তাকে পূর্বের অবস্থায়ই দেখতে পেত। কিন্তু তার ঐ অবস্থা তাকে তার সাথে পানাহার, উঠা-বসায় অংশ নিতে বারণ করে নি। যখন তারা এমন করল আল্লাহ একজনের অন্তরের কালিমা দ্বারা অপরের অন্তরকে অন্ধকার করে দিলেন। ’ এ কথা বলার পর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মিম্নোক্ত আয়াত পাঠ করলেন: যার অর্থ হলো : বনী ইসরাইলের মধ্যে যারা কুফুরী করেছে তাদেরকে দাউদ ও মারইয়ামপুত্র ঈসার মুখে অভিশাপ দেওয়া হয়েছে। কারণ, তারা অবাধ্য হয়েছে এবং সীমা লঙ্ঘন করত। তারা পরস্পরকে মন্দ থেকে নিষেধ করত না, যা তারা করত তা থেকে। তারা যা করত তা কতই না মন্দ! তাদের মধ্যে অনেককে তুমি দেখতে পাবে, যারা কাফেরদের সাথে বন্ধুত্ব করে। তারা যা নিজেদের জন্য পেশ করেছে তা কত মন্দ যে, আল্লাহ তাদের ওপর ক্রোধান্বিত হয়েছেন এবং তারা আযাবেই স্থায়ী হবে। আর যদি তারা আল্লাহ ও নবীর প্রতি এবং যা তার প্রতি নাযিল হয়েছে তার প্রতি ঈমান রাখত, তবে তাদেরকে বন্ধু হিসাবে গ্রহণ করত না, কিন্তু তাদের মধ্যে অনেকে পাপাচারী [সূরা আল-মায়েদা, আয়াত: ৭৮-৮১] এরপর তিনি বলেন, কখনো না, আল্লাহর কসম! তোমরা অবশ্যই সৎ কাজের আদেশ করতে থাকো এবং মন্দ কাজ থেকে নিষেধ করো। জালিম-অত্যাচরীর হাত ধরে তাকে হক পথে টেনে আনবে। সত্য ন্যায়ের ওপর প্রতিষ্ঠিত থাকবে। অন্যথায় আল্লাহ তোমাদের পরস্পরের অন্তরকে বিবাদ-বিচ্ছেদে লিপ্ত করে দেবেন। ফলে তোমরা তাদের অভিশাপ দেবে যেমন তারা অপরকে অভিশাপ দিত”। [আবু দাউদ, হাদীস নং ৪৩৩৬, আলবানী রহ. হাদীসটিকে দয়ীফ বলেছেন।]
আর তিরিমিযী বর্ণিত হাদীসের ভাষা হলো: রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, বনী ইসরাইলগণ যখন পাপাচারে লিপ্ত হলো, তখন আলেমগণ তাদের নিষেধ করলেন; কিন্তু তারা তা থেকে বিরত হলো না। এরপরও আলেমগণ তাদের সাথে উঠা-বসা, পানাহার করতে লাগল। ফলে আল্লাহ তাদের অন্তরগুলোকে অপরের বিরুদ্ধে লাগিয়ে দিলেন। আর আল্লাহ তা‘আলা দাউদ ও ঈসা ‘আলাইহিস সালামের মুখে তাদের অভিসম্পাত দিলেন। কেননা তারা সীমা লঙ্ঘন করত। এরপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হেলান দেওয়া থেকে সোজা হয়ে বসলেন, আর বললেন: কখনো নয়, সে সত্ত্বার শপথ! যার হাতে আমার জীবন, তোমরা অবশ্যই তাদেরকে সত্যের পথে উৎসাহিত করবে।
হাদীস থেকে শিক্ষা ও মাসায়েল:
এক. সৎ কাজের আদেশ ও মন্দ কাজ থেকে বারণ করার পরও যদি কেউ অপরাধে লিপ্ত থাকে তখন তার সাথে সামাজিকতা বজায় রাখা ঠিক নয়। ইয়াহূদী আলেমরা এ ধরনের কাজে লিপ্ত হত। তারা পাপাচারে লিপ্ত ব্যক্তিদের সাথে উঠা-বসা ও সামাজিকতা রক্ষা করে চলত। তাদের পাপকে কোনো বাধা মনে করত না।
দুই. একবার অন্যায় কাজ থেকে নিষেধ করলেই দায়িত্ব শেষ হয়ে যায় না। যতবার প্রয়োজন ততবারই সৎ কাজের আদেশ আর অসৎ কাজের নিষেধ করতে হবে।
তিন. যারা দায়সারা গোছের মানুষ তারা মনে করেন, একবার নিষেধ করেছি। ব্যস! আমার দায়িত্ব শেষ। এ ধরনের মানসিকতা সঠিক নয়। এটা সৎ কাজের আদেশ ও অসৎ কাজের নিষেধের মিশনে আন্তরিকতার পরিপন্থী।
চার. অন্যায় অপরাধকারী ব্যক্তিদের সাথে উঠা-বসা, চলাফেরা করার কারণে তাদের পাপে অন্যরা প্রভাবিত হয়। পাপের প্রতি ঘৃণা হ্রাস পেয়ে যায়।
পাঁচ. ইহুদীদের এ অভ্যাস ছিল যে তারা সমাজে প্রচলিত অপরাধগুলোর প্রতিবাদ করত না নিজেদের জাগতিক স্বার্থের ব্যাঘাত ঘটবে এ আশঙ্কায়।
ছয়. ইয়াহূদীরা নিজেদের একেশ্বরবাদী বলে দাবী করে। তারা আল্লাহ তা‘আলার প্রিয়পাত্র বলে মনে করে। কিন্তু নিজেদের ক্ষুদ্র ব্যবসায়িক বা রাজনৈতিক স্বার্থের জন্য আল্লাহদ্রোহী, তাওহীদবিরোধী মুশরিক, পৌত্তলিকদের সাথে বন্ধুত্ব করে। এ জন্য নবীদের মুখে তাদের উপর আল্লাহ তা‘আলার লানত দেওয়া হয়েছে।
সাত. ইয়াহূদীরা যদিও কখনো কখনো অন্যায় কাজে নিষেধ করত, কিন্তু তারা এ নিষেধের কাজে কোনো আন্তরিকতা দেখাতো না। কাজেই আন্তরিকতার সাথে এ কাজটি সম্পাদন করতে হবে।
আট. সৎ কাজের আদেশ ও অসৎ কাজের নিষেধ কত বড় গুরুত্বপূর্ণ কাজ, তা আমরা এ হাদীসের মাধ্যমে অনুভব করতে পারি।
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হেলান দেওয়া থেকে সোজা হয়ে বসলেন, আর বললেন: কখনো নয়, সে সত্ত্বার শপথ! যার হাতে আমার জীবন, তোমরা অবশ্যই তাদেরকে সত্যের পথে উৎসাহিত করবে।
13 - «إِنَّ أَوَّلَ مَا دخَلَ النَّقْصُ عَلَى بَنِي إِسْرائيلَ أَنَّه كَانَ الرَّجُلُ يَلْقَى الرَّجُلَ فَيَقُولُ : يَا هَذَا اتَّق اللَّه وَدعْ مَا تَصْنَعُ فَإِنَّهُ لا يَحِلُّ لك ، ثُم يَلْقَاهُ مِن الْغَدِ وَهُو عَلَى حالِهِ ، فلا يمْنَعُه ذلِك أَنْ يكُونَ أَكِيلَهُ وشَرِيبَهُ وَقعِيدَهُ ، فَلَمَّا فَعَلُوا ذَلِكَ ضَرَبَ اللَّه قُلُوبَ بَعْضِهِمْ بِبَعْضٍ » ثُمَّ قال : { لُعِنَ الَّذِينَ كَفَروا مِنْ بنِي إِسْرَائِيلَ عَلَى لِسَانِ داوُدَ وعِيسَى ابنِ مَرْيمِ ذلِك بما عَصَوْا وكَانوا يعْتَدُونَ ، كَانُوا لا يَتَنَاهَوْنَ عنْ مُنْكَرٍ فَعَلُوهُ لَبِئْسَ ما كانُوا يَفْعلُون تَرى كثِيراً مِنْهُمُ يَتَوَلَّوْنَ الَّذينَ كَفَرُوا لَبِئْسَ مَا قَدَّمتْ لَهُمْ أَنْفُسُهُمْ } إلى قوله : { فَاسِقُونَ } [ المائدة : 78، 81 } ثُمَّ قَالَ : « كَلاَّ ، وَاللَّه لَتَأْمُرُنَّ بالْمعْرُوفِ ، وَلَتَنْهوُنَّ عَنِ الْمُنْكَرِ، ولَتَأْخُذُنَّ عَلَى يَدِ الظَّالِمِ ، ولَتَأْطِرُنَّهُ عَلَى الْحَقِّ أَطْراً ، ولَتقْصُرُنَّهُ عَلَى الْحَقِّ قَصْراً ، أَوْ لَيَضْرِبَنَّ اللَّه بقُلُوبِ بَعْضِكُمْ عَلَى بَعْضٍ ، ثُمَّ لَيَلْعَنكُمْ كَمَا لَعَنَهُمْ »
“ বনী ইসরাইলের মধ্যে প্রথম ত্রুটি-বিচ্যূতি অনুপ্রবেশ করে এভাবে যে, এক ব্যক্তি অপর ব্যক্তির সাথে সাক্ষাত করত এবং তাকে বলত, হে অমুক! আল্লাহ তা‘আলাকে ভয় কর আর যা করছ তা বর্জন কর। কেননা এ কাজ তোমার জন্য বৈধ নয়। তারপর সে পরদিন তার সাথে দেখা করলে তাকে পূর্বের অবস্থায়ই দেখতে পেত। কিন্তু তার ঐ অবস্থা তাকে তার সাথে পানাহার, উঠা-বসায় অংশ নিতে বারণ করে নি। যখন তারা এমন করল আল্লাহ একজনের অন্তরের কালিমা দ্বারা অপরের অন্তরকে অন্ধকার করে দিলেন। ’ এ কথা বলার পর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মিম্নোক্ত আয়াত পাঠ করলেন: যার অর্থ হলো : বনী ইসরাইলের মধ্যে যারা কুফুরী করেছে তাদেরকে দাউদ ও মারইয়ামপুত্র ঈসার মুখে অভিশাপ দেওয়া হয়েছে। কারণ, তারা অবাধ্য হয়েছে এবং সীমা লঙ্ঘন করত। তারা পরস্পরকে মন্দ থেকে নিষেধ করত না, যা তারা করত তা থেকে। তারা যা করত তা কতই না মন্দ! তাদের মধ্যে অনেককে তুমি দেখতে পাবে, যারা কাফেরদের সাথে বন্ধুত্ব করে। তারা যা নিজেদের জন্য পেশ করেছে তা কত মন্দ যে, আল্লাহ তাদের ওপর ক্রোধান্বিত হয়েছেন এবং তারা আযাবেই স্থায়ী হবে। আর যদি তারা আল্লাহ ও নবীর প্রতি এবং যা তার প্রতি নাযিল হয়েছে তার প্রতি ঈমান রাখত, তবে তাদেরকে বন্ধু হিসাবে গ্রহণ করত না, কিন্তু তাদের মধ্যে অনেকে পাপাচারী [সূরা আল-মায়েদা, আয়াত: ৭৮-৮১] এরপর তিনি বলেন, কখনো না, আল্লাহর কসম! তোমরা অবশ্যই সৎ কাজের আদেশ করতে থাকো এবং মন্দ কাজ থেকে নিষেধ করো। জালিম-অত্যাচরীর হাত ধরে তাকে হক পথে টেনে আনবে। সত্য ন্যায়ের ওপর প্রতিষ্ঠিত থাকবে। অন্যথায় আল্লাহ তোমাদের পরস্পরের অন্তরকে বিবাদ-বিচ্ছেদে লিপ্ত করে দেবেন। ফলে তোমরা তাদের অভিশাপ দেবে যেমন তারা অপরকে অভিশাপ দিত”। [আবু দাউদ, হাদীস নং ৪৩৩৬, আলবানী রহ. হাদীসটিকে দয়ীফ বলেছেন।]
আর তিরিমিযী বর্ণিত হাদীসের ভাষা হলো: রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, বনী ইসরাইলগণ যখন পাপাচারে লিপ্ত হলো, তখন আলেমগণ তাদের নিষেধ করলেন; কিন্তু তারা তা থেকে বিরত হলো না। এরপরও আলেমগণ তাদের সাথে উঠা-বসা, পানাহার করতে লাগল। ফলে আল্লাহ তাদের অন্তরগুলোকে অপরের বিরুদ্ধে লাগিয়ে দিলেন। আর আল্লাহ তা‘আলা দাউদ ও ঈসা ‘আলাইহিস সালামের মুখে তাদের অভিসম্পাত দিলেন। কেননা তারা সীমা লঙ্ঘন করত। এরপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হেলান দেওয়া থেকে সোজা হয়ে বসলেন, আর বললেন: কখনো নয়, সে সত্ত্বার শপথ! যার হাতে আমার জীবন, তোমরা অবশ্যই তাদেরকে সত্যের পথে উৎসাহিত করবে।
হাদীস থেকে শিক্ষা ও মাসায়েল:
এক. সৎ কাজের আদেশ ও মন্দ কাজ থেকে বারণ করার পরও যদি কেউ অপরাধে লিপ্ত থাকে তখন তার সাথে সামাজিকতা বজায় রাখা ঠিক নয়। ইয়াহূদী আলেমরা এ ধরনের কাজে লিপ্ত হত। তারা পাপাচারে লিপ্ত ব্যক্তিদের সাথে উঠা-বসা ও সামাজিকতা রক্ষা করে চলত। তাদের পাপকে কোনো বাধা মনে করত না।
দুই. একবার অন্যায় কাজ থেকে নিষেধ করলেই দায়িত্ব শেষ হয়ে যায় না। যতবার প্রয়োজন ততবারই সৎ কাজের আদেশ আর অসৎ কাজের নিষেধ করতে হবে।
তিন. যারা দায়সারা গোছের মানুষ তারা মনে করেন, একবার নিষেধ করেছি। ব্যস! আমার দায়িত্ব শেষ। এ ধরনের মানসিকতা সঠিক নয়। এটা সৎ কাজের আদেশ ও অসৎ কাজের নিষেধের মিশনে আন্তরিকতার পরিপন্থী।
চার. অন্যায় অপরাধকারী ব্যক্তিদের সাথে উঠা-বসা, চলাফেরা করার কারণে তাদের পাপে অন্যরা প্রভাবিত হয়। পাপের প্রতি ঘৃণা হ্রাস পেয়ে যায়।
পাঁচ. ইহুদীদের এ অভ্যাস ছিল যে তারা সমাজে প্রচলিত অপরাধগুলোর প্রতিবাদ করত না নিজেদের জাগতিক স্বার্থের ব্যাঘাত ঘটবে এ আশঙ্কায়।
ছয়. ইয়াহূদীরা নিজেদের একেশ্বরবাদী বলে দাবী করে। তারা আল্লাহ তা‘আলার প্রিয়পাত্র বলে মনে করে। কিন্তু নিজেদের ক্ষুদ্র ব্যবসায়িক বা রাজনৈতিক স্বার্থের জন্য আল্লাহদ্রোহী, তাওহীদবিরোধী মুশরিক, পৌত্তলিকদের সাথে বন্ধুত্ব করে। এ জন্য নবীদের মুখে তাদের উপর আল্লাহ তা‘আলার লানত দেওয়া হয়েছে।
সাত. ইয়াহূদীরা যদিও কখনো কখনো অন্যায় কাজে নিষেধ করত, কিন্তু তারা এ নিষেধের কাজে কোনো আন্তরিকতা দেখাতো না। কাজেই আন্তরিকতার সাথে এ কাজটি সম্পাদন করতে হবে।
আট. সৎ কাজের আদেশ ও অসৎ কাজের নিষেধ কত বড় গুরুত্বপূর্ণ কাজ, তা আমরা এ হাদীসের মাধ্যমে অনুভব করতে পারি।
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হেলান দেওয়া থেকে সোজা হয়ে বসলেন, আর বললেন: কখনো নয়, সে সত্ত্বার শপথ! যার হাতে আমার জীবন, তোমরা অবশ্যই তাদেরকে সত্যের পথে উৎসাহিত করবে।
২৪
হাদীস: ১৪. হে মানব সকল! তোমরা তো এ আয়াত পাঠ করে থাক: হে ঈমানদারগণ! তোমরা নিজেদের প্রতি সতর্ক দৃষ্টি রাখ। অপর কারোর পথভ্রষ্ট হওয়ায় তোমাদের কোনো ক্ষতি হবে না, যদি তোমরা নিজেরা সঠিক পথে থাক। [সূরা আল-মায়েদা, আয়াত: ১০৫] আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি, মানুষেরা যখন দেখে অত্যাচারীরা অত্যাচার করছে, কিন্তু তারা এর প্রতিরোধ করল না, এরূপ লোকদের ওপর আল্লাহ অচিরেই মহামারী আকারে শাস্তি পাঠাবেনআবু বকর সিদ্দীক রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,
15 - «يا أَيُّهَا النَّاسُ إِنَّكُمْ تقرءونَ هَذِهِ الآيةَ : ﴿يَٰٓأَيُّهَا ٱلَّذِينَ ءَامَنُواْ عَلَيۡكُمۡ أَنفُسَكُمۡۖ لَا يَضُرُّكُم مَّن ضَلَّ إِذَا ٱهۡتَدَيۡتُمۡۚ﴾ [ المائدة : ١٠٥ ] وإِني سَمِعت رسول اللَّه صَلّى اللهُ عَلَيْهِ وسَلَّم يَقُولُ : «إِنَّ النَّاسَ إِذَا رَأَوْا الظَّالِمَ فَلَمْ يَأْخُذُوا عَلَى يَدَيْهِ أَوْشَكَ أَنْ يَعُمَّهُمُ اللَّه بِعِقَابٍ مِنْهُ»
“হে মানব সকল! তোমরা তো এ আয়াত পাঠ করে থাক: হে ঈমানদারগণ! তোমরা নিজেদের প্রতি সতর্ক দৃষ্টি রাখ। অপর কারোর পথভ্রষ্ট হওয়ায় তোমাদের কোনো ক্ষতি হবে না, যদি তোমরা নিজেরা সঠিক পথে থাক। [সূরা আল-মায়েদা, আয়াত: ১০৫] আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি, মানুষেরা যখন দেখে অত্যাচারীরা অত্যাচার করছে, কিন্তু তারা এর প্রতিরোধ করল না, এরূপ লোকদের ওপর আল্লাহ অচিরেই মহামারী আকারে শাস্তি পাঠাবেন”। [আবু দাউদ, হাদীস নং ৪৩৩৮, আলবানী রহ. হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন, তিরমিযী, হাদীস নং ২১৬৮।]
হাদীস থেকে শিক্ষা ও মাসায়েল:
এক. এ আয়াত পাঠ করে সৎ কাজের আদেশ ও অন্যায় কাজ থেকে বিরত থাকার মিশনে শিথিলতা করার অবকাশ নেই। আবু বকর রা. এ ব্যাপারে সকলকে সতর্ক করেছেন।
দুই. কারো পথভ্রষ্টতা ও পাপ আমাদের ক্ষতি করবে না ঠিকই, কিন্তু আমরা যদি তাদের পাপকে মেনে নেই তাহলে তা আমাদের ক্ষতি করবেই। কেননা পাপ মেনে নেওয়াও একটি পাপ।
তিন. শক্তি প্রয়োগ করে হলেও যালেমদেরকে তাদের যুলুম থেকে ফিরিয়ে রাখতে হবে।
চার. পাপ, অন্যায় ও যুলুমের প্রতিবাদ ও প্রতিরোধ না করলে আল্লাহর পক্ষ থেকে আযাব-গযব ও শাস্তি আসবে।
[বি. দ্র. ইমাম নাওয়াওয়ী রহ. সংকলিত রিয়াদুস সালেহীন কিতাব থেকে একটি অধ্যয়ের অনুবাদ ও ব্যাখ্যা।]
সমাপ্ত
15 - «يا أَيُّهَا النَّاسُ إِنَّكُمْ تقرءونَ هَذِهِ الآيةَ : ﴿يَٰٓأَيُّهَا ٱلَّذِينَ ءَامَنُواْ عَلَيۡكُمۡ أَنفُسَكُمۡۖ لَا يَضُرُّكُم مَّن ضَلَّ إِذَا ٱهۡتَدَيۡتُمۡۚ﴾ [ المائدة : ١٠٥ ] وإِني سَمِعت رسول اللَّه صَلّى اللهُ عَلَيْهِ وسَلَّم يَقُولُ : «إِنَّ النَّاسَ إِذَا رَأَوْا الظَّالِمَ فَلَمْ يَأْخُذُوا عَلَى يَدَيْهِ أَوْشَكَ أَنْ يَعُمَّهُمُ اللَّه بِعِقَابٍ مِنْهُ»
“হে মানব সকল! তোমরা তো এ আয়াত পাঠ করে থাক: হে ঈমানদারগণ! তোমরা নিজেদের প্রতি সতর্ক দৃষ্টি রাখ। অপর কারোর পথভ্রষ্ট হওয়ায় তোমাদের কোনো ক্ষতি হবে না, যদি তোমরা নিজেরা সঠিক পথে থাক। [সূরা আল-মায়েদা, আয়াত: ১০৫] আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি, মানুষেরা যখন দেখে অত্যাচারীরা অত্যাচার করছে, কিন্তু তারা এর প্রতিরোধ করল না, এরূপ লোকদের ওপর আল্লাহ অচিরেই মহামারী আকারে শাস্তি পাঠাবেন”। [আবু দাউদ, হাদীস নং ৪৩৩৮, আলবানী রহ. হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন, তিরমিযী, হাদীস নং ২১৬৮।]
হাদীস থেকে শিক্ষা ও মাসায়েল:
এক. এ আয়াত পাঠ করে সৎ কাজের আদেশ ও অন্যায় কাজ থেকে বিরত থাকার মিশনে শিথিলতা করার অবকাশ নেই। আবু বকর রা. এ ব্যাপারে সকলকে সতর্ক করেছেন।
দুই. কারো পথভ্রষ্টতা ও পাপ আমাদের ক্ষতি করবে না ঠিকই, কিন্তু আমরা যদি তাদের পাপকে মেনে নেই তাহলে তা আমাদের ক্ষতি করবেই। কেননা পাপ মেনে নেওয়াও একটি পাপ।
তিন. শক্তি প্রয়োগ করে হলেও যালেমদেরকে তাদের যুলুম থেকে ফিরিয়ে রাখতে হবে।
চার. পাপ, অন্যায় ও যুলুমের প্রতিবাদ ও প্রতিরোধ না করলে আল্লাহর পক্ষ থেকে আযাব-গযব ও শাস্তি আসবে।
[বি. দ্র. ইমাম নাওয়াওয়ী রহ. সংকলিত রিয়াদুস সালেহীন কিতাব থেকে একটি অধ্যয়ের অনুবাদ ও ব্যাখ্যা।]
সমাপ্ত
রিডিং সেটিংস
Bangla
System
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
সাপোর্ট করুন