hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

সৎকাজের আদেশ ও মন্দ কাজ থেকে নিষেধ করা

লেখকঃ আব্দুল্লাহ শহীদ আব্দুর রহমান

২৩
হাদীস: ১৩. ‌‌‌‌‌‌বনী ইসরাইলের মধ্যে প্রথম ত্রুটি-বিচ্যূতি অনুপ্রবেশ করে এভাবে যে, এক ব্যক্তি অপর ব্যক্তির সাথে সাক্ষাত করত এবং তাকে বলত, হে অমুক! আল্লাহ তা‘আলাকে ভয় কর আর যা করছ তা বর্জন কর। কেননা এ কাজ তোমার জন্য বৈধ নয়। তারপর সে পরদিন তার সাথে দেখা করলে তাকে পূর্বের অবস্থায়ই দেখতে পেত। কিন্তু তার ঐ অবস্থা তাকে তার সাথে পানাহার, উঠা-বসায় অংশ নিতে বারণ করে নি। যখন তারা এমন করল আল্লাহ একজনের অন্তরের কালিমা দ্বারা অপরের অন্তরকে অন্ধকার করে দিলেন।‌‌‌’ এ কথা বলার পর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মিম্নোক্ত আয়াত পাঠ করলেন: যার অর্থ হলো : বনী ইসরাইলের মধ্যে যারা কুফুরী করেছে তাদেরকে দাউদ ও মারইয়ামপুত্র ঈসার মুখে অভিশাপ দেওয়া হয়েছে। কারণ, তারা অবাধ্য হয়েছে এবং সীমা লঙ্ঘন করত। তারা পরস্পরকে মন্দ থেকে নিষেধ করত না, যা তারা করত তা থেকে। তারা যা করত তা কতই না মন্দ! তাদের মধ্যে অনেককে তুমি দেখতে পাবে, যারা কাফেরদের সাথে বন্ধুত্ব করে। তারা যা নিজেদের জন্য পেশ করেছে তা কত মন্দ যে, আল্লাহ তাদের ওপর ক্রোধান্বিত হয়েছেন এবং তারা আযাবেই স্থায়ী হবে। আর যদি তারা আল্লাহ ও নবীর প্রতি এবং যা তার প্রতি নাযিল হয়েছে তার প্রতি ঈমান রাখত, তবে তাদেরকে বন্ধু হিসাবে গ্রহণ করত না, কিন্তু তাদের মধ্যে অনেকে পাপাচারী [সূরা আল-মায়েদা, আয়াত: ৭৮-৮১] এরপর তিনি বলেন, কখনো না, আল্লাহর কসম! তোমরা অবশ্যই সৎ কাজের আদেশ করতে থাকো এবং মন্দ কাজ থেকে নিষেধ করো। জালিম-অত্যাচরীর হাত ধরে তাকে হক পথে টেনে আনবে। সত্য ন্যায়ের ওপর প্রতিষ্ঠিত থাকবে। অন্যথায় আল্লাহ তোমাদের পরস্পরের অন্তরকে বিবাদ-বিচ্ছেদে লিপ্ত করে দেবেন। ফলে তোমরা তাদের অভিশাপ দেবে যেমন তারা অপরকে অভিশাপ দিত
ইবন মাসউদ রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন:

13 - «إِنَّ أَوَّلَ مَا دخَلَ النَّقْصُ عَلَى بَنِي إِسْرائيلَ أَنَّه كَانَ الرَّجُلُ يَلْقَى الرَّجُلَ فَيَقُولُ : يَا هَذَا اتَّق اللَّه وَدعْ مَا تَصْنَعُ فَإِنَّهُ لا يَحِلُّ لك ، ثُم يَلْقَاهُ مِن الْغَدِ وَهُو عَلَى حالِهِ ، فلا يمْنَعُه ذلِك أَنْ يكُونَ أَكِيلَهُ وشَرِيبَهُ وَقعِيدَهُ ، فَلَمَّا فَعَلُوا ذَلِكَ ضَرَبَ اللَّه قُلُوبَ بَعْضِهِمْ بِبَعْضٍ » ثُمَّ قال :  { لُعِنَ الَّذِينَ كَفَروا مِنْ بنِي إِسْرَائِيلَ عَلَى لِسَانِ داوُدَ وعِيسَى ابنِ مَرْيمِ ذلِك بما عَصَوْا وكَانوا يعْتَدُونَ ، كَانُوا لا يَتَنَاهَوْنَ عنْ مُنْكَرٍ فَعَلُوهُ لَبِئْسَ ما كانُوا يَفْعلُون تَرى كثِيراً مِنْهُمُ يَتَوَلَّوْنَ الَّذينَ كَفَرُوا لَبِئْسَ مَا قَدَّمتْ لَهُمْ أَنْفُسُهُمْ } إلى قوله :  { فَاسِقُونَ }  [ المائدة : 78، 81 }   ثُمَّ قَالَ : « كَلاَّ ، وَاللَّه لَتَأْمُرُنَّ بالْمعْرُوفِ ، وَلَتَنْهوُنَّ عَنِ الْمُنْكَرِ، ولَتَأْخُذُنَّ عَلَى يَدِ الظَّالِمِ ، ولَتَأْطِرُنَّهُ عَلَى الْحَقِّ أَطْراً ، ولَتقْصُرُنَّهُ عَلَى الْحَقِّ قَصْراً ، أَوْ لَيَضْرِبَنَّ اللَّه بقُلُوبِ بَعْضِكُمْ عَلَى بَعْضٍ ، ثُمَّ لَيَلْعَنكُمْ كَمَا لَعَنَهُمْ »

‌‌‌‌‌‌ বনী ইসরাইলের মধ্যে প্রথম ত্রুটি-বিচ্যূতি অনুপ্রবেশ করে এভাবে যে, এক ব্যক্তি অপর ব্যক্তির সাথে সাক্ষাত করত এবং তাকে বলত, হে অমুক! আল্লাহ তা‘আলাকে ভয় কর আর যা করছ তা বর্জন কর। কেননা এ কাজ তোমার জন্য বৈধ নয়। তারপর সে পরদিন তার সাথে দেখা করলে তাকে পূর্বের অবস্থায়ই দেখতে পেত। কিন্তু তার ঐ অবস্থা তাকে তার সাথে পানাহার, উঠা-বসায় অংশ নিতে বারণ করে নি। যখন তারা এমন করল আল্লাহ একজনের অন্তরের কালিমা দ্বারা অপরের অন্তরকে অন্ধকার করে দিলেন। ‌‌‌ ’ এ কথা বলার পর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মিম্নোক্ত আয়াত পাঠ করলেন: যার অর্থ হলো : বনী ইসরাইলের মধ্যে যারা কুফুরী করেছে তাদেরকে দাউদ ও মারইয়ামপুত্র ঈসার মুখে অভিশাপ দেওয়া হয়েছে। কারণ, তারা অবাধ্য হয়েছে এবং সীমা লঙ্ঘন করত। তারা পরস্পরকে মন্দ থেকে নিষেধ করত না, যা তারা করত তা থেকে। তারা যা করত তা কতই না মন্দ! তাদের মধ্যে অনেককে তুমি দেখতে পাবে, যারা কাফেরদের সাথে বন্ধুত্ব করে। তারা যা নিজেদের জন্য পেশ করেছে তা কত মন্দ যে, আল্লাহ তাদের ওপর ক্রোধান্বিত হয়েছেন এবং তারা আযাবেই স্থায়ী হবে। আর যদি তারা আল্লাহ ও নবীর প্রতি এবং যা তার প্রতি নাযিল হয়েছে তার প্রতি ঈমান রাখত, তবে তাদেরকে বন্ধু হিসাবে গ্রহণ করত না, কিন্তু তাদের মধ্যে অনেকে পাপাচারী [সূরা আল-মায়েদা, আয়াত: ৭৮-৮১] এরপর তিনি বলেন, কখনো না, আল্লাহর কসম! তোমরা অবশ্যই সৎ কাজের আদেশ করতে থাকো এবং মন্দ কাজ থেকে নিষেধ করো। জালিম-অত্যাচরীর হাত ধরে তাকে হক পথে টেনে আনবে। সত্য ন্যায়ের ওপর প্রতিষ্ঠিত থাকবে। অন্যথায় আল্লাহ তোমাদের পরস্পরের অন্তরকে বিবাদ-বিচ্ছেদে লিপ্ত করে দেবেন। ফলে তোমরা তাদের অভিশাপ দেবে যেমন তারা অপরকে অভিশাপ দিত”। [আবু দাউদ, হাদীস নং ৪৩৩৬, আলবানী রহ. হাদীসটিকে দয়ীফ বলেছেন।]

আর তিরিমিযী বর্ণিত হাদীসের ভাষা হলো: রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, বনী ইসরাইলগণ যখন পাপাচারে লিপ্ত হলো, তখন আলেমগণ তাদের নিষেধ করলেন; কিন্তু তারা তা থেকে বিরত হলো না। এরপরও আলেমগণ তাদের সাথে উঠা-বসা, পানাহার করতে লাগল। ফলে আল্লাহ তাদের অন্তরগুলোকে অপরের বিরুদ্ধে লাগিয়ে দিলেন। আর আল্লাহ তা‘আলা দাউদ ও ঈসা ‘আলাইহিস সালামের মুখে তাদের অভিসম্পাত দিলেন। কেননা তারা সীমা লঙ্ঘন করত। এরপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হেলান দেওয়া থেকে সোজা হয়ে বসলেন, আর বললেন: কখনো নয়, সে সত্ত্বার শপথ! যার হাতে আমার জীবন, তোমরা অবশ্যই তাদেরকে সত্যের পথে উৎসাহিত করবে।

হাদীস থেকে শিক্ষা ও মাসায়েল:

এক. সৎ কাজের আদেশ ও মন্দ কাজ থেকে বারণ করার পরও যদি কেউ অপরাধে লিপ্ত থাকে তখন তার সাথে সামাজিকতা বজায় রাখা ঠিক নয়। ইয়াহূদী আলেমরা এ ধরনের কাজে লিপ্ত হত। তারা পাপাচারে লিপ্ত ব্যক্তিদের সাথে উঠা-বসা ও সামাজিকতা রক্ষা করে চলত। তাদের পাপকে কোনো বাধা মনে করত না।

দুই. একবার অন্যায় কাজ থেকে নিষেধ করলেই দায়িত্ব শেষ হয়ে যায় না। যতবার প্রয়োজন ততবারই সৎ কাজের আদেশ আর অসৎ কাজের নিষেধ করতে হবে।

তিন. যারা দায়সারা গোছের মানুষ তারা মনে করেন, একবার নিষেধ করেছি। ব্যস! আমার দায়িত্ব শেষ। এ ধরনের মানসিকতা সঠিক নয়। এটা সৎ কাজের আদেশ ও অসৎ কাজের নিষেধের মিশনে আন্তরিকতার পরিপন্থী।

চার. অন্যায় অপরাধকারী ব্যক্তিদের সাথে উঠা-বসা, চলাফেরা করার কারণে তাদের পাপে অন্যরা প্রভাবিত হয়। পাপের প্রতি ঘৃণা হ্রাস পেয়ে যায়।

পাঁচ. ইহুদীদের এ অভ্যাস ছিল যে তারা সমাজে প্রচলিত অপরাধগুলোর প্রতিবাদ করত না নিজেদের জাগতিক স্বার্থের ব্যাঘাত ঘটবে এ আশঙ্কায়।

ছয়. ইয়াহূদীরা নিজেদের একেশ্বরবাদী বলে দাবী করে। তারা আল্লাহ তা‘আলার প্রিয়পাত্র বলে মনে করে। কিন্তু নিজেদের ক্ষুদ্র ব্যবসায়িক বা রাজনৈতিক স্বার্থের জন্য আল্লাহদ্রোহী, তাওহীদবিরোধী মুশরিক, পৌত্তলিকদের সাথে বন্ধুত্ব করে। এ জন্য নবীদের মুখে তাদের উপর আল্লাহ তা‘আলার লানত দেওয়া হয়েছে।

সাত. ইয়াহূদীরা যদিও কখনো কখনো অন্যায় কাজে নিষেধ করত, কিন্তু তারা এ নিষেধের কাজে কোনো আন্তরিকতা দেখাতো না। কাজেই আন্তরিকতার সাথে এ কাজটি সম্পাদন করতে হবে।

আট. সৎ কাজের আদেশ ও অসৎ কাজের নিষেধ কত বড় গুরুত্বপূর্ণ কাজ, তা আমরা এ হাদীসের মাধ্যমে অনুভব করতে পারি।

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হেলান দেওয়া থেকে সোজা হয়ে বসলেন, আর বললেন: কখনো নয়, সে সত্ত্বার শপথ! যার হাতে আমার জীবন, তোমরা অবশ্যই তাদেরকে সত্যের পথে উৎসাহিত করবে।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন