hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

ইসলামের কিছু আলোচিত বিষয়ে অগ্রহণযোগ্য বিভ্রান্তি

লেখকঃ শাইখ সালেহ ইবন আবদুল্লাহ আল-হুমাইদ

১২
দাস-দাসীর ব্যাপারে খ্রিষ্টানদের অবস্থান
ইয়াহূদী ধর্মের পর খ্রিষ্টধর্মও দাসপ্রথাকে স্বীকৃতি দিয়েছিল। ইঞ্জিলে (নতুন নিয়মে) একটি বক্তব্যও নেই যা দাসপ্রথাকে নিষিদ্ধ করে অথবা তার প্রতিবাদ করে।

অদ্ভুত বিষয় হল ঐতিহাসিক উইলিয়াম ম্যুর আমাদের নবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে এই বলে দোষারোপ করে যে, তিনি তাৎক্ষণিকভাবে দাসপ্রথা বাতিল করেন নি; অথচ ঐতিহাসিক সাহেব দাসপ্রথার ব্যাপারে ইঞ্জিলের অবস্থান বেমালুম চেপে গেছেন। তিনি মাসীহ, হাওয়ারীগণ এবং গির্জা থেকে এই ব্যাপারে কোন কিছুই বর্ণনা করেন নি।

বরং ‘পল’ তার পত্রসমূহে দাসদেরকে আন্তরিকতাসহকারে তাদের মনিবদের খেদমত ও সেবা করার নির্দেশ দিতেন, যেমন তিনি এফেসীয়দের নিকট প্রেরিত পত্রে বলেছেন।

আর সাধক ও দার্শনিক ‘থমাস অ্যাকুইনাস’ ধর্মীয় নেতাদের চিন্তাধারার সাথে দার্শনিক চিন্তাধারা একত্রিত করেছেন। তিনি দাসপ্রথার প্রতিবাদ করেন নি, বরং তিনি এর প্রশংসাই করেছেন। কারণ, তার গুরু এরিস্টটলের চিন্তাধারা অনুযায়ী দাসত্ব এমন এক স্বভাবগত অবস্থার নাম, যে প্রাকৃতিক স্বভাব দিয়ে কিছু মানুষকে সৃষ্টি করা হয়েছে।

আর সাধকগণও স্বীকার করেছেন যে, প্রকৃতিই কিছু মানুষকে দাস-দাসী বানিয়েছে।

ঊনবিংশ শতাব্দীর বৃহৎ এনসাইক্লোপিডিয়া ‘লারুস’ –এ আছে: “খ্রিষ্টধর্মের অনুসারীদের মাঝে আজ পর্যন্ত দাসপ্রথা অবশিষ্ট ও চলমান থাকার কারণে মানুষ বিস্ময় প্রকাশ করে না। কারণ, আনুষ্ঠানিক ধর্মীয় প্রতিনিধিগণ এই প্রথাকে বিশুদ্ধ বলে স্বীকৃতি প্রধান করেন এবং তা বিধিসম্মত বলে মেনে নেন।”

এতে আরও বলা হয়েছে: “সারকথা হল খ্রিষ্টধর্ম আজ পর্যন্ত দাসপ্রথাকে সন্তুষ্ট চিত্তে বিধিসম্মত মনে করে; আর মানুষের পক্ষে এ কথা প্রমাণ সম্ভব নয় যে, খ্রিষ্টধর্ম দাসপ্রথা বাতিল করার চেষ্টা করেছে।”

ডক্টর জর্জ ইউসূফের কামুস আল-কিতাব আল-মুকাদ্দাস ( قاموس الكتاب المقدس ) -এ এসেছে: “খ্রিষ্টধর্ম রাজনৈতিক দৃষ্টিকোণ কিংবা অর্থনৈতিক দৃষ্টিকোণ কোনো দিক থেকেই দাসপ্রথার প্রতিবাদ করে নি; তা বিশ্বাসীদেরকে দাসত্ব সম্পর্কিত আচার-ব্যবহারের ক্ষেত্রে তাদের প্রজন্মের আচরণ পরিত্যাগ করতেও বলে নি, এমনকি এই প্রসঙ্গে কোন আলোচনাও উৎসাহিত করে নি। তা দাস মালিকদের অধিকারের বিরুদ্ধে কোন কথা বলে নি; আর দাসদের স্বাধীনতা অর্জনের লক্ষ্যেও কোন আন্দোলন করায় নি। তা দাসপ্রথার ক্ষতি ও নিষ্ঠুরতা সম্পর্কে কোন আলোচনা করে নি; আর তাৎক্ষণিকভাবে দাসমুক্তির নির্দেশও দেয় নি। মোটকথা, তা দাস ও মনিবের মধ্যকার আইনী সম্পর্কের কোন কিছুর পরিবর্তন করে নি; বরং এর বিপরীতে তারা উভয় দলের অধিকার এবং দায়িত্ব ও কর্তব্য নির্ধারণ করে দিয়েছে।”

আমরা হোয়াইটি ফাদার্স সংগঠনের সকল খ্রিষ্টান ও সম্মানিত পাঠক সমাজকে আহ্বান করছি, তারা যেন ইসলামের শিক্ষা ও এই শিক্ষার মধ্যে তুলনামূলক আলোচনা ও পর্যালোচনা করে দেখেন।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন