মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
আসসালামু আলাইকুম, Hadith.one বন্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে! আমাদের সার্ভারের মেয়াদ ১১ অক্টোবর ২০২৫ এ শেষ হবে, এবং এবং ওয়েবসাইট টি চালানোর জন্য আমাদের কোনো ফান্ড নেই।
🌟 আপনার দান এই প্ল্যাটফর্মকে বাঁচাতে পারে এবং প্রতিটি হাদিস পড়ার মাধ্যমে সদকাহ জারিয়ার অংশীদার হতে পারেন!
🔗 অনুগ্রহ করে আপনার দানের মাধ্যমে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি চালিয়ে নিতে সাহায্য করুন!
জাযাকাল্লাহু খাইরান!
প্রথমত: বল প্রয়োগ ও জোর-জবরদস্তির উপর ভিত্তি করে ইসলাম ধর্মের প্রতি বিশ্বাস গ্রহণযোগ্য নয়, যা ইতঃপূর্বে আলোচনা করা হয়েছে। অর্থাৎ এভাবে ইসলামে প্রবেশকারী ব্যক্তি প্রকৃত অর্থে ইসলামে প্রবেশ করে না; তবে সে যখন সন্তুষ্ট চিত্তে ও চিন্তা-ভাবনা করে ইসলাম ধর্মে প্রবেশ করবে, তখন তা গ্রহণযোগ্য হবে। আর এটা এই জন্য যে, সুস্থ বিবেকের সুক্ষ্ম দৃষ্টিমাত্রই এই দীনের পরিপূর্ণতা, বাতিল ধর্ম থেকে তার নিষ্কলুষতা, মানুষের প্রয়োজন ও চাহিদা পূরণে তার যথার্থতা এবং আল্লাহ তা‘আলা মানুষকে যে স্বভাবের উপর সৃষ্টি করেছেন, সেই সুস্থ স্বভাবের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণতার উপর জোর দিয়ে থাকে।
দ্বিতীয়ত: ইসলামের সুদীর্ঘ ইতিহাসে এমন কোন মুরতাদ তথা ধর্মত্যাগী পাওয়া দুষ্কর, যে এই দীনের প্রতি বিরাগভাজন ও ক্রোধের বশবতী হয়ে স্বধর্ম ত্যাগ করেছে; আর যদি পাওয়াও যায়, তবে সে হবে এই দুই জনের একজন:
হয় সে স্বধর্ম ত্যাগ করেছে ষড়যন্ত্রের উদ্দেশ্যে, যাতে সে আল্লাহর দীনের অগ্রযাত্রাকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে; যেমনিভাবে কিছু সংখ্যক ইয়াহূদী ইসলামী দাওয়াতের প্রথম যুগে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে দিনের প্রথম অংশে ঈমান গ্রহণ করত এবং মুমিনদের মাঝে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির উদ্দেশ্যে দিনের অপর অংশে কুফরী করত। কারণ, ইয়াহূদীরা হল আহলে কিতাব তথা তাওরাত নামক কিতাবের অনুসারী। সুতরাং তাদের পক্ষ থেকে যখন এ ধরনের ঘটনা ঘটবে, তখন তা ঈমানের দিক থেকে দুর্বল ব্যক্তিদের মাঝে খটকা সৃষ্টি করবে যে, এসব ইয়াহূদীরা যদি এই নতুন ধর্মের মধ্যে কোন ত্রুটি-বিচ্যুতি না পেত, তবে তারা তা থেকে ফিরে আসত না। অতএব তাদের উদ্দেশ্য ছিল বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করা এবং আল্লাহর দীনের অগ্রযাত্রাকে বাধাগ্রস্ত করা।
অথবা এ মুরতাদ এমন এক ব্যক্তি হবে, যার ইচ্ছা হল স্বীয় প্রবৃত্তির লাগাম ছেড়ে দেয়া এবং দায়িত্ব ও কর্তব্যের বন্ধন ছিন্ন বিচ্ছিন্ন করা।
তৃতীয়ত: ইসলাম থেকে বের হয়ে যাওয়ার মানে একটা সাধারণ শাসনব্যাবস্থা ও শৃঙ্খলার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ। কারণ, ইসলাম একটি পরিপূর্ণ দীন বা জীবনব্যবস্থার নাম; এটা যেমনিভাবে মানুষের সাথে তার প্রতিপালকের সম্পর্কের উপর গুরুত্বারোপ করে, ঠিক তেমনিভাবে তার সাথে অন্যান্য বনী আদমের সম্পর্কের উপরও গুরুত্বারোপ করে থাকে; যেমন স্বামী ও স্ত্রীর মধ্যকার সম্পর্ক, তার এবং তার আত্মীয়স্বজন ও প্রতিবেশীর মধ্যকার সম্পর্ক ইত্যাদি। আরও গুরুত্বারোপ করে তার ও তার শত্রুদের মধ্যকার শত্রুতা বা মিত্রতাভিত্তিক সম্পর্ক নিয়ে। আর তা এক অতুলনীয় ব্যাপকতার মাধ্যমে সবকিছুকে শামিল করে। চাই তা ইবাদাত সংক্রান্ত হউক, অথবা লেনদেন সম্পর্কিত; চাই সেটা অন্যায়-অপরাধ সংক্রান্ত হউক, অথবা বিচার-ফয়সালা সংক্রান্ত— এভাবে করে দুনিয়ার, বরং দুনিয়ার চেয়েও ব্যাপক সকল নিয়ম-কানুনই তাতে শামিল রয়েছে।
এর উপর ভিত্তি করে বলা যায়, ইসলামকে পরিপূর্ণ দৃষ্টিতেই দেখা উচিত, শুধুমাত্র বান্দার সাথে তার রবের সম্পর্কের মধ্যে সীমাবদ্ধরূপে নয়— যেমনটি অমুসলিমগণ ধারণা করে থাকে।
আর বিষয়টি যখন এ রকমই, তখন রিদ্দাহ্ বা ইসলাম ত্যাগ করা মানে একটা ব্যাপকভিত্তিক শৃঙ্খলার বাইরে যাওয়া।
চতুর্থত: রিদ্দাহ্ বা ইসলাম ত্যাগের শাস্তিরূপে মুরতাদ তথা ইসলাম ত্যাগকারী ব্যক্তির রক্তকে বৈধ করার ফলে যে ব্যক্তি ইসলামী রাষ্ট্র অথবা তার অধিবাসীদের মধ্যে ফিতনা-ফ্যাসাদ ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির উদ্দেশ্যে কপটতা করে এই দীনের মধ্যে অনুপ্রবেশ করার ইচ্ছা পোষণ করে, তার জন্য এই শাস্তি সতর্কতা হিসেবে কাজ করবে এবং স্বীয় সিদ্ধান্ত সম্পর্কে নিঃসন্দীহান হতে উৎসাহ দেবে। সে যেন দেখে-শুনে যুক্তি-প্রমাণের ভিত্তিতে তা (ইসলাম) গ্রহণ করে। কেননা, দীন হচ্ছে কিছু দায়িত্ব- কর্তব্য ও আনুষ্ঠানিকতা, যেগুলোর উপর অবিচল থাকা মুনাফিক ও গোপন উদ্দেশ্যসিদ্ধির ইচ্ছাপোষণকারীদের পক্ষে কষ্টকর।
পঞ্চমত: সত্য ইসলামের প্রতি ঈমান আনার পূর্বে মানুষের জন্য বিশ্বাস করার বা অবিশ্বাস করার অধিকার আছে। সুতরাং যখন সে প্রচলিত ধর্মসমূহের মধ্য থেকে যে কোন একটিকে গ্রহণ করবে, তখন তাতে কোন আপত্তি নেই এবং সে শান্তিপূর্ণভাবে জীবনযাপন ও বসবাস করার যাবতীয় অধিকার ভোগ করবে। কিন্তু যখন সে ইসলাম গ্রহণ করবে, তাতে প্রবেশ করবে এবং তার প্রতি ঈমান আনবে, তখন তার জন্য ইসলামকে আন্তরিকতার সাথে একনিষ্ঠভাবে গ্রহণ করা এবং সদা সর্বদায় তার আদেশ, নিষেধ এবং নীতিমালা ও শাখা প্রশাখার ক্ষেত্রে তার যাবতীয় হেদায়াত ও দিক নির্দেশনা মেনে চলা আবশ্যক হয়ে যাবে।
অতঃপর আমরা বলব: মতপ্রকাশের স্বাধীনতার অর্থ কি কাউকে এই সমাজ প্রত্যাখ্যান করার ও তার নিয়ম-কানুনসমূহ বর্জন করার কোন সুযোগ করে দেওয়া? দেশের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা অথবা শত্রুদের স্বার্থে গোয়েন্দাগিরি করা কি স্বাধীনতার অন্তর্ভুক্ত? এর অঙ্গসমূহে নৈরাজ্য সৃষ্টির পায়তারা করা এবং তার সম্মানের নিদর্শন ও পবিত্র স্থানসমূহ নিয়ে কটাক্ষ করা কি স্বাধীনতার ভেতরে পড়ে? মুসলিমদেরকে এই মিথ্যা নীতি গ্রহণ করে তুষ্ট হতে বলা নিঃসন্দেহে এক ধরনের বোকামি; আর মুসলিমদের নিকট যারা তাদের দীনের ভিতকে ধ্বংস করতে এবং তার পতাকাকে ভূলুণ্ঠিত করতে চায় তাদের জীবনের অধিকার রক্ষার আবদার রীতিমত বিস্ময়কর ব্যাপার!!
আর আমরা সর্বশক্তি দিয়ে বলছি যে, আকিদা-বিশ্বাস চুরি করা এবং সৎ-চরিত্র ও উত্তম আচরণের বিরোধিতা করা রীতিমত ইসলাম এবং তার কিতাব, তার নবী ও তার অনুসারীদের ঘৃণাকারী খ্রিষ্টান মিশনারি বিভিন্ন দল ও গোষ্ঠীর পেশায় পরিণত হয়েছে। তারা ক্লান্তহীনভাবে সমাজ ব্যবস্থার অবকাঠামোকে নড়বড়ে ও তাকে মৌলিকভাবে পরিবর্তন করে সম্পূর্ণ উল্টে ফেলার জন্য ফিতনা-ফাসাদ ও এর উপায়-উপকরণসমূহকে উষ্কে দিচ্ছে।
আমাদের অধিকার জোর গলায় প্রকাশের দাবী আরো নিশ্চিত করে ফ্রান্স, ব্রিটেন ও আমেরিকার মত ‘স্বাধীন মতপ্রকাশের’ রাষ্ট্রসমূহের সে নির্লজ্জ অবস্থান, যা আমরা প্রত্যক্ষ করছি, সে সব মুসলিমদের ব্যাপারে যারা প্রকাশ্যে নিজেদের ধর্মকে আঁকড়ে ধরছে এবং তাদের নারী-পুরুষগণ শালীন পোশাক-পরিচ্ছদ পড়তে শুরু করেছে। এতে মূলত তাদের (ফ্রান্স, ব্রিটেন ও আমেরিকার) বিদ্বেষ অতি মাত্রায় বেড়েছে; বিশেষ করে পর্দা সমস্যার প্রেক্ষাপটে ফ্রান্সের জনগণের বিদ্বেষ। তাদের নিয়ম-কানুনের মধ্যে প্রত্যেক ধর্মের অনুসারীদের নিজ নিজ ধর্ম পালন করার অধিকার দেয়া সত্ত্বেও শান্তি ও নিরাপত্তার যুক্তি দিয়ে তাদের সাধারণ শাসন ব্যবস্থায় তাদের এই নগ্ন অবস্থান। আমাদের আরও অধিকার রয়েছে সেটা স্মরণ করার, যা প্রকাশ্যে চলছে রাশিয়া ও বুলগেরিয়ার মত রাষ্ট্রে সংখ্যালঘু মুসলিমদের উপর; এর বাইরে পর্দার অন্তরালে তাদের উপর যা চলছে তার কথা আর কী-ই বা বলা যায়।
অতঃপর সমসাময়িক অনেক শাসন ব্যবস্থায় মৃত্যুদণ্ডের শাস্তির বিধান বিদ্যমান আছে; চাই তা মাদক চোরাকারবারীদের জন্য হউক অথবা অন্য কারও জন্য। আর তারা তো শুধু অপরাধ ও অপরাধ প্রবনতা কমানোর জন্য এবং সামগ্রিকভাবে সমাজকে দুর্নীতিমুক্ত রাখার জন্যই এ মৃত্যুদণ্ডের শাস্তি বলবৎ রেখেছে। কিন্তু তাদের কেউ এ কথা বলে না যে, ঐসব গোলযোগ সৃষ্টিকারীদের ব্যাপারে মৃত্যুদণ্ডের শাস্তি তাদের স্বাধীনতার সাথে সাংঘর্ষিক। কারণ, এ লোকগুলো তাদের স্বাধীনতার সীমা লঙ্ঘন করেছে, এমনকি অন্যের স্বাধীনতার উপর হস্তক্ষেপ করেছে অথবা সর্ব-সাধারণের সরল-সোজা শান্তিপূর্ণ স্বাভাবিক জীবনযাপনে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছে।
আর সেখানে তারা মৃত্যুদণ্ডের বিধান রেখেছে বড় ধরনের খিয়ানত অথবা অনুরূপ কোন অপরাধের জন্য; অথচ এ সমস্ত খ্রিষ্টান মিশনারী ও তাদের মত সংস্থাগুলো এটাকে স্বাধীনতার সাথে সাংঘর্ষিক বা সমালোচনার ক্ষেত্র মনে করে না। এসব আমাদেরকে তা-ই স্মরণ করিয়ে দিচ্ছে যা এ গ্রন্থের প্রথমে আমরা উল্লেখ করেছিলাম যে, তাদের এ সকল প্রশ্ন উত্থাপনের ব্যাপারে সৎ নিয়তে আমাদের সন্দেহ রয়েছে।
আর এই অনুচ্ছেদের শেষ প্রান্তে এসে ধর্মের অনুসরণ এবং ধর্ম ত্যাগের স্বাধীনতার প্রসঙ্গে আমি মুসলিমদের সাথে অপরাপর ধর্মের অনুসারীগণের আচরণগত অবস্থান, যুলুম-নিপীড়ন, ধর্মীয় গোড়ামী ও গোপন বিদ্বেষের কতিপয় জীবন্ত ঘটনার উদ্ধৃতি পেশ করছি, যা তারা যেখানে জয়লাভ করছে সেখানে তারা ঘটিয়েছে।
লেখক ‘গিবন’ বলেন:
“প্রভুর সেবক ক্রুসেডাররা ১০৯৯ খ্রিষ্টাব্দের ১৫ জুলাই যখন বাইতুল মাকদাসের কর্তৃত্ব গ্রহণ করে, তখন তারা প্রভুর সম্মানার্থে সত্তর হাজার মুসলিমকে জবাই করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে এবং সেই দিন তারা তিন দিন তিন রাত ধরে জবাইখানায় চলমান জবাই প্রক্রিয়ায় বৃদ্ধ, শিশু ও নারীদের প্রতি কোন প্রকার অনুকম্পা প্রদর্শন করে নি; তারা বাচ্ছা ছেলেদের মাথাগুলোকে দেয়ালের সাথে আছড়িয়ে টুকরা টুকরা করেছে, আর দুগ্ধ পানকারী শিশুদেরকে বাড়ির ছাদের উপর থেকে ফেলে দিয়েছে, আর পুরুষ ও নারীদেরকে আগুন দিয়ে ঝলসিয়ে দিয়েছে এবং তারা পেট চিরে যাচাই করে দেখেছে যে, সেখানকার অধিবাসীগণ কোন প্রকার স্বর্ণ গিলে ফেলেছে কিনা ...।” অতঃপর লেখক বলেন: “এত কিছুর পরেও তাদের জন্য কিভাবে শোভনীয় হয় যে, তারা বিনয়ের সাথে আল্লাহর নিকট বরকত ও ক্ষমা প্রার্থনা করে।” [আল-‘আলাকাতুদ দাউলিয়া লি কামিলেদ্ দাকস ( العلاقات الدولية لكامل الدقس ), পৃ. ৩৩৩]
আর ‘গুসতাফ লুবুন’ স্পেনের মুসলিমদের সাথে ইউরোপীয় খ্রিষ্টান সৈন্যগণের আচরণ প্রসঙ্গে বলেন:
“যখন ১৬১০ খ্রিষ্টাব্দে আরব মুসলিমদেরকে বিতাড়িত করল, তখন তাদেরকে ধ্বংস করার উদ্দেশ্যে সকল প্রকার পদ্ধতি অবলম্বন করেছিল; ফলে তাদের অধিকাংশকে হত্যা করা হয়েছে; আর এই নির্বাসনের মিয়াদকালে তিন মিলিয়ন মানুষকে হত্যা করা হয়েছিল। অথচ যখন আরবগণ স্পেন বিজয় করেছিল, তখন তারা সেখানকার অধিবাসীদেরকে তাদের ধর্মীয় স্বাধীনতা পরিপূর্ণভাবে ভোগ করার অধিকার দিয়েছিল এবং তারা তাদের সাথে প্রদত্ত প্রতিশ্রুতি ও তাদের নেতৃত্বের যথাযথ মূল্যায়ন ও সংরক্ষণ করেছিল ... আর আরবদের এই উদারতা স্পেনে তাদের দীর্ঘ শাসনকাল পর্যন্ত চলছিল; বর্তমানকালে এই ধরনের ঘটনা মানুষের মাঝে খুব কমই সংঘটিত হয়ে থাকে।” [দেখুন: জোসতাফ লুবুন, হাদারাতুল ‘আরব ( حضارة العرب ), পৃ. ২৭৯]
আর আমাদের আজকের এই দিনগুলোতে ফিলিস্তিনের অধিবাসীগণ কেন্দ্রীক ইয়াহূদীদের সনদ বা চুক্তিপত্রে আমরা পাঠ করি:
“হে ইসরাঈলের বংশধরগণ! তোমরা সৌভাগ্যবান হও এবং ভালভাবে আনন্দ প্রকাশ কর; অচিরেই এমন এক সময় আসছে, যাতে আমরা এসব পশুগুলোকে তাদের আস্তাবলে (পশুশালায়) একত্রিত করব, তাদেরকে আমাদের ইচ্ছার অধীন করব এবং আমাদের খেদমত তথা সেবা করার জন্য নিয়োজিত করব।” [দেখুন: আবদুর রহমান আল-ময়দানী, মাকায়েদু ইয়াহুদীয়া ‘আবরাত্ তারীখ ( مكايد يهودية عبر التاريخ ), পৃ. ৪৪৬ এবং তৎপরবর্তী পৃষ্ঠা, যা জাওয়াদ রাফাত কর্তৃক প্রকাশিত তার ইসলাম ও বনু ইসরাঈল ( الإسلام و بنو إسرائيل ) নামক গ্রন্থের ‘ঐতিহাসিক ইহুদী চুক্তিপত্র’ থেকে উদ্ধৃত।]
সমাজতান্ত্রিক দেশ রাশিয়ার মধ্যে সরকার তুর্কিস্তান প্রদেশে চৌদ্দ হাজার মাসজিদ বন্ধ করে দিয়েছে, আর ওরাল অঞ্চলে বন্ধ করে দিয়েছে সাত হাজার মাসজিদ এবং ককেশাস অঞ্চলে বন্ধ করে দিয়েছে চার হাজার মাসজিদ। আর এসব মাসজিদের অধিকাংশই পতিতালয়, মদের দোকান, অশ্বশালা ও চতুষ্পদ জন্তুর খোঁয়াড়ে পরিণত হয়েছে; আর এর উপরে রয়েছে মুসলিম সম্প্রদায়ের শারীরিক নির্যাতন ও নিষ্পেষণের খবর। আর আমাদের জন্য এটা জানাই যথেষ্ট যে তারা বিভিন্ন প্রকারের শাস্তি ও হত্যাযজ্ঞের মাধ্যমে ২৫ (পঁচিশ) বছরের ব্যবধানে ২৬ (ছাব্বিশ) মিলিয়ন মুসলিমকে হত্যা করছে।
আর রাশিয়ান বলয়ের কমিউনিষ্ট রাষ্ট্রসমূহ তার (রাশিয়ার) নীতির পূর্ণ অনুসরণ করেছে; সুতরাং এক যুগোশ্লাভিয়ায় ‘টিটু’ প্রায় এক মিলিয়ন মুসলিমকে নিঃশেষ করে দিয়েছে।
আর এই বর্তমান বছরসমূহের মধ্যে ফিলিপাইন, ইন্দোনেশিয়া ও পূর্ব আফ্রিকায় সকল ইসলামী আন্দোলন ও ইসলামের দিকে আহ্বানকারীদের সাথে প্রকাশ্যভাবে দমন ও নিপীড়ন চলছে; তাছাড়া অনেক রাষ্ট্রে গোপনীয় কায়দায় তো আছেই।
সুতরাং তুমি স্বাধীনতা দেখতে পাচ্ছ কোথায়? তুমি কি দেখতে বা বুঝতে পাচ্ছ, কে পক্ষপাতিত্বকারী, গোঁড়া ও সাম্প্রদায়িক এবং কে সহিষ্ণু ও উদার??
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/602/8
রিডিং সেটিংস
Bangla
English
Bangla
Indonesian
Urdu
System
System
Dark
Green
Teal
Purple
Brown
Sepia
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
Kfgq Hafs
Qalam
Scheherazade
Kaleel
Madani
Khayma
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
Kalpurush
Rajdip
Bensen
Ekushe
Alinur Nakkhatra
Dhakaiya
Saboj Charulota
Niladri Nur
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।