hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

ইসলামের কিছু আলোচিত বিষয়ে অগ্রহণযোগ্য বিভ্রান্তি

লেখকঃ শাইখ সালেহ ইবন আবদুল্লাহ আল-হুমাইদ

১৪
নারী
দাসপ্রথার ব্যাপারে যা বলা হয়েছে, নারীদের ব্যাপারেও তাই বলা যায়। কারণ, ইয়াহূদী এবং খ্রিষ্ট ধর্মের অনুসারীদের পক্ষ থেকে নারীদের নিয়ে কোনো আলোচনা করার অধিকার নেই; কেননা তাদের ধর্মে নারী অধিকারের প্রসঙ্গে যে বক্তব্য রয়েছে, তা খুবই মন্দ জিনিস। তারা নারীর অধিকারসমূহকে আত্মসাৎ করেছে এবং তারা তাকে পৃথিবীর মধ্যে সকল অন্যায় ও অপরাধের উৎস বলে বিবেচনা করেছে; আর মালিকানা ও দায়িত্বের ক্ষেত্রে তার অধিকার হরণ করেছে। একজন নারী তাদের মাঝে বসবাস করে অপমান, তুচ্ছ ও নাজেহাল অবস্থার মধ্যে; আর তারা তাকে অপবিত্র সৃষ্টি মনে করে।

আর তাদের নিকট বিয়ে-শাদী মূলত একটা ক্রয়-বিক্রয় চুক্তি, যে ব্যবস্থাপনায় নারী তার স্বামীর অন্যান্য মালিকানাধীন বস্তুর মত একটা সম্পত্তিতে পরিণত হয়। এমনকি তাদের কোন কোন সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছিল নারী ও তার রূহ বা আত্মাকে নিয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য— সে কি মনুষ্যজাতির অন্তর্ভুক্ত, নাকি না?!

বরং হয়ত নিজেদেরকে আসমানী শিক্ষার সাথে সম্পৃক্তকারী (নাউযুবিল্লাহ) এই ইয়াহূদী ও খ্রিষ্টানদের তুলনায় প্রথম দিকের জাহেলী আরবগণ অন্যায়ভাবে নারীদের উপর অনেক কম বলপ্রয়োগ ও নিপীড়ন করেছে।

আর সে জন্যেই খ্রিষ্টানদের ব্যাপারে আমাদের কৌতুহল মাথাচাড়া দিয়ে উঠে; কিভাবে তারা ইসলামী শরী‘আত ও সমাজ ব্যবস্থায় নারীদের অবস্থান নিয়ে প্রশ্ন উত্থাপন করে?!

কারণ পাশ্চাত্য সভ্যতা ও তার চোখ ধাঁধানো যেসব চাকচিক্য ও চমক রয়েছে, সে ব্যাপারে ইয়াহূদী ও খ্রিষ্টানদের কোন ভূমিকা নেই [অর্থাৎ পাশ্চাত্যে নারীদের উন্নতি!র বিষয়টি বলা হয়ে থাকে, তা ইয়াহূদী বা খ্রিষ্টানদের সৃষ্ট নয়; সেটি মূলত: ইয়াহূদী ও খ্রিষ্টানদের শিক্ষাকে পাশ কাটিয়ে সৃষ্ট হয়েছে। আর যাতে রয়েছে অনেক বিপর্যয়; যদিও বাহ্যিকভাবে তা অনেককেই চমৎকৃত করে।]।

তা সত্ত্বেও আমরা মুসলিমগণ এসব হৈ-চৈ সৃষ্টিকারী [পাশ্চাত্য সভ্যতার ধ্বজাধারী] দের পিছনে চলি না এবং [পাশ্চাত্যের] আধুনিক নারীসমাজ যে পদ্ধতির উপর প্রতিষ্ঠিত আমরা তা সমর্থন করি না।

আমাদের দ্বীনে নারীগণ আমাদের মা, বোন ও কন্যা হিসেবে সম্মান ও মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত। আর আমাদের নিকট নারীদের অবস্থান ও মর্যাদা বর্ণনায় অনেক বিশুদ্ধ ও সুস্পষ্ট ধর্মীয় বক্তব্য রয়েছে, যেগুলোর সুস্পষ্ট আগমন হয়েছে আজ থেকে চৌদ্দশত বছরেরও অধিক সময় পূর্বে, যখন সারা দুনিয়া পূর্ব ও পশ্চিম জুড়ে জাহেলিয়াতের অন্ধকারে ডুবে ছিল; নারীর অধিকার ছিল খুবই নগণ্য; বরং তার কোন অধিকারই স্বীকৃত ছিল না।

আর এসব প্রশ্নের জবাবের ভূমিকায় আমি যা বলেছি, এখানে সেটারই তাগিদ দিয়ে বলছি যে, “আমরা কোন নমুনা বা আদর্শের উপর ঐক্যমত পোষণ করব [অর্থাৎ নারীদের ব্যাপারে কোনটি আমাদের কাছে মডেল হবে, ইয়াহূদী, খ্রিষ্টানদের কথা, নাকি পাশ্চাত্য সভ্যতা, নাকি অন্য কিছু, যা দেখে বা যার দিকে আমরা আমাদের নারী-সমাজকে নিয়ে যাব? –সম্পাদক।]?”

ইয়াহূদী ও খ্রিষ্টানদের ধর্মে যা আছে, তা সর্বজনবিদিত এবং তা সকলের নিকট অপছন্দনীয়; কারণ, [নারীদের ব্যাপারে] যে সকল প্রশ্ন এখানে করা হয়েছে উভয় ধর্মেই এসব উত্থাপিত প্রশ্নের কোন জবাব নেই।

আর আধুনিক সভ্যতা, তার মাঝে বিশেষ করে নারী সংশ্লিষ্ট বিষয়ে বহু মন্দ দিক রয়েছে, আমাদের দ্বীনে সেই [মন্দ দিক] নেই। আর এতে যেসব ভাল দিক রয়েছে, আমাদের দ্বীন তার বিরোধিতা করে না।

বিষয়টি অধিক সুস্পষ্ট করার জন্যই আমরা শিক্ষার ময়দানেই একবার ঢুঁ মেরে দেখি।

যার দ্বারা এই সভ্যতা স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্যের অধিকারী হয়েছে, তার অনেকাংশই হল জ্ঞান-বিজ্ঞান, শিক্ষা ও এর দিকে আহ্বানের প্রতি গুরুত্বারোপ করা এবং এর জন্য অধিকহারে বিভিন্ন কর্মসূচী ও উপায়-উপকরণ গ্রহণ করা; আর তা সর্বজনবিদিত। আর আমরাও পরিষ্কারভাবে বলি যে, আমাদের ধর্মে বিদ্যা অর্জন একটি প্রশংসনীয় উদ্যোগ; বরং তার কোন কোন দিক বাধ্যতামূলক ফরয, যা পরিত্যাগকারী অপরাধী বলে বিবেচিত হবে, চাই সে পুরুষ হউক অথবা নারী।

সমতার ব্যাপারে আমরা যে আলোচনা করেছি, সে দৃষ্টিকোণ থেকে প্রত্যেক শ্রেণীর যে দায়িত্ব ও কর্তব্য নির্ধারিত হয়েছে, সে অনুযায়ী শিক্ষার ক্ষেত্রে নারী পুরুষের মতোই। কিন্তু আমাদের তো প্রশ্ন করার অধিকার আছে যে, শিক্ষার সাথে উন্মুক্ত রূপচর্চা, সৌন্দর্য প্রকাশ, আকর্ষণীয় অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ প্রকাশ এবং বক্ষ ও উরু উন্মুক্ত করার কী সম্পর্ক রয়েছে? আঁটসাঁট, খাট ও শরীর দেখা যায় এমন পাতলা পোশাক পরিধান করাটা কি শিক্ষার কোন উপকরণের আওতায় পড়ে?

অন্যদিকে: এটা কোন্ ধরনের সম্মান ও মর্যাদার বিষয়, যখন বিজ্ঞাপন, প্রচারমাধ্যম এবং প্রত্যেক ক্ষেত্রেই নারী দেহের সৌন্দর্যের ছবি দেওয়া হয়? তাদের নিকট শুধু সৌন্দর্যের বাজার গরম; যখন তার সৌন্দর্য ও সাজসজ্জার বয়স শেষ হয়ে যায়— যেভাবে কোন যন্ত্রের কার্যক্ষমতা শেষ হলে তা পরিত্যক্ত করা হয়, তখন তাকে এমনভাবেই ফেলে দেওয়া হয়।

এই সভ্যতার মধ্যে কম-সুন্দরীর ভাগ্য কী? আর কীই বা আছে ভাগ্যে বয়স্কা মাতা ও বৃদ্ধা দাদী-নানীর? তার আশ্রয়স্থল তো বৃদ্ধাশ্রম, যেখানে তার সাথে কেউ দেখা-সাক্ষাত করে না এবং জিজ্ঞাসা করা হয় না তার কোন খোঁজখবর। হয়তো তার ভাগ্যে জুটে কিছু অবসরভাতা কিংবা সামাজিক বীমা বা নিরাপত্তমূলক ভাতা, যার থেকে সে মৃত্যু পর্যন্ত আহার করে। সেখানে নেই কোন আত্মীয়তা, নেই সৌহার্দ্য বা অন্তরঙ্গ বন্ধু।

অথচ ইসলামে নারীর অবস্থা হল, যখন তার বয়স বেড়ে যাবে, তখন তার সম্মান বৃদ্ধি পাবে এবং তার অধিকার আরও বড় হবে। অর্থাৎ, সে তার উপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করেছে; আর পুত্র, নাতী, তার পরিবার-পরিজন ও সমাজের নিকট তার অধিকার অবশিষ্ট রয়েছে।

সম্পদ, মালিকানা, দায়িত্বের ক্ষেত্রে এবং ইহকালীন ও পরকালীন পুরস্কার বা সওয়াব ও শাস্তির ব্যাপারে নারী ও পুরুষের অধিকার সমান। তবে শরী‘আতের কিছু কিছু বিধিবিধানের ক্ষেত্রে পুরুষ ও নারীর মধ্যে যে ভিন্নতা রয়েছে তা প্রাকৃতিকভাবেই স্বীকৃত, যে ব্যাপারে আমরা সমানাধিকার প্রসঙ্গে আলোচনার মধ্যে বিস্তারিত বলেছি। তবে আমরা এখানে উত্তরাধিকার, অসিয়ত (Will) ইত্যাদি বিষয়ে উত্থাপিত কিছু প্রশ্ন নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন