মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
আসসালামু আলাইকুম, Hadith.one বন্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে! আমাদের সার্ভারের মেয়াদ ১১ অক্টোবর ২০২৫ এ শেষ হবে, এবং এবং ওয়েবসাইট টি চালানোর জন্য আমাদের কোনো ফান্ড নেই।
🌟 আপনার দান এই প্ল্যাটফর্মকে বাঁচাতে পারে এবং প্রতিটি হাদিস পড়ার মাধ্যমে সদকাহ জারিয়ার অংশীদার হতে পারেন!
🔗 অনুগ্রহ করে আপনার দানের মাধ্যমে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি চালিয়ে নিতে সাহায্য করুন!
জাযাকাল্লাহু খাইরান!
ধর্ম ও জাতি সম্পর্কে এই বিস্তারিত আলোচনার পর সুস্পষ্ট হয়ে গেল যে, ইসলাম একটি সংকীর্ণ ধর্ম নয় এবং ইসলামের অনুসারীগণ নিজেদের মধ্যে সীমাবদ্ধ কোন জাতি নয়। আর তার উপর ভিত্তি করেই সত্যকে প্রকাশ, প্রচার ও সম্প্রসারণের জন্য জিহাদকে শরী‘আতের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, যাতে সকল মানুষ ইসলামের মধ্যে প্রবেশ করে।
আর এ পর্যায়ে মনোযোগ আকর্ষণ করা যুক্তিযুক্ত হবে যে, ইসলামী পরিভাষা হচ্ছে الجهاد (জিহাদ)। الحرب (যুদ্ধ) অথবা القتال (মারামারি) নয়।
কারণ, الحرب (যুদ্ধ) শব্দটি দ্বারা অধিকাংশ সময় এমন যুদ্ধ বুঝানো হয়, যার লেলিহান শিখা জ্বলে উঠে এবং আগুন ছড়িয়ে পড়ে ব্যক্তিগত, জাতিগত ও বস্তুগত উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য ব্যক্তি, দল ও গোত্রসমূহের মধ্যে। পক্ষান্তরে ইসলাম কর্তৃক অনুমোদিত যুদ্ধ এরূপ উদ্দেশ্য বা স্বার্থ হাসিলের জন্যে নয়।
ইসলাম এক সম্প্রদায়কে বাদ দিয়ে অন্য সম্প্রদায়ের স্বার্থের প্রতি দৃষ্টি দেয় না এবং এক জাতিকে বাদ দিয়ে অন্য জাতির উন্নতি বিধান করাও ইসলামের উদ্দেশ্য নয়; আর তার কাছে এটা কোন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নয় যে, কোন শাসক কোন ভূমির মালিকানা লাভ করেছে এবং তার উপর কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করেছে। বরং ইসলামের উদ্দেশ্য হল মানুষের সৌভাগ্য ও সফলতা। সুতরাং এ ছাড়া অন্যসব লক্ষ্য-উদ্দেশ্যকে ইসলামে বিবেচনা করা হয় না; বরং এ জাতীয় চিন্তা-ধারা প্রতিরোধে ইসলাম বদ্ধ-পরিকর, যাতে গোটা দীন তথা জীবনব্যবস্থা আল্লাহর জন্য হয়ে যায়; গোটা পৃথিবী আল্লাহর জন্য হয়ে যায় এবং আল্লাহর নেক বান্দাগণ যাতে পৃথিবীর ওয়ারিশ হয়। আর এই সবের জন্যই ইসলামী জিহাদ পরিচালিত হয়; এই জন্য নয় যে, কোন জাতি এককভাবে সকল কল্যাণকে কুক্ষিগত করবে, অথবা এককভাবে সকল সম্পদ করায়ত্ত করবে; বরং ইসলামী জিহাদের উদ্দেশ্য হলো যাতে গোটা মানবজাতি ইসলামের পতাকাতলে মানবিক সফলতা অর্জনের মাধ্যমে সৌভাগ্যবান হয়।
এ লক্ষ্য বাস্তবায়নের জন্যই বিচক্ষণতা, উত্তম উপদেশ ও সর্বোত্তম পন্থায় বিতর্কের মাধ্যমে সকল প্রকার শক্তি ও উপায়-উপকরণ প্রয়োগ করা হয়। এরপরই আসে ব্যাপক ও গভীর অর্থবোধক ‘জিহাদ’ শব্দটি।
জিহাদ, যার অর্থ সর্বোচ্চ চেষ্টা ও শক্তি-সামর্থ্য ব্যয় করা, এই শব্দটির অর্থ ব্যাখ্যা এবং তাকে অন্যান্য সমার্থবোধক শব্দের উপর নির্বাচন করার তাৎপর্য বিশ্লেষণ করার পর ইসলামী পরিভাষায় তার সাথে যুক্ত একটি বাক্যাংশের প্রতি মনোযোগ আকর্ষণ করা প্রয়োজন। আর তা হচ্ছে, ‘ في سبيل الله (আল্লাহর পথে)’ বাক্যাংশটি।
নিশ্চয় তা স্পষ্টভাবে এই ইসলামী শক্তির উদ্দেশ্য-লক্ষ্যকে নির্ধারণ করে দেয়। এটা এমন শর্ত, যার থেকে কখনও বিচ্ছিন্ন হওয়ার সুযোগ নেই; বরং যদি তার থেকে আলাদা হয়, তবে পরিভাষাটি বাতিল হয়ে যাবে, বিষয়টি নষ্ট হয়ে যাবে এবং মূল উদ্দেশ্যের বিলুপ্তি ঘটবে।
في سبيل الله (আল্লাহর পথে) মানে হল, মুসলিম ব্যক্তির প্রত্যেকটি কাজই সম্পাদিত হওয়ার পিছনে যখন সর্বপ্রথম উদ্দেশ্য হবে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন, অতঃপর উদ্দেশ্য হবে সর্বসাধারণের কল্যাণ সাধন ও জাতির সুখ-সমৃদ্ধি, তখন তা ‘আল্লাহর পথে’ বলে গণ্য হবে। সুতরাং ভাল ও কল্যাণকর কাজে অর্থ খরচের ক্ষেত্রে যখন তার দ্বারা দানকারীর উদ্দেশ্য হয় দুনিয়ার ফায়দা হাসিল করা অথবা জনসাধারণের প্রশংসা কুড়ানো, তবে তা ‘আল্লাহর পথে’ বলে গণ্য হবে না; সে যদিও তা মিসকিন অথবা নিঃস্বকে দান করে।
في سبيل الله (আল্লাহর পথে) এমন একটি পরিভাষা, যা এমন কর্মকাণ্ডের উপর প্রযোজ্য, যে কর্মকাণ্ড সম্পাদিত হয়েছে কোন প্রকার খেয়াল-খুশি ও কুপ্রবৃত্তির মিশ্রণ ছাড়াই একনিষ্ঠভাবে আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে। আর জিহাদের ক্ষেত্রে এই শর্তারোপ করা হয়েছে শুধুমাত্র এই অর্থকে বুঝানোর জন্যই। সুতরাং সঠিক ইসলামী জিহাদের জন্য আবশ্যক হল, তা সকল প্রকার বৈষয়িক উদ্দেশ্য, খেয়াল-খুশি, অথবা ব্যক্তিগত ঝোঁক-প্রবণতা থেকে মুক্ত থাকবে; একটি সুবিচারপূর্ণ শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা ছাড়া অন্য কোন উদ্দেশ্য থাকবে না, যেখানে মানুষ ইনসাফ প্রতিষ্ঠা করবে, সত্যকে সম্প্রসারিত করবে এবং ন্যায়নীতির সহায়তা করবে।
আর আল-কুরআনের বক্তব্যে রয়েছে;
﴿ ٱلَّذِينَ ءَامَنُواْ يُقَٰتِلُونَ فِي سَبِيلِ ٱللَّهِۖ وَٱلَّذِينَ كَفَرُواْ يُقَٰتِلُونَ فِي سَبِيلِ ٱلطَّٰغُوتِ ﴾ [ سورة النساء : 76]
“যারা মুমিন তারা আল্লাহর পথে যুদ্ধ করে এবং যারা কাফির তারা তাগূতের পথে যুদ্ধ করে।” — (সূরা আন-নিসা: ৭৬)
আর হাদিসে নববীর বক্তব্যরে মধ্যে রয়েছে:
« من قاتل لتكون كلمة الله هي العليا فهو في سبيل الله عز و جل» ( البخاري و مسلم و أبو داود و النسائي و ابن ماجه و أحمد ).
“যে ব্যক্তি আল্লাহর কথাকে সমুন্নত করার জন্য যুদ্ধ করে, সে আল্লাহ পথে যুদ্ধ করে। ...” —(বুখারী, কিতাবুল ‘ইলম, বাব নং- ৪৫, হাদিস নং- ১২৩; একইভাবে বর্ণনা করেন ইমাম মুসলিম, আবূ দাউদ, নাসাঈ, ইবনু মাজাহ ও আহমদ)।
আর এই অর্থের বর্ণনা, তার প্রতি দৃঢ়তা ও তার প্রতি বাধ্যবাধকতার প্রয়োজনীয়তার বর্ণনা দ্বারা আল-কুরআন ও সুন্নাহ পরিপূর্ণ।
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/602/22
রিডিং সেটিংস
Bangla
English
Bangla
Indonesian
Urdu
System
System
Dark
Green
Teal
Purple
Brown
Sepia
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
Kfgq Hafs
Qalam
Scheherazade
Kaleel
Madani
Khayma
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
Kalpurush
Rajdip
Bensen
Ekushe
Alinur Nakkhatra
Dhakaiya
Saboj Charulota
Niladri Nur
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।