hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

ইসলামের কিছু আলোচিত বিষয়ে অগ্রহণযোগ্য বিভ্রান্তি

লেখকঃ শাইখ সালেহ ইবন আবদুল্লাহ আল-হুমাইদ

১৯
শরী‘আত বাস্তবায়ন
ইসলামী রাষ্ট্রে অমুসলিমদের ক্ষেত্রে শরী‘আতের বিধি-বিধান বাস্তবায়নের দু’টি দিক রয়েছে:

প্রথমত: যা ব্যক্তিগত ও পারিবারিক অবস্থার সাথে সম্পর্কিত; এখানে প্রত্যেক ধর্মের রয়েছে আলাদা আকিদা-বিশ্বাস। আর ইসলামের সুদীর্ঘ ইতিহাসে ইয়াহূদী, খ্রিষ্টান ও অন্যান্য ধর্মের অনুসারীরা জীবনযাপন করেছে, অথচ তাদের কোন ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় নি। ইসলামী রাষ্ট্রের দুর্বলতার সময়েও নয়, সবল অবস্থায়ও নয়। সব জাতি-ই বিজয়ী মুসলিমদেরকে ভালোভাবে স্বাগত জানিয়েছে। এর প্রমাণ হল, ইসলামী রাষ্ট্রের দুর্বলতার সময়ে তাদের কেউই তার ইসলাম ত্যাগ করে নি, বরং আজকের এই দিন পর্যন্ত তারা তা দৃঢ়তার সাথে ধরে রেখেছে, সব ষড়যন্ত্র প্রতিরোধ করছে এবং আত্মমর্যাদার সাথে টিকে আছে। তাদের মধ্যে ইন্ডিয়ান, তুর্কি, মাগরেবী, আরব ও অন্যান্য জাতি অন্যতম।

অন্যদিকে ইউরোপীয় উপনিবেশ শাসকদের ক্ষেত্রে তাদের অবস্থান ছিল তার উল্টো। তাদের উপনিবেশের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত প্রচণ্ড সংগ্রাম চলছিল এবং এই উপনিবেশ থেকে মুক্তি পাওয়াটাকে ‘স্বাধীনতা’ নামে নামকরণ করা হয়েছিল; অথচ মুসলিম জাতিদের এরূপ অবস্থান ইসলামের প্রতি এক দিনের জন্যও সৃষ্টি হয় নি।

দ্বিতীয়ত: ব্যক্তিগত ও পারিবারিক আইন ব্যতীত অন্যান্য ক্ষেত্রে। এই ধরনের বিধিবিধানগুলো লেনদেন বিষয়ক, অপরাধ বিষয়ক ইত্যাদি হয়ে থাকে। ইসলাম ব্যতীত অপরাপর আইন-কানুনের ক্ষেত্রে এগুলোকে যেভাবে দেখা হয়, এ ক্ষেত্রেও একইভাবে দেখা-ই ইনসাফভিত্তিক দৃষ্টিভঙ্গি।

আর প্রত্যেক আইন-কানুনের মূল বিষয়ই তো বৈধতা ও অবৈধতা। অথচ আপনি স্পষ্ট সীমালঙ্ঘন লক্ষ্য করবেন যে, প্রশ্ন তৈরিকারক ব্যক্তি শরী‘আত বাস্তবায়নকে স্বৈরাচারী বা একনায়কতন্ত্র বলে আখ্যায়িত করছে। যেখানে প্রত্যেক আইন-কানুনই বাস্তবায়নের সময়ে শক্তিপ্রয়োগ করে বাস্তবায়ন করতে হয়, যাকে তাদের পরিভাষায় “আইনের প্রতি শ্রদ্ধা” নামে আখ্যায়িত করা হয়। তাই, কোনো রাষ্ট্র বা সরকার যখন আইন-কানুন বাস্তবায়ন ও প্রয়োগের প্রত্যয় ব্যক্ত করে, তখন তা কি স্বৈরতন্ত্র বা একনায়কতন্ত্র হতে পারে??

আর আমার জিজ্ঞাসা হচ্ছে, ধরা যাক, মিসর ও সুদানের মতো দেশে যদি শরী‘আত বাস্তবায়ন হয়; সে দু‘দেশের অধিবাসীদের মধ্যে যে খ্রিষ্টান জনগোষ্ঠী আছে, তখন যদি তাদের ব্যক্তিগত ও পারিবারিক বিষয়সমূহে তাদের ধর্মীয় নিয়মনীতির আলোকে পরিচালনার নিশ্চয়তা দেওয়া হয়, যেমনিভাবে মুসলিমদেরও স্বতন্ত্র পারিবারিক আইন-কানুন রয়েছে; তারপরেও (অর্থাৎ পারিবারিক আইন ছাড়া অন্যান্য বিষয়ে) এ দুই দেশের খ্রিষ্টানগণ কোন্ আইন চায়? তারা কি ফরাসি, জার্মানি, ইতালি অথবা ইংরেজদের আইন চায়?

ইনসাফের দৃষ্টিতে এবং নিরপেক্ষ যৌক্তিক দেশপ্রেমী দৃষ্টিকোণ থেকে বলা যায়, তাদের উচিত মিসরি অথবা সুদানি আইনের দিকে ধাবিত হওয়া, যদি তারা দেশপ্রেমিক হন। একজন মিসরি খ্রিষ্টান ফরাসি আইন কেন চাইবে? একজন সুদানি খ্রিষ্টান, ইংরেজ আইন কেন দাবি করবে? পারিবারিক আইন এবং ধর্মীয় উপাসনা ব্যতীত অন্যান্য প্রশাসনিক ও ব্যবসায় আইন-কানুন এবং দণ্ডবিধির ক্ষেত্রে এক (দেশের) আইনের সাথে অন্য (দেশের) আইনের বিভিন্নতা রয়েছে, যদিও কোনো কোনো ধারা ও বিধান একই রকম। এসবের মাধ্যমেই আপনি বুঝতে পারবেন ইসলামী শরী‘আতের বিপক্ষে সাদা-সাহেবদের সভ্যতার পক্ষে কীরূপ চরম পক্ষপাতমূলক আচরণ ও বৈষম্য করা হয়ে থাকে।

বিভিন্ন রাষ্ট্রের আইন-কানুনের বিভিন্নতা একটি সুপরিচিত ও সর্বজনবিদিত বিষয়। কিন্তু শাসন থেকে শরী‘আতকে দূর করার জোর গলায় দাবি জানানোর পিছনে দু’টি কারণের কোনো একটি কারণ রয়েছে:

প্রথম কারণ এই যে, শরী‘আতের নিয়ম-কানুন বাস্তবায়িত হলে, তার মধ্যে বিদ্যমান সার্বিক পরিপূর্ণতা ও যথার্থতার ফলে তা তার অনুসারীদেরকে পরিপূর্ণ মুক্তি ও হারানো স্বাধীনতা ফিরিয়ে দেবে।

অন্য একটি কারণ হচ্ছে, এই দাবি শুধু স্বৈরাচার, যার দ্বারা উদ্দেশ্য হল কোনো অঞ্চলে উষ্কানি ও গোলযোগ সৃষ্টি করা, যাতে এর মাধ্যমে সেই অঞ্চল অস্থিতিশীল থাকে এবং ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করা সহজ হয়।

শরী‘আতের বাস্তবায়নে কীভাবে স্বৈরতন্ত্র বা একনায়কতন্ত্র হয়?! দূরের ও নিকটের সকলেই জানেন যে, ইসলামী শরী‘আতের বাস্তবায়নের ব্যাপারে যে গণভোটই অনুষ্ঠিত হয়, তাতে অধিকাংশই শরী‘আত বাস্তবায়নের পক্ষে মত দেয়; কিন্তু ‘সংখ্যালঘুদের অধিকার সংরক্ষণের’ ধুয়া তুলে শুধু সাদা-চামড়ার সাহেবরাই তা চায় না। অন্যদিকে, যে কেউই প্রশ্ন উত্থাপন করতে পারে যে, আফ্রিকার অনেক রাষ্ট্রে ‘সংখ্যাগরিষ্ঠের অধিকার’ কোথায়, যেসব রাষ্ট্র পরিচালনা করে বাইরের শক্তি সমর্থিত স্বৈরাচারী ক্ষমতাবান সংখ্যালঘু খ্রিষ্টানেরা?

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন