hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর বহুবিবাহ

লেখকঃ শাইখ মুহাম্মদ আলী সাবুনী

২৩
১-খাদীজা বিনতে খুওয়াইলিদ রা.
খাদীজা রা. হলেন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর প্রথম স্ত্রী। নবুওয়ত লাভের পূর্বে ২৫ বছর বয়সে তিনি তাকে বিবাহ করেন। তখন খাদিজা ছিলেন ৪০ বছর বয়স্ক বিধবা মহিলা।

প্রথমত: তিনি আবু হালা নামক এক ব্যক্তির স্ত্রী ছিলেন। সে মারা গেলে আতিক বিন আয়েয তাকে বিবাহ করেন। আতিক মৃত্যু বরণ করার পর তিনি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হোন। (আল ইসাবাহ)

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাকে পছন্দ করেন তার বিচার-বুদ্ধি, বিচক্ষণতা ও প্রখর বুদ্ধিমত্তার কারণে। এ বিবাহ ছিল দারুণ বিচক্ষণতার পরিচায়ক। এখানে মূলত: দুটি বিবেকের সমন্বয় ঘটেছে। ফলে তাদের দু জনের মাঝে বয়স কোন প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করতে পারে নি। কারণ এতে কেবল কামনা-বাসনা চরিতার্থ করা উদ্দেশ্য ছিল না বরং ছিল এক মহৎ উদ্দেশ্য।

আল্লাহ তাআলা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কে রিসালাতের দায়িত্ব পালন এবং দাওয়াতের ক্ষেত্রে কষ্ট শিকারে জন্যই প্রস্তুত করেছিলেন। এই দাওয়াতি কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে এবং রিসালাতের মর্মবাণীকে প্রসারের জন্য মহিমাময় আল্লাহ এই বিচক্ষণ, বুদ্ধিমতী,পূত-পবিত্র,সতীসাধ্বী নারীকে সহজেই তাকে মিলিয়ে দিয়েছিলেন।

মহিলাদের মধ্যে তিনি সর্ব প্রথম ঈমান এনেছিলেন। তার প্রখর বুদ্ধিমত্তা ও সঠিক বিশ্লেষণ ক্ষমতা প্রতীয়মান হয় যখন হেরা গুহায় অবস্থানের সময় রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর নিকট জিবরাঈল আ. আগমন করলেন এবং ভয়ে ভীত হয়ে প্রকম্পিত হৃদয়ে তিনি খাদিজার নিকট এসে বলতে লাগলেন, زملوني زملوني

“আমাকে কম্বল জড়িয়ে দাও, আমাকে কম্বল জড়িয়ে দাও।”

অবশেষে তার ভয় কেটে গেলে খাদিজা রা. নিকট ঘটনার বিবরণ দিয়ে বললেন: “আমার তো জীবনের ভয় ধরে গেছে।”

তিনি বললেন: “আপনি আশ্বস্ত হোন। আল্লাহর কসম,আল্লাহ আপনাকে কখনোই লাঞ্ছিত করবেন না। আপনি তো আত্মীয় স্বজনের সাথে ভালো ব্যবহার করেন,সত্য কথা বলেন, আমানতের হিফাজত করেন,অসহায় লোকদের দায়িত্ব গ্রহণ করেন,নিজে উপার্জন করে অভাবীদেরকে দান করেন। আতিথ্য রক্ষা করেন এবং ভালো কাজে সহযোগিতা করেন।”(বুখারী ও মুসলিম)

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তার যৌবনের পুষ্পিত কালটি খাদিজার সাথে কাটিয়েছেন। তিনি থাকা কালীন অন্য কোন বিবাহ করেন নি। তার মত আর কাউকে ভালবাসেন নি।

আয়েশা রা. যদিও খাদীজা রা. কে কখনও দেখেন নি বা তার সাথে থাকেন নি তবুও তার প্রতি ঈর্ষা করতেন। এমন কি একবার খাদিজা রা. এর ব্যাপারে আলোচনা করতে নিয়ে তিনি একবার ধৃষ্টতাপূর্ণ মন্তব্য করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন,

“অতীতে তো আপনার এক বৃদ্ধা ছিল। আল্লাহ কি তার চেয়েও উত্তম আপনাকে দান করেন নি?” নিজেকে উদ্দেশ্য করে তিনি একথা বলেছিলেন।

একথা শুনে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম রেগে গিয়ে বললেন: “না, আল্লাহর কসম, আল্লাহ তার চেয়ে উত্তম কাউকে দেন নি। সকল মানুষ যখন আমাকে অস্বীকার করেছিল তখন তিনি আমাকে বিশ্বাস করেছিলেন। সকল মানুষ যখন আমাকে মিথ্যা বলে উড়িয়ে দিয়েছিল তখন তিনি আমাকে সত্যবাদী বলে মেনে নিয়েছিলেন। সকল মানুষ যখন আমাকে বঞ্চিত করে ছিল তখন তিনি আমাকে তার অর্থ-সম্পদ দিয়ে সাহায্য করেছিলেন। আল্লাহ তার মাধ্যমে আমাকে সন্তান-সন্ততি দান করেছেন; অন্য কোন স্ত্রীর মাধ্যমে দেন নি।”

মা আয়েশা রা. বলেন: তারপর থেকে আমি কখনও তাঁর ব্যাপারে খারাপ মন্তব্য করি নি।

আয়েশা রা. হতে ইমাম বুখারী ও মুসলিম আরও একটি হাদীস বর্ণনা করেছেন:

আয়েশা রা. বলেন: “খাদীজার ব্যাপারে আমি যতটুকু ঈর্ষা করেছি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর অন্য কোন স্ত্রীর সাথে ততটুকু ঈর্ষা করি নি। যদিও আমি তাঁকে কখনো দেখি নি। কিন্তু নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বেশি বেশি তার আলোচনা করতেন। কখনো কখনো ছাগল জবাই করলে খাদীজা রা. এর বান্ধবীদের নিকট গোশত পাঠিয়ে দিতেন।

কখনো আমি তাঁকে বলতাম, দুনিয়ায় মনে হয় খাদীজা ছাড়া কোন মহিলা নেই! তিনি বলতেন, “তিনি এই ছিলেন...ওই ছিলেন... তার মাধ্যমে আমার সন্তান হয়েছিল...।”

তিনি দীর্ঘ ২৫ বছর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর সাথে ঘর-সংসার করেছেন। ১৫ বছর নবুয়তের পূর্বে আর ১০ বছর নবুয়তের পরে। কিন্তু তিনি বেঁচে থাকা অবস্থায় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম অন্য কোন নারীকে বিবাহ করেন নি।

ইবরাহীম ছাড়া সকল সন্তানই তার থেকে পেয়েছেন। তিনি যখন মহাপ্রভুর ডাকে সাড়া দেন তখন প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর বয়স পঞ্চাশ। সে সময় তার আর কোন স্ত্রী ছিল না।

খাদীজা রা. এর তিরোধানের পরই নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম একাধিক বিবাহ করেন। যার পেছনে ছিল সে সকল কারণ ও তাৎপর্য যা ইতো:পূর্বে আলোচনা করা হয়েছে।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন