মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
আসসালামু আলাইকুম, Hadith.one বন্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে! আমাদের সার্ভারের মেয়াদ ১১ অক্টোবর ২০২৫ এ শেষ হবে, এবং এবং ওয়েবসাইট টি চালানোর জন্য আমাদের কোনো ফান্ড নেই।
🌟 আপনার দান এই প্ল্যাটফর্মকে বাঁচাতে পারে এবং প্রতিটি হাদিস পড়ার মাধ্যমে সদকাহ জারিয়ার অংশীদার হতে পারেন!
🔗 অনুগ্রহ করে আপনার দানের মাধ্যমে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি চালিয়ে নিতে সাহায্য করুন!
জাযাকাল্লাহু খাইরান!
দাস-দাসীর মুক্তির ক্ষেত্রে এটাও অন্যতম মহান উপায়, বরং এটা হলো ইসলামী সমাজে এখানে সেখানে ছড়িয়ে থাকা হাজার হাজার দাস-দাসীর মুক্তির ব্যাপারে শ্রেষ্ঠ উপায়সমূহের মধ্যে অন্যতম শ্রেষ্ঠ উপায়।
আর ইসলাম রাষ্ট্রের জন্য যাকাতের অর্থ থেকে দাস-দাসীর মুক্তির জন্য বিশেষ খাত নির্ধারণ করে দিয়েছে; এই খাতকে আল-কুরআনুল কারীম " وَفِي ٱلرِّقَابِ " (দাসমুক্তির) খাত নামে নামকরণ করেছে; মুসলিম রাষ্ট্রে দাস-দাসীদের মুক্ত করার জন্য এই খাত সৃষ্টি করা হয়েছে। আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
“সদকা তো শুধু ফকীর, মিসকীন ও সদকা আদায়ের কাজে নিযুক্ত কর্মচারীদের জন্য, যাদের অন্তর আকৃষ্ট করতে হয় তাদের জন্য, দাসমুক্তিতে, ঋণ ভারাক্রান্তদের জন্য, আল্লাহর পথে ও মুসাফিরদের জন্য। এটা আল্লাহর পক্ষ থেকে নির্ধারিত। আর আল্লাহ সর্বজ্ঞ, প্রজ্ঞাময়।” [সূরা আত-তাওবা: ৬০]
সুতরাং ইসলামের ইতিহাসের গৌরবময় দিকগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য অন্যতম একটি দিক হল: খলিফাদের যুগে যখনই দরিদ্র ও অভাবীদের অভাব পূরণ করে বাইতুল মালের অর্থ অতিরিক্ত হত, তখনই বাইতুল মালের কোষাধ্যক্ষ দাস-দাসী বিক্রেতাদের হাট থেকে গোলামদেরকে ক্রয় করতেন এবং তাদেরকে মুক্ত করে দিতেন।
ইয়াহইয়া ইবন সা‘ঈদ বলেন:
" بعثني عمر بن عبد العزيز على صدقات إفرقية , فجمعتها ثم طلبت فقراء نعطها لهم فلم نجد فقيرا , ولم نجد من يأخذها منا , فقد أغنى عمربن عبد العزيز الناس , فاشتريت بها عبيدا فأعتقتهم " .
“আমাকে ওমর ইবন আবদিল আযীয র. আফ্রিকাবাসীদের যাকাত বিষয়ে দায়িত্ব দিয়ে পাঠান, অতঃপর আমি যাকাত সংগ্রহ করলাম, তারপর তা বন্টন করে দেওয়ার জন্য দরিদ্র লোক খোঁজ করলাম, কিন্তু একজন দরিদ্র লোকও খুঁজে ফেলাম না এবং এমন কাউকে ফেলাম না, যে আমাদের নিকট থেকে যাকাত গ্রহণ করবে; কারণ, ওমর ইবন আবদিল আযীয র. জনগণকে সম্পদশালী ও অভাবমুক্ত করে দিয়েছেন; অতঃপর আমি তার (যাকাতের অর্থ) দ্বারা কতগুলো গোলাম ক্রয় করলাম এবং তাদেরকে মুক্ত করে দিলাম।”
এছাড়াও যাকাতের অর্থ থেকে ‘মুকাতিব’ গোলামদের মুক্ত করার মূল্য পরিশোধের জন্য তাদেরকে সাহায্য করা, যখন তারা তা পরিশোধ করার জন্য বিশেষ উপার্জনে অক্ষম হয়, যা পূর্বে আলোচনা হয়েছে ! !
আর এই প্রসঙ্গে কথা বলেছেন প্রফেসর মুহাম্মদ কুতুব, ইসলাম দাস-দাসী মুক্ত করার ব্যাপারে বাস্তবসম্মত ব্যাপক পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে; আর সেই কর্মসূচী নিয়ে কমপক্ষে সাতশত বছর পরিপূর্ণভাবে ঐতিহাসিক অগ্রগতি হয়েছে এবং এই অগ্রগতির সাথে আরও অতিরিক্ত সংযোজন হয়েছে রাষ্ট্রের পৃষ্ঠপোষকতার মত উপাদানসমূহ, যার দিকে বিশ্বের অন্যান্যরা কেবল আধুনিক ইতিহাসের শুরুর দিকে যেতে সমর্থ হয়েছে... !!
ইসলাম আরও যেসব নীতিমালা প্রণয়ন করেছে, সেই দিকে বিশ্ব ফিরে তাকায়নি কখনও, চাই দাস-দাসীর সাথে সদ্ব্যবহারের ব্যাপারে হউক, অথবা অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও সামাজিক উন্নতি ও বিবর্তনের চাপ ব্যতিরেকে স্বেচ্ছায় তাকে মুক্ত করার প্রসঙ্গে হউক; যা পশ্চিমাদেরকে বাধ্য করেছে দাস-দাসী মুক্ত করে দেওয়ার জন্য !!
এটা বা ওটা যাই হোক এর মাধ্যমে সমাজতান্ত্রিক গোষ্ঠী ও তাদের প্রচারকগণের ছেড়ে দেওয়া যাবতীয় নকলতত্ত্ব ভূপাতিত হয়েছে, যারা মনে করেছে যে, ইসলাম হচ্ছে অর্থনৈতিক উন্নতির অস্ত্রসমূহের মধ্যে একটি অস্ত্র, যা তার স্বাভাবিক সময়ে এসেছে দ্বান্দ্বিক বস্তুগত নিয়মনীতির মাধ্যমে; অনুরূপভাবে এর মাধ্যমে তাদের দাবীও অগ্রহণযোগ্য প্রমাণিত হয়েছে যারা মনে করে যে, প্রতিটি ব্যবস্থাপনা, নিয়মনীতি ও মতবাদই এমনকি ইসলামও তার আবির্ভাবের সময়কার অর্থনৈতিক উন্নতির প্রতিফলন মাত্র; আর তার প্রতিটি বিশ্বাস ও চিন্তাধারা এই অর্থনৈতিক উন্নতির অনুকূলেই পরিচালিত হয়ে থাকে এবং তাকে স্বীকৃতি প্রদান করে থাকে; সুতরাং তাদের মতে, কোনো নিয়মনীতি বা ব্যবস্থা অর্থনৈতিক চিন্তাকে ছাড়িয়ে যাবে এমনটি হতে পারে না [ধর্মকে তারা অর্থনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে গ্রহণ করেছে এবং সবকিছুকে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের উপর বিচার করেছে। এটা অবশ্যই ভুল চিন্তার ফসল। বিশেষ করে ইসলামের মত আল্লাহ প্রদত্ত জীবনবিধানের ব্যাপারে এ ধরণের চিন্তা করাও কুফরী। [সম্পাদক]]।!!
বস্তুত ইসলাম তার প্রশাসনিক আইন ও শর‘ঈ আইনের ক্ষেত্রে যার অন্যতম হচ্ছে, দাস-দাসী মুক্ত করার নিয়মনীতি, তা তথাকথিত প্রাকৃতিক বিবর্তনের সাতশত বছর পূর্বেই অতিক্রম করেছে; তখন সে (ইসলাম) তৎকালীন আরব উপ-দ্বীপ ও গোটা বিশ্বের কোনো প্রতিষ্ঠিত অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনার উপর নির্ভর করে গড়ে উঠে নি, সে অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনার ছাপ না ছিল দাস-দাসীর সাথে আচার-ব্যবহারের ক্ষেত্রে, আর না ছিল সম্পদ বণ্টনের ব্যাপারে; আর না ছিল শাসকের সাথে শাসিতের সম্পর্কের ব্যাপারে কিংবা মালিকের সাথে শ্রমিকের সম্পর্কের ক্ষেত্রে ... বরং তার (ইসলামের) অর্থনৈতিক, সামাজিক ও রাজনৈতিক ... রীতিনীতির উৎপত্তি ও স্বয়ংক্রিয়তা ছিল আসমানী শরী‘আতের মূলশক্তি ওহীর মাধ্যমে; যার কোনো নযীর ইতিহাসে পাওয়া যায় না। বরং ইসলাম তার নিয়মনীতি ও বিধিবিধানের ক্ষেত্রে যুগ যুগ ধরে গড়ে উঠা অন্যান্য নিয়মনীতির উপর অনন্য স্বকীয়তার উপর প্রতিষ্ঠিত!!
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/743/11
রিডিং সেটিংস
Bangla
English
Bangla
Indonesian
Urdu
System
System
Dark
Green
Teal
Purple
Brown
Sepia
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
Kfgq Hafs
Qalam
Scheherazade
Kaleel
Madani
Khayma
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
Kalpurush
Rajdip
Bensen
Ekushe
Alinur Nakkhatra
Dhakaiya
Saboj Charulota
Niladri Nur
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।