hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

ইসলামে দাস বিধি

লেখকঃ আবদুল্লাহ নাসেহ ‘উলওয়ান

১৮
সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গি:
কখনও কখনও দাসত্ব প্রথা বিদ্যমান থাকার মধ্যে বড় ধরনের সামাজিক কল্যাণ নিহিত থাকে, যেমন: তার (দাসত্ব প্রথার) উপস্থিতি জাতিগত বিশৃঙ্খলা, নৈরাজ্যবাদ ও অবক্ষয়ের প্রবাহ থেকে সমাজকে পবিত্র রাখার ব্যাপারে ভূমিকা রাখে ... সুতরাং উদাহরণস্বরূপ যে ব্যক্তি অতিরিক্ত মোহরের কারণে কোনো স্বাধীন নারীকে বিয়ে করতে অক্ষম হয়, তখন সে কোনো দাসীকে বিয়ে করবে অথবা ক্রয় সূত্রে তার মালিক হবে, যাতে সে বৈধ উপায়ে তার স্বভাগত চাহিদা পূরণ করতে পারে এবং বৈধ মালিকানার মাধ্যমে সে নিজেকে পাপমুক্ত রাখতে পারে।

আল্লাহ তা‘আলা বলেন:

﴿ وَمَن لَّمۡ يَسۡتَطِعۡ مِنكُمۡ طَوۡلًا أَن يَنكِحَ ٱلۡمُحۡصَنَٰتِ ٱلۡمُؤۡمِنَٰتِ فَمِن مَّا مَلَكَتۡ أَيۡمَٰنُكُم مِّن فَتَيَٰتِكُمُ ٱلۡمُؤۡمِنَٰتِۚ وَٱللَّهُ أَعۡلَمُ بِإِيمَٰنِكُمۚ بَعۡضُكُم مِّنۢ بَعۡضٖۚ فَٱنكِحُوهُنَّ بِإِذۡنِ أَهۡلِهِنَّ وَءَاتُوهُنَّ أُجُورَهُنَّ بِٱلۡمَعۡرُوفِ مُحۡصَنَٰتٍ غَيۡرَ مُسَٰفِحَٰتٖ وَلَا مُتَّخِذَٰتِ أَخۡدَانٖۚ فَإِذَآ أُحۡصِنَّ فَإِنۡ أَتَيۡنَ بِفَٰحِشَةٖ فَعَلَيۡهِنَّ نِصۡفُ مَا عَلَى ٱلۡمُحۡصَنَٰتِ مِنَ ٱلۡعَذَابِۚ ذَٰلِكَ لِمَنۡ خَشِيَ ٱلۡعَنَتَ مِنكُمۡۚ وَأَن تَصۡبِرُواْ خَيۡرٞ لَّكُمۡۗ وَٱللَّهُ غَفُورٞ رَّحِيمٞ ٢٥ يُرِيدُ ٱللَّهُ لِيُبَيِّنَ لَكُمۡ وَيَهۡدِيَكُمۡ سُنَنَ ٱلَّذِينَ مِن قَبۡلِكُمۡ وَيَتُوبَ عَلَيۡكُمۡۗ وَٱللَّهُ عَلِيمٌ حَكِيمٞ ٢٦ وَٱللَّهُ يُرِيدُ أَن يَتُوبَ عَلَيۡكُمۡ وَيُرِيدُ ٱلَّذِينَ يَتَّبِعُونَ ٱلشَّهَوَٰتِ أَن تَمِيلُواْ مَيۡلًا عَظِيمٗا ٢٧ ﴾ [ النساء : ٢٥، ٢٧ ]

“আর তোমাদের মধ্যে কারো মুক্ত ঈমানদার নারী বিয়ের সামর্থ্য না থাকলে তোমরা তোমাদের অধিকারভুক্ত ঈমানদার দাসী বিয়ে করবে; আল্লাহ তোমাদের ঈমান সম্পর্কে পরিজ্ঞাত। তোমরা একে অপরের সমান; কাজেই তোমরা তাদেরকে বিয়ে করবে তাদের মালিকের অনুমতিক্রমে এবং তাদেরকে তাদের মোহর দিয়ে দেবে ন্যায়সংগতভাবে। তারা হবে সচ্চরিত্রা, ব্যভিচারিণী নয় ও উপপতি গ্রহণকারিণীও নয়। অতঃপর বিবাহিতা হওয়ার পর যদি তারা ব্যভিচার করে, তবে তাদের শাস্তি মুক্ত নারীর অর্ধেক; তোমাদের মধ্যে যারা ব্যভিচারকে ভয় করে এগুলো তাদের জন্য; আর ধৈর্য ধারণ করা তোমাদের জন্য মংগল। আল্লাহ ক্ষমাপরায়ণ, পরম দয়ালু। আল্লাহ ইচ্ছে করেন তোমাদের কাছে বিশদভাবে বিবৃত করতে, তোমাদের পূর্ববর্তীদের রীতিনীতি তোমাদেরকে অবহিত করতে এবং তোমাদেরকে ক্ষমা করতে। আর আল্লাহ সর্বজ্ঞ, প্রজ্ঞাময়। আর আল্লাহ তোমাদেরকে ক্ষমা করতে চান। আর যারা কুপ্রবৃত্তির অনুসরণ করে, তারা চায় যে, তোমরা ভীষণভাবে পথচ্যুত হও।” [সূরা আন-নিসা: ২৫ - ২৭]

আর জনকল্যাণকর অনেক কাজ রয়েছে, যাতে সমাজ পর্দাবিহীন নারীদের প্রয়োজন অনুভব করে; আর দাসীরাই হলো এই শ্রেণী; কেননা, ইসলাম দাসীর উপর স্বাধীন নারীর মত পরিপূর্ণভাবে পর্দা করাকে ফরয করেনি; বরং শরী‘য়তের দৃষ্টিতে তার বুক থেকে হাঁটু পর্যন্ত ঢেকে রাখাই যথেষ্ট, তবে তার ব্যাপারে যখন আশঙ্কা করা হবে, তখন (পাপের) উপলক্ষ বন্ধ করার জন্য পরিপূর্ণ পর্দা করা আবশ্যক হয়ে যাবে।

আর কখনও কখনও যুদ্ধের মাধ্যমে প্রাপ্ত নারীকে দাসী বানানো তার পবিত্রতা রক্ষা, অভিভাবকত্ব এবং তার মানবিক সম্মান রক্ষার জন্য একটা সফল প্রতিষেধক বিবেচিত হতে পারে; কারণ, যুদ্ধ শেষ হয়ে যাওয়ার পর যে ব্যক্তি তার দায়ভার গ্রহণ করবে, সে অধিকাংশ ক্ষেত্রে তার সাথে তার স্বামী অথবা তার ভাইয়ের মত আচরণ করবে; অথচ তাকে ছেড়ে দেওয়ার মানেই হলো তাকে নিশ্চিত ধ্বংস ও ক্ষতির দিকে ঠেলে দেওয়া।

আর এটা জানা কথা যে, ইসলামী শাসন ব্যবস্থার ছায়াতলে নারীকে দাসী বানানোর মানে হলো তাকে তার মনিবের জন্য শুধু মালিকানা সাব্যস্ত করে দেওয়া, সে ব্যতীত অন্য কেউ তাকে ভোগ করতে পারবে না; আর ইসলাম ‘মুকাতাবা’ পদ্ধতির মাধ্যমে স্বাধীনতা অর্জন করার বিষয়টিকে তার অধিকারের অন্তর্ভুক্ত করে দিয়েছে এবং অনুরূপভাবে সে তার মনিবের মৃত্যুর পর সরাসরি স্বাধীন হয়ে যাবে, যখন সে তার মনিবের জন্য কোনো সন্তানের জন্ম দিবে; তাছাড়া সে তার মনিবের ঘরে ইসলামের নির্দেশনা অনুসারে সার্বিক তত্ত্ববধান, আদর-যত্ন ও উত্তম ব্যবহার ... পাবে।

পক্ষান্তরে অমুসলিম রাষ্ট্রে তাকে দাসী হিসেবে গ্রহণ করার উদ্দেশ্য হলো তার ইজ্জত নষ্ট করা এবং তার মান-মর্যাদাকে অবজ্ঞা করা, বরং তার ইজ্জত-আব্রু প্রত্যেক আকাঙ্খীর ব্যভিচারের মাধ্যমে লুণ্ঠিত হওয়া।

তাছাড়াও সে অসদাচরণ ও প্রকাশ্য অনুভবযোগ্য অপমান-অপদস্থের শিকার হয় ! ...

অতএব দাস-দাসী বানানোটা কখনও কখনও সামাজিকভাবে কল্যাণকর হবে, আবার কখনও নৈতিকতার দিক বিবেচনায় হবে এবং কখনও মানবিক অনুকম্পার বাস্তবায়নার্থে দায়িত্ব গ্রহণের ফায়দা দিবে ... যা সচেতন আলেমগণ ব্যতীত অন্য কেউ অনুধাবন করতে পারবে না ... এই দিক বিবেচনা করেই ইসলাম কোনো স্পষ্ট ফরমান জারি ও অকাট্য ‘নস’ তথা বক্তব্যের মাধ্যমে দাসত্ব প্রথাকে চূড়ান্তভাবে বাতিল করেনি।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন