hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

ইসলামে দাস বিধি

লেখকঃ আবদুল্লাহ নাসেহ ‘উলওয়ান

মুখবন্ধ ও ভূমিকা
প্রাচীন ও আধুনিক কালে ইসলামের শত্রুগণ, বিশেষ করে তথাকথিত সাম্যবাদীগণ ইসলামের শাসনব্যবস্থাকে কেন্দ্র করে অপবাদ ও অভিযোগের মরীচিকা এবং সন্দেহ ও সংশয়ের ফেনা ছড়িয়ে দেওয়ার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে ...।

এর লক্ষ্য হল: মুসলিম প্রজন্মের মধ্যে নাস্তিকতার বীজ বপন করা, আল্লাহর দেওয়া শাসনব্যবস্থার ব্যাপারে যুবকদের মধ্যে সন্দেহের ধূম্রজাল সৃষ্টি করা এবং মুসলিম জাতিকে অপরাধমূলক স্বেচ্ছাচারিতা, লাম্পট্য, নাস্তিকতা, কুফরী, নিন্দনীয় কর্মকাণ্ডের দিকে ঠেলে দেওয়া ...।

আর বিদ্বেষমূলক প্ররোচনার মধ্য থেকে যেগুলোকে তারা শিক্ষিত সভ্য-সমাজের মধ্যে উস্কানি দিয়ে উল্লেখ করে থাকে তন্মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে, ‘ইসলাম কর্তৃক দাসত্ব প্রথার বৈধতা প্রদান’। যা তাদের দৃষ্টিতে মানুষের স্বাধীনতার সুস্পষ্টভাবে লঙ্ঘন; আর তারা এই ধরনের যুলুম মার্কা অভিযোগ এনে ইসলামের মধ্যে সন্দেহ-সংশয় সৃষ্টির পঁয়তারা করে থাকে। এর মাধ্যমে তারা ইসলামের মূলনীতিসমূহের মধ্যে অপবাদ দেওয়ার উপায় আবিষ্কার করে, যাতে তারা মুসলিম সমাজ ও ইসলামের অনুসারী প্রজন্মের মধ্যে নাস্তিকতা ও তথাকথিত ধর্মনিরেপক্ষ নীতিমালা প্রচার ও প্রসারের ক্ষেত্রে তাদের গুপ্ত উদ্দেশ্য ও নিকৃষ্ট লক্ষ্যে ... পৌঁছতে সক্ষম হয়।

আর যখন বেশ কিছু মুসলিম যুবক এসব উদ্দেশ্যমূলক অপবাদ ও অপরাধমূলক সন্দেহের দ্বারা প্রভাবিত হতে শুরু করল, তখন তারা আলেমদের নিকট এসব প্রশ্ন করা শুরু করে: কিভাবে ইসলাম দাসত্বকে বৈধ করেছে এবং তাকে তার নিয়মনীতির অন্তর্ভুক্ত করেছে? অথবা কিভাবে ইসলাম মানুষকে মনিব ও গোলাম বলে শ্রেণীবিভাগ করতে চায়? অথবা কিভাবে যে আল্লাহ তা‘আলা মানুষকে সম্মানিত করেছেন, তিনি তাকে দাস-দাসীর বাজারে ক্রয়-বিক্রয় করতে চান, যেমনিভাবে ব্যবসা-বাণিজ্যের বাজারে পণ্যসামগ্রী ক্রয়-বিক্রয় করা হয়? আর আল্লাহ তা‘আলা যখন এতে সম্মতই না হবেন, তাহলে তিনি কেন তাঁর সম্মানিত কিতাবে (আল-কুরআনুল কারীমে) দাস-দাসী প্রথা বাতিল করে সুস্পষ্ট বক্তব্য পেশ করেননি, যেমনিভাবে তিনি মদ, জুয়া, সুদ ও যিনা-ব্যভিচার ... ইত্যাদি নিষিদ্ধ ঘোষণা করে বক্তব্য পেশ করেছেন, যা ইসলাম হারাম করে দিয়েছে?

যদিও মুমিন যুবক ভালোভাবেই জানে যে, ইসলাম হলো সত্য ও স্বভাব দীন, কিন্তু তার অবস্থা ইবরাহীম খলিল আ. এর মত, কেননা আল্লাহ তা‘আলা তাঁকে উদ্দেশ্য করে বলেন:

﴿ أَوَ لَمۡ تُؤۡمِنۖ قَالَ بَلَىٰ وَلَٰكِن لِّيَطۡمَئِنَّ قَلۡبِيۖ ﴾ [ البقرة : ٢٦٠ ]

“তিনি বললেন, তবে কি আপনি ঈমান আনেন নি? তিনি বললেন, ‘অবশ্যই হাঁ, কিন্তু আমার মন যাতে প্র্রশান্ত হয় !” [সূরা আল-বাকারা: ২৬০]

আর কোনো সন্দেহ নেই যে, একজন বিবেকবান ও চিন্তাশীল মানুষ ... যখন স্বজনপ্রীতি মুক্ত বা নিরপেক্ষ হয়, আর সাথে সাথে সে প্রবৃত্তির অনুসরণ থেকে মুক্ত থাকে এবং তার অন্তরকে সত্য গ্রহণের জন্য, বিবেককে যুক্তি গ্রহণের জন্য ও দৃষ্টিকে আলো উপভোগ করার জন্য ... উন্মুক্ত করে দেয়, তখন চূড়ান্ত পর্যায়ে তার জন্য আবশ্যক হয়ে পড়ে সত্য ও বাস্তবতাকে স্বীকার করে নেওয়া এবং রব (প্রতিপালক) প্রদত্ত নিয়মনীতিকে গ্রহণ করে নেওয়া, যার সামনে ও পিছন থেকে অসত্য ও অকার্যকর কিছু আসবে না ...। আল-কুরআনের ভাষায়:

﴿ قَدۡ جَآءَكُمۡ رَسُولُنَا يُبَيِّنُ لَكُمۡ كَثِيرٗا مِّمَّا كُنتُمۡ تُخۡفُونَ مِنَ ٱلۡكِتَٰبِ وَيَعۡفُواْ عَن كَثِيرٖۚ قَدۡ جَآءَكُم مِّنَ ٱللَّهِ نُورٞ وَكِتَٰبٞ مُّبِينٞ ١٥ يَهۡدِي بِهِ ٱللَّهُ مَنِ ٱتَّبَعَ رِضۡوَٰنَهُۥ سُبُلَ ٱلسَّلَٰمِ وَيُخۡرِجُهُم مِّنَ ٱلظُّلُمَٰتِ إِلَى ٱلنُّورِ بِإِذۡنِهِۦ وَيَهۡدِيهِمۡ إِلَىٰ صِرَٰطٖ مُّسۡتَقِيمٖ ١٦ ﴾ [ المائ‍دة : ١٥، ١٦ ]

“আমাদের রাসূল তোমাদের নিকট এসেছেন, তোমরা কিতাবের যা গোপন করতে, তিনি সে সবের অনেক কিছু তোমাদের নিকট প্রকাশ করছেন এবং অনেক কিছু ছেড়ে দিচ্ছেন। অবশ্যই আল্লাহর নিকট থেকে এক জ্যোতি ও স্পষ্ট কিতাব তোমাদের কাছে এসেছে। যারা আল্লাহর সন্তুষ্টির অনুসরণ করে, এ দ্বারা তিনি তাদেরকে শান্তির পথে পরিচালিত করেন এবং তাদেরকে নিজ অনুমতিক্রমে অন্ধকার হতে বের করে আলোর দিকে নিয়ে যান; আর তাদেরকে সরল পথের দিশা দেন।” [সূরা আল-মায়িদা: ১৫ - ১৬]

এই ভূমিকা পেশ করার পর আমি আল্লাহ তা‘আলার সাহায্য নিয়ে ইসলাম দাস-প্রথার ব্যাপারে যে অবস্থান গ্রহণ করেছে তার বর্ণনা শুরু করছি ... যাতে ঐ ব্যক্তি জানতে পারে, যে ব্যক্তি জানতে চায় যে, ইসলাম দাস-দাসীর সাথে কেমন ব্যবহার করেছে? আর কিভাবে তাকে মুক্ত করার ব্যাপারে ইতিবাচক উপায় বা পদ্ধতি প্রণয়ন করেছে? আর কিভাবে এমন নীতিমালা প্রবর্তন করেছে, দাস-দাসী বানানোর একটি অবস্থা ব্যতীত সকল উৎসকে বন্ধ করে দিয়েছে? কিছুক্ষণ পরেই আমরা তার আলোচনা করব।

আর এ জন্য আমি দাসত্ব সম্পর্কিত আলোচনাটিকে সকল দিক থেকে সুন্দরভাবে উপস্থাপনের জন্য নিম্নোক্ত পয়েন্টগুলোর আলোচনা করা ভালো মনে করছি:

প্রথমত: দাসত্ববাদ সম্পর্কে ঐতিহাসিক কিছু কথা

দ্বিতীয়ত: দাসত্বের ব্যাপারে ইসলামের অবস্থান

তৃতীয়ত: দাস-দাসী’র সাথে ইসলাম কেমন আচরণ করে?

চতুর্থত: কিভাবে ইসলাম দাস-দাসীকে মুক্তি দিয়েছে?

পঞ্চমত: কেন ইসলাম দাসত্ব প্রথাকে চূড়ান্তভাবে বাতিল করেনি?

ষষ্ঠত: বর্তমান বিশ্বে দাসত্ব প্রথা আছে কি?

সপ্তমত: বৈধভাবে দাস-দাসী গ্রহণের বিধান কী?

উপরোক্ত সাতটি পয়েন্টেই আমি কিছু বিস্তারিত আলোচনার প্রয়াস পাব। আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করি, তিনি আমাকে সাহায্য করুন।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন