hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

ইসলামে দাস বিধি

লেখকঃ আবদুল্লাহ নাসেহ ‘উলওয়ান

২১
বৈধভাবে দাস-দাসী গ্রহণের বিধান কী?
ইসলামে দাসত্ব প্রথার ব্যাপারে জানা কথা হল, ইসলাম মনিবের জন্য বৈধ করে দিয়েছে যে, তার নিকট যুদ্ধ বন্দীদের থেকে কিছু সংখ্যক দাসী থাকতে পারবে এবং সে এককভাবে তাদেরকে উপভোগ করতে পারবে; আর ইচ্ছা করলে সে কখনও কখনও তাদের মধ্য থেকে কাউকে বিয়ে করতে পারবে; আর আল-কুরআনুল কারীম এই ধরনের ব্যবস্থাকে স্বীকৃতি দিয়েছে, যেমন আল্লাহ তা‘আলা বলেন:

﴿ ... وَٱلَّذِينَ هُمۡ لِفُرُوجِهِمۡ حَٰفِظُونَ ٥ إِلَّا عَلَىٰٓ أَزۡوَٰجِهِمۡ أَوۡ مَا مَلَكَتۡ أَيۡمَٰنُهُمۡ فَإِنَّهُمۡ غَيۡرُ مَلُومِينَ ٦ ﴾ [ المؤمنون : ٥، ٦ ]

“ ... আর যারা নিজেদের যৌন অংগকে রাখে সংরক্ষিত, নিজেদের স্ত্রী বা অধিকারভুক্ত দাসীগণ ছাড়া, এতে তারা হবে না নিন্দিত।” [সূরা আল-মুমিনুন: ৫ - ৬]

প্রাচ্যবিদ কিংবা পাশ্চাত্যবিদ অথবা নাস্তিকদের মধ্য থেকে যাদের অন্তরে ব্যাধি রয়েছে, তারা বলে: কিভাবে ইসলাম দাসী ব্যবস্থাকে বৈধ করে? আর কিভাবে সে মনিবকে একাধিক নারী থেকে তার মনোরঞ্জন ও যৌন ক্ষুধা মিটানোর অবকাশ দেয়?

বান্দী বা দাসী ব্যবস্থাকে কেন্দ্র করে তৈরি করা যে সন্দেহ-সংশয়টিকে ইসলামের শত্রুগণ উস্কিয়ে দেয়, আমি তার জবাব দেওয়ার পূর্বে এই দু’টি’র বাস্তবতা তুলে ধরতে চাই:

১. একজন মুসলিমের জন্য ততক্ষণ পর্যন্ত যুদ্ধবন্দীদের মধ্য থেকে কোনো বন্দীনী’র সাথে তার মনোবাঞ্ছা পুরণ করা বৈধ হবে না, যতক্ষণ না বিচারক কর্তৃক তাদের বান্দী বা দাসী হওয়ার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত দেওয়া হয়।

২. মুসলিম ব্যক্তির জন্য (কোনো বন্দীনী’র সাথে) তার মনোবাঞ্ছা পুরণ করা বৈধ হবে না, তবে বৈধভাবে তার মালিক হওয়ার পর তার জন্য তা বৈধ হবে।

যুদ্ধবন্দীনীকে দাসী বানানোর পর দুই অবস্থায় ছাড়া সে কোনো মুসলিমের জন্য বৈধ মালিকানায় আসবে না:

প্রথমত: মহিলাটি তার গণিমতের অংশ হওয়া।

দ্বিতীয়ত: অন্যের নিকট থেকে তাকে ক্রয় করা, যখন সে তার মালিকানাভুক্ত হয়।

আর সে তার মালিকানাভুক্ত হওয়ার পর পরই তার জন্য তাকে স্পর্শ করা বৈধ হবে না, গর্ভের বিষয়টি নিশ্চিত করার জন্য সে কমপক্ষে এক ‘হায়েয’ তথা একটি মাসিকের মাধ্যমে তার গর্ভাশয় পবিত্র করে নেয়ার পর তাকে স্পর্শ করতে পারবে ... অতঃপর সে ইচ্ছা করলে তার নিকট গমন করতে পারবে, যেমনিভাবে সে তার স্ত্রীর নিকট গমন করে।

এই বাস্তব বিষয়গুলো সুস্পষ্টভাবে বর্ণনা করার পর আমি ঐ সন্দেহের ব্যাপারে জবাব দিব, যা ইসলামের শত্রুগণ বৈধ পন্থায় দাস-দাসী হিসেবে গ্রহণ করার ব্যাপারে উস্কে দিয়েছে:

পূর্বে আমরা আলোচনা করেছি যে, দাসী যখন কোনো মুসলিম ব্যক্তির মালিকানাধীন থাকে, তখন তার মালিকের জন্য তার সাথে স্ত্রীদের সাথে মেলামেশা করার মত মেলামেশা করা বৈধ আছে; ফলে যখন দাসী তার (মনিবের) জন্য সন্তান প্রসব করবে, তখন সে শরী‘য়তের দৃষ্টিতে ‘উম্মুল অলাদ’ (সন্তানের মা) হয়ে যাবে; আর এই অবস্থায় মনিবের উপর তাকে বিক্রি করা হারাম হয়ে যাবে; আর যখন সে তার জীবদ্দশায় তাকে আযাদ না করে মৃত্যুবরণ করবে, তখন তার মৃত্যুর পর সে সরাসরি স্বাধীন হয়ে যাবে। আর অনুরূপভাবে তার জন্য ‘মুকাতাবা’ পদ্ধতির মাধ্যমে তার স্বাধীনতা দাবি করার অধিকার থাকবে, যা পূর্বে আলোচনা করা হয়েছে এবং সে তার দাবি অনুসারে স্বাধীন ও বন্ধন মুক্ত হয়ে যাবে।

অতএব ইসলাম যখন মনিবের জন্য দাসীর ব্যবস্থাকে বৈধ করেছে, তখন সে এর আড়ালে দাসীদের প্রতি সদ্ব্যবহার করা এবং তাদেরকে দাসত্ব থেকে মুক্ত করে দেওয়ার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে; আরও পরিকল্পন গ্রহণ করেছে তাদেরকে গৃহহীন হওয়া ও ব্যভিচারের হাত থেকে রক্ষা করার ... যে সময়ে অমুসলিম সমাজ ব্যবস্থায় যুদ্ধবন্দীনীদেরকে অনৈতিক কর্মকাণ্ড ও অশ্লিলতার আস্তাকুড়ের দিকে ঠেলে দেওয়া হয় এই কথা বলে যে, তাদের কোনো পরিবার নেই; কারণ, তাদের মনিবগণ তাদের আত্মমর্যাদা ও সম্মান রক্ষার ব্যাপারে কোনো কিছু উপলব্ধি করে না; বরং তারা যুদ্ধবন্দীনীদেরকে দাসী হিসেবে গ্রহণ করার পর যিনা-ব্যভিচারের পেশায় নিয়োগ করে দেয়; আর তারা তাদের পিছনে এই নোংরা ব্যবসার দ্বারা তাদের মান-সম্মানকে উপার্জনের পণ্যদ্রব্য বানায় এবং মান-সম্মান নষ্ট করে !!

কিন্তু সভ্যতা সংস্কৃতির ধারক মহান ইসলাম ব্যভিচার প্রথাকে গ্রহণ করেনি এবং দাসীদের সাথে এই ধরনের নোংরা আচরণ করেনি; বরং ইসলাম তাদের সুনাম-সুখ্যাতি ও নৈতিক চরিত্রের ব্যাপারে উদ্বুদ্ধ করেছে, যেমনিভাবে যিনা-ব্যভিচারের কলঙ্ক এবং স্বেচ্ছাচারিতা ও নৈরাজ্যবাদ ছড়িয়ে পড়া থেকে সমাজের পবিত্রতা রক্ষা করার ব্যাপারে উদ্বুদ্ধ করেছে; সুতরাং এসব দাসীদেরকে শুধু তাদের মনিবের জন্য সীমাবদ্ধ করা ছাড়া অন্য কোনো উপায় নেই; তার দায়িত্ব হলো তাদের খাবারদাবার ও পোষাক-পরিচ্ছদের ব্যবস্থা করা, আর তাদেরকে অপরাধ বা পাপ থেকে হেফাজত করা এবং তাদের শ্রেণীগত প্রয়োজনসমূহ পূরণ করা; আর সে তাদের নিকট থেকে ক্রমান্বয়ে তার প্রয়োজন পূরন করবে, তবে (এই ক্ষেত্রে) তাদের প্রতি সদ্ব্যবহার করতে হবে, যাতে শেষ পর্যন্ত তারা যখন তাদের মনের ভিতর থেকে তাদের স্বাধীনতার প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করবে, তখন তারা ইসলাম কর্তৃক প্রণীত ‘মুকাতাবা’ পদ্ধতির চাহিদা মোতাবেক তাদের মনিবদের নিকট থেকে স্বাধীনতা দাবি করবে; আর যখন সে তার মনিবের নিকট বিদ্যমান থেকে যাবে এবং গর্ভবতী হবে, তখন সে “উম্মু অলাদ” (সন্তানের মা) হয়ে যাবে এবং তা তার মুক্তির পথে ভূমিকা রাখে, বরং সে স্ত্রীর অবস্থানে পৌঁছে যায়, যার দ্বারা সে তার (মনিবের) নিকট অধিকার ও সম্মান লাভ করে।

অপরাপর সামাজিক শাসন ব্যবস্থায় এই ধরনের ব্যবহার কোথায়, যে শাসন ব্যবস্থায় ব্যভিচারে বাধ্য করার মাধ্যমে দাসীর প্রতি অবজ্ঞা ও হেয় প্রতিপন্ন করার দৃষ্টিতে তাকানো হয় এবং যাতে অপরাধীরা তাদের সাথে মজা উপভোগের কার্যাবলী পরিচালিত করে এবং তাদেরকে লাম্পট্যের সস্তা উপকরণ হিসেবে গ্রহণ করে?

আর আজকে ইউরোপীয় ও প্রাচ্যের রাষ্ট্রসমূহ নারীকে দাসী বানানোর অন্য এক কর্মপন্থা অনুসরণ করেছে; এই কর্মপন্থার সংক্ষিপ্ত বিবরণ হল, সেখানে এই নীতিমালা ব্যভিচারকে বৈধ করে দিয়েছে এবং আইনের তত্ত্বাবধানে তাকে অনুমোদন দিয়েছে; আর প্রত্যেকটি দেশে তার পদক্ষেপসমূহ উপনিবেশিক প্রভাব বিস্তারকারী কায়দায় ছড়িয়ে পড়তে থাকে ... সুতরাং কিসে দাসত্ব প্রথার পরিবর্তন করবে, যখন তার শিরোনাম পরিবর্তন হয়? আর খোলস পাল্টানো ব্যভিচারের মহত্ত্ব কোথায়, অথচ সে ধর্ষণকারীকে প্রত্যাখ্যান করার অধিকার রাখে না? আর তাকে এমন নোংরা উদ্দেশ্য ছাড়া কেউ কামনা করে না, যাতে মানবতা তার কাছে ভূলুণ্ঠিত হয়? এসব ইন্দ্রিয়গ্রাহ্য ও নোংরামীর সাথে কি ইসলামের মধ্যে দাসী ও মনিবদের মধ্যকার সম্পর্কের কোনো তুলনা চলে?

হ্যাঁ, ইসলাম ব্যক্তি ও জনগণের সাথে সুস্পষ্টভাষী ছিল, ফলে সে বলেছে: এটা দাসত্ব, আরা এরা দাসী; আর তাদের সাথে আচার-ব্যবহারের সীমারেখা এই রকম এই রকম; কিন্তু সে বলেনি যে, এটা মানবতার জন্য স্থায়ী দৃষ্টিভঙ্গি, আর এটা এমন দৃষ্টিভঙ্গিও নয় যা ভবিষ্যতে তার মান-মর্যাদার সাথে মানানসই হবে; বরং এটা যুদ্ধের প্রয়োজনে, যখন মানুষ যুদ্ধের ময়দানে যুদ্ধবন্দীদেরকে দাস-দাসী বানানোর ব্যাপারে পরস্পরে জানবে।

[কিন্তু বর্তমান যুগে নকল সভ্যতার মধ্যে আপনি এই নির্ভেজাল বিষয় পাবেন না, কেননা এই সভ্যতা ব্যভিচারকে দাসত্ব নামে আখ্যায়িত করে না, বরং তারা তাকে বলে: “সামাজিক প্রয়োজন”!

কেন এই প্রয়োজন?

কারণ, একজন ইউরোপীয় সংস্কৃতিবান ব্যক্তি অথবা প্রাচ্যবাদী মুক্ত চিন্তার অধিকারী ব্যক্তি কারও দায়িত্ব নিতে চায় না: না স্ত্রীর, আর না সন্তান-সন্ততীর ... সে চায় কোনো প্রকার দায়-দায়িত্ব বহন না করেই মজা লুটতে, সে নারীর দেহ কামনা করে তাতে বংশের বিষবাষ্প ঢেলে দিতে; আর এই নারীর কোনো কিছুই তাকে চিন্তিত করে না; আর পুরুষ কেন্দ্রিক নারীর অনুভূতি যেমন তাকে ব্যস্ত করে না, তেমনি নারী কেন্দ্রিক পুরুষের অনুভূতিও তাকে ব্যস্ত করে না; কারণ, পরুষ হলো এমন এক শরীর, যে চতুষ্পদ জন্তুর মত আসক্ত ও অনুরক্ত হয়, আর নারী হলো এমন এক শরীর, যে বাধ্য হয়ে এই আসক্তি ও কুর্দনকে গ্রহণ করে এবং সে তা মূলত একজনের পক্ষ থেকেই গ্রহণ করে না, বরং সে যে কোনো পথিকের পক্ষ থেকেই তা গ্রহণ করে !!

এটাই হলো তাদের সামাজিক প্রয়োজন, যা আধুনিক যুগে পাশ্চাত্যে অথবা প্রাচ্যে নারীদেরকে দাসী হিসেবে গ্রহণের বৈধতা দেয়; যদি ইউরোপীয় অথবা প্রাচ্যবাদী ব্যক্তি “মানবতা” এর স্তরে উন্নীত হয় এবং তার অধীনস্থ প্রত্যেককে তার কামনা ও বাসনার জন্য নির্ধারণ না করে, তাহলে সেটাকে জরুরি বা প্রয়োজন বলা যায় না।

আর সভ্যতার দাবিদার পশ্চিমা বিশ্বে যেসব রাষ্ট্র ব্যভিচার প্রথাকে বাতিল করে দিয়েছে, সেসব রাষ্ট্র তা এই জন্য বাতিল করেনি যে, তা তার মান-মর্যাদাকে নষ্ট করে দিয়েছে, অথবা এই জন্য নয় যে, তার নৈতিক, মানসিক ও আত্মিক মান অপরাধ প্রবণতা, জাতিগত সম্পর্কসহ ... সকল দিক থেকে উন্নত হয়ে গেছে ! বরং তারা তা বাতিল করেছে শ্রেণীগত কামনা-বাসনা ও কুপ্রবৃত্তির পূজা করার ক্ষেত্রে আসক্তির সূচনা পেশাদারিত্বে রূপ নেওয়া এবং রাষ্ট্র তাতে হস্তক্ষেপের প্রয়োজন আছে বলে মনে না করার কারণে !!

আর এর পরেও অহংকারের কারণে পশ্চিমাগণ এমন কিছু পায়, যার দ্বারা তারা তেরশ বছর পূর্বে ইসলামে যে দাস-দাসী প্রথা ছিল, তাকে দোষারোপ করে; অথচ তা ছিল একটি সাময়িক ব্যবস্থা এবং পরিবর্তনবান্ধব, অনেক কারণেই সম্মানজনক এবং অনেক কারণেই পবিত্র ঐ ব্যবস্থা থেকে, যা বিংশ শতাব্দীতে প্রতিষ্ঠিত আছে, আর যাকে নগরসভ্যতা অগ্রগতি ও প্রগতিবাদ বলে আখ্যায়িত করে, যাকে কেউ অপছন্দ করে না এবং তা পরিবর্তনের ব্যাপারে কেউ চেষ্টাও করে না; আর জীবনের শেষ সময় পর্যন্ত তা অবশিষ্ট বা বিদ্যমান থাকার ব্যাপারেও কেউ বাধা প্রদান করে না, যতক্ষণ পর্যন্ত জাতির মধ্যে এসব কারণ বিদ্যমান থাকবে এবং যতক্ষণ পর্যন্ত মজা ও কুপ্রবৃত্তির পচা কাদামাটির মধ্যে এই বেপরোয়াভাবে ঝাঁপিয়ে পড়া অব্যাহত থাকবে !!

আর কোনো প্রবক্তা এই কথা বলে না: এসব “পতিতাগণ” কারও পক্ষ থেকে কোনো প্রকার বল প্রয়োগ ছাড়াই স্বেচ্ছায় অশ্লীলতার পথ বেছে নিয়েছে, অথচ তারা তাদের পূর্ণ স্বাধীনতার মালিক; কেননা, সেখানে অনেক গোলাম ছিল (যা পূর্বে আলোচনা হয়েছে), যারা তাদের মঞ্জুর করা স্বাধীনতা চাচ্ছিল, অথচ তারা কোনো প্রকার বল প্রয়োগ ছাড়াই স্বেচ্ছায় গোলামীর পথ বেছে নিয়েছে; কিন্তু আমরা এটাকে ইসলাম এবং ইসলাম ভিন্ন অন্য ধর্মের দাসত্বের জন্য যুক্তিসঙ্গত বলে বিবেচনা করি না; আর এখানে বিবেচ্য বিষয় হলো এমন একটি ব্যবস্থাপনা, যা মানুষকে তার অর্থনৈতিক, সামাজিক, রাজনৈতিক ও চারিত্রিক ... দৃষ্টিভঙ্গির কারণে দাসত্বকে গ্রহণ করতে অথবা তাতে অবস্থান করতে বাধ্য করে !

কোনো সন্দেহ নেই যে, ইউরোপীয় সভ্যতার মধ্যে যে খারাপ দৃষ্টিভঙ্গি ও পাপাচারমূলক পরিস্থিতি বিদ্যমান রয়েছে, তা ব্যভিচারের দিকে ঠেলে দেয় এবং তাকে স্বীকৃতি প্রদান করে, চাই সেই ব্যভিচারটি নিয়মানুসারে হউক, অথবা তা স্বেচ্ছাচারিতামূলক ব্যভিচার হউক !

এই হচ্ছে বিংশ শতাব্দীতে ইউরোপ ও ইউরোপ ভিন্ন অন্যান্য দেশে প্রচলিত দাসত্বের কাহিনী: পুরুষদের দাসত্ব, নারীদের দাসত্ব, জাতি বা গোষ্ঠীসমূহের দাসত্ব, বিভিন্ন শ্রেণীর মানষের দাসত্ব ... প্রয়োজনে অপ্রয়োজনে দাসত্বের বিভিন্ন উৎস ও নতুন নতুন প্রবেশদারসমূহ খুলে দেওয়া ... এগুলো হলো পাশ্চাত্য ও প্রচ্যের হীনতা ও নীচুতা, কর্তৃত্ব করার ক্ষেত্রে তাদের নিকৃষ্ট উদ্দেশ্য, স্বেচ্ছাচারিতার পথে তাদের নেমে আসা এবং মানুষের সম্মান নষ্ট করা ... ]। [প্রফেসর দা‘য়ী মুহাম্মদ কুতুব কর্তৃক লিখিত ‘শুবহাতু হাওলাল ইসলাম’ ( شبهات حول الإسلام ) নামক গ্রন্থের ‘আল-ইসলাম ওয়ার রিক্ক’ ( الإسلام و الرق ) [ ইসলাম ও দাসত্ব ] শীর্ষক আলোচনা বা অধ্যায় থেকে কিছুটা পরিবর্তন করে উদ্ধৃত।]

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন