hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

ইসলামে দাস বিধি

লেখকঃ আবদুল্লাহ নাসেহ ‘উলওয়ান

কিভাবে ইসলাম দাস-দাসীকে মুক্তি দিয়েছে?
কিছুক্ষণ পূর্বে আমরা আলোচনা করেছি যে, ইসলাম যখন দাস-দাসীর মান সমুন্নত করা, তার সাথে উত্তম ব্যবহার করা, তাকে সম্মান করা এবং তার প্রতি ইহসান করার ব্যাপারে নিয়মনীতি ও নির্দেশমালা প্রণয়ন করেছে, তখন তার উদ্দেশ্য ছিল দাস-দাসীর মানবিক অস্তিত্ব ও সম্মানকে অনুভব করা ... এমন কি যখন সে বাস্তবে তার এই অস্তিত্ব বা অবস্থানকে অনুভব করবে এবং এই সম্মানের বাস্তবতা উপভোগ করবে, তখন সে দাসত্ব থেকে তাকে মুক্ত করার আবেদন করবে এবং মুক্ত করার পথে পথ চলবে ততক্ষণ পর্যন্ত, যতক্ষণে সে পূর্ণ স্বাধীনতার চূড়ান্ত পর্যায়ে উপনিত হবে।

আর এর অর্থ হল, ইসলাম কর্তৃক দাস-দাসীকে মুক্ত করার নিশ্চয়তা বিধানের জন্য প্রণীত শর‘য়ী নিয়মনীতির মাধ্যমে কার্যতঃ দাস-দাসীকে মুক্ত করার পূর্বে তাকে মনের ভিতর ও হৃদয়ের গভীরতা থেকে মুক্ত করে দিয়েছে, যাতে সে তার অস্তিত্বকে অনুভব করতে পারে এবং যথার্থতা ও বলিষ্ঠতার সাথে স্বাধীনতা দাবি করতে পারে; আর এটাই হলো স্বাধীনতার প্রকৃত গ্যারান্টি !!

আর প্রফেসর মুহাম্মদ কুতুবের বক্তব্যের আলোকে বলা যায়, আদেশ বা ফরমান জারি করার মাধ্যমে দাস-দাসী মুক্ত করার দ্বারা আসলেই দাস-দাসীর মুক্তি অর্জিত হয়নি ... আর আমরা যা বলি, তার পক্ষে উৎকৃষ্ট প্রমাণ হলো ‘আব্রাহাম লিংকন’ এর হাতের কলমের নির্দেশ (লেখার) দ্বারা দাস-দাসী মুক্ত করে দেওয়ার ব্যাপারে আমেরিকান অভিজ্ঞতা; কারণ, বাহ্যিকভাবে আইনের দ্বারা লিংকন যেসব গোলামদেরকে মুক্ত করে দিয়েছিল, তারা স্বাধীন হতে পরেনি এবং ভিতরে ভিতরে তারা তাদের মনিবদের কাছেই ফিরে এসেছে— পরবর্তীতেও তারা স্বাধীনতা অর্জন করতে পারেনি ! ! কেন?

কেননা, চিরস্থায়ী দাসত্বের ছায়াতলে তাদের জীবন তার মানসিক ও অনুভূতির স্বাভাবিক প্রক্রিয়াকে এসব অবস্থা ও প্রেক্ষাপটের সাথে খাপ খাইয়ে নিতে শুরু করে; ফলে আনুগত্য ও বশ্যতার প্রক্রিয়া চূড়ান্তভাবে বৃদ্ধি পেতে থাকে এবং চূড়ান্তভাবে অস্তিত্বগত ও সম্মানবোধকে দুর্বল করে ফেলে ! !

আর আল্লাহ প্রদত্ত বিধান ও মানব রচিত বিধানের মধ্যে অনেক বড় পার্থক্য রয়েছে; আল্লাহ প্রদত্ত শাসনব্যবস্থা হলো এমন, যা মানুষকে স্বাধীনতা লাভে অনুপ্রাণিত করে এবং তা লাভের জন্য উপায়সমূহ ঠিক করে দেয়; অতঃপর তাদেরকে তা প্রদান করে ঐ মুহূর্তে, যখন তারা নিজেরাই তা দাবি করে। অপরদিকে মানব রচিত শাসনব্যবস্থা হলো এমন, যা বিষয় বা ব্যাপারসমূহকে জটিলতা ও সংকটের দিকে ঠেলে দেয়, শেষ পর্যন্ত অর্থনৈতিক ও সামাজিক বিপ্লব সংঘটিত হয়, যেখানে শত শত ও হাজার হাজার প্রাণহানি ঘটে; অতঃপর তা স্বাধীনতাকামী জনগোষ্ঠীকে অপছন্দনীয় বাধ্যবাধকতা ছাড়া আর কিছুই দিতে পারে না ! !

আর দাস-দাসীর প্রশ্নে ইসলামের অন্যতম মহান বৈশিষ্ট্য হল, সে প্রকৃত স্বাধীনতার ব্যাপারে তাকে অভ্যন্তরীণ ও বাহ্যিকভাবে অনুপ্রাণিত করে।

অভ্যন্তরীণ দিক হল: স্বাধীনতার মত নিয়ামত সম্পর্কে এবং যে কোনো মূল্যে তা পাওয়ার জন্য চেষ্টাসাধনার ব্যাপারে খুব গভীর থেকে তার অনুভূতি জাগ্রত করা।

আর বাহ্যিক দিক হল: এই স্বাধীনতা অর্জনের জন্য শরী‘য়ত সম্মত উপায়সমূহ উদ্ভাবন করা।

আর এই অর্থে দাস-দাসী মুক্ত করার জন্য ভাল নিয়ত বা মানুসিকতাকেই ইসলাম যথেষ্ট মনে করে না, যেমন কাজ করেছেন ‘আব্রাহাম লিংকন’ তিনি এমন আইন জারি করেছেন যে আইনের ব্যাপারে মানুষের অন্তরে কোনো আবেদন তৈরী হয়নি। এর দ্বারা বুঝা যায় যে, মানব প্রকৃতির ব্যাপারে ইসলামের উপলব্ধি ও বিচক্ষণতা কত গভীর; আর তাই ইসলাম তার সমস্যা নিরসনের ব্যাপারে সর্বোত্তম পদ্ধতি গ্রহণ করেছে।

এর পাশাপাশি ইসলাম প্রত্যেক হকদারকে তার হক প্রদান করেছে, তাকে যথার্থ লালন করেছে, সে হক ধারণ করার ও হকের সাথে সংশ্লিষ্ট বিষয়াদিকে বহন করার যোগ্য করে গড়ে তুলেছে। এসবই করেছে ইসলাম সে হক বা অধিকার নিয়ে হানাহানি ও মারামারি পর্যায়ে যাওয়ার পূর্বেই। অথচ মধ্য যুগের ইউরোপে সে হানাহানি ও মারামারিই সংঘটিত হয়েছে। এটি এমন ঘৃণিত লড়াই, যা মানুষের অনুভূতি ভোঁতা করে দিয়েছে, জন্ম দিয়েছে হিংস-বিদ্বেষের; ফলে মানুষের জীবনের চলার পথে কল্যাণ লাভের যে সম্ভাবনা ছিল, সেসব সম্ভাবনাকে তা ধ্বংস করে দিয়েছে ! !

দাস-দাসীকে মুক্ত করার জন্য মানসিকভাবে তৈরী করার বিষয়টির গুরুত্ব বুঝানোর এ দৃষ্টি আকর্ষণীর পর আমি ফিরে যাচ্ছি বাহ্যিকভাবে দাস-দাসীকে মুক্ত করার ব্যাপারে শর‘য়ী নিয়মকানুন বর্ণনার করার দিকে, যাতে ঐ ব্যক্তি জানতে পারে, যে ব্যক্তি জানতে চায় যে, গোলামীর বন্দী দশা থেকে দাস-দাসীদের স্বাধীন ও মুক্ত করার ব্যাপারে ইসলামের একটি শরী‘য়তসম্মত ব্যবস্থাপনা বা পদ্ধতি রয়েছে।

দাস-দাসী মুক্ত করার ব্যাপারে ইসলাম যে শরী‘য়ত সম্মত পদ্ধতি প্রণয়ন করেছে, তা নিম্নোক্ত পদ্ধতি বা ব্যবস্থাপনাকে কেন্দ্র করে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে:

ক. উৎসাহ প্রদানের মাধ্যমে মুক্তি দান;

খ. কাফ্ফারা প্রদানের মাধ্যমে মুক্তি দান;

গ. লিখিত চুক্তির মাধ্যমে মুক্তি দান;

ঘ. রাষ্ট্রীয় তত্ত্ববধানে মুক্তি দান;

ঙ. সন্তানের মা (উম্মুল অলাদ) হওয়ার কারণে মুক্তি দান;

চ. নির্যাতনমূলক প্রহারের কারণে মুক্তি দান।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন