hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

ইসলামে দাস বিধি

লেখকঃ আবদুল্লাহ নাসেহ ‘উলওয়ান

২২
অতএব, হে বাস্তবতার অনুসন্ধানীগণ !
এটাই হলো ইসলামের দাসত্ব নীতি; মানব জাতির ইতিহাসে এক উজ্জ্বল পৃষ্ঠা এবং মানবতার রেজিষ্ট্রারে এক মহাগৌরবময় অধ্যায়; কারণ, আপনারা দেখেছেন যে, ইসলাম বিভিন্ন ইতিবাচক উপায়ে এবং শরী‘য়তের মূলনীতিমালার মাধ্যমে দাস-দাসীকে মুক্ত করার জন্য চেষ্টা-সাধনা করেছে ... আর দাসত্বের প্রচীন ধারা বা উৎসসমূহ সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করে দিয়েছে, যাতে এগুলো আর নবায়ন না হয়; আর একটি মাত্র উৎস চালু রেখেছে, তা হলো যুদ্ধকে কেন্দ্র করে দাস-দাসী বানানো, যখন সেই যুদ্ধটি হবে শরী‘য়তসম্মত যুদ্ধ ...; দাসত্বের এই উৎসটিকে বন্ধ করা হয়নি যুদ্ধ সংক্রান্ত আবশ্যকতার কারণে, কখনও কখনও যার আশ্রয় নেওয়া ছাড়া কোনো উপায় থাকে না এবং সামাজিক স্বার্থের জন্য, যা বাস্তবায়িত হওয়ার মধ্যে কল্যাণ রয়েছে বলে মনে করা হয়; কারণ, তার সম্পর্ক বা সংশ্লিষ্টতা রয়েছে এমন কতগুলো রাষ্ট্র ও সম্প্রদায়ের সাথে, যাদের উপর ইসলামের কোনো কর্তৃত্ব নেই এবং তার সম্পর্ক রয়েছে জাতির স্বার্থের সাথে, যা তার পুরুষ ও নারীদের জন্য সমানভাবে কল্যাণ ও উপকার বয়ে আনবে ...।

আর আপনারা নিশ্চয়ই দাসত্ব নীতির ব্যাপারে ইসলামী শরী‘য়তের মহত্ব অনুধাবন করেছেন যে, নিশ্চয়ই তা মুসলিমগণের ইমামকে (নেতাকে) এ ব্যাপারে ব্যাপক ক্ষমতা দান করেছে যে, তিনি ইচ্ছা করলে যুদ্ধবন্দীদের সাথে আচার ব্যবহারের ক্ষেত্রে চারটি বিষয় থেকে কোনো একটিকে পছন্দ করতে পারবেন; সুতরাং তিনি পছন্দ করবেন: অনুকম্পা প্রদর্শন অথবা মুক্তিপণ গ্রহণ অথবা হত্যা করা অথবা দাস-দাসী বানানো; আর এর উপর ভিত্তি করে ইমাম বিশ্বের রাষ্ট্রসমূহের সাথে সকল যুদ্ধবিগ্রহের মধ্যে বন্দী হওয়া যুদ্ধবন্দীদেরকে দাস-দাসী বানানোর ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে চুক্তি করতে পারবেন, যেমনিভাবে সুলতান ‘মুহাম্মদ আল-ফাতেহ’ তাঁর সমকালীন সময়ের রাষ্ট্রসমূহের সাথে দাস-দাসী প্রথা বিলুপ্ত করার ব্যাপারে চুক্তি স্বাক্ষর করেছিলেন !!

আর যে সময়ের মধ্যে এই মতৈক্য প্রতিষ্ঠিত হয়, তখন ইসলাম তার প্রধান মূলনীতির দিকে প্রত্যাবর্তন করে, যাকে সে সুস্পষ্ট ভাষায় পুরাপুরিভাবে সুনির্দিষ্ট করে দিয়েছে: ‘সবার জন্য স্বাধীনতা’; ‘সকলের জন্য সমতা’ এবং মানবিক সম্মান ও মর্যাদার অধিকার সবার জন্য’ !!

এই কথা দৃঢ়তার সাথে বলা যায় যে, নিশ্চয়ই ইসলাম দাস-দাসী মুক্ত করার ব্যাপারে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে সাতশত বছর পূর্বে, ইউরোপে দাস-দাসী মুক্ত করার দ্বারা ফ্রান্স বিপ্লবের অহমিকা প্রকাশ করার পূর্বে, আমেরিকাতে ‘আব্রাহাম লিংকন’ কর্তৃক দাস-দাসী মুক্ত করার দ্বারা বাকপটুতা প্রকাশ করার পূর্বে এবং ‘জাতিসংঘ’ কর্তৃক বিশ্ব মানবাধিকারের মূলনীতি ঘোষণা করার পূর্বে ...।

আর এটা বুদ্ধিমান ও বিচক্ষণ ব্যক্তির দৃঢ়তা আরও বাড়িয়ে দিবে যে, নিশ্চয়ই আল্লাহ তা‘আলা কর্তৃক যমীন ও তার উপর বসবাসকারীদের উত্তরাধিকারী হওয়ার দিন তথা কিয়ামত দিবস পর্যন্ত ইসলাম হচ্ছে স্বাধীনতা ও মুক্তিদান করার ধর্ম এবং সম্মান ও জীবনঘনিষ্ঠ ... শরী‘য়ত বা জীবনবিধান !!

জেনে রখুন! প্রাচ্যবিদ, পাশ্চাত্যবিদ, সামাজতান্ত্রিক ও নাস্তিক্যবাদীগণের ... মধ্য থেকে ইসলামের শত্রুগণের বুঝা উচিৎ যে, নিশ্চয়ই এই মহান ইসলাম আল্লাহ তা‘আলার চিরস্থায়ী দীন, সার্বজনীন শরী‘য়ত তথা জীবনবিধান এবং সর্বাধুনিক শাসনব্যবস্থা ... আল্লাহ তা‘আলা তাঁর রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের উপর তা নাযিল করেছেন স্বাধীনতা, ভ্রাতৃত্ব ও সাম্যের মূলনীতিমালার ছায়াতলে ব্যক্তির মান-মর্যাদা, পরিবারের সুখ-সমৃদ্ধি, সমাজের ঐক্য এবং মানবতার শান্তিপূর্ণ অবস্থান ... সুনিশ্চিত করার জন্য?

সুতরাং প্রত্যেক স্থানে ইসলামের দা‘য়ী তথা প্রচারকদের দায়িত্ব ও কর্তব্য হলো সকল মানুষের নিকট ইসলামের বাস্তবতা তুলে ধরার ব্যাপারে তৎপর হওয়া এবং চোখের উপর থেকে সন্দেহের পর্দাসমূহ ও অপবাদ-অভিযোগের মরীচিকা দূর করা ... শেষ পর্যন্ত যখন চোখের সামনে সুস্পষ্ট সত্যের মাইল ফলক স্পষ্ট হয়ে উঠবে, বিষয়টি প্রকাশ পাবে এবং দলীলটি সুস্পষ্ট হয়ে উঠবে ... তখন দ্বিধাগ্রস্ত প্রাণগুলো ঈমানের বাগানে প্রবেশ করবে, বিশ্বাসের উদ্যানে দাখিল হবে এবং সাহসিকতায়, উদ্দীপনায়, কাজে-কর্মে, প্রচার-প্রচারণায় ও জিহাদ লড়াই সংগ্রমে শক্তিশালী মুমিনগণের কাতারে শামিল হয়ে যাবে।

অনুরূপভাবে যখন ঈমানের প্রফুল্লতা হৃদয়ের সাথে মিশে যাবে, তখন তা তার সাথীকে পরিপূর্ণতার উচ্চস্তরে উঠিয়ে দেবে, পৌঁছিয়ে দেবে সাহসী মানুষদের শ্রেষ্ঠতম অবস্থানে এবং পরিচালিত করবে খোদভীরু সত্যপথের অনুসারীগণের সর্বোত্তম পথে ...।

বের করে আনবে জগৎশ্রেষ্ঠ ব্যক্তিবর্গকে, যেমনিভাবে মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের প্রথম ঈমানীয়া মাদরাসা (বিদ্যালয়) বের করে দিয়েছিল আবূ বকর, ওমর, খালিদ, উসামা ও উম্মে ‘আম্মারের ... মত মানুষদেরকে।

অতএব, হে ইসলামের আহ্বায়কগণ! দা‘ওয়াতী কাজ ও প্রচারাণামূলক তৎপরতা বৃদ্ধি করুন, অচিরেই আমরা মুসলিম যুবকদেরকে ইসলামের দিকে ফিরে আসতে দেখতে পাব; আর আশা করা যায় যে, আমরা দিগন্তে ইসলামের অগ্রগামী সৈনিকদের কুঁসকাওয়াজ দেখতে পাব; আর মুসলিম জাতি ফিরে পাবে তাদের হারানো সম্মান ও মান-মর্যাদা; আরো ফিরে পাবে তাদের সভ্যতা ও সংস্কৃতি, কালের চাকা যাকে নিশ্চিহ্ন করে দিয়েছিল ... আর এটা আল্লাহর জন্য মোটেই কঠিন বা কষ্টকর কাজ নয়।

পরিশেষে আল-কুরআনের ভাষায়:

﴿ وَقُلِ ٱعۡمَلُواْ فَسَيَرَى ٱللَّهُ عَمَلَكُمۡ وَرَسُولُهُۥ وَٱلۡمُؤۡمِنُونَۖ ﴾ [ التوبة : ١٠٥ ]

“আর বলুন, ‘তোমরা কাজ করতে থাক; আল্লাহ তো তোমাদের কাজকর্ম দেখবেন এবং তাঁর রাসূল ও মুমিনগণও।” [সূরা আত-তাওবা: ১০৫]

[ وَءَاخِرُ دَعۡوَانا أَنِ ٱلۡحَمۡدُ لِلَّهِ رَبِّ ٱلۡعَٰلَمِينَ . ]

(আর আমাদের শেষ ধ্বনি হল: ‘সকল প্রশংসা সৃষ্টিকুলের রব আল্লাহর প্রাপ্য’)।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন